ও আমায় ভালোবাসেনি- সিজন ২ – Part- 12
পায়ের ক্ষত শুকাতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে গেলো মিথিলার । এতদিন সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকতে হয়েছে তাকে । কাজে যেতে না পারলেও রাইদ কে যেতে হয়েছে । যেহেতু কন্ট্র্যাক্ট করা আছে আর এডভান্সও নিয়েছিলো তাই ছুটি নেয়া সম্ভব হয়নি ।
আজ থেকে অবশ্য শ্যুট শেষ এরপর কয়েকদিন ছুটি কাটানো যাবে । মিথি কে টাইম দেয়া দরকার মনে করছে রাইদ ।
রফিক সাজেস্ট করেছে রাইদের প্রপার্টি গুলো মিথি কে ঘুরিয়ে দেখাতে । এতে ওগুলো সম্পর্কে ধারণাও থাকবে আবার বাইরে বেরুনোও হবে । অসুস্থতার কারণে তো অনেক দিন বেরোয় না ।
রাইদও ভেবেছে কাল বাদে পরশু মিথিকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাবে ।
ক্লান্ত থাকায় সিটে মাথা এলিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে রাইদ ।
রফিক ল্যাপটপে কাজ করছে আর টুকটাক কথা বলছে ড্রাইভারের সাথে ।
সলিমুল্লাহ রোড পার হতেই রাইদ বললো_
— আশেপাশে কোনো কনফেকশনারি দেখলে দাঁড়াতে বলো রফিক ।
— কেনো স্যার? ক্ষুধা লেগেছে আপনার কিছু খাবেন?
— নাহ্ তুমি কিনে আনবা মিষ্টি , সন্দেশ এসব ।
— মিষ্টি! কিন্তু স্যার আপনি তো এসব খান না ।
— আমি খাইনা তোমার ম্যাম খায় । ওর সন্দেশ আর রসমালাই পছন্দ আর তুমিও তো মিষ্টি পছন্দ করো তাই কিনবে ।
মানিব্যাগ থেকে তিন হাজার টাকা বের করে দিলো রাইদ ।
— স্যার এতগুলো টাকা?
— হু ভালো দেখে কিনবা । আমার বউ মিষ্টি পাগল । প্রতিযোগিতায় নামালে ও ই ফার্স্ট হবে অলওয়েজ । আমরা ছোটবেলায় ওদের বাসায় গেলেই ও , রিজা আপু আর আমার একটা কম্পিটিশন হতো ।
আমি তো মিষ্টি বেশি পছন্দ করতাম না তাই আমি হেরে যেতাম কিন্তু মিথি আর আপু দু’জনার টাই হয়ে যেত ।
আমার আপুও অনেক মিষ্টিখোর ছিলো । বলে মলিন হাসলো রাইদ ।
ড্রাইভার একটা কনফেকশনারির সামনে গাড়ি দাঁড় করালো । রফিক ল্যাপটপ বন্ধ করে নামতে গেলে রাইদ কি মনে করে আরো টাকা দিলো কিছু স্ন্যাকস আর মিষ্টি অতিরিক্ত কেনার জন্য ।
রফিক এত খরচ দেখে বিরক্ত হলে রাইদ আরেকটা মলিন হাসি দিয়ে বললো_
— কাল তো আমার জন্মদিন তাই এসব অনাথ আশ্রমে পাঠাবো ।
— আপনার জন্মদিন মানে? আপনি তো বলেন আপনার জন্মদিন জানুয়ারিতে আর পার্টিও তখন করা হয়!
— আগে খাবার কিনে নিয়ে এসো তারপর বলছি?
— কিন্তু স্যার..
হাতের ইশারায় কে থামতে বললো রাইদ ।
ঐ মুহুর্তে আর কিছু জিজ্ঞেস করা হলো না রফিকের ।
খরচ করে নিয়ে আসার পর দেখা গেলো রাইদ জানালায় হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে আছে ।
গাড়িতে নিঃশব্দে বসে ড্রাইভার কে ইশারায় স্টার্ট করতে বললো ।
বেলকোণীতে বসে ময়না পাখি দু’টোর সাথে কথা বলছে মিথি । ওর নাম শেখানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পাখি গুলো একদমই ওর নাম বলতে পারছে না । এটা দেখে বেশ মন খারাপ হচ্ছে মিথির ।
ও একবার বিষণ্ন মনেই বললো_
— রাইদও ভালো না , রাইদের পাখিগুলোও ভালো না ।
নিচ থেকে গাড়ির শব্দ পাওয়া গেলো , মিথি রেলিং দিয়ে নিচে তাকিয়ে দেখলো রাইদ এসে গেছে ।
ঠোঁটের কোণে হাসির ঝিলিক দেখা গেলো ।
এদিকে ময়না পাখিও যেন বুঝে গেছে রাইদ এসেছে ।
সে হঠাৎ করেই রাইদ;রাইদ করতে থাকলো ।
মিথি অবাক হয়ে ময়না পাখিকে জিজ্ঞেস করলো_
— তুইও বুঝতে পেরেছিস রাইদ এসেছে? ওর নাম এত কঠিন তবুও বলতে পারিস আর আমি এতদিন থেকে শেখাচ্ছি আমার নামও সহজ তবুও বলতে পারছিস না? রাজাকার পাখি ।
কে শোনে কার কথা!
মিথিলার কথায় ময়না পাখির কোনো মনযোগ নেই ,সে তারস্বরে বলে যাচ্ছে “রাইদ;রাইদ”
রাইদ রুমে এসে দেখে মুখ গোমড়া করে বসে আছে মিথিলা । ওর পাশে বসে প্রশ্ন করে_
— কি হয়েছে?
— দেখুন না এই ময়না পাখি আমার নামই বলতে চায় না । ওকে আমার জন্য এনে দিয়ে কি হলো ও তো আমার কথাই শোনে না ।
— কি? পাখির এতবড় সাহস ও তোমার কথা শোনে না! চলো ওকে এক্ষুণি বকা দিয়ে আসি।
মিথির হাত ধরে বেলকোণীতে নিয়ে গেলো রাইদ ।
ময়না পাখির খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে বকা দেয়ার বদলে মিষ্টি করে বললো_
— ময়না বলো তো মিথি?
ময়না প্রথমে চুপ করে থাকলো ।দু তিনবার তাকে ডাকার পর সে একসঙ্গে বলে উঠলো_
— রাইদ-মিথি;রাইদ-মিথি ।
মিথি দ্বিতীয় বার অবাক হয়ে তাকালো পাখির দিকে । রাইদ হেসে বললো_
— এই নাও বলে দিয়েছে । এবার তোমার কথা কেনো শুনলো না তার জন্য বকা দিতে থাকো আমি ফ্রেশ হয়ে আসি কেমন?
মিথি মাথা নেড়ে হু বললো ।
রাইদ যাওয়ার পর একগাদা বকা দিয়ে দিলো সে ময়না পাখিকে তারপর খাঁচাটা ঝাঁকিয়ে পাখিকে উল্টেপাল্টে দিয়ে ঘরে চলে আসলো ।
পাখিকে ডিস্টার্ব করে ভারী মজা পেয়েছে আজ ।
রাইদ ফ্রেশ হয়ে এসে মিথিকে একা একা হাসতে দেখে প্রশ্ন করলো _
— বকা দিয়ে দিলে পাখিকে?
— হ্যাঁ আর ওকে ঝাঁকিও দিয়েছি । আহ্ কি শান্তি!
আহ্লাদে আটখানা হয়ে উত্তর দিল মিথিলা ।
রাইদ স্মিত হেসে বিছানায় উঠে গেলো ।
— তোমার পায়ের কি অবস্থা?
— দাগ তো যাচ্ছেই না ।
— দুই মাসে কি দাগ যায়? আস্তে আস্তে যাবে । ঠিকমত হাঁটতে পারছো কি না তাই বলো ।
— হু হাঁটতে সমস্যা নেই ।
— তা’হলে ঠিক আছে ।
— তো আপনি শুয়ে পড়লেন কেনো? খাবেন না?
— এখন না শরীর খারাপ লাগছে একটু ঘুমোবো ।
— কি হয়েছে মাথা ব্যাথা?
— হু আর একটু ক্লান্তি ভাব ।
— আমি কি মাথা টিপে দেবো?
— নাহ্ ইটস ওকে আমি একটু ঘুমাই । তুমি একটু দেখো কেউ যাতে ডিস্টার্ব না করে আর প্লিজ লাইট টা নিভিয়ে দাও।
— আচ্ছা ঠিকাছে ।
লাইট নিভিয়ে ভেজা টাওয়াল টা হাতে নিয়ে দরজা চাপিয়ে বেরুলো মিথিলা ।
অন্য ঘরের বারান্দায় সেটা মেলে দিয়ে নিচে চলে আসলো ।
এসে তো দেখে এলাহি কাণ্ড । খাবারের ছড়াছড়ি ।
রফিক ওকে আসতে দেখে বললো_
— আরে ম্যাম আসুন আসুন আপনার পছন্দের সন্দেশ আনানো হয়েছে দেখে যান ।
— এতগুলো খাবার কেনো রফিক ভাই?
— আপনার জন্য কিছু মিষ্টি আছে আর অরফানেজে যাবে স্ন্যাকস ।
— ও আচ্ছা বুঝতে পেরেছি । রফিক ভাই আপনি ফ্রেশ হন গিয়ে আমি সবটা গুছিয়ে রাখছি ।
— আমি হেল্প করি ম্যাম ।
— না না আমি আর নীরা করে নেবো আপনি প্লিজ ফ্রেশ হন সারাদিন কাজের ওপর ছিলেন ।
— আচ্ছা তা’হলে আমি যাই৷
একটু সময় নিয়ে সবটা গুছিয়ে নিলো ওরা । অরফানেজের খাবারগুলো প্যাক করে চারটা মিষ্টির বক্সগুলো ফ্রীজে ঢুকিয়ে রাখলো সন্দেশ বাদে ।
এসব কাজ শেষ করে নীরা গেলো কিচেনে রান্না করতে । মিথিও কিছুক্ষণ পর এলো একটা সন্দেশ তার আর নীরার জন্য।
— কি করো নীরা?
— এইতো ম্যাম সবজি কাটছিলাম । আপনি এখানে কেনো? কোনো দরকার?
— সন্দেশ নিয়ে এলাম তোমার জন্য ।
— হাউ সুইট । বসুন না?
— হ্যাঁ বসি । তোমার সাথে ঠিকমত গল্পই করা হলো না আমার৷
কিচেন কেবিনেটের ওপর বসলো মিথি ।
— হ্যাঁ আপনি ব্যস্ত ছিলেন এতদিন আর সেদিন এতবড় একটা ইন্সিডেন্ট ঘটে গেলো আমি খুব গিল্ট ফীল করছিলাম ।
— আরেহ্ গিল্ট ফীল করার কি আছে? দূর্ঘটনা ঘটে গেছে এতে তো আর কারো হাত নেই তাইনা ।
বাদ দাও ওসব কথা আসো আমরা গল্প করি ।
— শিওর ম্যাম ।
— তার আগে বলে নেই নীরা তোমার পায়ের রিং টা কিন্তু ডুপ্লিকেইট আমার রিংয়ের মত , এই দেখো?
পা উঁচু করে ডান পায়ের দ্বিতীয় আঙ্গুলে পরা রিং টা দেখালো মিথি ।
— আরে হ্যাঁ তো । সেম সেম কি করে হলো?
— আমিও ভাবছিলাম । তুমি কবে থেকে পরো এটা?
— আমার মায়ের মৃত্যুর পর থেকে । আ্যাকচুয়ালি আমার মায়ের শেষ চিহ্ন এটা ।
— ওহ হো । আর আমায় এটা গিফট করা হয়েছিল । আমার কাছের কেউ গিফট করেছিলো আমার বার্থডে তে ।
— কাছের কেউ মানে স্যার?
— আরে নাহ্ একজন আপু ।
— ওহ্ আচ্ছা । তবে ম্যাম আপনার রিংয়ের কালারটা সেম বাট ডিজাইন নয় । আমার রিংয়ের মাঝ বরাবর একটা স্টার আছে ।
— হ্যাঁ বাট আমার টা প্লেইন । এতদিন আসলে এটা পরিনি । আজ হুট করেই বের করলাম কি মনে করে । আবার খুলে রাখবো , পায়ে এত দাগের মাঝে এটা মানাচ্ছে না ।
— পা টা ভালো হোক তারপর না’হয় পরবেন । ইনফেকশন যদি হয়ে যায় মেটালের জিনিস ইউজ করলে!
— হ্যাঁ ঠিক বলেছো এক্ষুনি খুলে রাখি ।
নিচু হয়ে রিং টা খুলে নিলো মিথি । হাতের তালুতে একবার দেখে নিয়ে মুচকি হেসে জ্যাকেটের পকেটে রেখে দিয়ে আবার গল্পে মশগুল হয়ে গেলো ।
—
শীত পড়েছে বেশ ভালো ভাবেই । এই শীতের রাতে বেশিক্ষণ জেগে থাকা দুষ্কর । ঘড়ির কাঁটায় রাত এগারোটা, রাইদের জন্য না খেয়ে অপেক্ষা করছে রফিক আর মিথিলা । নীরার শরীর বিশেষ ভালো নেই ও শুয়ে পড়েছে ।
এদিকে রাইদ ঘুম থেকে উঠেই একটা শকিং নিউজ শুনেছে । শব্দকে মারার দিন ওর যে সঙ্গীরা ছিলো তারা সকলে নিখোঁজ ।
কে বা কারা ওদের সাথে কি করেছে এই খবর কেউই জানে না । সেদিনের পর থেকে ওদের সাথে কন্ট্র্যাক্টও হয়নি ।
রাইদ যদিওবা একবার খোঁজ নিতে চাইছিলো কিন্তু বিয়ের ঝামেলায় হয়ে ওঠেনি আর তাছাড়াও লেন-দেন ছাড়া অন্যান্য কথা বলার রুলস নেই তাদের ।
সেদিন যদি একটাবার ওদের সাথে কথা বলতো তা’হলে হয়তো আজ নিখোঁজ হতো না তারা ।
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ফোনটা সুইচড অফ করে ড্রয়ারে রাখলো রাইদ৷
দেয়াল ঘড়িতে সময় দেখে নিলো ।নিশ্চয়ই ওরা অপেক্ষা করছে ।
তাড়াতাড়ি উঠে চোখ মুখে পানি দিয়ে নিচে নেমে গেলো ।
রফিক আর মিথিলা বসে বসে গল্প করছিলো ্।
রাইদ একটা চেয়ার টেনে বসতে বসতে বললো_
— হ্যালো?
— ওহ্ আপনি এসেছেন?
— হ্যাঁ এসেছি । তোমাদের তো খেয়ালই নেই ্
— আসলে স্যার আপনার জন্য অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ঝিমুনি ধরে যাচ্ছিলো তাই বসে গল্প করছিলাম
— বাহ্ গুড আইডিয়া । তা’হলে এখন একটু খাওয়াদাওয়া শুরু করা যাক? ক্ষুধায় অবস্থা খারাপ আমার ।
— হ্যাঁ আমি খাবার নিয়ে আসছি আপনারা বসুন ।
মিথি কিচেনে গেলো খাবারগুলো আনতে ।
— তো রফিক তুমি এখনো বসে আছো না খেয়ে?
— স্যার আপনাকে ছাড়া কীভাবে খাই ।
— তোমার অপেক্ষা করার আরো একটা কারণ আছে রফিক । তাইনা?
উত্তরে অপ্রস্তুত ভাবে হাসলো রফিক ।
— আচ্ছা চলো তোমার আগ্রহ উৎকন্ঠা মিটিয়ে দিই ।
জানুয়ারিতে আমি সবাইকে দাওয়াত করে যে বার্থডে সেলিব্রেট করি সেটা আমার আসল বার্থ ডেট নয় । ওরা ফেইক ডেট । যেহেতু আমি পাবলিক ফিগার , আমাকে অনেক কিছু মেইনটেইন করে চলতে হয় তাই আমার লাইফের কিছু ক্রিয়েটিভ গল্পের মত বার্থ ডেট টাও আমাকেই বানাতে হয়েছে ।
আমার রিয়্যাল বার্থডে তো কাল ।
আমি আসলে আমার জন্মদিন উদযাপন করতে চাইনা, এটা উদযাপন করার মত দিন নয় ।
আমার জন্ম ছিলো আনএক্সপেক্টেড । আমার মা আমাকে জন্ম দিতে চায়নি কিন্তু আমি বেহায়ার মত আঁকড়ে ছিলাম তাকে ।
— মানে? বুঝলাম না স্যার ।
— সহজ ভাবে বোঝাচ্ছি । আমি আমার মায়ের অবৈধ সন্তান ছিলাম । বাবা যখন কাজের সূত্রে বাইরে তখন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলো আমার মা । তার প্রেমিকের সাথে ঘনিষ্ঠতার ফসল হলাম আমি ।
আমার মা প্রথমে বুঝতে পারেনি আমার অস্তিত্ব যখন বুঝতে পারলো তখন মরিয়া হয়ে উঠলো আমাকে মেরে ফেলার জন্য কিন্তু তখন দেরি হয়ে গেছিলো । রিজা আপু তখন মোটামুটি সবই বোঝে । মায়ের ঘনঘন শরীর খারাপ দেখে ওই মূলত ধারণা করতে পারে আমি আমার মায়ের ভেতরে অবস্থান করছি । এরপর ও বাবাকে জানায় । আমার বাবা অনেক ভালো মানুষ উনি স্ত্রী কে ভালোবাসতেন । কোনো মূল্যে স্ত্রী কে ত্যাগ দিবেন না , এতবড় অপরাধ করার পরেও না ।
তার দয়ার শরীর । এতবড় অপরাধের পর যে স্ত্রী কে ক্ষমা করতে পারে সে আমাকেও দয়া করে ছেলের স্বীকৃতি দিতে পারে এবং দিয়েও দিলো ।
আমার মা বরং আমায় রাখতে চাইছিলো না , বারবার আমাকে মারতে উদ্যত হচ্ছিল । বাবাই তাকে সামলে রাখতেন ।
শুনেছি অষ্টম মাস থেকে তার শরীর বিশেষ ভালো থাকতো না । সে সম্পূর্ণ দোষারোপ করেছিলেন আমাকে । সবসময় প্রার্থনা করতেন আমার মুখ দেখার আগেই যাতে তার মরণ হয় ।
অদ্ভুতভাবে আল্লাহ্ তার ইচ্ছে পূরণ করেছিলো ।
আমায় জন্ম দিয়ে অপারেশনের বেডেই সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে ।
তার প্রাণের বিনিময়ে আমার হৃদপিণ্ড চলছে মনে করো ।
তা’হলে বলো যার জীবনের পথ জন্ম থেকেই কাঁটায় ভরা তার জীবনে খুশি কি আর উৎসব কি?
তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে রাইদ ।
রফিক অসহায় ভাবে তাকিয়ে থাকে রাইদের দিকে ।
এই মানুষগুলো কি ভালো থাকার অভিনয় করার জন্যই পৃথিবীতে এসেছে?
,
চলবে,