Childhood marriage

Childhood marriage 2 !! Part- 16

#পর্ব-১৬
#লেখিকা-সানজিদা সেতু
(পরদিন)
সকাল থেকেই ক্লাবের সবার ভয়ে মুখ শুকিয়ে আছে,কারণ রিয়ার মুখের অবস্থা এখনও অনেকটাই খারাপ আর এই অবস্থায় ওর পক্ষে পারফর্ম করা কোনভাবেই সম্ভব না।শেষ মুহুর্তে অন্য কাউকে দিয়ে এত ইম্পর্টেন্ট একটা রোল করানো প্রায় অসম্ভব একটা ব্যপার,সম্ভব হত যদি তানি রোলটা করতে রাজি হত।কিন্তু গতকালকের ঘটনার পর থেকে তানি সায়নের সাথে একটা কথাও বলেনি,চুপচাপ নিজের কাজ করে গেছে।শুধু তানিই নয় আসিফ,দীপু,রাকিব,মারুফ কেউই ওর সাথে দরকার ছাড়া কোন কথা বলছে না তবে যে যার কাজ ঠিকমতই করছে।সায়নের নিজেরও কেমন যেন আনইজি লাগছে তাই নিজে থেকে কারো সাথেই কোন কথা বলছে না।এসব প্রেশারে এমনিতেই ওর মেজাজটা খারাপ হয়ে ছিল তার উপর আবার এখন নায়িকা নিয়ে এই নতুন টেনশন!ওর মেজাজ রীতিমত ক্ষেপা ষাঁড়ের মত হয়ে আছে তাই কেউই ওর আশেপাশে ঘেঁষছে না।

সকাল থেকেই সবাই কাজে লেগে পড়েছে,আপাততঃ স্টেজ ডেকোরেশনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পর্ব চলছে।সায়নের বন্ধুরা যে যার মত কাজ করে যাচ্ছে,এসে পর্যন্ত কেউ একটা বারও সায়নের খোঁজ নেওয়ার বা ওর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেনি।এমনকি মারুফও না,এক রুমে থেকেও কালকের ঘটনার পর থেকে আর সবার মতই ও সায়নকে বেশ এভয়েড করার চেষ্টা করছে।ব্যপারটা সায়নের চোখে পড়লেও কাজের প্রেশারে কাউকে কিছু বলার সুযোগই পাচ্ছে না,সবাই কাজের মধ্যে ডুবে থাকলেও রিয়া কিন্তু বেশ রিল্যাক্স মুডেই আছে।সকালে এসেই মুমু আর মিমোকে নিয়ে গ্রীণরুমে গিয়ে ঢুকেছে…
মুমুঃ You are looking just horrible
রিয়াঃ I know
মিমোঃ এই অবস্থায় পারফর্ম করবি কিভাবে?দর্শকরাতো তোকে দেখেই অজ্ঞান হয়ে যাবে
রিয়াঃ তাই নাকি?
মুমুঃ এক্স্যাক্টলি,এই চেহারা নিয়ে রক্তকরবী!জাস্ট ইম্পসিবল,কোন হরর গল্প হলে নাহয় আলাদা ব্যাপার ছিল
(ওদের কথা শুনে রিয়া মুচকি মুচকি হাসছে)
মিমোঃ কি রে হাসছিস কেন?
রিয়াঃ ভাবছি আমি যদি রোলটা প্লে না করি তাহলে কি হবে…
মুমুঃ কি আর হবে,ওরা নাটকটা করতে পারবে না
রিয়াঃ ইয়েস,আমিতো এটাই চাইছিলাম
মিমোঃ মানে?

রিয়াঃ মানে…আমার শুরু থেকেই এই নাটকটা করার কোন ইচ্ছেই ছিল না।আমিতো জাস্ট এই ক্লাবটাকে বন্ধ করতে চাই তাই…
মিমোঃ তারমানে এসব তুই ইচ্ছে করেই…
রিয়াঃ হুম
মুমুঃ কিন্তু কেন?
রিয়াঃ কারণ এই ক্লাবটা থাকলে সায়ন আর আমার থাকবে না,ওর বন্ধুরা একদিন না একদিন ঠিকই আমাকে ওর থেকে আলাদা করে দেবে
মিমোঃ কিন্তু তাই বলে…তোর স্কিনের যদি কিছু হয়ে যায়…
রিয়াঃ তোদের কি মনে হয় আমি এতই গাধা?আরে সবকিছু করার আগে আমি ডক্টরের পরামর্শ নিয়েছি,জাস্ট দুদিনেই সব আগের মত হয়ে যাবে
মুমুঃ ওয়াও ইয়ার…ইউ আর জাস্ট গ্রেট
রিয়াঃ আই নো…
(আড়াল থেকে ওদের সব কথায় শুনে ফেলল তানি)
তানিঃ আমাদের ক্লাবকে ধ্বংস করবে তাইনা?আমিও দেখব কিভাবে কর…
(কিছুক্ষণ পর)
দীপুঃ কি রে,তোর আবার কি হল?কি ভাবছিস?
তানিঃ আচ্ছাজেনেটিক্সের ওই মেয়েটার নামটা যেন কি?
দীপুঃ কোন মেয়েটা অডিশনে যাকে আমরা…
তানিঃ হুম ওটাই,নাম কি?
দীপুঃ আনিকা
তানিঃ নাম্বার আছে না?
দীপুঃ হ্যাঁ আছে কিন্তু কেন?
তানিঃ এক্ষুণি ফোন দিয়ে আমার সাথে দেখা করতে বল,দরকার আছে
দীপুঃ হ্যাঁ বলছি বাট সায়ন…
তানিঃ ওকে কিছু জানানোর দরকার নেই,যা করতে বলছি কর
দীপুঃ ওকে…

(কিছুদিন পর)
ভোরের আলো সবে ফুটতে শুরু করেছে,সায়ন স্টেশনের প্লাটফর্মে বসে আছে।আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেন ছাড়বে তাই ট্রেনে উঠার আগে একবার রিয়ার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে সায়ন।অলরেডি প্রায় দশবার ফোন দিয়ে ফেলেছে কিন্তু ওপাশ থেকে কেউ কপ্ন রেসপন্স করেনি।গতকাল রাতে রিয়াকে সায়ন বারবার বলে দিয়েছিল ওকে টাইমলি ঘুম থেকে উঠিয়ে দিতে নাহলে হয়তো ট্রেনটাই মিস হয়ে যাবে কিন্তু এই মেয়েতো…
এজ ইউজুয়াল তানি ফোন না দিলে হয়তো আজকে সত্যি সত্যিই ট্রেনটা মিস হয়ে যেত!কিন্তু এবারে একটু পার্থক্য আছে,প্রত্যেকবার বাড়ি যাওয়ার সময় তানি সায়নকে ফোন দিয়ে একরকম যুদ্ধ করেই ওকে ঘুম থেকে উঠায় কিন্তু এবার আর ও ওকে ফোন দেয়নি,মারুফকে ফোন দিয়ে সায়নের ঘুম ভাঙ্গিয়েছে!যাই হোক ট্রেনের হুইসেল দিয়ে দিয়েছে তাই সায়ন ট্রেনে উঠে বসল।
এর মধ্যে বেশ কিছুদিন কেটে গেছে,পঁচিশে বৈশাখের প্রোগ্রামটা ওরা অনেক সুন্দরভাবেই শেষ করতে পেরেছে।জেনেটিক্স ডিপার্টমেন্টের আনিকা নামের মেয়েটা রক্তকরবীর নন্দিনীর রোলটা বেশ ভালভাবেই প্লে করতে পেরেছে।রিয়াতো এসব দেখে রীতিমত ভেতরে ভেতরে জ্বলেছে,সবই সম্ভব হয়েছে তানি আর সায়নের বন্ধুদের জন্য।।কিন্তু ওদের সম্পর্কটা এখনও বেশ শীতল,দরকার ছাড়া কেউ ওর সাথে তেমন কোন কথাই বলে না।আর তানি?ওতো সায়নের সামনে আসে না বললেই চলে,ক্লাব আর সায়নের জন্য যা কিছু করার আড়াল থেকেই করে।
রিয়া কিন্তু থেমে থাকেনি,অনেকবার চেষ্টা করেছে ওদের বন্ধুত্বের মাঝে ফাটল ধরেতে কিন্তু ওর সব চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে গেছে।অবশ্য সায়নের বন্ধুরাও কম চেষ্টা করেনি রিয়াকে সায়নের থেকে দূরে সরাতে কিন্তু কিছুতেই কোন লাভ হয়নি…

আজ থেকে ভার্সিটির সামার ভেকেশন শুরু হচ্ছে,প্রায় এক মাসের মত ছুটি তাই প্রায় সবাই বাসায় যাচ্ছে।পুরো বগিতে অর্ধেকের বেশি ভার্সিটির স্টুডেন্ট,এই রকম এক্সপেরিয়েন্স কখনোই হয়নি সায়নের কারণ এর আগে কোন ভেকেশনেই ও কখনও বাড়ি যায়নি।কিন্তু এবার ছুটির নোটিশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কোন এক অদ্ভূত কারণে ট্রেনের টিকিট করে ফেলল!ব্যাপারটা ওর নিজের কাছেও খুব অদ্ভূত লাগছে…

ট্রেনটা যখন স্টেশনে এসে থামলো তখন বিকেল গড়িয়ে এসেছে।বাইরে তখন তুমুল ঝড়-বৃষ্টি,আসার সময় তাড়াহুড়োয় ছাতাটাও নিয়ে আসেনি সায়ন,আনলেও যে খুব একটা লাভ হত সেটাও বলা যায় না।যাই হোক এমন ঝড়-বৃষ্টির মাঝে কোন যানবাহন পাওয়া যাচ্ছে না তাই অগত্যা স্টেশনেই ওয়েট করতে লাগলো কিন্তু অনেক্ষণ ওয়েট করেও যখন অবস্থার কোন উন্নতি হল না তখন একরকম বাধ্য হয়েই এই বৃষ্টির মাঝেই বাড়ির দিকে হাঁটা ধরল…
বাড়িতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে পুরো কাকভেজা হয়ে গেল,মা তো ওকে দেখেই ছুটে চলে আসলো…
মাঃ খোকা…তুই এসেছিস!আমাদের একবার খবর দিলেইতো পারতি,ইশ রে আমার ছেলেটা একেবারে ভিজে গেছে এখন যদি অসুখ বিসুখ করে…এমনিতেই বৃষ্টির পানি ছেলেটা একদমই সহ্য করতে পারে না আর উপর এই অবেলায়…
সায়নঃ উফ!মা,তুমি থামবে?অনেক টায়ার্ড লাগছে,I need some rest…
মাঃ আচ্ছা তুই রুমে গিয়ে তাড়াতাড়ি চেঞ্জ করে নে,আমি খাবারের ব্যবস্থা করি…
দাদীঃ কে এসেছে বৌমা?

মাঃ আপনার নাতি,দেখেন না এই ঝড় বৃষ্টির মধ্যে কাউকে কিছু না বলেই চলে এসেছে!
দাদীঃ দাদুভাই…কই আমার দাদুভাই কই?
সায়নঃ এই যে দাদী,দাদীকে সালাম করলাম তারপর ফ্রেশ হতে রুমে চলে আসলাম।ইশ রে,পুরো ভিজে একাকার হয়ে গেছি,ওয়াশরুমের দরজাটাও বন্ধ তাড়াতাড়ি চেঞ্জ না করলেতো ঠাণ্ডা লেগে যাবে।গায়ের শার্টটা ঝটপট খুলে ফেললাম…
সায়ন সবে শার্টটা খুলেছে,অমনি ওয়াশরুমের দরজাটা খুলে গেল আর ছোঁয়া বেরিয়ে আসলো।কলেজ থেকে আসার পথে ভিজে চুপসে গিয়েছিল তাই এসেই ওয়াশরুমে ঢুকেছিল।বাইরে প্রচণ্ড বৃষ্টি তাই সায়ন যে রুমে ঢুকেছে টের পায়নি,সবে গোসল করে বের হয়েছে তাই ওর পরনে তখন জাস্ট একটা টাওয়েল পেঁচানো,চুল থেকে তখনও টপটপ করে পানি পড়ছে আর সায়নও তখন শার্টটা খুলে ফেলেছে,ভেজা শরীরের জায়গায় জায়গায় বিন্দু বিন্দু পানি জমে আছে।একে অপরের দিকে একবার চোখ পড়তেই দুজনে একসাথে চিৎকার করে উঠল,বাইরে এত জোরে বৃষ্টি না হলে হয়তো এতক্ষণে সবাই ওদের রুমে ছুটে চলে আসতো।একটু পরেই সায়ন নিজেকে সামলে নিল,তারপর ছুটে গিয়ে ছোঁয়ার মুখ চেপে ধরল!ছোঁয়া বড় বড় চোখ করে ওর দিকে তাকালো
সায়নঃ শসসস..চিৎকার কর না,সবাই শুনতে পেলে ছুটে চলে আসবে।এসে যদি দেখে আমরা এই অবস্থায়…কি ভাববে বলতো…আমি কি বলছি বুঝতে পারছো তো?
ছোঁয়াঃ বেটা বজ্জাত,এত জোরে কেউ মুখ চেপে ধরে!আমারতো দম আটকে যাচ্ছে…
সায়নঃ শোন আমি এখন তোমার মুখ ছেড়ে দিচ্ছি,খবরদার একটা টু শব্দও করবে না কিন্তু…
ছোঁয়াঃ কথা না বলে আগে ছাড় না…
(সায়ন আস্তে আস্তে ওর মুখ থেকে হাতটা সরিয়ে নিল)
ছোঁয়াঃ অসভ্য,ইতর,ম্যানারলেস,ইডিয়ট এত জোরে কেউ মুখ চেপে ধরে!আরেকটু হলেইতো আমি…
সায়নঃ তুমি?
ছোঁয়াঃ আমি পটল তুলছিলাম…
সায়নঃ ইশ রে,আগে বললে আরেকটু বেশি সময় ধরে রাখতাম,অন্ততঃ একটা আপদতো বিদায় হত…
ছোঁয়াঃ আমার দম আটকে আসছিল আর আপনি ফাযলামি করছেন!দাঁড়ান দেখাচ্ছি মজা…উনাকে এলোপাথাড়ি মারতে লাগলাম
সায়নঃ আরে আরে ছোঁয়া…কি করছো মারছো কেন ছোঁয়া…ছোঁয়া…
দুজন দুজনের পিছু পিছু ছুটতে ছুটতে কেউই খেয়াল করেনি ওরা কখন একদম খাটের কাছাকাছি চলে এসেছে।যখন বুঝতে পারলো তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে,তাল সামলাতে না পেরে সায়ন ছোঁয়া নিয়ে হুড়মুড় করে বিছানার উপর পড়ে গেল।সায়নের বুকের উপর ছোঁয়া,সায়ন ওকে দুহাতে জড়িয়ে ধরে রেখেছে,দুজন দুজনের হার্টবিটের শব্দও যেন শুনতে পাচ্ছে।সায়নের চোখের দিকে চোখ পড়তেই ছোঁয়া চোখ নামিয়ে নিল,ও কিছুতেই সায়নের দিকে তাকাতে পারছে না।সায়নের নিজেরও খুব আনইজি লাগছে তাই ছোঁয়ার দিকে চোখ পড়তেই ওকে ছেড়ে দিল আর ছাড়া পেয়েই ছোঁয়া এক দৌঁড়ে আবার ওয়াশরুমে গিয়ে ঢুকল,সায়নও উঠে বসলো এতক্ষণ ঠিক কি কি হল বোঝার চেষ্টা করছে।তখনই ছোঁয়ার কণ্ঠ শুনতে পেল
ছোঁয়াঃ এই যে শুনছেন?
সায়নঃ আমাকে বলছো?
ছোঁয়াঃ রুমে আপনি ছাড়া কি আর কেউ আছে?আপনাকেই বলছি
সায়নঃ হুম বল কি দরকার
ছোঁয়াঃ আলমারি থেকে আমার একটা ড্রেস বের করে দেবেন প্লিজ…
সায়নঃ কেন তুমি নিজে নিয়ে যেতে পারছো না?
ছোঁয়াঃ পারতাম কিন্তু…
সায়ন হঠাৎ করেই বুঝতে পারলো ছোঁয়া ঠিক কি বোঝাতে চাইছে,আর কথা না বাড়িয়ে একটা ড্রেস বের করে ওয়াশরুমের দিকে এগিয়ে গেল,ছোঁয়া এক হাত বাড়িয়ে ড্রেসটা নিয়েই দরজা লাগিয়ে দিল।কিছুক্ষণ পর বের হয়েই সায়নের উপর রাগে ফেটে পড়লো ছোঁয়া…
ছোঁয়াঃ এই যে মি.আপনি এখানে কেন?
সায়নঃ কেন মানে?আমার বাড়িতে আমার ঘরে আমি আসতে পারব না!
ছোঁয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে,কেন এসেছেন তাই বলুন
সায়নঃ ভার্সিটির সামার ভেকেশন চলছে তাই…
ছোঁয়াঃ ওহ তা এত বছরতো দেখলাম না ভেকেশনে বাড়ি আসতে তাহলে এবার…
সায়নঃ এতদিন ইচ্ছে হয়নি তাই আসিনি,এবার আসতে ইচ্ছে হল তাই…
ছোঁয়াঃ তা হঠাৎ করে এমন ইচ্ছের কারণ?
সায়নঃ কি আশ্চর্য!আমার বাড়ি,আমার ইচ্ছে তাতে তোমার এত কিসের প্রবলেম?
ছোঁয়াঃ আমার কি তাইনা?ওই মিয়া আমারইতো সব প্রবলেম
সায়নঃ তা কি প্রবলেম আপনার?
ছোঁয়াঃ এই যে দরজায় নক না করেই রুমে ঢুকে পড়লেন,এই রুমে যে একটা মেয়ে থাকে সেদিকে খেয়াল নেই?
সায়নঃ থাকবে কি করে?এটাতো আমার রুম,তুমি এখানে থাকবে আমি কি করে জানব?
ছোঁয়াঃ ন্যকা,কিছুই জানে না(মনে মনে)আচ্ছা ঠিক আছে সেটা নাহয় নাইবা জানলেন,কারো রুমে ঢোকার সময় নক করতে হয় এটাতো জানেন নাকি?
সায়নঃ কি আশ্চর্য!আমার রুমে আমি ঢুকব,নক কেন করতে যাব?
ছোঁয়াঃ আচ্ছা ঘাড়ত্যাড়া লোকতো আপনি,একেতো এত্ত বড় অপরাধ করে বসে আছেন তার উপর অপরাধটা স্বীকার পর্যন্ত করছেন না!
সায়নঃ তাই?আমার কিন্তু মনে হয় না যে আমি কোন অপরাধ করেছি
ছোঁয়াঃ আপনি…আপনি আসলেই একটা…
সায়নঃ একটা কি?
ছোঁয়াঃ খাটাশ,আপনি আসলেই একটা খাটাশ
সায়নঃ আমি খাটাশ হলে তুমি কি?গোসল করার সময় দরজাটা আটকে রাখতে পারো না?আমার জায়গায় তো অন্য কেউও হতে পারতো তাইনা?
ছোঁয়াঃ অন্য কেউ কে আসবে হুম?সবাই কি আপনার মত ম্যানারলেস নাকি?
সায়নঃ আ..আমি ম্যানারলেস!
ছোঁয়াঃ তা নয়তো কি?
সায়নঃ আর তুমি কি,ধোয়া তুলসীপাতা?এই মেয়ে গোসল দিয়ে কেউ এভাবে বাইরে বের হয়?ড্রেসটা ভেতর থেকে চেঞ্জ করে নিতে পারো না?
ছোঁয়াঃ না পারি না,আমি সবসময় এভাবেই গোসল করি।আর তাছাড়া এটা আমার রুম তাই আমার যখন যা ইচ্ছা তাই করব তাতে আপনার কি প্রবলেম?
সায়নঃ আমার আবার কি প্রবলেম?আমারতো কোন প্রবলেম নেই,তোমার কোন প্রবলেম না থাকলে আমারও নেই
ছোঁয়াঃ মানে?

সায়নঃ মানে তুমি যদি তোমার ইচ্ছেমত সবকিছু করতে পারো তাহলে এটা আমারও রুম সো আমিও যখন তখন আসতে যেতে পারি বুঝেছো?
ছোঁয়াঃ আপনি…আপনাকেতো আমি…
সায়নঃ ওহো হো উচিত কথা শুনলেই গায়ে ফোস্কা পড়ে তাইনা?
ছোঁয়াঃ আপনাকেতো আমি দেখে নিব
সায়নঃ দেখতে ইচ্ছে হলে এখনই দেখো না,কে মানা করছে?
ছোঁয়াঃ বেটা বজ্জাত,তোরেতো আমি…
ছোঁয়া সায়নের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার আগেই দরজায় টোকা পড়ল,বাইরে থেকে মায়ের গলা শোনা গেল
মাঃ সায়ন…বাবা আর কতক্ষণ লাগবে?এদিকেতো সব রেডি…
সায়নঃ হ্যাঁ মা,আসছি…বাই মিস..ওহ সরি মিসেস রণচণ্ডী…
(সায়ন বেরিয়ে গেল,ছোঁয়া কটমট করে সেদিকে তাকালো)
ছোঁয়াঃ (দাঁতে দাঁত চেপে)তোরে যদি এর উচিত জবাব না দিছি তাইলে আমার নামও ছোঁয়া না হুহ
চলবে….