Childhood marriage 2 !! Part- 28
#পর্ব-২৮
#লেখিকা-সানজিদা সেতু
সায়নঃ কি বললে তুমি?তোমার পার্সোনাল ব্যপার তাইনা?আমার মাথা ঘামানোর দরকার নেই!
ছোঁয়াঃ ঠিকইতো বলেছি,আমার লাইফ আমার ইন্ডিপেন্ডেন্স আমার যা ইচ্ছে আমি করব তাতে আপনি ইন্টারফেয়ার করার কে?
সায়নঃ আমি ইন্টারফেয়ার করার কে!তুমি জানো না আমি কে?ভুলে যেও না ছোঁয়া,I am your husband and everything related to you is all my business…তুমি কখন কি কর,কোথায় যাও,কার সাথে থাকো সবকিছু জানার পূর্ণ অধিকার আমার আছে
ছোঁয়াঃ (তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে)হাজবেন্ড!গত সাত বছরে হাজবেন্ড হিসেবে আমার প্রতি কোন কর্তব্যটা পালন করেছেন বলতে পারেন?এখন এসেছেন স্বামীর অধিকার ফলাতে!হাউ ফানি…
সায়নঃ ছোঁয়া…তুমি কিন্তু…
ছোঁয়াঃ দেখুন মি.মাহবুব সায়ন,বাড়িতে ওই কয়দিন আপনার সাথে একটু ভাল ব্যবহার করেছি বলে ভেবে নেবেন না যে আপনাকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছি।তখন আমার একটা ভুলের জন্য আপনি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন আর আমাকে এক্সামে একটু হেল্প করেছিলেন তাই এজ এ কমপেনসেশন একটু ভাল করে কথা বলেছিলাম
সায়নঃ দেখো ছোঁয়া আমি মেনে নিচ্ছি আমি ভুল করেছি বাট এখনতো আমি ফিরে এসেছি সো প্লিজ চল সবকিছু ভুলে নতুন করে শুরু করি…
ছোঁয়াঃ চাইলেই কি সবকিছু ভুলে যাওয়া যায়?দেখুন আপনাকে আজ একটা কথা ক্লিয়ার করে দিচ্ছি প্লিজ আমার কোন ব্যাপারে ইন্টারফেয়ার করতে আসবেন না,জাস্ট এ্যাক্ট লাইক আমরা কেউ কাউকে চিনি না।আর হ্যাঁ সেদিন জানতে চেয়েছিলেন না আমি এই ভার্সিটিতেই কেন ভর্তি হতে গেলাম…
(ছোঁয়ার কথা শুনে সায়ন এবার ওর দিকে ফিরে তাকালো)
ছোঁয়াঃ সবসময় আমার টার্গেটই ছিল এই ভার্সিটিতে ভর্তি হব এন্ড তার জন্য যা কিছু করা উচিত আমি তাই করেছি,চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখিনি কেন জানেন?কারণ আপনি যেখানে পড়েন যেকোন মূল্যে আমি সেখানে পৌঁছাতে চেয়েছি,সবাইকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চেয়েছি আপনি যা পারেন আমিও তা করতে পারি।সব দিক দিয়ে আমি আপনার যোগ্য,কোনভাবেই আমি আপনার অযোগ্য নই,প্রমাণ করতে চেয়েছি আপনি আমাকে ছেড়ে এসে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছেন এণ্ড look finally I have succeded in my mission…
(ছোঁয়া সায়নের হাত ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছিল,একটু দূরে গিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ালো)
ছোঁয়াঃ আরেকটা কথা,একটু আগে আমি আয়ান ভাইয়ার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।কারণটা জিজ্ঞেস করার আগেই বলে দিচ্ছি,For your kind information,উনি আমার প্রজেক্টের হেড তাই এখন থেকে আমাকে উনার সাথেই কাজ করতে হবে।আশা করি এক্ষেত্রে অন্ততঃ আপনি কোন রকম ইন্টারফেয়ার করবেন না…
সায়নঃ তুমি আয়ানের সাথে কিন্তু কেন?ওর সাথেই বা কিভাবে?
ছোঁয়াঃ আর একটা কথা আপনার গার্লফ্রেন্ডকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেবেন,আমি মোটেও আপনাদের মাঝখানে আসছি না আপনিই আমাকে…
সায়নঃ (চমকে উঠে)গার্লফ্রেন্ড মানে!কে?
ছোঁয়াঃ সেটা আপনিই ভাল জানেন,মেয়েটা আমাকে থ্রেট করেছে,বলেছে আপনার রাস্তা থেকে সরে যেতে নাহলে ফলাফলটা নাকি খুব খারাপ হয়ে যাবে…
সায়নঃ হোয়াট?
ছোঁয়াঃ আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে,আমি আসছি গুড নাইট…
(ছোঁয়া চলে যাচ্ছে,সায়ন মন থেকে ওকে আটকাতে চাইছে কিন্তু পারছে না।কোন রক অদৃশ্য শক্তি যেন ওকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে যা ওকে ছোঁয়ার কাছে যেতে বাঁধা দিচ্ছে…)
সায়ন রুমে ফিরল বেশ রাত করে,ফিরতেই মারুফ ছুটে এলো
মারুফঃ কি রে,কই ছিল এতক্ষণ?তখন কাউকে কিছু না বলেই বেরিয়ে গেলি,আমরা তোর জন্য কতক্ষণ ওয়েট করলাম,তারপর তুই আসলি না দেখে চলে আসলাম।কোথায় ছিলি এতক্ষণ?
(মারুফের কোন প্রশ্নেরই উত্তর দিল না সায়ন,সোজা সটান হয়ে বিছানায় হয়ে শুয়ে পড়ল)
মারুফঃ এই কি হয়েছে তোর তোকে এমন অফ অফ লাগছে কেন?What’s wrong bro?
সায়নঃ মেয়েটার সাথে আমি বোধহয় একটু বেশিই অন্যায় করে ফেলেছি রে,ও আমাকে এত সহজে ক্ষমা করতে পারবে না…
মারুফঃ কোন মেয়েটা?কার কথা বলিছিস তুই?একটু খুলে বলতো…
সায়নঃ মারুফকে পুরো ঘটনাটা খুলে বললাম
মারুফঃ হুম বুঝলাম
সায়নঃ কি বুঝলি?এখন আমি কি করব বল না…
মারুফঃ শোন ওর উপর কোন রকম জোর জবরদস্তি করবি না আর হ্যাঁ ওকে একটু টাইম দে,ওর ভালোলাগা মন্দলাগা সবকিছুর দিকে খেয়াল রাখবি।আঘাত যেহেতু তুইই দিয়েছিস তাহলে ক্ষত সারানোর দ্বায়িত্বটাওতো তোরই…
সায়নঃ হুম বুঝলাম কিন্তু তার আগে যে আরেকটা কাজ করতে হবে…
মারুফঃ কি কাজ?
সায়নঃ আমাকে যেই আইডি থেকে ছোঁয়া আর আয়ানের পিকগুলো পাঠানো হয়েছে ওটা কার আইডি খুঁজে বের কর,আমার ধারণা যদি ঠিক হয়ে থাকে তাহলে…
মারুফঃ তুই কি কাউকে সন্দেহ করছিস?
সায়নঃ রিয়া,আমার বিশ্বাস ওই আমাদের দুজনের মধ্যে ভাঙন ধরাতে চাইছে কিন্তু প্রমাণ ছাড়াতো কাউকে ব্লেম করা ঠিক হবে না তাই…
মারুফঃ ঠিক আছে,তুই কোন টেনশন নিস না।কালকের মধ্যেই সব ইনফরমেশন পেয়ে যাবি…
(পরদিন)
ক্লাসে ঢুকতেই সায়নের রিয়ার সাথে দেখা,মনে হচ্ছে ওর জন্যই ওয়েট করছিল।
রিয়াঃ হাই বেবি,কেমন আছো তুমি?
সায়নঃ শাট আপ রিয়া,বলেছি না আমাকে আর এসব নামে ডাকবে না
রিয়াঃ তোমাকে এমন অফ লাগছে কেন?কোন কিছু কি হয়েছে?সব ঠিক আছেতো?
সায়নঃ কি ব্যপার,রিয়া এমন বিহেভ করছে যেন কাল রাতে যা যা হয়েছে সবই জানে।তবে কি…(মনে মনে)
রিয়াঃ কি হল কথা বলছো না কেন?Is everything okey?
মারুফঃ এতক্ষণ ঠিক ছিল না বাট এখন সব ঠিক হয়ে যাবে
(হঠাৎ মারুফের কণ্ঠ শুনে ওরা পেছনে ফিরে তাকালো)
সায়নঃ তুই চলে এসেছিস?কি রে কিছু পেলি?
মারুফঃ পেয়েছি মানে…সব ক্লিয়ার করে ফেলেছি,এক্কেবারে প্রমাণ সহ
রিয়াঃ এই তোমরা কি নিয়ে কথা বলছো?
সায়নঃ ও তোমার না জানলেও চলবে।তারপর মারুফ,কি পেলি বলতো
মারুফঃ তোর ধারণাটাই ঠিক,তুই যাকে সন্দেহ করছিস সেই…
(মারুফের কথা শেষ হওয়ার আগেই সায়ন রিয়ার হাত ধরে ওকে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে আসলো)
রিয়াঃ হোয়াট ইজ দিস সায়ন?এসব কি হচ্ছে!ছেড়ে দাও বলছি…
সায়নঃ What’s your problem?কেন শুধু শুধু ছোঁয়ার পেছনে লাগছো?
রিয়াঃ ছোঁয়া!কে ছোঁয়া?এই নামেতো কাউকে আমি চিনিই না…
সায়নঃ স্টপ প্রিটেণ্ডিং রিয়া,অনেক হয়েছে আর না
রিয়াঃ তুমি কি বলছো আমিতো কিছুই বুঝতে পারছি না
সায়নঃ বুঝতে পারছো না তাইনা?তাহলে এটা কি?(ফোনটা ওর দিকে বাড়িয়ে ধরলাম)
রিয়াঃ এ..এটা…
সায়নঃ এই আইডি থেকেইতো কালকে আমাকে ছোঁয়া আর আয়ানের ছবিগুলো পাঠিয়েছিলে তাইনা?
রিয়াঃ ওকে ফাইন,আমিই পাঠিয়েছিলাম কারণ ওই মেয়েটার জন্যই তুমি আমাকে…
সায়নঃ স্টপ ইট রিয়া,তোমাকে সেদিনই ক্লিয়ারলি বলে দিয়েছিলাম আজকে আবারও বলছি তোমাকে আমি ছেড়েছি কারণ আমি তোমাকে ভালোবাসি না,এর মধ্যে ছোঁয়া বা অন্য কারো কোন হাত নেই…
রিয়াঃ আমি বিশ্বাস করি না
সায়নঃ তোমার বিশ্বাস করা বা না করাতে সত্যিটা কখনও বদলে যাবে না।একটা ফ্রি পরামর্শ দিচ্ছি,মানলে তোমার জন্যই ভালো,ছোঁয়ার থেকে দূরে থাকো,কোনভাবেই ওর কোন ক্ষতি করার চেষ্টা কর না তাহলে কিন্তু ফলাফলটা মোটেও ভাল হবে না…
(সায়ন চলে গেল,রিয়া সেদিকে কটমট করে তাকালো)
রিয়াঃ এই মেয়েকেতো আমি এত সহজে ছাড়ছি না,তোমাদের যা ইচ্ছে হয় করতে পারো…
(সন্ধ্যার পর)
সন্ধ্যা নেমেছে আরও ঘণ্টা খানেক আগে,সায়ন আয়ানদের বাড়ির সামনের রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে আছে,অবভিউয়াসলি ছোঁয়ার জন্যেই ওয়েট করছে।ছোঁয়াকে আজকে আয়ান নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছে,বিকেল থেকে ওরা এখানেই প্রজেক্টের কাজ করছে।সারাদিনে সায়ন অনেকবার ছোঁয়ার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে,ওকে সরি বলতে চেয়েছে কিন্তু ছোঁয়া কিছুতেই ওর কোন কথা শুনতে রাজি হয়নি,সারাদিনই ওকে এভয়েড করে চলেছে।তাইতো ও আয়ানদের বাড়িতে আছে শোনার পর থেকেই ও এখানেই দাঁড়িয়ে আছে,ছোঁয়ার কাজ শেষ হওয়ার জন্যে ওয়েট করছে।
যাই হোক ছোঁয়ার আসতে আরও কিছুক্ষণ সময় লাগলো,চারপাশে সন্ধ্যার রেশ কেটে রাত প্রায় ঘনিয়ে এসেছে,ছোঁয়াকে আসতে দেখেই সায়ন ওর দিকে ছুটে গেল
সায়নঃ হাই…
(ছোঁয়া সায়নকে পাশ কাটিয়ে চলে গেল)
সায়নঃ ছোঁয়া…I am sorry Chowa…please don’t go…
ছোঁয়াঃ কি বলবেন বলেন
সায়নঃ I am sorry
ছোঁয়াঃ হুম তারপর?
সায়নঃ What do you mean by তারপর?কালকের ঘটনার জন্য আমি সত্যিই আমি অনেক দুঃখিত তাই…
ছোঁয়াঃ ওকে…অনেক দেরি হয়ে গেছে সো…আমাকে এখন যেতে হবে
সায়নঃ নাহ…
ছোঁয়াঃ (অবাক হয়ে)জ্বি?
সায়নঃ না মানে আমার সাথে একটা জায়গায় যাবে?
ছোঁয়াঃ (অবাক হয়ে)আ..আপনার কি শরীর টরীর খারাপ করেছে?দেখি দেখি জ্বর এসেছে নাকি…
(সায়ন নিজের কপাল থেকে ছোঁয়ার হাতটা সরিয়ে দিল তারপর ওর হাতদুটো দুহাতে ধরে ওর চোখে চোখ রেখে বলল)
সায়নঃ ছোঁয়া…আমি জানি তোমার সাথে এর আগে আমি যা কিছুই করেছি অনেক অন্যায় করেছি।প্লিজ সবকিছু শুধরানোর একটা সুযোগ আমাকে দাও,I promise I will try my best to become a perfect husband…
ছোঁয়াঃ (উনি এমনভাবে কথাটা বললেন যে না করতে পারলাম না)কিন্তু…
সায়নঃ কিন্তু কি?
ছোঁয়াঃ এখনতো অনেক রাত হয়ে গেছে সো…কালকে…
সায়নঃ মোটেও না,কালকের জন্য আর ওয়েট করা সম্ভব না সো প্লিজ…মে উই?
ছোঁয়াঃ হুম…
(কিছুক্ষণ পর)
ছোঁয়াঃ আচ্ছা আমরা কোথায় যাচ্ছি?
সায়নঃ সেটা গেলেই দেখতে পাবে
ছোঁয়াঃ এই রাস্তাটাতো…এটাতো আমাদের ক্যাম্পাসের দিকে যায় না তাহলে আমরা এদিকে কেন যাচ্ছি?
সায়নঃ কারণ আমরা এখন ক্যাম্পাসে ফিরছি না
ছোঁয়াঃ তাহলে?
সায়নঃ কেন ভয় পাচ্ছো নাকি?
ছোঁয়াঃ ভ..ভয়!ভয় কেন পাবো?আপনি কি বাঘ নাকি ভাল্লুক?
সায়নঃ সুযোগ পেলে হতেওতো পারি তাইনা?
ছোঁয়াঃ উফ!আপনি না…আমি কিন্তু এখন মোটেও ফাযলামির মুডে নেই,এমনিতেই ওই রাক্ষসটা সেই বিকাল থেকে খাটাচ্ছে তার উপরে আপনি আবার এমন ফাযলামি…
সায়নঃ আচ্ছা বাবা সরি,আর করব না।এখন বল ওই আয়ানটা আবার তোমার সাথে কোনরকম…
ছোঁয়াঃ মোটেও না,উনি এমনিতে অনেক ভাল শুধু কাজের ব্যপারে একটু বেশিই স্ট্রিক্ট
সায়নঃ কিন্তু তাই বলে এত রাত পর্যন্ত কাজ করাবে!
ছোঁয়াঃ এত রাত!উনিতো বলেছেন মাঝে মাঝে এর থেকেও বেশি দেরি হতে পারে
সায়নঃ হোয়াট!
ছোঁয়াঃ অবশ্য উনি বলেছেন বেশি দেরি হয়ে গেলে আমাকে হলে পৌঁছে দিয়ে যাবেন
সায়নঃ আজকেও কি অফার করেছিল?
ছোঁয়াঃ হ্যাঁ কিন্তু আমি বলেছি আমি একাই চলে যেতে পারব
সায়নঃ শোন তোমাকে ওর সাথে আসতে হবে না,এখন থেকে আমিই তোমাকে নিয়ে আসব
ছোঁয়াঃ মোটেও না,আমি একাই সব করতে পারি আর তাছাড়া আমি কিন্তু এখনও আপনাকে পুরোপুরি মাফ করিনি সো প্লিজ এতটা কর্তৃত্ত দেখাবেন না
সায়নঃ ছোঁয়া..তুমি…
ছোঁয়াঃ আচ্ছা আর কতদূর যেতে হবে?
সায়নঃ কেন তোমার কি হাঁটতে কষ্ট হচ্ছ?
ছোঁয়াঃ তাতো একটু হচ্ছেই,সকাল থেকে একটুও রেস্ট পাইনি,পায়ের পাতা রীতিমত ব্যথা করছে…
সায়নঃ তাইতো,আচ্ছা ঠিক আছে একটু ওয়েট কর
(সায়ন এগিয়ে গিয়ে ছোঁয়াকে কোলে তুলে নিল)
ছোঁয়াঃ আরে আরে কি করছেন আপনি!নিচে নামান বলছি…দেখুন কাজটা কিন্তু একদম ভাল হচ্ছে না…
সায়নঃ কেন কি সমস্যা?
ছোঁয়াঃ আরে সবাই দেখছেতো…প্লিজ নামিয়ে দিন..দেখুন আমার পায়ে আর একটুও ব্যথা করছে না,আমি একাই হাঁটতে পারব…
সায়নঃ এখনতো রাস্তায় খুব বেশি মানুষ নেই আর তাছাড়া কে কি ভাবলো তাতে আমার কোন যায় আসে না
ছোঁয়াঃ (রেগে গিয়ে)আপনার না আসলেও আমার আসে সো প্লিজ…
সায়নঃ ওকে…
(সায়ন ছোঁয়াকে নিচে নামিয়ে দিল,ছাড়া পেয়ে ছোঁয়া কটমট করে ওর দিকে তাকালো)
ছোঁয়াঃ আচ্ছা আপনি কি পাগল?
সায়নঃ কেন?আমি পাগলামির কি করলাম?
ছোঁয়াঃ একটু আগে যা করলেন তা কি পাগলামির চেয়ে কোন অংশে কম ছিল?
সায়নঃ কেন?এর মধ্যে আবার পাগলামির কি দেখলে?
ছোঁয়াঃ এত লোকজনের মধ্যে এভাবে…এটা পাগলামি নাতো আর কি?
সায়নঃ তো কি হয়েছে?আমি আমার বউকে কোলে নিয়েছি,অন্য কারোর বউকেতো আর নেইনি…
ছোঁয়াঃ Shut up.Would you please stop calling me that?
সায়নঃ ওকে ফাইন ওসব বাদ,আচ্ছা তুমি কখনও রাতের বেলা এভাবে রাস্তা দিয়ে হেঁটেছো?
ছোঁয়াঃ না কেন?
সায়নঃ না মানে আজকের আবহাওয়াটা,ইনফ্যাক্ট আকাশটা না অনেক সুন্দর…
ছোঁয়াঃ কেন আজকে আবার স্পেশাল কি…হঠাৎই খেয়াল করলাম আজকের আকাশটা আসলেই অনেক সুন্দর…
রাতটা এখনও সেভাবে ঘনিয়ে আসেনি,বলা যায় সন্ধ্যা রাত্রির আবেশটা এখনও আছে।চাঁদের আলোটা এখনও সেভাবে ফুটতে শুরু করে নি,রাস্তা ঘাটে মানুষজন যথেষ্ট কম,রাস্তার পাশের ল্যাম্পপোষ্টের আলো আর তারসাথে চাঁদের মৃদু আলোতে কেমন যেন একটা স্বপ্নালু পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।এর মধ্যে ওরা দুজন মানব মানবী পাশাপাশি হেঁটে চলেছে,ওরা যে কখন দুজন দুজনের হাত ধরে হাঁটতে শুরু করেছে হয়তো দুজনের কেউই খেয়াই করেনি।মৃদুমন্দ বাতাসে ছোঁয়ার চুলগুলো মাঝে মাঝেই উড়ে গিয়ে সায়নের চোখে মুখে আছড়ে গিয়ে পড়ছে কিন্তু সেদিকে ওর কোন খেয়ালই নেই।হয়তো ওর মনে এখন একটা গানই বাজছে…
“এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলতো…”
চলবে…