ঘৃণার মেরিন Season 3 !! Part- 14
নিলয় : আহ…
মেরিন দাতে দাত চেপে
বলল : মেরিন বন্যাকে টাচ করতে যোগ্যতা লাগে । যা কেবল আমার নীড়ের আছে । যদি বেচে থাকতে চাস তো দূর হ… জন… জন…
জন ছুটে এলো ।
জন : জী ম্যাম।
মেরিন : আবর্জনাকে ফেলে দিয়ে আসো ।
জন : sure mam…
জন নিলয়কে নিয়ে গেলো । আর ১মবার নীড় মেরিনের কাজে খুশি হলো ।
নীড় মনে মনে : দেখ শালা কেমন লাগে। আমার বউকে স্পর্শ করা … 😤…
মেরিন ল্যাপটপে মুখ গুজেই
বলল : এমন পৈশাচিক হাসি দেয়ার কোনো মানে নেই … আপনার উচিত হাতে চুরি আর শাড়ি পরে থাকা … যে লোকের সামনে তার স্ত্রীকে অন্য কেউ এসে টাচ করে , জরিয়ে ধরে বা ধরতে চায় তবুও সে চুপ থাকে তাকে আর যাই হোক মানুষ বলেনা । তাকে কোনো জড়পদার্থ বললে ভুল হবেনা ।
নীড় : তোমার মতো কথায় কথায় মারামারি আমি করতে পারবোনা । got it?
দুপুরের পর মেরিন অফিস থেকে বেরিয়ে গেলো ।
রাতে…
মেরিন বসে বসে ফুল থেকে ১টা ১টা করে পাপড়ি ছিরছে । তখন নীড় এলো। অনেকগুলো ফুল আর চকোলেট বক্স নিয়ে । মেরিন ১পলক দেখে আবার নিজের কাজে মন দিলো। নীড় মুচকি হেসে ফুল আর চকোলেট গুলো মেরিনের দিকে এগিয়ে দিলো । আগে চকোলেট দিলো ।
মেরিন : আমি চকোলেট খাইনা । i just hate chocolates…
নীড় ফুলগুলো এগিয়ে দিলো।
নীড় : এগুলো হয়তো কাজে লাগবে।
মেরিন : thank u…
মেরিন ফুলগুলো নিলো।
নীড় : i am sorry …
মেরিন : what for?
নীড় : 😒।
মেরিন : কখনো সূর্যের কাছে শীতলতা , অথবা বর্ষার কাছে প্রখরতা পাওয়া সম্ভব ? নাকি আগুন দিয়ে তৃষ্ণা মেটানো সম্ভব ? কোনোটাই সম্ভব না । বর্ষনের কাজ বর্ষিত হওয়া । পরিবেশকে প্রানবন্ত করা। তুষ্ট করা । নয় কি? আপনার কাজ করেছেন । কেউ প্রকৃতির বাইরে নয়।
নীড় : তুমি হয়তো প্রকৃতির বাইরে।
মেরিন : not at all জান… আমি বন্যা। ধ্বংমসই আমার কর্ম । তান্ডবই আমার ধর্ম ।
নীড় : তুমি commerce নিয়ে কেন study করলে বুঝলাম না। তোমার তো science বা arts নিয়ে study করার দরকার ছিলো। কখনো তীরের আঘাত খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। কিন্তু আমি damn sure যে তোমার কথাগুলো তীরের থেকেও ধারালো।
মেরিন : i know … এখন গিয়ে fresh হয়ে নিন। বাথটবে গরম পানি রাখা আছে । আর ডিনারেও আপনার প্রিয় খাবার ।
নীড় fresh হতে গেলো । এরপর সবাই ডিনার করলো ।
.
নীড় : মেরিন …
মেরিন : হামমম।
নীড় : লং ড্রাইভে যাবে?
মেরিন : চলুন …
২জন লং ড্রাইভে গেলো । এভাবেই ধীরে ধীরে ওদের সম্পর্ক নরমাল হতে লাগলো। নীড় খুবই effort লাগাচ্ছে । আর মেরিন তো মেরিনই । ও তো ভালোইবাসে নীড়কে। আর নীড়ের উদ্দেশ্য মেরিনকে নরমাল করা। সাইকোগিরি থেকে বের করে আনা । কিন্তু ওর কোনো কাজই মেরিনকে effect করেনা । মেরিন ভীষনভাবে enjoy করে ঠিকই। কিন্তু ও ওর সিদ্ধান্তে অটল । মেরিন নীড়ের ভালোবাসা মাথায় করেই রাখতো । নীড়ের ঘৃণাও মেরিন সাদরে গ্রহন করেছিলো । কিন্তু নীড়ের ছলনাটা মেরিন কোনোদিনই ভুলবেনা । অমন কষ্ট মেরিন কখনোই পায়নি ।
কয়েকদিনপর…
রাত১০টা…
নিহাল : নীড় মামনি তো বলেইছে যে আজকে রাতে ফিরবেনা ।
নীড় : তোমাকে বলেছে । আমাকে তো না। আর ফিরবেনা কেন ? এখনো কি সম্পুর্ন সুস্থ হয়েছে? জানেনা রাতে ওর মেডিসিন আছে। কখনো তো মেডিসিন নিবেনা। চিনিনা ওকে আমি?
নিহাল : চেনো ওকে?
নীড় আর কোনো জবাব না দিয়ে রুমে চলে গেলে ।
নীড় : যা ইচ্ছা তাই করে। ১টা বার inform করলো না । stupid … শরীর না ভালো। আর ম্যাডাম না জানি কোথায় থাকবে ? ফোনটাও তুলছেনা। ননসেন্স। আবার বলে আমাকে নাকি ভালোবাসে । huh…
নীড়ের কিছুই ভালো লাগছেনা। সারারাত ঘুমও এলোনা । পরদিন বিকালে মেরিন এলো । মেরিন দেখে নীড় নিচে বসে আছে । খাটে হেলান দিয়ে । চোখ বন্ধ। কেন যেন মুখে বিরহ বিরহ ভাব ।
মেরিন : কি হয়েছে আপনার ?
নীড় চোখ মেলল। ১রাশ অভিমান নিয়ে মেরিনের দিকে তাকালো ।
মেরিন : বললেন না তো কি হয়েছে ? খারাপ লাগছে ?
নীড় : তোমাকে বলার প্রয়োজনবোধ করছিনা ।
মেরিন নীড়ের সামনে এগিয়ে গিয়ে নীড়ের কপালে গালে হাত দিয়ে চেক করলো যে ওর জ্বর এসেছে কিনা ।
নীড় : একদম টাচ করবেনা আমাকে ।
মেরিন : ok…
বলেই মেরিন fresh হতে গেলো ।
নীড় : কোথায় গিয়েছিলে?
মেরিন : একটু ঘুরতে ফিরতে… chill করতে… একে অতোদিন বন্দী থেকে আর কাজের ১ঘেয়েমিতা কাটাতে একটু ঘুরতে গিয়েছিলাম। mind fresh করতে।
নীড় : আমাকে বলতে আমি নিয়ে যেতাম…
মেরিন : আমার সব সময় আপনার ।। কিন্তু আপনার কি সময় আছে আমাকে সময় দেয়ার?
নীড় : তোমাকে বোঝায় কার সাদ্ধ ?
মেরিন : হামম।
নীড় : তুমি এমন কেন ? দেখো তুমি আমাকে ভালোবাসো। we r husband-wife… & i think এখন আমাদের relation টাও নরমাল । তাহলে আমরা ১টা normal life spend করতে পারিনা?
মেরিন : বুকে হাত দিয়ে বলুন তো আমাদের relation টা নরমাল কিনা ? বুকে হাত দিয়ে বলুন তো যে এই কদিন ধরে আপনি যা যা করেছেন সেসবের কারন ছিলো আমাকে ভালোবেসে সারাজীবন সংসার করা … আর কোনো উদ্দেশ্য বা কারন ছিলোনা।
নীড় : ….
মেরিন : কি হলো রাখুন বুকে হাত… বলুন….
নীড় : ….
মেরিন নীড়ের হাত নীড়ের বুকের ওপর রাখলো।এরপর
বলল : বলুন এবার…
মেরিন মনে মনে : এটা আপনার শেষ সুযোগ নীড় । যদি সত্যিই আপনার উদ্দেশ্য কেবল আমাকে ভালোবেসে সারাজীবন আমার সাথে থাকা তাহলে নতুন করে আর ঘৃণার কাহিনী লিখবো না… কথা দিলাম… কিন্ত আজ যদি আবারও ছলনার আভাস পাই… তবে… যা আছে তাই চলবে…..
নীড় মনে মনে : আমার উদ্দেশ্য তো ছিলো তোর এই মানসিক রোগটা দূর করে নরমাল করা বনপাখি । কিন্তু আবার তোকে ভালোবেসে ফেলেছিরে বনপাখি… তবে আমি আজও চাই তোকে সুস্থ করতে ।
মেরিন : কি হলো বলুন…
নীড় : …
মেরিন : বুকে হাত দিয়ে মিথ্যা কথা বের হয়না নীড়… বুক কেপে ওঠে… আমার জবাব আমি পেয়ে গিয়েছি… whatever … আপনি কি চান না চান তাতে আমার কিছুই যায় আসেনা। আমার কাছে আমার চাওয়াটাই বড়…
বলেই মেরিন রান্নাঘরে চলে গেলো।
পরদিন …
বিকালে…
মেরিন আজকে অফিস যায়নি। নীড় বসে আছে।
নীড় : আমি কি ওকে বলে দিবো যে আমি ওকে ভালোবাসি? হামম বলেই দিবো ।
তখন নীড়ের নামে ১টা envelope এলো। নীড় সেটা খুলে কিছু ছবি পেলো। যা দেখে নীড় ৪৪০ভোল্টের ঝটকা খেলো। কারন ওগুলো মেরিন আর ডক্টর তপুর ছবি। যেখানে ওরা সাগর পারে ঘুরছে । হাত ধরে হাটছে। ভীষন close হয়েও কিছু ছবি তুলেছে। যা দেখে নীড়ের মেজাজ সাংঘাতিক বিগরে গেলো ।
নীড় : ও… তো ২দিন ধরে ওই তপুর সাথে ছিলো। 😤
নীড় আর ১মিনিটও দেরি না করে বাসায় ছুটলো।
মেরিন : রাগ মানুষের মানুষের বড় শত্রু… রাগ উঠলে নিজেকে শান্ত রাখাটা অনেক প্রয়োজন… তা না হলে ঠিক ভুল যাচাই করা যায় না। জান… যদি রাগটাকে নিয়ন্ত্রন করে ঠান্ডা মাথায় ছবি গুলো দেখতেন তাহলে আরামসে বুঝতে পারতেন যে ওগুলো আপনার আর আমারই ছবি…. just আপনার গলাটা সরিয়ে তপুদার গলাটা লাগানো। but… আপনি তো আপনি… মানুষ সেটাই দেখে বা বোঝে যেটা সে দেখতে বা বুঝতে চায় …
চলে আসুন তারাতারি জান…. i am waiting for the new hate story…
.
কিছুক্ষনপর…
নীড় রেগে আগুন হয়ে বাসায় এলো। এসে দেখে মেরিন নীড়ের shirt গায়ে দিয়ে নাচছে।
নীড় সামনে গিয়ে মেরিনের ওপর ছবিগুলো ছুরে মারলো। মেরিন ছবিগুলো হাতে নিলো ।
মেরিন : wow nice pictures … তাইনা?
নীড় থাপ্পর মারলো।
মেরিন : থাপ্পরে phd করেছেন নাকি হামম নীড়!!!
নীড় : খবরদার ওই নোংরা মুখে আমার নাম নিবেনা…
মেরিন : ok… জান বলে ডাকবো।
নীড় : লজ্জা করেনা পরপুরুষের সাথে ঘুরতে যেতে? রাত কাটাতে ?
মেরিন : না । মোটেও না । লজ্জা করবে কেন ? গর্ব হয়। আপনিই তো বলেছিলেন যে তপুদা আমাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে। তাই ভাবলাম যে তার সাথে একটু সময় কাটাই তাকে তো আর বিয়ে করবোনা। just তার ভালোবাসাটা accept করবো। কারন ভালোতো আর আপনি আমাকে বাসেন না। আর বাসবেনও না। তাই কারো ১টা কাধ তো চাই যার কাধে মাথা রেখে কিছু মুহুর্ত পার করতে পারবো। যার কাধ ভরসার হবে। ধোকার না । আর ধোকার হলেও কষ্ট হবেনা। কারন তাকে তো আর আমি ভালোবাসিনা।
নীড় : তাহলে আমার কাছে কেন? তার কাছে চলে যাও।
মেরিন : পারবোনা গো। কারন আমি যে আপনাকে ভালোবাসি…
নীড় : oh really …? তোমার মতো নোংরা মেয়েরা কাউকে ভালোইবাসতে পারেনা। ভেবেছিলাম যে… যেমনই হও হয়তো আমাকে ভালোবাসো। কিন্তু… whatever …এতোদিন আমার কাছে থেকে যে ঘৃণা পেয়েছো তা কেবল ট্রেইলার ছিলো। এখন থেকে নতুন ঘৃণা দেখবে। মনে রেখো ।
বলেই নীড় চলে গেলো। চোখের কোনে পানি নিয়ে।
মেরিন : কেমন লাগলো নীড় ধোকাটা? ধোকা দিলে ধোকা নেয়ার সক্ষমতাও থাকা দরকার…
২দিন ধরে নীড় বাসায় ফিরেনা । নীলিমা তো চিন্তায় ঘাস।
নীলিমা : বলনারে বন্যা কি হয়েছিলো ? নীড় এতো রেগেছিলো কেন? কোথায় আছে ৩দিন ধরে?
মেরিন : শাশুড়িফুপ্পি ঠিক আছে নীড়। আর no worry চলে আসবে। হয়তো আজই…
নীলিমা : নীড়…
মেরিন তাকিয়ে দেখে নীড়… নীড় সোজা ওপরে চলে গেলো । মেরিনও পিছে পিছে গেলো। নীড় হেব্বি রেগে আছে। মেরিনের সাথে রাগারাগি করলো। নীড়ের রাগারাগিতে দিন কাটতে লাগলো। ১২-১৫দিন কেটে গেলো নীড়ের ঘৃণায়। যেটা মেরিন ভীষনভাবে enjoy করছে। মজার মজার লাগে। তবে ২দিন ধরে মেরিন চিন্তিত। কারন কবিরের শরীরটা কদিন ধরে ভালো না। তাই কবিরকে নিয়ে ভাবছে। ১টা জরুরী কাজ থাকায় নীড় রাজশাহী গেলো।
.
রাজশাহীতে…
নীড় ১জন patient কে হসপিটালে নিয়ে গেলো। দেখতে পেলো তপুকে । আর তপুকে দেখে নীড় রেগে গেলো। আর তপু নীড়কে দেখে এগিয়ে এলো ।
তপু : আরে নীড়… ভালোআছো? সবাই ভালো আছে? মেরিন ভালো আছে? ঠিক মতো মেডিসিন নেয় তো?
নীড় কোনো জবাব না দিয়ে দুম করে তপুকে ঘুষি মারলো । তপু তো অবাক ।
তপু : r you mad?
নীড় : yes i am…
বলেই নীড় তপুকে আরো মারতে লাগলো। কোনো রকমে তপু নীড়কে থামালো। এরপর ওকে টেনে নিচে নিয়ে গেলো।
তপু : নীড়… হাত আমারও আছে… অকারনে এমন করার কারন জানতে পারি?
নীড় : একারন? আমার বউর সাথে তুমি…
তপু : মেরিনের সাথে আমি মানে?
নীড় ছবি গুলো তপুর ওপর ছুরে মারলো। সেদিন থেকে নীড় ছবি নিজের কাছেই রাখে । তপু তো ছবি দেখে অবাক ।
তপু : এসব কি?
নীড় : ঢং করোনা না জানার। মেরিন স্বীকার করেছে ।
তপু : কি ? মেরিন স্বীকার করেছে মানে ?
নীড় : মানে এই যে তোমরা vacation এ গিয়েছে হানিমুন করতে।
তপু : নীড়… mind your language … মেরিন বাসায় যাওয়ার পর আমি এই রাজশাহী মেডিকেলে ১টা research এর কাজে এসেছি । নরতেও পারিনি। আর তুমি বলছে vacation ? আর তার থেকেও বড় কথা । মেরিন কখনো তুমি ছারা অন্য কারো সাথে… মেরিনের দুনিয়া তুমি…. আর ছবি? এই ছবি দেখে যে কেউ বলবে যে edit করা… ত…
তখন তপুর ডাক পরলো। তপু চলে গেলো। আর নীড় অংক মিলাতে লাগলো। গবেষনা করতে লাগলো। বুঝতে পারলো যে ওটা তো ওর আর মেরিনেরই ছবি । আর বুঝতে পারলো এসব কিছু মেরিনই করেছে। নীড়ের মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো। সব কাজ ফেলে ছুটলো ঢাকায়।
পরদিন…
নীড় ছুটে রুমে গেলো। গিয়ে দেখে মেরিন প্যাকিং করছে।
নীড় : বনপাখিহ…
মেরিন ঝড়ের গতিতে পিছে ঘুরলো।
.
((( আচ্ছা সবাই বলছে যে মেরিন ঘৃণার খেলা কেন খেলছে ? ১ম পার্টে গিয়ে দেখো। যেখানে মেরিন জেলে যাওয়ার আগে মেরিন বলেছিলো যে নীড় যতোবার মেরিনকে ভালোবাসতে চাইবে ততোবার মেরিন ঘৃণার কারন দিবে। আর নীড় যে কাজটা করেছে সেটা কি ক্ষমার যোগ্য? )))
চলবে…
Comments