বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ০৭
মেঘ – তারাকে শাওয়ার এর নিচে দাড়
করিয়ে শাওয়ার অন করে দিলাম।
।
তারা- এটা কি হচ্ছে? ?
।
মেঘ – চুপ করে দাড়াও।পানিতে পাউডার ধুয়ে যাবে আরর
চুলকাবেনা।
।
তারা – ( দেখছ কেমন ড্যাব ড্যাব করে
তাকিয়ে আছে)
আমিই বা কি করব এমন ধরে দাড়িয়ে-
থাকলে।
।মেঘ- আমিও যে ভিজে যাচ্ছি বুঝতেই পারিনি।তারা দেখলাম
শীতে কাপছে।
মামনি – কিরে তোরা কই গেলি ২ জন
।
মেঘ – আমি যে নিজেও ভিজে গেছি মাত্র
দেখলাম।
।
তারা- চেঞ্জ করলাম।
।
মেঘ – চেঞ্জ করে
নিচে অপেক্ষা করতে লাগলাম তারার।
ফোনে কথা বলতে বলতে
উপরে তাকালাম
তারা নিচে নামছে
ভিজা চুলে খুব সুন্দর লাগছে অকে।
।
মামনি – কিরে কি দেখিস তাকিয়ে।
।
মেঘ – না না কিছুনা।
গাড়ির কাছে গেলাম।
।
তারা- মামনি উনি চলে গেছেন?
।
মামনি
– উনি টা কে?
।
তারা- I mean তোমার ছেলে।
।
মামনি – নাহ বাইরে আছে দেখ।
।
তারা- অকে গেলাম।
।
মামনি – ২ জনের মধ্যে কি চলে বুঝাই মুসকিল
।
গাড়ি তে-
মেঘ – জ্যাম এ আর কতক্ষণ বসে থাকা যায়।
বাহ উনি তো ফোন দেখছে
।
সারাদিন ফোন কি দেখে এই মেয়ে
।
কি দেখছ? বলে অর দিকে একটু এগিয়ে
গেলাম।
।
তারা- একটু সরে গেলাম।
না না কিছু না।
গাড়ি চালান।
।
মেঘ – অহ হুম।
।
অফিসে –
হিয়া- কিরে হাচি দিতে দিতে তো তুই
আমার কান ঝালা পালা করে দিলি।ঠান্ডা
কিভাবে লাগল।
।
তারা- ২ বার শাওয়ার নিছি তাই।
।
হিয়া- কেন?
।
তারা- না ইয়ে মানে।
।
হিয়া- কিরে স্যার তোর দিকে এভাবে
তাকায় আছে কেন?
।
তারা- কই? চোখে চোখ পরতেই রুমে চলে
গেলেন।
।
মেঘ – আমি অর দিকে কেন তাকিয়ে ছিলাম
আজব ত
অকে কি আমি নিউ দেখছিনাকি?
।
তারা- ব্যপার টা কি হল? ?
।
হিয়া- কিরে ব্যপার কি।
।
তারা- নিজে জানলে না জানাব।
।
কাজ শেষ এ বাসার উদ্দেশ্যে বের হলাম।
সেই রকম বৃষ্টি হচ্ছে।
রেডিও ছাড়লাম baarish গান টা হচ্ছে।
my most favrt.
।
মেঘ – volume টা একটু কমাও।
।
তারা- জি।
হঠাত গাড়ি থেমে গেল।
গাড়ি থামালেন কেন।
।
মেঘ – থামাই নি থেমে গেছে।
।
এই অবস্থা তে বের হই কি করে।
।
তারা- আমার কাছে ছাতা আছে দাড়ান
আমি আগে বের হই।
বের হয়ে ছাতা ধরলাম স্যার বের হল।
আমি ছাতা ধরি আপনি দেখুন গাড়ির কি হল।
।
মেঘ – গাড়ি দেখার পর মনে হচ্ছে
ম্যাকানিক ছাড়া হবেনা।
তারা ছাতা আমাকে দেও তুমি গাড়ি তে বস
আমি ট্যাক্সি দেখি।
উফফ এতক্ষন হয়ে গেল কিচ্ছু পাচ্ছিনা।
।
তারা- বলছি কি হেতে যেতে থাকি হয়ত
সামনে কিছু পাব।
।
মেঘ – হুম চল।
১ ছাতাকি আর ২ জনে ভাল ভাবে হয়।
তারা আমার সাথে একদম লেগে আছে।।
বাতাসের সাথে বৃষ্টি এসে আমাদের
ভিজিয়ে দিচ্ছে।
।
তারা- কি ঠান্ডা লাগছে!!!!
।
হঠাত বাজ পরার আওয়াজ হল।
কিচ্ছু না ভেবে স্যার কে জরিয়ে ধরলাম।
।
মেঘ – কি করছ সবাই দেখছে।
।
তারা- উনাকে ছেড়ে একটু সরে দারালাম
কিন্তু ভিজেই যাচ্ছি।
।
মেঘ – তারাতো ভিজে যাচ্ছে এমনি তে
অফিসে দেখলাম সারাদিন হাচি দিচ্ছিল।
ওর কাধে হাত দিয়ে নিজের দিকে একটু
এগিয়ে নিলাম।
।
তারা- কি হল?
।
মেঘ – এত সরে গেছ ভিজে যাচ্ছতো।
।
তারা- ( বাহ এটা খেয়াল করেছে! যাক মায়া
মহব্বত আছে মনে)!
ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে।
ভয়ে আত্তা শুকিয়ে যাচ্ছে।স্যারের এক হাত
জরিয়ে ধরে হাটছি।
।
মেঘ – তুমি কি ভয় পাচ্ছ??
।
তারা- হুম(ঢক গিলতে গিলতে)
।
অন্ধকারে আর ঝরে তেমন কিছু ভালো ভাবে
দেখা যাচ্ছে না।
।
আল্লাহ! !! গর্তে চলে গেল পা।
।
মেঘ – তারা ঠিক আছ?
।
তারা- পায়ে খুব ব্যথা লাগছে স্যার।
।
মেঘ – দেখে হাটতে পারোনা?
।
তারা- অন্ধকারে কি কিছু দেখা যায়?
।
মেঘ – হাত ধরে উঠ।
।
তারা- হাত ধরে উঠার চেস্টা করলাম কিন্তু
স্যার আমি হাটতে পারব না।
পায়ে মনে হয় মোচোড় লেগেছে।
।
মেঘ – ভারি মুসকিল হল।
একে তো এত ঝড় বৃষ্টি তার উপর কোন কিছুই
নেই রাস্তায় আর যা আছে সব বুক।
।
হাত ধরে কস্ট করে একটু দাড়া হউ।
।
তারা- কোন মত দাড়া হলাম স্যার ছাতা
আমার হাতে দিয়ে সাথে সাথে আমাকে
কোলে তুলে নিলেন।
।
স্যার এতখানি রাস্তা??
।
মেঘ – ড্রাইভার যদি ছুটি তে ননা থাকত
বাসার গাড়ি টা ফোন করে আনা যেত।
দুর।
।
হাটতে হাটতেই বাসায় গেলাম।
।
মামনি – কিরে কি অবস্থা তোদের??
আর তারার কি হয়েছে?
।
তারা- মামনি পরে গিয়েছিলাম।
।
মেঘ – মা আমি অকে উপরে দিয়ে আসছি
মিমি কে উপরে পাঠিয়ে দেও।
।
মামনি – হ্যা হ্যা আমিও যাচ্ছি।
।
মেঘ – উপরে তারার ঘরে তারাকে নিয়ে
গেলাম।
বিছানায় শুইয়ে দিলাম।
।
তারা- thank u sir.
।
মেঘ – it’s ok.
.
মামনি – কিরে কি হয়েছে।
।
তারা- বলছি। কিন্তু আমি চেঞ্জ করব।
।
মামনি – হ্যা আমি হেল্প করছি।
।
তারা- চেঞ্জ করে মামনি কে সব বললাম।
।
মামনি – দারা ওষধ এনে লাগিয়ে দিচ্ছি।
আর তোর খাবার আনছি।
।
মেঘ – মা! মা!
।
মিমি – ম্যাম তো উপরেই আছে।
।
মেঘ – উপরে যেয়ে দেখি মা তারাকে খাইয়ে
দিচ্ছে।
এই কয় দিনেই তারা আর মা কত আপন হয়ে
গেছে।
তারাও তো মা য়ের কত খেয়াল রাখে।
।
মামনি – কিরে তুই এইখানে দাড়িয়ে কি
ভাবছিস।
।
মেঘ – না মা কিছুনা।
যাচ্ছি।
হুম নিচে এসে খেয়ে নে।
।
তারা- পায়ের ব্যথায় আর ঘুম হবেনা।
আল্লাহ কি ব্যথা।
।
মেঘ – তারা কি আজ ও না ঘুমিয়ে মুভি
দেখছে কিনা ১ বার চেক করা দরকার।
।
ওর রুমের সামনে গেলাম দরজা দিয়ে উকি
দিলাম।
।
ও দেখি বসে বসে পা নিয়ে আফসোস করছে।
।
কি করছ?
।
তারা- পায়ের ব্যথায় কি ঘুম আসে।
।
মেঘ – চোখ কই থাকে তোমার?
।
তারা- অন্ধকারে কার বাপের সাদ্ধ্য দেখার?
।
মেঘ – আচ্ছে দেখি কোথায় লেগেছে।
।
তারা- এই তো এইখানে
।
মেঘ – এইখানে।?
।
তারা- হ্যা।
।
মেঘ – sure?
.
তারা- আরে বাবা হ্যা।
বলতে বলতে স্যার দিল উল্টা দিকে মোচোড়
বাস তারপর।
।
মেঘ – তারপর এক বিকট শব্দ হল।
আর আমার কান কথা শুনার কাজ বন্ধ করে
দিল।
।চুপ।
তারা- উনি উঠে চলে গেলেন।
পা টা ভেংগে রেখেই গেল মনে হয়।
এখন আমার কি হবে?
কে বিয়ে করবে আমাকে?
আমার বাবার কি হবে?
এএএএএএ
।
হঠাত করে খেয়াল করলাম পায়ে ব্যথা নেই।
ইয়াহু।
।
সকালে –
তারা- আজকে তার জন্য আমি কফি বানাব।
আসলে কাল কের হেল্প এর জন্য সামান্য tnx
জানানো আরকি।
।
কফি বানিয়ে নিয়ে গেলাম।
।
উঠেন নি।
থাক রেখে যাই।
।
মেঘ – উঠে কফি টা মুখে দিলাম।
থু থু
।
এটা কি কফি না লবনের সাগর??
।
মিমি! মিমি?
।
মিমি – জি স্যার।
কফি কি তুমি নতুন করে বানানো শিখবে?
কি বানিয়েছ?
।
তারা- এত চেঁচাচ্ছে কেন?
কি হইছে?
।
মেঘ – মিমি কি বলছি?
।
মিমি – কিন্তু কফি তো তারা ম্যাম
বানিয়েছে।
।
মেঘ – কিহ?
।
তারা- হ্যা কিন্তু কি হয়েছে।
।
মেঘ – মিমি যাও।
।
তোমার কি প্রব্লেম বলতো? ?
আমার সাথে কি সমস্যা তোমার।?
আমাকে সবসময় হেনস্ত না করলে কি তোমার
পেটের ভাত হজম হয়না?
।
তারা- কিন্তু আমি করলাম কি?
।
মেঘ – কি করেছ? ? কফিটা একটু খাও।
।
তারা- কিন্তু কেন?
।
মেঘ – খেয়েই দেখো
।
তারা- মুখে দিলাম । থু থু
।
লবনকি করে আসল??
আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা।
।
মেঘ – এটা তো আর আজ কের কথা না তুমি এর
আগেই করেছ।
।
তারা- কিন্তু আজ আমি ইচ্ছে করে করিনি।
সত্যি বলছি।
।
মেঘ – এইখান থেকে যাও তো
তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছেনা।
।
তারা- আমি থাকবনা আর এই বাড়ি তে
।
অনেক হয়েছে।
না উনি আমাকে দেখতে পারে না আমি
উনাকে সারাদিন tom &jerry এর মত করি
আমরা।
দরকার নেই থাকার।
জামা কাপড় গুছিয়ে নিলাম।
বাবাকে জানাবোনা টেনশন করবে।
।
বাসা থেকে কেউ দেখার আগেই বেরিয়ে
গেলাম।
।
চলবে
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!