বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ০৮

মামনি – তারা কি আজ উঠে নি নাকি।
প্রতিদিন তো উঠে আমার কাছে আসে।
আজ এলনা কেন।
অহ ওর যে পায়ের ব্যথা আমার তো মনেই
নেই,
একবার দেখে আসি।

তারা! তারা! কি ব্যপার তারা কই?

মেঘ – কি হয়েছে মা চিল্লাচ্ছো কেন?

মামনি – দেখনা তারাকে তো পাচ্ছিনা।
পায়ের ব্যথা নিয়ে কই গেল।দেখ জামা
কাপড় ও তো নেই।
ও কি তাহলে চলে গেল?

মেঘ জলদি নিচে যেয়ে দেখ।

মেঘ – আমি পারবনা।

মামনি – মিমি জলদি দাড়োয়ান কে ডাক দে।

মেয়েটা ফোন ও ধরছেনা।

: জি ম্যাম।

মামনি – তারা কে দেখেছ।

: সেতো অনেক আগেই ব্যাগ নিয়ে চলে গেল
দেখলাম।

মামনি – মেঘ কি করেছিস বল।
আমি জানি ও এমনি এমনি যায় নি।

মেঘ – তেমন কিছুইনা
আমি শুধু অকে বলেছি আমাকে সবসময়
ডিস্টার্ব না করতে।
কারন ও সব বিষয় নিয়ে আমার সাথে লাগায়।
সকালে কি করেছে জানো?

মিমি – স্যার actually ভুল টা আমার ছিল আমি
ভুল করে চিনির জাড়ে লবন রেখে
দিয়েছিলাম।

মামনি – হলতো এবার??

যা এখনি যাবি যেভাবেই হক তারাকে আমি
এইবাসায় দেখতে চাই।
অর বাবা অর দায়িত্ব আমাদের কাছে দিয়ে
গেছে।
ওর বাবাকে কি বলবি তুই ওর কিছু হলে?

মেঘ – গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
আগে তারার বাসায় যেতে হবে।

তারা- এখন আবার কে আসল।
আরে কেউ এতবার বেল বাজায়? আপনি? ???

মেঘ – তোমার সাহস ত কম না আমাদের না
বলে চলে এসেছ?

তারা- এখন তো জানলেন যান এখান থেকে।

মেঘ – যেভাবে অইখান থেকে এসেছ
সেইভাবেই অইখানে চল।

তারা- যাব না।

মেঘ – যেতে তো তোমাকে হবেই। আমি
তোমাকে নিয়েই যাব by hook or by crook.

তারা- যাব না না না না না।

মেঘ – আশে পাশের সবাই কিন্তু তাকিয়ে
আছে scene create করোনা।

তারা – তাহলে আপনি যাচ্ছেন না কেনো?
।মেঘ- তারার দিকে ১পা আগাতে ও ২পা সরে গেল।
তারা- ১হাত তার বুকে দিয়ে তাকে ১হাত দুরে ঠেকালাম।
মেঘ -কিছু না বলে ঘরের ভিতরে গেলাম।

তারা- আরে আরে কি খুঁজছেন
.
মেঘ – অহ যাক ব্যাগ এখন unpack করেনি।
ব্যাগ নিয়ে বাইরে বের হলাম।
চল এখন।

তারা- আপনি শুনেন নি আমি কি বলেছি।

মেঘ – নাহ এইভাবে হবেনা।
কাধে তুলে নিলাম।

তারা- কি করছেন সবাই দেখছে।

মেঘ – দেখুক। আমি যখন বলে ছিলাম তখন তো
শুন নি।

তারা- আচ্ছা আচ্ছা নামান যাচ্ছি।

মেঘ – ঠিক তো

তারা- হুম।

গাড়ি তে-

মেঘ – I’m sorry
.
তারা- কি বললেনন?

মেঘ – সরি বললাম।

তারা- আমার কান মনে হয় ভুল শুনছে।
সরি বললেন আপনি তাও আমাকে? বাহ বাহ
আমি ধন্য হয়ে গেলাম।

মেঘ – সরি বলাই ভুল ছিল।

তারা- বলতে কে বলছিল।

মেঘ – ঝগড়া ছাড়া কিছু পারো তুমি?

তারা- হুহ।
বাসায় আসলাম।

মামনি – তারা তুই কিন্তু মাইর খাবি আমার
হাতে।
এমন কেউ করে?
আমি কি ভয় পেয়েছিলাম তুই জানিস? ??

তারা- তোমার ছেলের জন্য ই তো।

মেঘ – মা আমি গেলাম।

মামনি – তারা তুই যাবিনা?
তারা-
হুম যাব তো।

মামনি – রেডি হয়ে আয়।

অফিসে-
হিয়া- কিরে তোরা আজ এত লেট কেন?

তারা – আর শুনিস না।
সকাল থেকে কাহিনির উপর কাহিনি হচ্ছে।

হিয়া- বল না বল না শুনি

মেঘ – তারারারা

তারা- অরে বাবা কি হল আবার?

স্যার স্যার কি হয়েছে।
অফিসের সব স্টাফ হাজির স্যারের কেবিন
এর সামনে।

মেঘ – এই চেক টা কবে জমা করার কথা
ছিল? ?

তারা- ওহ আল্লাহ ভুলেই তো গিয়েছিলাম।
স্যার আমি এখনি করে দিচ্ছি।

মেঘ – থাক। হিয়া জমা করে আসো।
তুমি জানো তুমি কোন কাজের ই না?
শুধু রাগ, জিদ দেলহাতে পারো আর কি পার
বলোত তুমি। হ্যা প্রতিশোধ নিতে পারো।
তাছাড়া কিছুই না।
যাও এইখান থেকে।
stupid কোথাকার।

তারা – এত রাগ লাগছেনা কি বলব।
সামান্য জিনিসের জন্য এত রাগের কি ছিল?

আজব ব্যপার।
ঠিকি বলেছেন প্রতিশোধ নিতে ভাল পারি
আমি।
সেটাই করব।
সবার সামনে এত অপমান আমাকে করা বের
করছি।

বাসায়-
তারা – স্যারের রুম টা আস্তে করে খুললাম
কিরে উনি কই দেখছি নাতো।

মেঘ – তারা???

তারা- ঘুরেই আ আ আ

হাত দিয়ে
চোখ ঢাকলাম। আপনি খালি গায়ে কেন?

মেঘ – গেঞ্জি পরতে পরতে তুমি যে এখন
আমার ঘরে আসবা সেটা কি আমার সপ্নে
আসছিল?

কি দরকার।

তারা- এখন কি বলি ইয়ে মানে ইয়ে।

মেঘ – কি ইয়ে ইয়ে করছ

তারা- এই যে এই বই টা এটা নিতে
এসেছিলাম।

মেঘ – কিন্তু এটা আমি এখন পরব।

তারা- ok ok no pblm. আপনি পড়ুন আমি পরে
পরবব। ( বই কে পরে হুহ আমি তো মুভি দেখি)

মেঘ – আর কিছু?

তারা- না না যাচ্ছি।
( দুর কাজ টাতো হলনা)

ঘড়ির দিকে তাকালাম।
রাত ২ টা এখন নিশ্চয় সে ঘুমিয়েছে।
এখনি কাজ সারতে হবে

আস্তে করে দরজা খুলে ঢুকলাম যা ভেবেছি
তাই।
ঘুমিয়ে আছে।
কাজ সেরে বেরিয়ে গেলাম।
কাল কে অফ ডে।
অনেক মজা করে ঘুমান যাবে।

সকালে-
তারা-
চিল্লা চিল্লি তে ঘুম ভাংল .
আরে কিসের এত চেঁচামেচি? ?
ওহ আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম।
দৌড়ে নিচে নামলাম।
সবাই দেখলাম মুখ ধরে হাসছে আর স্যার
চিলাচ্ছে।

মামনি – তোর মেয়ে সাজতে মন চাইল কেন
রে?

মেঘ – মা তুমি চুপ করতো।
এই টা এই যে এই যে এই মেয়ের কাজ।

তারা- আমি? ??

মেঘ – দাড়াও দেখাচ্ছি মজা।

তারা- অরে বাবা ভাগ তারা ভাগ।

মেঘ – ভেগে আর যাবে কই দাড়াও বলছি

মামনি – তোরা কি শুরু করলি বলতো।
আরে থাম থাম।

মেঘ – উপরে যেয়ে পাড় পাবেনা।
তারাকে ধরে নিজের রুমে নিয়ে গেলাম।
দরজার সাথে আটকে ধরলাম।
এখন কি হবে?

তারা- কি আর হবে।

মেঘ – খুব হাসি পাচ্ছে তাইনা।

তারা- আপনাকে দেখে যে কেউ ই হাসবে।

মেঘ – সেতো হাসবেই
all credit gose to you.
তারা- হেহেহে।

মেঘ – হাসি বের করছি।

তারা- এই এই ভাল হচ্ছেনা কিন্তু।

মেঘ – তুমি মনে হচ্ছে অনেক ভাল কাজ
করেছ?
মুখ টা একটু আগিয়ে নিলাম।

তারা-( ওই ভাবে চেয়ে আছে কেন রে।
আমার হার্টবিট তো ১০০ গুন বেড়ে গেছে)

মেঘ – তারার মুখটা উচু করলাম।
তারার গালের সাথে গাল লাগালাম যাতে
আমার মুখের সব আটা ময়দা সুজি তারার
গালে লেগে যায়।

তারা- তার গেঞ্জি আকড়ে ধরলাম।

মেঘ – অন্য গালে ও লাগালাম।তারার ঘন হয়ে
যাওয়া নি:শ্বাস টের পাচ্ছি। মনে হচ্চে
আমি প্রতিটা গুনতে পারব।

তারার দিকে তাকালাম
এমন লাল হয়ে আছে কেন? ?
তারার চোখের দিকে তাকালাম।
তারা চোখ নামিয়ে নিল। গোলাপি
ঠোট ২ টা কাপছে।
কিছু বলতে চাচ্ছে হয়ত বলতে পারছেনা।

তারা- ঠোটে তার হাতের ছোয়া পাচ্ছি।
হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
দম নেওয়াও কস্ট কর ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে
তার দিকে তাকালাম
উনি আমার এত কাছে।
আমি চোখ বন্ধ করলাম।

মেঘ – তারা আমার দিকে আরেক্টু মুখ
বাড়ালো।
ঠোটদ্বয় প্রায় ছুই ছুই অবস্থা।

মামনি – কিরে তোরা এখনও মারামারি
করছিস উপরে

তারা- কোন মত তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে
দরজা খুলে দৌড় ।
নিজের ঘরে যেয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম।
হায় হায়
এটা কি হচ্ছিল? ?

মেঘ – কি করছিলাম আমি ( মুখে হাত দিয়ে)

মামনি – তারা নিচে আয় তো মা।

তারা- দরজা খুলে দেখি উনিও দরজা খুলে
বের হচ্ছেন।
আমাকে দেখে নিচে চলে গেলেন মাথা
চুলকাতে চুলকাতে।

আমি কি করব নিচে যাব?
মামনি তো ডাকছে।
নিচে গেলাম।
যাক বাবা উনি মনে হয় বাইরে গেছে।

মেঘ – মা কই তুমি?

মামনি – কি হয়েছে /

মেঘ – নেও ধর।
ice-cream
.
মামনি – তারার কাছে দিয়ে আয়।

মেঘ – তুমি দিয়ে আসো।
।( মাথা চুলকাতে চুলকাতে)

তারা- আমি ওইখানেই দাড়িয়ে ছিলাম।
(মাথায় কি হইছেরে উকুন নাকি এত
চুলকাচ্ছেন কেন? )
.
চলবে
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *