ঘৃণা ও প্রেম

গল্প—-”ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–৪

© নিলান্তিকা_নাদিয়া
শুন্য- ওকে গুড।
কোমান্ড যা যা জিজ্ঞেস করবে সে
অনুযায়ী সব উত্তর দিবা।
নেও এখন বস।

নিলান্তি- আমাদের গ্রহে এমন কিছু ছিলনা।

শুন্য- ওহহ!! নেও উঠে বসো।
মেয়েটা বসার পর বাইক স্টার্ট দিতেই এমন
জোরে আমাকে চেপে ধরল মনে হচ্ছিল
পেটের সব কিছু এখুনি বের হয়ে যাবে।
hello! miss……. আস্তে ধর।

নিলান্তি- oh sorry. okey.
শুন্য- কোমান্ড এর রুমে নিলান্তি কে নিয়ে
গেলাম।

কোমান্ড ওনেক কিছু জিজ্ঞেস করল।
আর ও ঠিক তাই তাই বলল যা আমি শিখিয়ে
দিয়েছিলাম।

কোমান্ড – ওকে নেওয়ার আগে ওর পাওয়ার
রেংক টা দেখতে হবে।
কোন সেকশন এ ওকে দেওয়া যায় তা
পরিক্ষা করে তারপর ওকে নেওয়া যায়
কিনা দেখতে।

তুমি কি রেডি মিস…..

নিলান্তি – নিলান্তিকা।

কোমান্ড – শুন্য তুমি ওকে সব বুঝিয়ে দেও।
battle will start after 30mnts. and it will be sword
fight.
no magic will be used.
got that? ?
.
shunno- yes commando.
নিলান্তি কে ড্রেসিং রুমে নিয়ে গেলাম।
কিছু বুঝতে পেরেছ উনি কি বলেছে?

নিলান্তি – হুম।
ম্যাজিক ব্যবহার করা যাবে না।
তোলয়ার দিয়ে ফাইট হবে।
আমি রেডি।

শুন্য- ওকে।
good. thn change ur dress. im waiting out side.
if u need anything call me.
.
nilanti – okey.
ড্রেস চেঞ্জ করলাম এই ড্রেস এর চেইন
পিছনে। কিছু তেই লাগাতে পারছিনা।
darn this cloth.
ufff…… irritating.
শুন্য- ready? ??
.
নিলান্তি – হাত তাড়াতাড়ি সামনে আনলাম।
বুঝতে দিলাম না যে আমি রেডি না।
হ্যা হ্যা আর ২ মিনিট।

শুন্য- তোমার কোনো হেল্প দরকার?

নিলান্তি- না না। না তো।

শুন্য- ওর সামনে এগিয়ে যেতে লাগলাম।

নিলান্তি- (পিছাতে পিছাতে)
আমার…..কি…..কি…..ছু…..লাগবেনা
…..মাথা নিচু করে রাখলাম।

শুন্য- ওর কোমড়ের পিছন দিয়ে হাত দিলাম।

নিলান্তি- শক্ত হয়ে দাড়িয়ে আছি।

শুন্য- চেইন টা লাগিয়ে দিলাম।

নিলান্তি- অবাক হয়ে গেলাম।
তুমি বুঝলে কি করে।

শুন্য- ওকে ঘুরিয়ে দাড় করালাম।
ওই টা দেখে।

নিলান্তি- !! পিছনে একটা আয়না।
সেটাতে ও দেখেছে।

শুন্য- চল এখন।
and do ur best.আজ কে ঠিক মত না ফাইট
করলে এইখানে টিকতে পারবানা। আর
আমাকে মারার সপ্ন ও পুরন হবেনা।
চল এখন।

battle field এ গেলাম সবাই।

ফাইট হবে F rank মানে F section এর পরে এমন
১ জজন ছেলের সাথে।

কোমান্ড -let the fight began. lets go ahead.

শুন্য- ফাইট শুরু হল।
মেয়েটা ভালই করছে।
কিন্তু প্রচুর মার খেয়েছে।
হাত পা কেটে গেসে।
গলাতে কাটা। মুখ দিয়ে রক্ত পরছে।
কিন্তু মেয়েটা পিছু পা হচ্ছেনা।
কেন হচ্ছেনা সেটা আমি জানি ও আমাকে
শেষ করার জন্য ।ও আনাকে মারতে চায় তাই।

কিন্তু আমার প্লান অন্য। আমি ওকে এখানে
রেখে ওর মন থেকে ঘৃণা দুর করতে চাই।
মানব কল্যাণ এ অকে ব্যবহার করতে চাই।

খুব সংঘষ হয়ার পর অবশেষ এ নিলান্তি
জিতেছে।
কিন্তু বেহুশ হয়ে পরে গেল।
আমি গিয়ে ওকে কোলে তুলে নিয়ে।
ডাক্তার রুমে গেলাম।

ডাক্তার – ড্রেসিং করে দিয়েছি।
she’ll be al okey.

কোমান্ড – শুন্য আমার সাথে আসো।
নিলান্তি ভাল ফাইটার মানতে হচ্ছে।
কিন্তু ওকে আরও ডেভেলপ করতে হবে।
আমি ওকে B sec এ দিচ্ছি।
সব ফাইল তুমি দেখে ফ্রম ফিল আপ করে দিও।
কাল কে ওর ব্যাচ পেয়ে যাবা।
আর ব্যাচ নেওয়ার সময় ওর ফিংগার প্রিন্ট
দিয়ে যাবা।

শুন্য- জি।
নিলান্তি তখন ও বেহুশ।
ওকে নিয়ে বাসায় আসলাম।
ওকে শুইয়ে দিলাম।
মেয়েটার দিকে একপলকে চেয়ে আছি।
চোখ যেন সরতেই চায়না।
কপালে চুমু দিলাম। কেন দিলাম জানিনা।

২ দিনেই মেয়েটাকে কেমন আপন ভাবতে শুরু
করে দিয়েছি আমি।
ওর রাগ, ওর জিদ, ওর নীল হয়ে উঠা চোখ
দেখলে আমার কেমন নেশার মত লাগে।

চেয়ে থাকতে থাকতে কখন ঘুমিয়ে গেছি
জানিনা।

সকালে-
শুন্য- ঘুম ভাংল। আসলে ভাংল বললে ভুল হবে
ভাংগিয়ে দিল।
ওই বজ্জাত মেয়ে আমার উপর ১ বালতি পানি
ঢেলে দিল।

ওই ওই এটা হল?

নিলান্তি – তুমি সারারাত এইখানে ছিলে? .

শুন্য- হ্যা তো।

নিলান্তি- তো মানে?

শুন্য – হ্যা ত কি হইছে?
আমি কি তোমার কিছু করছি? ??

নিলান্তি- হুহ।

শুন্য- দুর সকাল সকাল গোসল হয়ে গেল।

রুমে গিয়ে চেঞ্জ করে নিলাম।
নিলান্তি – এখন ঠিক লাগছে।
কিন্তু পায়ে খুব ব্যথা লাগছে।

শুন্য- নাস্তা নিয়ে ওর রুমে গেলাম।
এই নেও খেয়ে নেও

নিলান্তি আমার দিকে তাকাল।
ওর চোখে পানি।

আমাকে দেখে জলদি করে চোখ মুছল।

কি হয়েছে?

নিলান্তি- না কিছুনা।

শুন্য- ওর সামনে যেয়ে বসলাম ।
কিছু ত হয়েছে বল কি হয়েছে।
পায়ে ব্যথা করছে?

নিলান্তি – মাথা নেড়ে না বুঝালাম।
শুন্য- ত?? আচ্ছা বুঝেছি বাবা কে মনে পরছে।
এবার আমার দিকে তাকাল।

কেদোনা ।
কাঁদলে রাগ ঠান্ডা হয়ে যাবে। তখন আমাকে
মারবে কি করে?

নিলান্তি- ( ঠিক বলেছ ও ) চোখ মুছে
ফেললাম।
নাস্তা করে নিলাম।

শুন্য- রেডি হয়ে আসো আমি বাইরে অপেক্ষা
করছি।
আজ তোমার প্রথম ক্লাস। দেরি করা
যাবেনা।

নিলান্তি – আমি সিলেক্ট হয়েছি।

শুন্য- yes my princess. rank B .
B section এ

আচ্ছা রেডি হউ।

নিলান্তি- রেডি হলাম।
নিচে গেলাম।

শুন্য- আমি ত হা হয়ে মেয়ে টা কে দেখছি।
রেড শার্ট যেটা কোমড়ের সামনে গিট মারা,
ব্লাক জিন্স, চুল গুলা বেনি করা।
আর সামনের ছোট চুলে কপাল ঢাকা, আর হাই
হিল।
যে কেউ প্রেমে পড়ে যাবে।এগুলা কিনতে
আলো হেল্প করেছিল।

নিলান্তি- কি হল চল।
কখন থেকে বসে আছি।

শুন্য- হ্যা যাচ্ছি।
ওকে নিয়ে অফিস রুমে গেলাম ব্যাচ নিলাম।
আর ফিংগার প্রিন্ট দিয়ে এসে ওর ক্লাস
রুমে দিয়ে এলাম।
ওই ক্লাসে আমার ২ জন পরিচিত আছে নিশা
আর তারা।
ওদের বললাম ওকে দেখে রাখতে।

আমাদের আজ প্রেক্টিজ করার জন্য ফিল্ড এ
নিয়ে গেল।
যেয়ে দেখি পাশের ফিল্ড এ সেকশন বি এর
মানুষ রাও আছে।
তাহলে নিলান্তি ও আছে।আসলে সব ফিল্ড
গুলার মাঝে কাচ দেওয়া তাই দেখা যায়।
বস আমাদের প্রেক্টিজ শুরু করতে বলল।
সবাই শুরু করলাম।
এর মাঝে চোখ গেল নিলান্তি আর প্রহরের
দিকে।
এই ছেলে প্রেক্টিজ এর বাহানায় ওকে
যেখানে সেখানে ছুঁয়ে দিচ্ছে।
মাথায় রক্ত উঠে গেল।
কিন্তু প্রেক্টিজ রেখে যাওয়া যাবেনা।
প্রেক্টিজ করতে পারলাম না।
ওইখানে বসে বসে ওদের দেখলাম।
ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–৫