বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 53
তিথিঃ ভালোবাসি মিস্টার বিপজ্জনক রাক্ষস অনেক বেশি ভালোবাসি এই ফ্যামিলি কে আপনাকে অনেক অনেক
আবিরঃ আমিও পাগলী অনেক ভালোবাসি,,,
তিথিঃ একটা কথা বলি?
আবিরঃ হুম বলো
তিথিঃ সব কিছুর জন্য শুকরিয়া
আবিরঃ সব কিছু মানে কি ম্যাডাম?
তিথিঃ এতো লাভিং কেয়ারিং ফ্যামিলি দেওয়ার জন্য
আবিরঃ এই পাগলি তোমায় না ভালোবাসলে কাকে বাসবে হুম
তিথিঃ হুম জানি,,আমি জানি আমি অনেক কিউট শান্ত ভদ্র আর কত ভালা হুহু
আবিরঃ হইছে এখন পাহাড় খুলতে হবে আপনার তারিফ এর আমি জানি আপনি কত ভদ্র
তিথিঃ হু আজ গরীব বলে
আবিরঃ সাথে এলিয়েন ও
তাদের দুষ্টু মিষ্টি ঝগড়া তো লেগেই থাকে,,,পরিবার এর সবাই আজ অনেক হেপ্পি তাদের পরিবার যেন এই ভাবে সুখে থাকে আজীবন তার জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া ও প্রার্থনা করছে আবিরের মা,,,,
রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে মেহমানরা চলে যায়,,সবাই হল রুমে বসে আড্ডা দিতে থাকে,,
বড় মাঃ সবাই যে এখানে আড্ডা দিচ্ছিস কাল যে মেহেদী অনুষ্ঠান ভুলে গেলে সবাই
রেশমাঃ মা একটু কথা বলছি আর কি
বড় মাঃ চুপচাপ ঘুমিয়ে যাও সবাই কাল অনেক কাজ আর রেশমা তোর দুই ভাইয়ের বিয়ে এক সাথে তোর কাজ অনেক কাল মেহদী বাটবি মনে রাখিস,,,
রেশমাঃ হেএ
আমান আর আবির হাসতে থাকে,,রেশমা চোখ রাগিয়ে বলে
রেশমাঃ হাসেন ভালা করে কাল আপনারা দুজন নোট এলাও মেহদী অনুষ্ঠানে
আবির আমানঃ কিইইই
বড় মাঃ হ্যাঁ তোরা কাল থাকতে পারবি না
আবিরঃ কিন্তু বড় মা মেহদী অনুষ্ঠানে আমরা না থাকলে কি ভাবে অনুষ্ঠান হবে?
বড় মাঃ কেন তোরা কি মেহদী দিবি?? চুপচাপ কাল বাহিরে চলে যাবি কোনো ছেলে এখানে থাকবে না,,,
আবির আর আমান মুখ ফুলিয়ে বসে আছে,,,তিথি হেসে দেয় আবিরের প্রচুর রাগ উঠে তিথির হাসিতে,,,,
সবাই চলে যায় যার যার রুমে তিথি রেশমাকে অনেক খুশিতে আত্নহারা হয়ে বলে উঠে
তিথিঃ ওয়াও এমন অনুষ্ঠানে তো অনেক মজা হবে,,,,
আবিরঃ অনেক হাসি পাচ্ছে তাই না ম্যাডাম
তিথিঃ হ্যাঁ এইটা আমাদের অনুষ্ঠান ওকে আপনারা এলাও না ওকে (নাকে ঘষা দিয়ে)
আবির নাক মুখ সব ফুলিয়ে চলে যায়,,,,আমান ও বেচারা আবিরের সাথে চলে যায়,,,তিথি রেশমা আর নিয়া আজ এক সাথে থাকে,,,,
পরের দিন সকালে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে মেহদী অনুষ্ঠান এর জন্য,,,ছেলেদের গেস্ট রুমে থাকতে বলে,,, সব গুলো ছেলের মুখ মলিন হয়ে যায় মেয়েরা মজা করবে আর তারা এই রুমে থাকবে,,,
সারা বাড়ি ফুল দিয়ে সাজায়,,বিকালে রেশমা বড় মা ছোট মা মামানি আরো কিছু প্রতিবেশী ও সাথে মেহদী বাটছে,,,,তিথি আর নিয়া সব গুলো মেয়ের সাথে গল্প করে,,,তিথির মুখে এক আলাদা উজ্জ্বলতা ফুটে উঠে,,, আবির সাদা একটা টি শার্ট পড়ে রুম থেকে বের হয়ে হল রুমে আসে দেখে মেয়েরা মেহদী বাটতে ব্যস্ত আর তার পাগলীটা গল্প করতে,,,তিথির দিকে নজর পড়ায় যেন নজর টুকু সরছে না,,দেখতে যে আগের থেকেও মিষ্টি লাগছে তার তোতাপাখিকে,,,পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে আবির,,,আর আনমনে ভাবতে থাকে সে তার তোতাপাখির পাশে বসে আছে তার তোতাপাখির কপালে আসা ছোট ছোট চুল গুলো ফুঁ দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে আবির বেচারা চলে যায় তার স্বপ্নের রানীকে নিয়ে স্বপ্নে,,,,
অই সময় আমান আবিরকে নাড়া দিয়ে বলে
আমানঃ কিরে ভাই তুই দিনের বেলায় ও স্বপ্ন দেখা শুরু করলি?(হাহা করে হেসে দিয়ে)
আবিরঃ সর তো
আমান আর আবির গেস্ট রুমে গিয়ে দেখে বড় বাবা আবিরের বাবা মামা রিতুর বাবা ও ভাই গালে হাত দিয়ে বসে বসে খবর দেখছে,,,,আবির জিজ্ঞেস করে
আবিরঃ কি ব্যাপার সবাই চুপচাপ যে
রিশাবঃ কি আর করবো ভাই মেয়েরা তো আজ আমাদের বের করে দিলো তাই আমি এই মুরব্বিদের সাথে খবর দেখছি আর বোরিং হচ্ছি দুর,,,
আমানঃ আমার কাছে আইডিয়া আছে একটা,,
আবিরঃ কি?
আমানঃ আমরা ও পার্টি করবো মজা করবো
রিশাবঃ কি সত্যি?
আমানঃ হ্যাঁ চলো আমরা সবাই আজ বাহিরে গিয়ে মজা করি,,
আমান আর রিশাব তো খুশিতে আবিরকে বলে বলে
আমানঃ চল চল আমাদের ও যাওয়ার সময় হয়ে গেছে চল আমরা সবাই আজ বাহিরে যাই
রিশাবঃ হ্যাঁ আবির চলো আমরা ও পার্টি করি,,,
আবিরঃ কেন?আমরা কেন বাহিরে পার্টি করবো?
আমানঃ কেন আবার মেয়েরা এখানে উৎসব করবে আর আমরা বুজি অই রুমে বসে থাকবো পাগল নাকি,,
আবিরঃ শুন আমরা ও অই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবো
রিশাবঃ পাগল নাকি?আমাদের ওরা ঢুকতে দিবে কখনো না,,,
আবিরঃ কেন রিশাব তুমি কি দেখতে চাও না আজ ভাবিকে কত সুন্দর লাগছে?আর আমান তুই চাস না আজ তোর রিতুকে কত কিউট লাগছে দেখ আমরা ওদের সাথে যদি অই অনুষ্ঠানে থাকি তাহলে তারা কত খুশি হবে ভাব ভাই ভাব
আমানঃ হ্যাঁ তাই তো কিন্তু আমাদের তো অই খানে যেতে দিবে না
আবিরঃ আমরা এমন ভাবে যাবো যাতে ওরা বুজতে না পারে যে আমরা
রিশাবঃ আংকেলরা বাবা ওদের বললে তো ইচ্ছে মত বকবে তখন
আবিরঃ ওরা বুড়ো হয়ে গেছে ওরা গিয়ে আর কি করবে আমরা চল
পিছন থেকে বড় বাবা বলে উঠে
বড় বাবাঃ আর আমরা কি এখানে গালে হাত দিয়ে বসে বসে টিভি দেখবো হ্যাঁ
আমানঃ তাহলে বাবা তুমি ও কি?
আবিরের বাবা ও রিতুর বাবাঃ আমরা ও আছি সাথে
আবিরঃ তাহলে মামাকে কে দেখবে?
বড় বাবাঃ কাউকে বলবো তুই চিন্তা করিস না এখন বল ভিতরে কি ভাবে যাবো?
আবিরঃ আমরা তো আর এই ভাবে গেলে ওরা আমাদের প্রবেশ করাবে না তাই আমরা,,,,,,,,,,
সবাইঃ কিইইইইইইইই?
আবিরঃ উফফফ আস্তে চিল্লাও তো সবাই আইডি ভালো লাগলে বলো না লাগলে টিভি দেখো যাও আমি তো গেলাম
সবাই চিন্তায় মেতে উঠে কি করবে,,,
এই দিকে সব মেয়েরা রেডি হতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,,,পার্লারের কিছু মেয়ে আসে আর তারা রিতু তিথিকে সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়,,,,,রেশমা রিতুর ভাবিকে ও,,,
তিথি আজ সবুজ কালারের কামিজ আর লাল সারারা পড়ে কাচা ফুল দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়,,,,চোখে ঘাড়ো কাজল ও দেওয়া,,,দেখতে অসাধারণ লাগছে আজ তিথিকে,,,,রিতুকেও তিথির মত ড্রেস পড়ানো হয় দেখতে তাকে ও বেশ লাগে,,দুইজনকে সাজানো হয় কাচা ফুলের মালা দিয়ে,,
গান বাজনা সব শুরু হয়ে যায়,,,,বড়রা কিছু তাবলা বাজায় আর আগের গান গুলো গাইতে থাকে,,, তিথি রিতু এক সাথে বসে পার্লারের মেয়েরা তাদের মেহদী পড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,,,
তিথিঃ ওয়াও কি সুন্দর লাগছে আজ পরিবেশটা,,ইসসস
রিতুঃ হুম সত্যি অসাধারণ
বড় মা কিছু মহিলাদের দেখে আসতে অনেক বড় ঘোমটা মাথায় দিয়ে তাদের মুখ দেখা যায় না,,,শাড়ি পড়ানো কিন্তু অন্য রকম শাড়ি পড়ানো তাদের,,,,বড় মা সন্দেহ এর নজরে দেখে কিছু বলতে যাবে রেশমা এসে বলে
রেশমাঃ মা ওই দিকে আসো ওই খানে কি যেন সমস্যা হইছে
মহিলা গুলো সবার মাঝে আসে,,,কিছু আরো মহিলা উঠে নাচতে লাগে,,,ওই শাড়ি পড়ানো আর কেউ না আমান আবির রিশাব বড় বাবা ছোট বাবা আর রিতুর বাবা,,তারা আবিরের কথা মত শাড়ি পড়ে তাদের প্রিয়তমাদের একটু দেখতে আসে,,,সবাই নাচে মেতে উঠে হালকা কোমড় ডুলিয়ে ডুলিয়ে নাচে মেতে উঠে সবাই,,,,
আবির বারবার গিয়ে তিথির হাত ধরে টেনে নিয়ে আসে তিথিকে সবার মাঝে,,,,বড় মা ও ছোট মা ওরা ও নাচে মেতে উঠে,, ধরতে গেলে সবাই নাচে ব্যস্ত হয়ে উঠে
বড় বাবা তো জোরে গান গায়
বড় বাবাঃ ওহ ডিংঙ্গা চিকা
সবাই থেমে যায় আওয়াজ শুনে,,আমান আর আবির বলে উঠে
আমান আর আবিরঃ উফফফ চুপ থাকলে কি হতো খেলাম তো ধরা এখন
সবাই তো সিউর হয়ে যায় যে তাদের মধ্যে ছেলে কেউ আছে,,
তিথিঃ এইটা তো রাক্ষস এর আওয়াজ
বড় মাঃ কার আওয়াজ?
তিথিঃ ওহ হ্যাঁ রাক্ষস কে তো আপনি চিনেন না মানে আবিরের আওয়াজ
বড় মাঃ এই মেয়েও
বড় মা আবিরদের কাছে যায় আবিরের ঘোমটা সরিয়ে রাগী লুক দিয়ে বলে
বড় মাঃ তুই এখানে?
আবিরের মা এগিয়ে বলে
আবিরের মাঃ তুই মেয়েদের মাঝে একা কি হ্যাঁ
বড় মা আমানের ঘোমটা ও খুলে দেয়,,,সব মেয়েরা তো হাসছে আমান আবিরের এমন অবস্থা দেখে রিশাব এর কাছে কি যাবে তার আগে রিশাবের ঘোমটা পড়ে যায়
বড় মাঃ তোদের লজ্জা করে না মেয়েদের শাড়ি পড়ে এখানে এসেছিস অই বুড়ো লোক গুলো কে ছেড়ে
আবিরঃ হেএএ কিসের অই বুড়োদের ছেড়ে এসেছি আজ তোমার বুড়োর জন্য তো খেলাম ধরা,,,,
বড় মা রাগী কণ্ঠে বলে
বড় মাঃ কিই?
আবির বড় বাবার আর বাকিদের ঘোমটা ও সরিয়ে দেয় সবাই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে আর সব মেয়েরা তো হাসতে হাসতে শেষ বুড়োরা ও শাড়ি পড়ানো,,, তিথি তো জোরে হেসে দেয়,,,,,তিথির হাসি দেখে বড় মা ও হেসে দেয়,,,,
আবিরের মাঃ বুড়ো বয়সে এই আব আল্লাহ তুমি কি(আবিরের বাবাকে)
রিতুর মাঃ মেয়ের মেহদী অনুষ্ঠানে এইভাবে আসলে উফফফ
তিথি মায়ের কাছে এসে বলে
তিথিঃ ওরা এতো কষ্ট করে এসেছে ওদের তো কিছু শাস্তি পেতে হয় কি বলো আম্মু
মাঃ হুম তাই তো কি বলেন ভাবি
বড় মাঃ কি শাস্তি দেওয়া যায় তিথি?
তিথিঃ বেশি কিছু না ওদের নাচতে হবে নাগিন ডান্সে
সব ছেলেরা হা,,
আবিরঃ পাগল নাকি তুমি
বড় মাঃ চুপ একদম এক তো চুরি তার উপর সিনা চুরি
রিতুঃতিথি পাগল তুই কি বলছিস ওই খানে বাবারা ও আছে,,
বড় মাঃ তো কি হইছে ওদের মনে ছিলো না এমন পোষাকে মেয়েদের অনুষ্ঠানে আসতে আবার তো কি যেন গান
তিথিঃ ডিংঙ্গা চিকা বড় মা
আবির রাগী চেহারায় তিথির দিকে তাকায়,,,
বড় মাঃ এখন নাচেন সবাই আমরা সবাই বসে বসে ওদের নাচ দেখি
তিথিঃ ইয়াহুউউউ
আবিরঃ তোমায় আমি দেখে নিবো
তিথিঃ ওকে ওকে দেখিয়েম পরর আগে নাচ তো করেন জনাব
বড় বাবাঃ আমি এই বাড়ির কর্তা আমি এই সব করবো না বাকিরা করবে
বড় মাঃ চুপচাপ ডান্স করবে একদম কথা না,,আর যে কথা বলবে তার শাস্তি হবে
তিথিঃ এই শাড়ি কাল পর্যন্ত পড়ে থাকতে হবে
আবিরঃ(এই মেয়েকে আমি এখন আছাড় মারবো সব সময় ফাসায় তার জন্য এতো কষ্ট করে এলাম আর সে কি না আস্তা একটা এলিয়েন উফফফ)
অনেক ক্ষন পর শেষ মেষ সবাই রাজি হলো কিন্তু তিথি বলে
তিথিঃ বড় মা ওদের অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছে
বড় মাঃ মানে?
তিথি একটা মেয়েকে কানে কানে কিছু বলে আর অপেক্ষা করে মেয়েটি কিছু লাল লিপস্টিক আর মেকাপ আনে,,সব ছেলেদের তো মুখ দেখার মত
যার যার বরকে সে সে সাজাচ্ছে
আবিরঃ তোমাকে আমিইইই
তিথিঃ পরে দেখা যাবে সব এখন চুপ থাকেন আর আমাকে সাজাতে দেন উফফফ কি না কিউট লাগছে
লাল লিপস্টিক আর মেকাপ দিয়ে সাজিয়ে দেয় আব ছেলেদের 😂ইসস দেখার মত
তিথি তো তার চোখ থেকে হালকা কাজল নিয়ে আবিরের ঘাড়ের পিছনে লাগিয়ে বলে
তিথিঃ ইসস কারো নজর যেন না পড়ে,,,
ছেলেরা কথা মত নাগিন গানে ডান্স করে ইসসস যা লাগছিলো ওদের হাহাহা,,,মেয়েরা তো হাসতে হাসতে নিচে শুয়ে যাওয়ার অবস্থা হাহা,,,,,,
নাচ শেষে ছেলেরা হাফিয়ে নিচে বসে তিথি বলে উঠে
তিথিঃ এইবার সব ছেলেরা উফফস কিছু বুড়োও আছে আই মিন সবাই এখন র্যাম্প ওয়াক করবে স্টেজে
আবিরঃ কিইইইইইই
তিথিঃ জ্বিইইইইইইইই
সবাই তো করতালি দিয়ে বলে ইয়াহুউউউউ
বেচারাদের প্রথমে নাচিয়ে তিথি তাদের হাল বেহাল করছে এখন নাকি তাদের র্যাম্প ওয়াক করতে হবে😂গেট রেডি ছেলেরা মজা আর মজা নাও মেয়েরা,,,
চলবে,,,,,,