ঘৃণার মেরিন

ঘৃণার মেরিন Season 3 !! Part- 13

নীড় : সবাইকেই সবার প্রয়োজন… মেরিন বন্যারও…
মেরিন : মেরিন বন্যার যাকে দরকার সে কখনোই তার কাজে আসবেনা… কেউ মেরিনের প্রয়োজনে এগিয়ে আসার মতো কেউ নেই । আকাশের ওই সূর্যের মতোই নিঃসঙ্গ আমি। যার কেউ নেই… মেরিন বন্যার থাকা না থাকা কোনো effect করেনা কাউকে… যাইহোক। আপনার মুখ দেখে মনে হচ্ছে ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করেননি। এই কদিন খেয়ালও করিনি। নিশ্চয়ই ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করেন নি… রাতে কিছু খেয়েছেন?
নীড় : হামমম।
মেরিন : মিথ্যা কথা …
নীড় : হ্যা তো? মন চায়নি তাই খাইনি । সমস্যা ….
মনে মনে : আমার বউর না শরীর ভালো আর আমি গপাগপ খাই।
.
নীড় মোবাইলের দিকে তাকিয়ে এসব ভাবছিলো।ভেবেই পাশ ফিরলো । দেখলো মেরিন নেই ।
নীড় : মেরিন … মেরিন …
নীড় রুম থেকে বের হলো। দেখে মেরিন সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছে । নীড় দৌড়ে গেলো । অসুস্থ শরীর নিয়ে এতোগুলো সিড়ি ভেঙে নিচে নেমে মেরিন অনেক হাপিয়ে উঠেছে । অনেক কষ্ট করে নীড় প্লেট সাজাচ্ছে ।
নীড় : কি করছো কি এখানে ?
মেরিন : ঘোড়ার ঘাস কাটছি । এরপর ঘোড়াকে খাওয়াবো।
বলেই মেরিন প্লেট টা নিয়ে নীড়ের সামনে দারালো ।
মেরিন : নিন খেয়ে নিন।
নীড় প্লেটটা ছুরে ফেলেদিলো । সারা ফ্লোর খাবার আর কাচের টুকরোতে ভরে গেলো । শব্দ শুনে নিহাল-নীলিমা নিচে নেমে এলো ।
নীড় : এসব করে কি প্রমান করতে চাস তুই ? আমাকে অসম্ভব ভালোবাসিস ? হ্যা ? সবসময় আমার ভালো চাস? এগুলোই প্রমান করতে চাস তো … এতোই যদি আমাকে ভালোবাসিস তাহলে আমাকে ছেরে দিচ্ছিস না কেন…? জানিস না তুই আমার খারাপ থাকার একমাত্র কারন …
মেরিন ওর রহস্যময়ী হাসি দিয়ে একদম নীড়ের কাছে ঘেষে দারালো ।
নীড়ের চুল ঠিক করতে করতে
বলল : হামমম ছেরে দিবো তো । যেদিন আপনাকে নিয়ে খেলে মন ভরে যাবে সেদিন আপনাকে ছেরে দিবো ।
বলেই মেরিন আবার রান্নাঘরে গিয়ে খাবার এনে নীড়ের সামনে রাখলো । এরপর নীড়ের কলার ধরে টেনে বসিয়ে নীড়কে খাওয়াতে লাগলো । খাইয়ে হাত ধুয়ে ওপরের দিকে পা বারালো। যাওয়ার সময় ১টা কাচের টুকরো মেরিনের পায়ে বিধলো । মেরিন টু শব্দ না করে খুব সাবধানে ধীরে ধীরে ওপরে চলে গেলো ।

নীলিমা : নীড় … বিয়ে হয়েছে আর হবে ।
নিহাল : আর মনে রেখো চৌধুরী বাড়িতে তালাক বা ২য় বিয়ের কোনো নিয়ম নেই। যদি তালাক দিয়েও দাও তুমি মামনিকে ভেবোনা যে নীরা বা অন্যকাউকে বউ করে এ বাড়িতে ঢোকাতে পারবে। অন্তত আমি বেচে থাকতে পারবেনা ।
তখন নীড়ের চোখ পরলো মেঝের দিকে । ১জায়গায় রক্তের দাগ । সিড়ি সহ আরো ২-৩জায়গায়ও দেখতে পেলো । নীড়ের আর বুঝতে বাকী রইলো না। আরেকদফা দৌড় লাগালো । দৌড়ে রুমে গিয়ে দেখে মেরিন কাচভাঙাটাকে ১বার বের করছে আবার সেই একই জায়গায় ঢোকাচ্ছে । নীড় সাংঘাতিক রাগ হলো। মেরিনের সামনে গিয়ে ১টানে কাচের টুকরোটা বের করে ছুরে ফেলে দিলো । এরপর first aid box হাতে নিয়ে বসে মেরিনের পা ধরতে নিলে
মেরিন বলল : কি করছেন আপনি আমার পা ধরছেন কেন ?
নীড় রেগে মেরিনের দিকে তাকালো ।। নীড়ের চোখ দেখে এই প্রথমবার মেরিন ভয় পেলো ।
নীড় : আর ১টা কথা বললে জিভ আর পা ২টাই কেটে ঝুলিয়ে রাখবো।
নীড় মেরিনের পায়ে ব্যান্ডেজ করে বিছানা ঠিকঠাক করে শুয়ে পরলো। এরপর ১টানে মেরিনকে বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে পরলো ।

সকালে …
মেরিনের ঘুম ভাংলো । তবে চোখ মেলে চমকে উঠলো । কারন জায়গাটা ওর কাছে অচেনা। হুরমুরিয়ে উঠে বসলো ।
মেরিন : আমি এখানে? নীড় কোথায়? কেউ কিছু… না না … নীড় …. নীড় …
নীড়ের সারা না পেয়ে তারাহুরা করে বেড থেকে নেমে পা ফেলতেই ব্যাথায় আহ করে উঠলো ।
মেরিন : আহ…
নীড় : হায়রে …
মেরিন তাকিয়ে দেখে নীড় দারিয়ে আছে । হাতে খাবারের ট্রে নিয়ে । এবার মেরিন সত্যিই ভীষন অবাক হলো ।
নীড় : you know what…. এই মুহুর্তটা আমার কাছে নোবেল পাওয়ার অনুভূতির মতো । কারন আমি the মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরীকে অবাক করতে পেরেছি ।
বলেই ট্রে টা রেখে নীড় মেরিনকে নিচ থেকে তুলে বেডে বসালো ।
নীড় মেরিনের পায়ের ব্যান্ডেজটা change করতে করতে
বলল : তুমি সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা এখানেই থাকবো । চৌধুরী বাড়িতে তোমার শশুড়-শাশুড়ির অত্যাচারে তোমাকে handle করা just & just impossible …
ব্যান্ডেজ পাল্টে নীড় মেরিনকে washroom এ নিয়ে গেলো । মেরিন fresh tresh হয়ে নিলো।
.
একটুপর…
নীড় মেরিনকে খাইয়ে দিচ্ছে । ঠোটে মুচকি হাসি। মেরিন চুপচাপ খাচ্ছে । কোনো reaction নেই ।
মেরিন মনে মনে : ভালোবাসতে চাইছেন নীড় আমাক… হয়তো ভালোবাসতে শুরুও করেছেন। good really very good … but জান… আমি যে আপনাকে কথা দিয়েছিলাম যতোবার আমাকে ভালোবাসতে চাইবেন ততোবার আপনাকে আমি ঘৃণার কারন দিবো । কারন আমি #ঘৃণার_মেরিন ।
নীড় : কিছু তো ১টা ভাবছো সেটা বেশ বুঝতে পারছি ।
মেরিন মুচকি হেসে নীড়ের কলার ধরে টেনে কাছে এনে নীড়ের ঠোট জোরা দখল করে নিলো । কিছুক্ষন পর ছেরে দিলো ।
নীড় : তোমার মাথায় কখন কি চলে সেটা নাসা ওয়ালারাও কখন বুঝতে পারবেনা। ডাকাতের মতো আমার ঠোটগুলোর ওপর হামলা করো। কেন সিনেমা দেখোনা ? গল্প পড়োনা ? দেখোনা সব জায়গায় হিরোরা জোর জবরদস্তি হিরোইনদের কিস করে । আর তুমি?
মেরিন : তো? আমি তো আর হিরোইন নই। আমি তো ভিলেন… isn’t it ?
নীড় : yes… idiot… rest করো।
বলেই মেরিন চলে যেতে নিলে মেরিন হাত ধরে টেনে বসিয়ে দিলো। এরপর জরিয়ে ধরলো ।
মেরিন : ভালোবাসি ।
নীড় : বেশি ভালোবাসা ভালোনা। ভালোবাসতে বাসতে তুই… তুমি পাগল হয়ে যাবে । তবুও বিনিময়ে কি কখনো ভালোবাসা পাবে বলে তোমার মনে হয় ?
মেরিন : ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কে ভালোবেসেছে… আমি ঘৃণাতেই সন্তুষ্ট … তবে আপনার এই ঘৃণা ১দিন ঠিকই ভালোবাসায় পরিনত হবে… কিন্তু সেদিন…
নীড় : কিন্তু সেদিন?
মেরিন : কিছুনা…

৭দিনপর…
মেরিনের সাথে ৭দিন কাটিয়ে , ওর যত্ন করে নীড় মেরিনের মায়ায় জরিয়ে গেছে । ওর মন চায় সারাদিন মেরিনকেই দেখতে ।
নীড় মনে মনে : নীড়… দায়িত্ব পালন করতে করতে ভুলে যাস না ও মেরিন… কিন্তু ওকে ভালোবাসলে কি খুব বেশি অন্যায় হবে ? ও তো আমারই বউ… আমি চাই না চাই ও সারাজীবন আমার সাথেই থাকবে। মুখে যাই বলি না কেন … আমি নিজে তো জানি যে আমি ওকে ভালোবাসি … কিন্তু….
মেরিন : এই নিন কফি খেয়ে নিন…
নীড় দেখে মেরিন ২কাপ কফি নিয়ে দারিয়ে আছে।
নীড় : রান্নাঘরে কেন গিয়েছো ?
মেরিন : উফফ … নীড় … আপনার জন্য এতততো গুলো দিন ধরে কাজ না করে বসে আছি । না office যেতে পারছি আর না অন্য কোনো কাজ । এভাবে বসে থাকা যায় । কাল বাসায় চলুন না ।
নীড় : না । পুরো ১মাস পর ফিরবো। না হলে তোমার দিওয়ানা প্রেমিক ডক্টর তপু আবার আমাকে কথা শোনাবে …
মেরিন : কি? তপুদা আপনাকে কথা শুনিয়েছে ? আগে বললেন না কেন? এতো সাহস ওর । ওকে তো আমি …
নীড় : shut up… just shut up… মানুষের জীবন নিয়ে খেলা , মানুষের জীবন কেরে নেয়া তোমার নেশা হয়ে গেছে । পাগল হয়ে গেছো তুমি … যেই লোকটা তোমার জীবন বাচালো , যে তোমাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে তাকে মেরে ফেলবে ? শাস্তি দিবে ? তাও আমার জন্য ? যে আমি কেবল আর কেবল তোমাকে ঘৃণা করি … তুমি বোঝোনা তোমার এসব কাজ তোমাকে ঘৃণা করার কারন দেয় ?
মেরিন : so what ? by the way কফিটা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ।

রাত ১টা …
নীড় ঘুম। মেরিন বারান্দায় দারিয়ে আছে । বাইরে বৃষ্টি পরছে ।
মেরিন মনে মনে : ৭-৮দিন হয়ে গেলো বাবা আর দাদুভাইয়ের কোনো খোজ নিতে পারছিনা । কেমন আছে কে জানে? ধ্যাত …
নীড় : ভিজে যাচ্ছো যে সে খেয়াল কি আছে ?
মেরিন : আমি বুঝতে পারছিনা কদিন ধরে আপনি আমায় নিয়ে এতো কেন ভাবছেন ? কারনটা কি জানতে পারি ?
নীড় : because u r my responsibility … নানাভাই কোথায় আছে তা জানিনা । নানাভাই এসে আমার দিকেই আঙ্গুল তুলবে । অকারনে কথা শুনতে ভালো লাগেনা।
মেরিন : well then… not needed… আপনাকে কষ্ট করে দায়ে পরে দায়িত্ব পালন করতে হবেনা । আর হ্যা কেউ আপনাকে কথাও শোনাবে না।
বলেই মেরিন বারান্দা থেকে চলে গেলো।
নীড় : আচ্ছা মেরিনকে পাল্টানোর কি কোনো উপায় নেই ? ও কি এমনই থাকবে ?
ভেবে টেবে একটুপর নীড়ও রুমে গেলো । কিন্তু গিয়ে দেখে মেরিন নেই।
নীড় : কোথায় গেলো ? মেরিন… মেরিন …
নীড় রুম থেকে বের হতেই ঘুঙুরের শব্দ পেলো । ছাদ থেকে আসছে । নীড় ছাদে গেলো । গিয়ে দেখে বৃষ্টির তালে তালে মেরিন চোখ বন্ধ করে নাচছে । নীড়ের মনে হচ্ছে কোনো ময়ূরী নাচছে। ছোটো থেকেই মেরিন খুব সুন্দর করে নাচতে পারে। নীড় না চাইতেও মুগ্ধ হয়ে দেখছে । চোখ বন্ধ থাকায় মেরিন নীড়কে দেখেনি। আর অন্য ধ্যানে থাকায় নীড়ের উপস্থিতিও বুঝতে পারেনি । নাচতে নাচতে মেরিন ধপ করে বসে পরে চিৎকার করে কাদতে লাগলো । নীড় অবাক হয়ে গেলো। মেরিনের কান্না দেখে নীড়ের বুকে চিনচিন ব্যাথা শুরু হলো।
🐸🐸🐸।
নীড় গিয়ে মেরিনের পাশে বসে ওর কাধে হাত রাখলো । মেরিন ঘুরে নীড়কে জরিয়ে ধরলো । হাউমাউ করে কাদতে লাগলো ।
কিছুক্ষনপর যখন বুঝতে পারলোযে এটা নীড় তখন ছেরে দিয়ে উঠে দারালো ।
মেরিন : বৃষ্টির মধ্যে আপনি ছাদে কি করছেন ? যান ভেতরে যান ঠান্ডা লেগে যাবে ।
নীড় :…
মেরিন : কি হলো যাচ্ছেন না কেন ? জ্বর আসবে । অসময়ের বৃষ্টি … অসুস্থ হয়ে পরবেন।
মেরিন নীড়কে ধাক্কাতে লাগলো। নীড়ের বুকে কিল দিতে লাগলো ।
মেরিন : যান চলে যান… যাচ্ছেন কেন যান যান যান…
নীড় মেরিনের হাত টেনে সামনে আনলো । এরপর কোমড় জরিয়ে ধরে একেবারে নিজের সাথে মিশিয়ে মেরিনের ঠোট দখল করে নিলো । এরপর romance করলো।
😒😒😒।

৩দিনপর…
এই ৩দিনে নীড় মেরিনের সাথে যথেষ্ট romance করেছে ।
নীড় মনে মনে : মেরিনকে সামলানোর এটাই ১টা উপায় । ওকে হয়তো এভাবেই পরিবর্তন করতে হবে। ভালোবেসে …
মেরিন মনে মনে : ভালোবাসার ফাদে পা দিয়েছেন নীড়… এবার নতুন করে ঘৃণার কারন দিবো । 😏। মিস্টার জান । you have to hate me …
মেরিন : নীড়…
নীড় : বলো ।
মেরিন : আর কতোদিন এখানে থাকবো ? চলুন না।
নীড় : না । বাসায় গেলেই তুমি কাজে লেগে যাবে ।
মেরিন : দেখুন এমন বন্দী থাকা আর possible না । চলুন না ।
নীড় : না ।
মেরিন : দেখুন আমি একদম সুস্থ …
নীড় : বাংলা ভাষা বোঝোনা ?
মেরিন : শেষ বারের মতো বলছি যাবেন কি যাবেন না?
নীড় : না …
মেরিন আর কোনো কথা না বলে ওড়নার আড়াল থেকে injection টা বের করে নীড়ের ঘাড়ে লাগিয়ে দিলো। নীড় ভারসাম্য হারাতে লাগলো ।
মেরিন : ভালোমতো কোনো কথা কেন যে শুনতে চান না???
.
সকালে…
মেরিন : good morning জান…
নীড়ের জ্ঞান ফিরলো। উঠে বসলো। রেগে টম হয়ে আছে।
মেরিন : sorry জান…
নীড় : একদম আমাকে জান ডাকবেনা। কোনো মূল্যই নেই তোমার কাছে আমার। 😤।
মেরিন : ওরে বাবা আমার জামাইটা দেখি হেব্বি রাগ করেছে । এই দেখুন কানে ধরে sorry … 😊…
নীড় : একদম ঢং করবেনা।
মেরিন : ok… করলাম না । office এ দেখা হবে। bye…
বলেই মেরিন অফিসে চলে গেলো।
নীড় : আজব মেয়ে ধুর। কই বর রাগ করেছে মান ভাঙাবে। ১মিনিট… আমি ধীরে ধীরে মেরিনের permanent বর হয়ে যাচ্ছি … permanent বর? কি কি word use করছি আমি… না অফিস যাই । কাজও পরে আছে। আর সাইকো টাও গিয়েছে অফিসে। কি জানি কি করে ?
নীড় রেডে সেডি হয়ে অফিসে গেলো। গিয়ে বুঝতে পারলো অফিসে ছোটো খাটো কেয়ামত হয়ে গেছে। কারন প্রত্যেকের চেহেরার ১৩টা বেজে আছে ।

নীড় কেবিনে গেলো। দেখলো মেরিন ল্যাপটপে কাজ করছে । ভীষন রেগে আছে বুঝতেই পারছে । নীড় গিয়ে নিজের চেয়ারে বসলো। ২জনের চেয়ার পাশাপাশি ।
নিরবতা ভেঙে মেরিনই
বলল : দেখেছেন এতোদিন অফিসে না এসে কতো ঝামেলা হয়ে গিয়েছে। একেকজনের পাখা গজিয়েছে। কাজকর্ম সব গোল্লায় গিয়েছে । ৫কোটি টাকার ডিল ছুটে গিয়েছে।
নীড় : তো?
মেরিন : তো মানে কি ? হ্যা তো মানে কি ?
তখনই নিলয় ঢুকলো।
নিলয় : মেরিন…
২জন সামনে তাকালো। নিলয় ছুটে মেরিনের কাছে গেলো। মেরিনের ২গালে ২হাত রেখে
বলল : ঠিক আছো তুমি? আমার জান বেরিয়ে যাচ্ছিলো … কেন নিজের খেয়াল রাখোনা?
মেরিন ঝাড়ি মারতে নিবে। তখন টেবিলের কাচে নীড়ের চেহারাটা দেখলো । বিরক্তি + jealousy স্পষ্ট নীড়ের চেহারায়। চোখ গুলো লাল হয়ে উঠলো । মেরিন বাকা হাসি দিলো ।
মেরিন মনে মনে : ঘৃণার কারন পেয়ে গিয়েছি…
মেরিন ওর ড্রয়ার থেকে ছোটো ছুড়িটা বের করে নিলয়ের হাতে সজোরে আঘাত করলো।
নিলয় : আহ…
.
চলবে…