Childhood marriage 2 !! Part- 27
#পর্ব-২৭
#লেখিকা-সানজিদা সেতু
ছোঁয়াঃ সবাই আমার দিকে এভাবে তাকাচ্ছে কেন?সবার বিহেভ দেখে মনে হচ্ছে আমি মারাত্মক কোন অপরাধ করে ফেলেছি!আমার মাথায়তো কিছুই আসছে না…
(ছোঁয়া যখন আকাশ পাতাল ভাবায় ব্যস্ত আকাশ ততক্ষণে নোটিশ বোর্ড দেখে ফিরে এসেছে)
আকাশঃ কি ভাবছিস?উফ!সরি,তুই করে বলে ফেলেছি
ছোঁয়াঃ ইটস ওকে,আমরাতো ফ্রেণ্ড সো তুই ইজ বেটার কি বলিস?
আকাশঃ রাইট এখন বল কি ভাবছিলি?
ছোঁয়াঃ আমি না কিছুতেই বুঝতে পারছি না সবাই আমার দিকে এভাবে কেন তাকাচ্ছে…
আকাশঃ আমি বোধহয় ব্যপারটা ধরতে পেরেছি
ছোঁয়াঃ কোন ব্যপার?
আকাশঃ সবাই তোর দিকে এভাবে তাকাচ্ছে কারণ সবাই জেলাস ফিল করছে
ছোঁয়াঃ কিন্তু কেন?
আকাশঃ মে বি এটার জন্য…
ছোঁয়াঃ কি এটা?
আকাশঃ নিজেই পড়ে দেখ,ছোঁয়ার দিকে ফোনটা বাড়িয়ে দিলাম
ছোঁয়াঃ এ..এটাতো প্রজেক্ট ডিস্ট্রিবিউশন লিস্ট
আকাশঃ তোর নামের পাশে কার নাম লেখা আছে দেখ
ছোঁয়াঃ তাসনিয়া মাহবুব-আয়ান শরীফ ঠিকইতো আছে,প্রবলেমটা কি?
আকাশঃ তুই জানিস এই আয়ান শরীফটা কে?
ছোঁয়াঃ কে?
আকাশঃ তুই সত্যিই জানিস না!
ছোঁয়াঃ এক মিনিট এই ভাইয়াটার সাথেই মে বি আমার সেদিন শহীদ মিনারে দেখা হয়েছিল,হ্যাঁ তাইতো নামতো এটাই বলেছিল
আকাশঃ আয়ান ভাইয়া!তোর সাথে নিজে থেকে কথা বলেছিল!অসম্ভব…
ছোঁয়াঃ কেন অসম্ভব কেন?তোর আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না?
আকাশঃ কি করে হবে,সবাই জানে আয়ান ভাইয়া কারো সাথেই নিজে থেকে কথা বলে না আর মেয়ে হলেতো কথায় নেই চৌদ্দ হাত দূর দিয়ে যায়…
ছোঁয়াঃ কিন্তু সেদিনতো আমার সাথে…আচ্ছা বাদ দে এখন বল সবাই আমার দিকে এভাবে তাকাচ্ছে কেন…
আকাশঃ তোর জায়গায় অন্য কেউ হলে সেও এই সেম প্রবলেমটাই ফেস করতো
ছোঁয়াঃ কেন?
আকাশঃ আরে আকাশ ভাইয়া হচ্ছে আমাদের ডিপার্টমেন্টের হার্টথ্রব,সব মেয়েই চাইছিল উনাকে এ্যাসিস্ট করতে বাট নাম এসেছে তোর সেই জন্যেই…
ছোঁয়াঃ এই মেয়েগুলোর সমস্যা কি বলতো,আরে ভাই প্রজেক্টের কাজ করতে হবে কর না কাকে এ্যাসিস্ট করতে হবে সেটা নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন?
আকাশঃ তুই বলতে চাইছিস আয়ান ভাইয়ার প্রতি তোর কোনই ইন্টারেস্ট নেই?
ছোঁয়াঃ অফকোর্স নেই,থাকার কথাও না।কাজ করতে হবে করব ব্যাস আর কোন কাহিনীর দরকার নেই
আকাশঃ আচ্ছা চল,ক্লাসের দিকে যাই
ছোঁয়াঃ হুম তাই চল
(কিছুক্ষণ পর)
ছোঁয়াঃ এক্সকিউজ মি,এক্সকিউজ মি ভাইয়া…
আয়ানঃ Oh miss lonely angel!
ছোঁয়াঃ (অবাক হয়ে)জ্বি?আপনি কি আমাকে কিছু বললেন?
আয়ানঃ হ্যাঁ সেদিন শহীদ মিনারে একা একা মন খারাপ করে বসে ছিলেতো তাই তোমার একটা নাম দিয়েছিলাম,miss lonely angel..
ছোঁয়াঃ তোর লোনলি এঞ্জেলের গুষ্টি কিলায়!ও আল্লাহ,এইডা আবার কার পাল্লায় ফেললা?এই লোকতো দেখি ওই বেটার থেইকাও বেশি ফাযিল এখন আমার কি হবে…(মনে মনে)
আয়ানঃ হ্যালো…হ্যালো মিস…
ছোঁয়াঃ (চমকে উঠে)জ্বি?
আয়ানঃ যাক বাবা,চিন্তার জগৎ থেকে তাহলে শেষমেষ বের হলে।এখন কি কাজের কথায় আসা যায়?
ছোঁয়াঃ কাজে কথা!কোন কাজের কথা?
আয়ানঃ What!I can’t believe this.তুমি এখানে কেন এসেছো সেটাই জানো না!
ছোঁয়াঃ ওহ শিট!না না জানবো না কেন?আ..আসলে আমা…র..না মানে আপনি আমার প্রজেক্টের হেড আই মিন আপনার প্রজেক্টে আমি এ্যাসিস্ট করব
আয়ানঃ রিয়েলি!নট ব্যাড…আচ্ছা ঠিক আছে এখানে আর এভাবে কথা না বলি,সবাই কেমন আড়চোখে তাকাচ্ছে
ছোঁয়াঃ আশেপাশে চোখ বুলিয়ে দেখলাম,সত্যিইতো ব্যাপারটা আগে কেন খেয়াল করলাম না?
আয়ানঃ আচ্ছা তাহলে আজ বিকাল চারটায় ফ্রেণ্ডস ক্যাফেতে দেখা হচ্ছে ঠিক আছে?আমার এখন ক্লাস আছে সো বাই…
ছোঁয়াঃ মানে কি,আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই চলে গেল!আরে বাবা,আমারওতো প্রবলেম থাকতে পারে তাইনা?ধুর ছাই,কোন এক হিটলারের আণ্ডারে পড়লাম,এই লোক দেখছি আমার জীবনটা তেজপাতা বানিয়ে দেবে….(মনে মনে)
(বিকালে)
ভার্সিটি গেটের পাশেই একটা কফিশপে বসে আছে ছোঁয়া,প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে এখানেই বসে আছে,অলরেডি তিন কাপ কফিও শেষ করে ফেলেছে কিন্তু যার জন্য অপেক্ষা করছে তার দেখা নেই!!
ছোঁয়াঃ ধুর ছাই একা একটা মেয়েকে কেউ এতক্ষণ ধরে ওয়েট করায়!এটা কোন কথা?আর দশ মিনিট দেখব,না আসলে সোজা হলে চলে যাব আর সহ্য হচ্ছে না ফাযলামির একটা লিমিটেশন থাকা উচিত…
(ছোঁয়া যখন এসব ভাবায় ব্যস্ত তখন রিয়া ওর দুই সহচরকে নিয়ে ওখানে ঢুকলো।মিমো আর মুমু দূর থেকে ছোঁয়ার দিকে ইশারা করল,রিয়া ওদেরকে ওখানেই দাঁড় করিয়ে রেখে ছোঁয়ার টেবিলের দিকে এগিয়ে চলল)
রিয়াঃ বসতে পারি?
ছোঁয়াঃ আ..আপনি?আপনাকেতো ঠিক চিনতে পারলাম না
রিয়াঃ না চেনাটাই স্বাভাবিক কারণ এর আগে কখনই আমাদের দেখা হয়নি।যাই হোক তুমি আমাকে না চিনলেও আমি কিন্তু তোমাকে চিনি আই মিন তোমার ব্যপারে অনেককিছুই শুনেছি
ছোঁয়াঃ আ..আমার ব্যপারে!কিন্তু..
রিয়াঃ আচ্ছা তুমিইতো ছোঁয়া তাইনা?
ছোঁয়াঃ জ্বি
রিয়াঃ তাহলেতো ঠিকই আছে,যা শুনেছিলাম তুমি দেখছি তারথেকেও বেশি চালাক
ছোঁয়াঃ এক্সকিউজ মি…আপনি কি বলছেন আমিতো কিছুই বুঝতে পারছি না
রিয়াঃ আচ্ছা তুমি সায়নকে চিনো?
ছোঁয়াঃ কোন সায়ন?
রিয়াঃ ন্যাকামিটা দেখছি বেশ ভালই জানো,এই ন্যাকা ন্যাকা কথা আর ইনোসেন্ট চেহারা দিয়েই তাহলে ছেলেদের নিজের জালে আটকাও তাইনা?
ছোঁয়াঃ আপনি কিন্তু নিজের লিমিট ক্রস করছেন
রিয়াঃ লিমিটের দেখেছোটা কি,ভালই ভালই বলছি সায়নের রাস্তা থেকে সরে দাঁড়াও,সেটাই তোমার জন্য ভাল হবে নাহলে কিন্তু…
ছোঁয়াঃ নাহলে কি করবেন হুম?আর এতই যখন ইন্টারেস্ট তাহলে আমাকে না বলে ওই সায়নকে গিয়ে বলুন যেন আমার পেছনে ঘুরঘুর করা বন্ধ করে দেয়,আমাকে যেন একা ছেড়ে দেয়
রিয়াঃ সায়ন ঘোরে তোমার পিছু পিছু!হাউ ফানি…
ছোঁয়াঃ দেখুন আপনি…
(ছোঁয়া কিছু বলতে যাবে তার আগেই ওখানে আয়ান চলে আসলো)
আয়ানঃ আরে,এসে গেছো দেখছি!আমিতো ভাবলাম…সরি একটু লেট হয়ে গেল,আসলে আমার বাইকটা…আরে রিয়া,তুই এখানে!
রিয়াঃ হ্যাঁ ওই একটা কাজে এসেছিলাম আরকি
আয়ানঃ কাজ কি শেষ?
রিয়াঃ হ্যাঁ আমার যা করার করে ফেলেছি এখন যদি ঠিকঠাক না মেলে তাহলে কনসিকুয়েন্সের জন্যতো রেডি থাকতেই হবে তাইনা?(ছোঁয়ার দিকে তাকিয়ে)
আয়ানঃ তুই কি বলছিস আমিতো কিছুই বুঝতে পারছি না
রিয়াঃ তোকে বুঝতে হবে না,যার বোঝার দরকার সে ঠিকই বুঝে নিয়েছে
আয়ানঃ ওকে…
রিয়াঃ বাই দ্য ওয়ে তুই এখানে?
আয়ানঃ হ্যাঁ ওর সাথে দেখা করার কথা ছিল,সরি আমার একটু বেশিই দেরি হয়ে গেছে
রিয়াঃ (কনফিউজড হয়ে)ওর সাথে…কিন্তু…
আয়ানঃ ওয়েট তোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেই,Riya meet my girlfriend Chowa…
ছোঁয়াঃ গা..র্ল..ফ্রেণ্ড!এই লোক বলে কি!বড় বড় করে উনার দিকে তাকালাম
আয়ানঃ ছোঁয়া কিছু বলার আগেই ওকে ইশারায় চুপ থাকতে বললাম
রিয়াঃ What did you say?she is…রিয়েলি ও তোর জিএফ!I can’t believe this…
আয়ানঃ বিশ্বাস না করার কি আছে?ওকে যেদিন প্রথম দেখেছি সেদিনই ওর প্রেমে পড়েছি,বলতে পারিস love at first sight…
রিয়াঃ Whatever…I am really happy for you two.Anyway I have to go আমার একটা কাজ আছে।এণ্ড ছোঁয়া..গুড লাক…
(রিয়া চলে গেল কিন্তু যাওয়ার আগে দূর থেকে আয়ান আর ছোঁয়ার কয়েকটা ছবি তুলে নিজের ফেইক আইডি থেকে সায়নকে মেসেঞ্জারে সেন্ড করে দিল।রিয়া চলে যাওয়ার পর ছোঁয়া রেগেমেগে আয়ানের দিকে তাকালো)
আয়ানঃ হোয়াট?
ছোঁয়াঃ এটা কি হল?এসবের মানে কি?
আয়ানঃ কোন সবের মানে?দেখো এমনিতেই অনেক লেট হয়ে গেছে সো আই থিঙ্ক আমাদের আর সময় নষ্ট না করে কাজের কথায় আসা উচিত
ছোঁয়াঃ তার আগে বলুন একটু আগে ওই মেয়েটাকে যা যা বললেন সেসবের মানে কি?
আয়ানঃ ঠিকইতো বলেছি,কেন ভুল কিছু বললাম নাকি?
ছোঁয়াঃ মানে কি?আপনি…
আয়ানঃ খাতা কলম বের কর,টাইম শিডিউল নোট করবে ঠিক আছে?
ছোঁয়াঃ আ…আপনি…
আয়ানঃ ফাস্ট ফাস্ট আমার হাতে একদম সময় নেই
ছোঁয়াঃ বেটা বজ্জাত,একেতো দেরি করে এসেছে তার উপর এমন ভাব ধরছে যেন সব দোষ আমার।আরে ভাই এতই যখন তাড়াহুড়ো ছিল তাহলে একটু আগেভাগে আসলেই পারতি…(মনে মনে)
আয়ানঃ বকাবকি শেষ হলে কাজটা শুরু করি?
ছোঁয়াঃ (চমকে উঠে)জ্বি?
আয়ানঃ কাল থেকে ক্লাস শেষে আমার সাথে দেখা করবে,আমরা বিকাল থেকে টানা কাজ করব।কবে কোথায় কিভাবে কি করতে হবে সব আমিই ঠিক করব আর হ্যাঁ ঠিক কত ঘণ্টা করে কাজ করা লাগবে সেটা এখনই বলতে পারছি না।এমনও হতে পারে রাত মাঝরাত পর্যন্তও কাজ করা লাগতে পারে…
ছোঁয়াঃ মানেটা কি?এটা কি মগের মুল্লুক পেয়েছেন!আপনার যা ইচ্ছে বলে যাবেন,আমারওতো সুবিধা অসুবিধা দেখতে হবে নাকি?
আয়ানঃ আমার সাথে কাজ করতে হলে আমার সব শর্ত মেনেই করতে হবে,কোন এক্সকিউজ চলবে না।Otherwise I will report to your superviser…
ছোঁয়াঃ আ..আপনি…
আয়ানঃ আমি?আমি কি?
ছোঁয়াঃ কিছু না
আয়ানঃ কিছু যদি নাই থাকে তাহলে যা যা বললাম ঝটপট নোট করে ফেল
ছোঁয়াঃ জ্বি স্যার…
আয়ানঃ জানি মনে মনে আমাকে প্রচুর গালি দিচ্ছো বাট কি করব বল আমার হাতে যে আর কোন রাস্তায় খোলা নেই,যতটা সম্ভব তোমাকে নিজের কাছাকাছি রাখতে চাই তাইতো এতো স্ট্রিক্ট সিডিউল সেট করেছি।সেদিন যখন তোমাকে শহীদ মিনারে মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখেছিলাম প্রথম দেখাতেই তোমার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম।আমি কখনই কারো সাথে নিজে থেকে কথা বলি না,সবার থেকেই একটু ডিসটেন্স মেইনটেইন করে চলি বাট তোমার ক্ষেত্রে তা পারিনি।বারবার তোমার কাছে ছুটে যেতে চেয়েছি কিন্তু পারিনি,তাইতো প্রজেক্ট ভাগ করার সময় স্যারকে অনেক রিকুয়েস্ট করে তোমাকেই আমার প্রজেক্ট পার্টনার করেছি।এটাই সুযোগ,এই কয়েকমাসে যেভাবেই হোক তোমার মন জয় করতে হবে(মনে মনে)
ছোঁয়াঃ (দাঁতে দাঁত চেপে)শেষ,আর কিছু?
আয়ানঃ (হাতঘড়িটার দিকে তাকিয়ে)নাহ ওহ Your time is up,I have to go…
(কথাটা বলেই আয়ান বেরিয়ে গেল,ছোঁয়াতো রেগে আগুন হয়ে আছে ওর ইচ্ছে করছে নিজের চুল নিজেই টেনে ছিড়ে ফেলতে)
ছোঁয়াঃ হতচ্ছাড়া হনুমান,তোরেতো আমি…ইয়ে খোদা,এ কোন রাক্ষসের পাল্লায় ফেললা?এখন আমার কি হবে?আমিতো শেষ….
ছাত্রী হলের সংযোগ রাস্তার মুখে এপাশ থেকে ওপাশে পায়চারী করে যাচ্ছে সায়ন,একটু পরপরই মেইনগেটের দিকে তাকাচ্ছে কিন্তু যার জন্যে ওয়েট করছে তার আর আসার কোন নাম নেই।ঠিক ধরেছেন সায়ন এখানে ছোঁয়ার জন্যেই ওয়েট করছে কিন্তু এতক্ষণ হয়ে গেল তবুও ওর কোন দেখায় নেই!অগত্যা হাঁটাহাঁটি বাদ দিয়ে রাস্টার পাশের একটা ল্যাম্পপোস্টের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়ালো তারপর একবার হাতের হাতঘড়ির দিকে আর একবার রাস্তার দিকে তাকাতে লাগলো…
(ঘণ্টা খানেক আগে)
সায়ন বন্ধুদের সাথে টেবিল টেনিস খেলায় ব্যস্ত,এই খেলাটাতে ওকে হারাবে সেই সাধ্য এখানকার কারোরই নেই।শুধু টেবিল টেনিসই না,স্কোয়াশেও পুরো ক্যাম্পাসে ওর প্রতিদ্বন্দ্বী আর একটাও নেই।কোর্টে নামলেই যেন হাওয়ায় ভেসে যায় সায়ন,তখন আর ওকে ধরে কার সাধ্য?আজকেও তার ব্যতিক্রম হয়নি,ওর সাথে খেলতে গিয়ে ওর বন্ধুদের রীতিমত স্ট্রাগল করতে হচ্ছে।এমন সময় ফোনের মেসেঞ্জার এ্যালার্টটা বেজে উঠল,মেসেজটা ওপেন করতেইতো চোখ কপালে উঠে গেল সায়নের তাই কাউকে কিছু না বলেই ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো।ওর কাণ্ড দেখে সবাই বেশ অবাক হয়ে গেছে,মারুফ অনেকবার পেছন থেকে ডাকলেও সায়ন কোন জবাব দেয়নি,চুপচাপ বেরিয়ে গেছে…
তখন থেকেই ও এখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু…
আরও কিছুক্ষণ পর একটা রিকশা ভার্সিটির মেইনগেটের সামনে এসে দাঁড়ালো।ভাড়াটা মিটিয়েই হলের দিকে হাঁটা ধরলো ছোঁয়া
ছোঁয়াঃ উফ আজকে অনেক দেরি হয়ে গেছে,সবাই না জানি কত টেনশন করছে…অবশ্য ওই হিটলার বেটা যা বলল তাতেতো মনে হচ্ছে এরপর থেকে প্রায়ই এমন দেরি হবে,ইনফ্যাক্ট এর থেকেও আরও বেশি দেরি হতে পারে।কি যে করি…হে আল্লাহ এ কোন বিপদের মধ্যে ফেললা তুমি আমারে..
(তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছেই সায়নকে দেখতে পেল ছোঁয়া,ওকে দেখেই থমকে দাঁড়ালো)
ছোঁয়াঃ আ..আপনি!আপনি এখানে কি করছেন?
সায়নঃ প্রশ্নটাতো আমার করা উচিত,এত রাতে কোথা থেকে আসছো?
ছোঁয়াঃ সেটা আপনার দেখার বিষয় না,এটা নিতান্তই আমার পার্সোনাল ব্যাপার সো আপনার মাথা ঘামানোর কোন দরকার নেই…
(সায়নের মাথায় যেন এবার রক্ত উঠে গেল,একটানে ছোঁয়ার হাত ধরে ওকে পাশের ওয়ালের সাথে চেপে ধরল)
সায়নঃ কি বললে তুমি?তোমার পার্সোনাল ব্যপার তাইনা?আমার মাথা ঘামানোর দরকার নেই!
চলবে…
#নোটঃ জানি সবাই নোটিশ বোর্ডে সায়নকে এক্সপেক্ট করছিলেন কিন্তু একটা জিনিস বোধহয় আপনারা খেয়াল করেন নি যে সায়ন আর ছোঁয়া ওরা দুজন কিন্তু দুটো আলাদা ডিপার্টমেন্টে পড়ে আর আয়ান আর ছোঁয়া একই ডিপার্টমেন্টের সো নোটিশ বোর্ডে ছোঁয়ার সাথে আয়ানের নামটা থাকাই কি যুক্তিযুক্ত নয়?যাই হোক ব্যপারটা যারা ধরতে পেরেছেন তাদেরকে কংগ্রাচুলেশনস বাকিদেরকেও ধন্যবাদ তাদের মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য…