Childhood marriage

Childhood marriage 2 !! Part- 15

#পর্ব-১৫
#লেখিকা-সানজিদা সেতু
রিয়াকে সায়ন ওদের ক্লাব হাউজে নিয়ে এসেছে,ব্যাপারটাকে কেউই তেমন ভালোভাবে নেয়নি।কারণ একটাই,রিয়াকে ওরা কেউই তেমন পছন্দ করে না আর তাছাড়া রাত্রিবেলা এই রুমে ওদের গ্যাং ছাড়া কাউকেই কখনও নিয়ে আসা হয়নি।কোন একটা প্রোগ্রামের সময় হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও এখানে কাউকে আসতে দেয়া হয় না,এক কথায় বলতে গেলে এটা ওদের পার্সোনাল রুম।সায়ন রিয়াকে নিয়ে আসায় সবাই রীতিমত বিরক্ত হয়েছে বাট মুখে সেটা প্রকাশ করছে না…
রিয়াঃ হাই তানি
তানিঃ ও হ্যালো,কিছু বলবে?
রিয়াঃ কিছুনা জাস্ট লুক এ্যাট দিস
তানিঃ তুমি হঠাৎ আমাকে আংটি কেন দেখাচ্ছো?
রিয়াঃ দেখাচ্ছি কারণ এটা সায়ন আমাকে গিপ্ট করেছে,গিপ্ট করেছে বললেও ভুল হবে একচুয়ালি ও নিজ হাতে আমাকে পরিয়ে দিয়েছে।এই সেন্সে দেখতে গেলে বলা যায় It’s like my engagement ring…
তানিঃ সায়ন!আর তোমাকে…Just forget it…এই যে..জেগে জেগে স্বপ্ন দেখা বন্ধ কর…ভেঙ্গে গেলে শুধু শুধু কষ্ট পাবে…
রিয়াঃ আচ্ছা তানি,তোমার প্রবলেমটা কি বলবে?
তানিঃ কিসের প্রবলেম?
রিয়াঃ আমাকে যে তুমি সহ্য করতে পারো না সেটা কিন্তু আমি খুব ভাল করেই জানি।কারণটা কি?তুমিও কি সায়নকে…
তানিঃ Shut up you idiot.তুমি এটা ভাবলে কিভাবে হুম!আসলে ঠিকই আছে,তোমার মত লো মেন্টালিটির একটা মেয়ের মাথায় এমন চিন্তা আসবে এটাইতো স্বাভাবিক…
রিয়াঃ আমার মেন্টালিটি লো!
তানিঃ অফকোর্স,আমি না কিছুতেই বুঝছি না সায়ন তোমার মত একটা স্টুপিড মেয়ের পাল্লায় পড়ল কিভাবে!ব্যাপার না নেশা কেটে গেলেই ঠিক হয়ে যাবে
রিয়াঃ কি বলতে চাইছো তুমি?
তানিঃ আমি বলতে চাইছি,বেশিদিন আর সায়নকে তোমার জালে আটকে রাখতে পারবে না,খুব তাড়াতাড়িই ও সব বাঁধন কেটে বেরিয়ে আসবে…
রিয়াঃ ওকে ফাইন,আমিও দেখব কে কার বাঁধন কেটে বেরিয়ে যায়।আর এই যে তোমরা,নিজেদের খুব ইম্পর্টেন্ট ভাব তাইনা?সময় হলেই বুকঝতে পারবে কে বেশি ইম্পর্টেন্ট,তোমাদেরকেতো আমি দেখে নিব…
তানিঃ আবে যা যা…
দীপুঃ কি হয়েছে রে?
তানিঃ আরে তেমন কিছু না,সব পাগলের প্রলাপ…
দীপুঃ ওহ,আচ্ছা কাজ কর…
রিয়াঃ আমি পাগল তাইনা?ঠিক আছে জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ এই পাগল ঠিক কি কি করতে পারে(মনে মনে)

(কিছুদিন পর)
সায়নদের ক্লাবহাউজে সবাই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছে।কয়েকদিন পরেই পঁচিশে বৈশাখ,তাই বরাবরের মতই রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপনের দ্বায়িত্বটাও সায়নদের ঘাড়েই এসে পড়েছে।এবারে ওরা নাচ-গানের পাশাপাশি রক্তকরবী নাটকটাও মঞ্চস্থ করবে বলে ঠিক করেছে।সেটা নিয়েই সবাই এখন ব্যস্ত।নাটকটাতে নন্দিনীর চরিত্রে অভিনয় করছে রিয়া,এটা নিয়ে সবাই বেশ অসন্তুষ্ট।কারণ এই রোলের জন্য অডিশন নেয়া হয়েছিল আর তাতে সবাই মোটামুটি ডিসিশন নিয়ে নিয়েছিল ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের ফার্স্ট ইয়ারের একটা মেয়ে এই রোলটা করবে।কিন্তু বাঁধ সাধল সায়ন,রিয়ার আবদার মেটাতে ওকেই এই রোলটা দিয়ে দিল!
তানিঃ I can’t believe it…
আসিফঃ আমিও…
রাকিবঃ আমি জাস্ট ভাবতে পারছি না সায়ন এমনটা করতে পারল!ওতো এগুলো ক্ষেত্রে কখনই কোন কম্প্রোমাইজ করে না
দীপুঃ কি আর করবি বল,এখন আর কিছুই করার নেই সবকিছু সেট হয়ে গেছে
তানিঃ এই সব হয়েছে ওই ডাইনীটার জন্য,ওইতো সায়নের মাথাটা খেয়েছে,ইচ্ছেতো করছে ইডিয়টটার মাথা ফাটিয়ে দেই কিন্তু…
(ওদের সব কথাই আড়ালে দাঁড়িয়ে শুনছিল রিয়া আর মনে মনে সবাইকে শিক্ষা দেয়ার প্ল্যানিং করছিল)

আর দুদিন পরেই প্রোগ্রাম সবাই তাই অনেক ব্যস্ত।তানি বসে বসে ফেস্টুন আর ব্যানারগুলোতে রং করছিল,তখনই ওখানে রিয়া আসলো
রিয়াঃ তানি…একটা হেল্প করবে?
তানিঃ কি হেল্প বল
রিয়াঃ আজকেতো ফাইনাল রিহার্সাল,আমি ভাবছিলাম পুরো গেট আপ নিয়েই প্র‍্যাক্টিসটা করলে কেমন হয়?
তানিঃ আই থিঙ্ক তার দরকার হবে না
রিয়াঃ দাট ইটস মাই ফার্স্ট টাইম সো…প্লিজ একটু হেল্প কর না…
তানিঃ উফ অসহ্য,ন্যকামির একটা লিমিটেশন থাকা দরকার(বিড়বিড় করে)
রিয়াঃ কিছু বললে?
তানিঃ না কিছু না,চল তোমাকে হেল্প করি
(রিয়া তানিকে নিয়ে গ্রীণরুমে ঢুকল)
তানিঃ হ্যাঁ কি করতে হবে বল?
রিয়াঃ আমার কস্টিউমটা পরতে একটু হেল্প করতে হবে
তানিঃ আচ্ছা একটু ওয়েট কর আমি নিয়ে আসছি
(তানি ওয়্যারড্রোব থেকে কস্টিউম আনতে গেল,এই সুযোগে রিয়া পকেট থেকে একটা কেমিক্যাল বের করে মেকাপ কিটের বক্সে মিশিয়ে দিল)
তানিঃ এই নাও
(রিয়া ড্রেস চেঞ্জ করে নিল)

তানিঃ আর কি?
রিয়াঃ মেকাপে…
তানিঃ ওকে..এখানে বসে পড়
রিয়াঃ শুরু কর শুরু কর,তারপর বুঝবে আমার পেছনে লাগার কি শাস্তি…
(তানি রিয়ার মুখে মেকাপ লাগানোর কিছুক্ষণ পরেই রিয়া চেচামেচি শুরু করল।ওর পুরো মুখে র‍্যাস বের হয়ে গেছে আর তার সাথে নাকি প্রচুর জ্বালাপোড়া করছে!রিয়া সায়নের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি শুরু করলো)
সায়নঃ What happened Riya?তোমার মুখ…
রিয়াঃ এই মেয়েটা আমার সাথে কি করেছে দেখো…
সায়নঃ তানি!ও আবার কি করলো?
রিয়াঃ আমি একা একাই মেকাপ করছিলাল,ও নিজে থেকে আমাকে হেল্প করতে চাইল।আমার মুখে কি মেখে দিয়েছে জানি না তারপর থেকেই এই অবস্থা…
তানিঃ এই মেয়ে,মিথ্যে কেন বলছো?আমি তোমাকে হেল্প করেছি নাকি তুমিই আমাকে…
রিয়াঃ আমি মিথ্যে বলছি নাকি তুমি?সেই প্রথম দিন থেকেই দেখছি তুমি আমাকে সহ্যই করতে পারো না,কেন আমি তোমার কি ক্ষতি করেছি…
তানিঃ খবরদার আর একটাও মিথ্যে বলবে না,নাহলে কিন্তু…
রিয়াঃ দেখেছো বেবি,তোমার সামনে ও আমার সাথে…
তানিঃ বাহ ভালই নাটক করতে পারো দেখছি,তা এই প্রতিভাটা স্টেজে দেখালেইতো পারো।তখনতো মুখ দিয়ে কোন কথাই বের হয় না আর এখন…
রিয়াঃ সায়ন…
তানিঃ আবার ন্যাকামি!এত ঢং কই থেকে শিখেছো বলবে…আমিও একটু ট্রেনিং নিব…
সায়নঃ শাট আপ তানি
তানিঃ সায়ন..তুই!!!
রিয়াঃ আর দুদিন পরেই প্রোগ্রাম,এখন কি হবে…আমি জানি আমাকে লিড রোল দেওয়াতে ওরা কেউই খুশি হয়নি তাই হয়তো…
(ওদের কথা কাটাকাটি দেখে অলরেডি সবাই চলে এসেছে)
আসিফঃ এই মেয়ে শুধু শুধু ওকে দোষারোপ করছো কেন?
সায়নঃ তানি..তোর থেকে কিন্তু আমি এসব আশা করিনি
তানিঃ তুই আমাকে অবিশ্বাস করছিস!
দীপুঃ সায়ন..তুই কিন্তু ভুল করছিস,তানি এমন কিছু করতেই পারেনা
সায়নঃ আমি কি করছি আমি খুব ভাল মতই জানি
রিয়াঃ বলেছিলাম না,ওরা কেউ আমাকে পছন্দ করে না…
রাকিবঃ কেন পছন্দ করব তোমাকে,তানি তুইই ঠিক এইটা আসলেই একটা ডাইনী
রিয়াঃ বেবি…
সায়নঃ শাট আপ রাকিব…

দীপুঃ কেন চুপ কেন করবে ও?এই মেয়ে,তোমার লজ্জা করেনা?এত বড় মিথ্যে বললে,একজনকে এত বড় অপবাদ দিলে তাও আবার তার কোন দোষ ছাড়াই!শেম অন ইউ…
সায়নঃ আই সেইড স্টপ ইট,তানি…তুই এখান থেকে যা…
তানিঃ সায়ন!!!
সায়নঃ আর হ্যাঁ আরেকটা কথা,ওর ব্যাপারে আর একটা বাজে কথাও আমি শুনতে চাই না সো ওকে যদি কেউ সম্মান করতে না পারে তাহলে আর আমার বন্ধু হিসেবে দাবী করার কোন দরকার নেই…
মারুফঃ How could you do this to her?তোর কি মাথার ঠিক আছে?
সায়নঃ এটা আমার আর তানির ব্যপার,You guys just stay away
রাকিবঃ এটা মোটেও শুধু তোদেএ ব্যাপার না,আমরা সবাই এর সাথে ইনভলভ আছি সো কান্ট লেট ইট গো
আসিফঃ এক্স্যাক্টলি,এই থার্ড ক্লাস মেয়েটার জন্য তুই…
সায়নঃ আসিফ…
(সায়ন আসিফের কলার চেপে ধরল,তখনই তানি চিৎকার করে উঠল)
তানিঃ Okey fine,I quit.আমি আর তোদের সাথে নেই।গুড বাই ভাল থাকিস সবাই…You guys please don’t fight…
(তানি দৌঁড়ে চলে গেল,রাকিব ওর পিছু পিছু ছুটে গেল।বাঁকিরা অবাক হয়ে সায়নের দিকে তাকিয়ে আছে)
সায়নঃ হোয়াট?সবাই এভাবে তাকাচ্ছিস কেন?
আসিফঃ দেখছি তুই কতটা বদলে গেছিস
সায়নঃ স্টপ টকিং ননসেন্স
দীপুঃ আমরা ননসেন্স কথা বলছি!তাহলে তুই কি করছিস?আজকে তুই যেটা করলি তোর থেকে অন্তত আমরা এমন কিছু আশা করিনি…
আসিফঃ ওয়েল ডান মি.মাহবুব সায়ন,ওয়েল ডান…
সায়নঃ দীপু..আসিফ..আরে মারুফ তুই আবার কোথায় যাচ্ছিস?
মারুফঃ কোথাও না,এখানে দম বন্ধ হয়ে আসছে তাই বাইরে হাওয়া খেতে যাচ্ছি
সায়নঃ যা যা সবাই চলেই যা,এখনতো তোরা আমার দোষটাই দেখবি,তোদেরতো কোন দোষই নেই…
(সবাই বেরিয়ে গেল,সায়ন একটা চলে চেয়ারে বসে পড়লো)
রিয়াঃ ডোন্ট বি স্যাড বেবি,ওরা আসলে তোমার খুশি দেখতে পারে না তাই এই রকম বিহেভ করছে।তুমি যা করেছো একদম ঠিক করেছো বিলিভ মি…
সায়নঃ Please Riya,leave me alone for a while
রিয়াঃ Okey..আমি তাহলে আসছি বাই
সায়নঃ হুম
রিয়াঃ আজকে যে আমার কি খুশি লাগছে!অনেকদিন ধরে ঐ বদমায়েশগুলোকে সহ্য করছিলাম,নিজেকে যে কি ভাবে আল্লাহই জানে।আমাকে আন্ডার এস্টিমেট করা!এখন বোঝ আজকেতো শুধু একটু কড়া কথা শুনতে হয়েছে,একদিন দেখবে সায়ন নিজে সবাইকে ক্লাব থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেবে…কিন্তু এই র‍্যাশ..ওটা ব্যাপার না এমনিই ঠিক হয়ে যাবে,আপাততঃ ইটস সেলিব্রেশন টাইম…(মনে মনে)

ক্যাম্পাসের পেছনদিকের পুকুরপাড়ে বসে আছে তানি,চোখদুটোতে পানি টলমল করছে অনেক কষ্টে আটকে রেখেছে,শূন্য দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ আকাশের দিকে তকিয়ে থেকে চোখ নামিয়ে নিল তারপর ভাঁজ করা পায়ের উপর মাথা দিয়ে পুকুরের শান্ত পানির মাঝে হারিয়ে গেল,হয়তো অশান্ত মনটাকে শান্ত করার ব্য্র্থ চেষ্টা করছে।রাকিব একটু দূরেই দাঁড়িয়ে ছিল এতক্ষণ,এবার আস্তে আস্তে ওর পাশে গিয়ে বসে পড়লো…
রাকিবঃ কি রে,মন খারাপ?
তানিঃ না
রাকিবঃ তাহলে এভাবে বসে আছিস কেন?
তানিঃ এমনিই
রাকিবঃ বললেই হল!দেখি আমার দিকে একবার তাকাতো
তানিঃ বললামতো আমি ঠিক আছি,তুই খামোখা এখানে আসতে গেলি কেন?যা ক্লাবের অফিসে ফিরে যা,কয়েকদিন পরেই আবার মঞ্চনাটক আছে অনেক কাজ করতে হবেতো
রাকিবঃ ওখানে কাজ করার মত অনেক মানুষ আছে,আপাতত আমার একটাই কাজ।কি জানিস?
তানিঃ কি?
রাকিবঃ আমার এই কিউট বান্ধবীটার মন ভাল করা
তানিঃ আমার মন ভালই আছে
রাকিবঃ তাই নাকি?তাহলে আমার দিকে তাকাচ্ছিস না কেন?
তানিঃ আমার ইচ্ছে

রাকিবঃ নাহ তুই এইভাবে শুনবি না দেখছি…
(তানিকে একরকম জোর করেই নিজের দিকে ফেরালো রাকিব।এবার আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না তানি,রাকিবকে দুহাতে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল…)
তানিঃ He is my best friend yaar…How could he do this to me!ও আমাকে বেস্টফ্রেণ্ড না ভাবতে পারে কিন্তু আমিতো ওকে বেস্টফ্রেণ্ড মানি সেটাতো ও জানে তাইনা?আমি যে এমনকিছু করতে পারিনা সেটা ও কিভাবে ভুলে গেল!
রাকিবঃ কুল ডাউন তানি,সব ঠিক হয়ে যাবে…
তানিঃ আচ্ছা ও আমাকে চিনে না?ও আমার কথায় বিশ্বাস না করে ওই ডাইনীটাকে কিভাবে…
তানি কাঁদছে আর রাকিব ওকে শক্ত করে ধরে রেখেছে,মাঝে মাঝে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে…
(কিছুক্ষণ পর)
রাকিবঃ এনাফ ইজ এনাফ,দেখি আমার দিকে তাকাতো
তানিঃ ওর দিকে মাথা তুলে তাকালাম
রাকিবঃ আলতো হাতে ওর চোখ মুছে দিলাম।অনেক হয়েছে আর না,চোখ দিয়ে আর এক ফোঁটাও পানি যদি পড়েছে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না…
তানিঃ কিন্তু…
রাকিবঃ শোন এখানে তোর কোন দোষ নেই,যদি কারো দোষ থাকে তাহলে তা সায়নের সো কাঁদলে ও কাঁদবে তুই কেন কাঁদতে যাবি?এতক্ষণ কিছু বলিনি কারণ তোর মনটা হালকা করার জন্য কান্নাটা একটু দরকার ছিল বাট আর না…
(আসিফ,দীপু আর মারুফ একটু দূরেই দাঁড়িয়ে ছিল,এতক্ষণ ওদের ডিস্টার্ব করতে চায়নি তাই কাছে আসেনি।এবার সবাই ওদের দিকে এগিয়ে আসলো)
আসিফঃ এক্স্যাক্টলি,ওই শালার বিচারতো আমরাই করব
তানিঃ শুধু শুধু ওকে কেন দোষ দিচ্ছিস?সব দোষ ঐ ডাইনীটার,ওই সায়নের কানে এসব ঢুকিয়েছে
দীপুঃ আরেব্বাস এতকিছুর পরও তুই ওকেই সাপোর্ট করছিস!
তানিঃ হুম আফটার অল হি ইজ মাই বেস্টফ্রেণ্ড…
মারুফঃ তাহলে আমরা কি হুম?আমরা বুঝি তোর কেউই না?
তানিঃ তোরাতো আমার জানের জান দোস্ত কিন্তু কি করব বল,বেস্টুতো একটাই হয় তাইনা?আর সেই জায়গাটা আমার সুইটহার্টের জন্যই বরাদ্দ
মারুফঃ রাকিব…এই মেয়ে কি বলে শুনলি?
রাকিবঃ হুম শুনলাম…শুনে আর কি করব বল,আমাদের কি আর সেই ভাগ্য আছে?ভাগ্যতো ওই গাধাটার…
তানিঃ ওই তোরা চুপ করবি?নাহলে কিন্তু থাপ্পড় একটাও মাটিতে পড়বে না…

দীপুঃ ওকে ফাইন এই চুপ করলাম,এবার বল কি করা যায়…
তানিঃ আমি জানি ওই ডাইনীটা এসব ইচ্ছে করেই করেছে।ও আমাকে আগেও একবার বলেছিল আমাদের সবাইকে ক্লাব থেকে বের করে তবেই দম নিবে
রাকিবঃ তাহলে আর কি করবি?ক্লাব ছেড়ে দিবি?
তানিঃ কক্ষনো না,এইটা আমাদের প্রাণের ক্লাব।সবাই দিন-রাত কত পরিশ্রম করে এটাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছি।এত সহজে কিভাবে ছেড়ে দিব!
আসিফঃ আর আমরা না থাকলে ক্লাবটা দুদিনেই ভেঙ্গে খানখান হয়ে যাবে
মারুফঃ বললেই হল!এত সহজেতো আমাদের ক্লাবকে ভাঙতে দিব না…
তানিঃ আর তাছাড়া আমরা চলে আসলে সায়ন একেবারে একা হয়ে যাবে,তখন যে ওই মেয়ে কি করবে…ভাবতেই আমার ভয়ে গা সিউড়ে উঠছে
মারুফঃ এই রিয়াটার যে ক্যারেক্টার,ও করতে পারে না এমন কোন কাজ নেই…
দীপুঃ যেভাবেই হোক আমরা আমাদের ক্লাব আর আমাদের বন্ধুর কোন ক্ষতি হতে দিব না,তোরা কি বলিস?
আসিফঃ হ্যাঁ কিন্তু তার জন্য আগে আমাদের রিয়াকে সায়নের থেকে দূরে সরাতে হবে
মারুফঃ আর তারজন্য হয় রিয়াকে এক্সপোজ করতে হবে নয়তো এমন কাউকে খুজে বের করতে হবে যে ওকে রিয়াকে ভুলিয়ে দেবে
রাকিবঃ আর দুটোই বেশ কঠিন ব্যাপার
দীপুঃ কঠিন কি সহজ সেটা পরেও ভাবা যাবে,আপাততঃ তোরা আমার সাথে আছিস কিনা বল,সবাই একসাথে চেষ্টা করলে আমার বিশ্বাস আমরা পারব
সবাই একসাথেঃ অবশ্যই..আমাদের পারতেই হবে…
চলবে….
#গত পর্ব দেয়ার পর থেকেই সবার প্রচুর ঝাড়ি খাচ্ছি,আজকেরটার পরতো তাহলে আমার মাইর খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।বাট বিলিভ মি,এমনটা লিখেছি মানে নিশ্চয় আমার মাথায় কোন প্ল্যানিং আছে।যাই হোক আমি আমার মত করেই লিখব আর আশা করি সবার ভালই লাগবে।
আর হ্যাঁ সায়নের উপর কিন্তু আমারও প্রচুর রাগ হচ্ছে,ইচ্ছে করছে ওটাকে ইচ্ছেমত পিটুনি দেই।যাই হোক টেনশন নেয়ার দরকার নাই,ওটাকে বান্দরনাচ নাচিয়ে তবেই আমি দম নিব জাস্ট কিপ পেশেন্স,সায়নের শাস্তিতো সায়নকে পেতেই হবে…