বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 52

আবিরঃ হইছে ম্যাডাম যে গান গাইবে আর আজ থাকা হবে না,,এই পাগল মেয়ে সব সময় বকবক করেই যাবে,,
তিথি আর বাকি সবাই গাড়িতে উঠে বসে,,,তিথি তো মহা খুশি,,আবিরের পাশে বসে বসে বাহিরের প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখছে,,আবির যে তার সাথে কথা বলছে অই দিকে খেয়াল পর্যন্ত নাই তার,,,
আমানঃ ড্রাইভার ভাইয়া অই সামনে কিছু লোক দেখছেন যে লোক গুলো ওদের সামনে গাড়ি থামাবেন,,,আমাদের লোক ওরা
ড্রাইভারঃ ওকে আমান বাবা,,
রিশাব ও তার পরিবার এর সবাই দাঁড়িয়ে আছে,,,গাড়ি ওদের সামনে থামে,,আমান ও আবির গিয়ে ওদের জিনিস গুলো গাড়িতে তুলে, সবাই গাড়িতে উঠে,,রিতুর ভাবি রিতুকে জড়িয়ে ধরে,,,সবাই গাড়িতে বসে,,,তিথি চকলেট খেতে ব্যস্ত,,,
রিতুর ভাবিঃ কিরে তিথি তুমি যে চকলেট বাচ্চাদের মত খাচ্ছো?
তিথিঃ আমি তো বাচ্চাই,,,
রিতুর ভাবিঃ কেন অই দিন তো বাচ্চার মা হতে চাইলে তাহলে বাচ্চা কি ভাবে হলে হুম
সবাই হেসে দেয়,,,আবির এসে তিথির হাত থেকে চকলেট কেড়ে নিয়ে বলে
আবিরঃ বাচ্চা মানুষ চকলেট খায় না,,বাচ্চারা চকলেট খেলে দাঁতে পোকা হবে
তিথি তো রেগে শেষ,,আবির মনে মনে হাসি পায়, তিথির গাল ফুলানো দেখে,,,,আবির তিথির পাশে এসে বসে তিথি আবিরের পেটে চেমটি দিয়ে বলে
তিথিঃ রাক্ষস একটা হু
আবিরঃ আউচ তাই বলে এতো জোরে চিমটি দিবা
তিথিঃ কামড় দেওয়া উচিত ছিলো হুম
আবিরঃ রাক্ষসী যে জানি তো,,নিজের জামাই এর মাংস খাবা
তিথিঃ হইছে ভালো জানলে হুহু
আবির তিথির কান্ড দেখে আসে,,
কিছু ক্ষন পর তারা বড় বাড়িতে আসে যেখানের পরিবেশটা মুগ্ধ করা মত যথেষ্ট,,,এতো সুন্দর বাগান যেখানে নানা রকম ফুল,,,সবাই বাড়ির ভিতরে গিয়ে তো আরো অবাক বাড়ির সব জিনিস পত্র গুলো এতো সুন্দর মনে হচ্ছে কোনো প্রাসাদ রাজা বাদশার,,
বড় বাবাঃ সবাই যার যার রুমে যাও এর নাম রহিম সে তোমাদের রুম দেখিয়ে দিবে,,
তিথি আবিরের সাথে যেতে লাগে তখন বড় মা ডাক দিয়ে বলে
বড় মাঃ তিথি আর রিতু আমার সাথে থাকবে বিয়ের আগ পর্যন্ত আর আবির আমান এক সাথে
আবিরঃ ওয়াট
আমানঃ এই সব কি মা?
বড় মাঃ বিয়ে হওয়ার আগে এমন হবে বুজলি,,,আর চুপচাপ তাই করবে যা বলা হবে
আবিরঃ বড় মা আম সরি আমি মানতে পারবো না
মাঃ ভাবি ওদের তো বিয়ে হইছে তাহলে এই সব
বড় মাঃ তুই ওদের পক্ষ কেন নিচ্ছিস বিয়ে টা আমাদের মত হতে দিলে কি হয় হ্যাঁ,,,কয়দিনের তো ব্যাপার
আবির কিছু বলতে যাবে তিথি বলে উঠে
তিথিঃ বড় মা আমি রাজি,,,আর বড় মা আমাকে কিন্তু ভুঁতের কাহিনী শুনাইতে হবে
বড় মাঃ কি মেয়েরে বাবা ভুঁতের গল্প শুনানোর শর্ত দেয়,,
আবির রাগী লুক দিয়ে নিজের রুমে চলে যায়,,,মেজাজ এতো খারাপ যে তিথিকে আছাড় মারতে তার ইচ্ছে করছে,,,,আমানের ও মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়,,,
রিতুঃ তিথি চল আমরা ও রেস্ট নেই,,,
সবাই যার যার মত রুমে তিথি রুমে গিয়ে ভাবতে থাকে আবির কি রেগে আছে কি না,,,রিতু তিথির কাছে এসে জিজ্ঞেস করে
রিতুঃ কিরে কি ভাবিস?
তিথিঃ কিছু না,,,,
রিতুঃ সত্যি তো?
তিথিঃ আসলে আবির অই সময় যে ভাবে গেছে তাই
রিতুঃ একটু পরে গিয়ে সরি বলিস দেখবি ঠিক রাগ কমে যাবে,,,
তিথির মন যেন মানছে না,,সে অনেক ক্ষন চেস্টা করে আবিরের সাথে দেখা করতে কিন্তু পারছে না বড় মা বারবার তাকে কিছু না কিছু বলে আটকায়,,,,বিকালে একটা ডিজাইনার আসে তিথির রিতুর মাফ নেয় লেহেঙ্গা এর জন্য,,,,পুরো বিয়ের অনুষ্ঠানের কাপড় এর লিস্ট করে কখন কি পড়বে সব,,আবির গাল ফুলিয়ে বসে আছে,,,তিথির দিকে তাকাচ্ছে ও না,,,,বিয়ের আওয়াজ এর অপেক্ষায় যেন সবাই ব্যস্ত,,
বড় বাবাঃ কাল থেকে গেস্ট আসা শুরু হবে,,, আর কাল তোমাদের চার জনের এনগেজমেন্টটা হবে তার পরের দিন মেহদী অনুষ্ঠান তারপর এর দিন হলুদ আর তারপরের দিন কাবিন আর বিয়ের অনুষ্ঠান
সবাই তো অনেক খুশি এতো আনন্দ হচ্ছে সবার ফাইনালি তারা তাদের ছেলেদের বিয়ে নিজেদের মত দিতে পারবে,,,
তিথি বারবার আবিরের পাশে গিয়ে বসে আর আবির উঠে অন্য পাশে যায়,,তিথি আইসক্রিম একটা আবিরের সামনে এনে বলে
তিথিঃ আইসক্রিম তুই এতো মিষ্টি কেন যখনই রাগিস উফফফ ইচ্ছে করে খেয়ে ফেলতে
আবির তিথির দিকে আড় চোখে তাকায় আর ভাবে এই মেয়ে তাকে বলছে আইসক্রিম
তিথিঃ উফফ এই চাহানি আমি তো ফিদা
মামানি পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শুনে বলে
মামানিঃ তুই কিসে ফিদা তিথি?
তিথিঃ কই না তো মামানি অই যে আমি আর কি আইসক্রিম হিহি
আবির উঠে চলে যায়,,,তিথির মন ছোট হয়ে যায় এই ভেবে যে আবির তার সাথে সুন্দর করে কথা পর্যন্ত বলে নাই,,,আবির তার দিকে ঠিক করে তাকায়ও নাই,,,,
সবাই ডিনার করতে বসে হাসি মজা সব হয় আবির গাল ফুলিয়ে বসে আছে তিথি আবিরকে মানানোর চেস্টা করছে আবির কিছুতে মানছে না,,,আবির ডিনার করে নিজের রুমে চলে যায়,,,সবাই শুয়ে পড়ে শুধু তিথি ছাড়া,,,
আবিরের বুক ছাড়া যে তার কিছুতেই ঘুম আসে না,,,আর এইদিকে আবির ও ঘুমাতে পারছে না তিথি যে তার বুকে ঘুমায় তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়,,,,আবির আর রাগ করে থাকতে পারছে না চলে যায় বড় মায়ের রুমে আর অইখানে আস্তে আস্তে গিয়ে দেখে তিথি শুয়ে আছে,,,
আবিরঃ( বাহা মহারানী তো দেখি শান্তিতে ঘুমায় দেখাছি মজা)
আবির চুপিচুপি গিয়ে তিথির পাশে বসে মুখে হাত দিয়ে ডাকে,,চোখ খুলে আবিরকে দেখে চিৎকার দিবে আবির মুখ আরো জোরে চেপে ধরে চুপ থাকতে বলে
আবির; ইশশ
আবির তিথিকে নিয়ে আসে নিজের রুমে,,,রুমের দরজা লাগিয়ে দিয়ে বলে
আবিরঃ তোমার সাহস হয় কি করে আমাকে ছাড়া ঘুমাতে হ্যাঁ
তিথিঃ বড় মা(কান্না করে দেয় আবিরের চোখ রাগানো দেখে)
আবিরঃ কষে চড় দিবো এখন কান্না করলে দেখেছে রেগে ছিলাম কোথায় এসে আদর করে রাগ ভাঙ্গাবে তা না উনি ঘুমায় এমন এলিয়েন যে কপালে জুটছে উফফ
তিথিঃ আমি কি করছি হু
আবিরঃ চুপ আবার মুখের উপর কথা
তিথিঃ সরি
আবিরঃ সরিতে হবে না শাস্তি পেতে হবে
তিথিঃ কি শাস্তি বলেন রাজি আছি হু
আবিরঃ সিউর
তিথিঃ না মানে ইয়ে
আবিরঃ হইছে আর ইয়ে করতে হবে না এখন,,,

তিথিঃ হুহু
আবিরঃ এই দিকে আসো আমার কাছে
তিথি একটু আসে আবির টান দিয়ে বলে
আবিরঃ হাজবেন্ড এর কাছে আসতে এতো সময় এই মেয়ে উফফ
তিথিঃ আ,,মি ওই বড় মা উঠলে তখন খবর আছে
আবির তিথির কথায় পাত্তা না দিয়ে তিথির গালে চুমু দেয়,,,ঘাড়ে চুমু দিতে থাকে,,তিথির চুল গুলো সরিয়ে তিথির ঘাড়ে ডুবে যায়,,,,
তিথি আবিরের স্পর্শে হারিয়ে যায় অজানা এক শহরে যেখানে আবির আর তিথির ভালোবাসা,,,
সকালে ফজরের আজান দেয়,,আজানের সুর শুনে তিথি তাড়াতাড়ি উঠে কাপড় ঠিক করে আবিরের কপালে ডিপ ভাবে চুমু দিয়ে চলে যায় রুম থেকে,,,
বড় মায়ের রুমে গিয়ে দেখে কেউ উঠে নাই,,সে শাওয়ার নিয়ে অযু করে নেয় নামাজ আদায় করে আজ কুরআন পড়তে খুব ইচ্ছে করছে তার,,,অনেক ক্ষন কুরআন পড়ে,,তিথির মিষ্টি সুরে বড় মা উঠে দেখে তিথি কুরআন শরীফ পড়ে,,,তার যেন অনেক ভালো লাগে,,,, তিনিও এসে নামাজ আদায় করে,,,
তিথি বড় মা ওরা দুইজন বাগানে হাঁটতে যায়,,,,বাগানের এতো সুন্দর সুভাসে যেন তারা মুগ্ধ,,, অনেক ক্ষন বাগানে সময় কাটায় আর বড় মা তিথির সাথে অনেক গল্প করে,,,
অনেক সময় হয়ে যায় সবাই নাস্তা করতে বসে আবির ঘুম থেকে উঠে হাত দিয়ে অপর পাশে খুজে তিথিকে কিন্তু পায় না,,,ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে দেখে তিথি সবার সাথে কথা বলছে,,,চেহারাটা যেন কেমন উজ্জ্বল হয়ে আছে,,,,তিথির কাছে যেতে খুব ইচ্ছে করছে কিন্তু যেতে পারছে না সে,,
সারাদিন কেটে যায় সবার ব্যস্ততায় আর আমান আবির ও ব্যস্ত হয়ে যায় এতো যে তারা দুইজন রিতু তিথিকে এক পলক ও দেখে নাই,,,,,,সন্ধ্যা হয়ে আসছে সবাই রেডি হয়ে নেয়,,,আবির একটা সাদা শার্ট আর কালো কোট পড়ে,,,আমান ও সেম,,,দুই ভাইকে অনেক হ্যান্ডসাম লাগছে,,,,দুইজনে নিচে দাঁড়িয়ে আছে তাদের পরী গুলোর জন্য,,
রেশমাঃ বাবারে তোরা তো দেখি সে বউ পাগল
আমান আর আবির পিছনে তাকিয়ে দেখে রেশমা আমানের বড় বোন,,
আবিরঃ আরে আপু তুই
রেশমাঃ হইছে বউ পেয়ে যে বোন চুলে গেছিস আর প্রমাণ দিতে হবে না হু
আমানঃ আপু আম সরি দেখ কান ধরছি
তারা ভাই বোন তাদের মত কথা বলছে,,,হঠাৎ রিমান বলে
রিমানঃ মাম্মা তিথু মাম্মা
আমান আর আবির উপরে তাকিয়ে তো পুরো থতমত খেয়ে যায়,,
লাল গ্রাউন,,,চুল গুলো কাল করা চুলের এক পাশে লাল গোলাপ লাগানো দেখতে দুইজন কে মাশাল্লাহ লাগছে,,,,,,আবির তো বুকের বাম পাশে হাত দিয়ে বলে
আবিরঃ মাশাল্লাহ আমার পরীটাকে তো আজ পুরো পরী লাগছে
তিথি আবিরের দিকে তাকায় আবিরের চোখে চোখ পড়ায় কিছুটা লজ্জা পায় আবিরের নুখে যে হাসি অই হাসিতে আজ তিথি ক্রাশিত,,,আবির তিথির পাশে যেতেই লাগে তখন রেশমা বলে

রেশমাঃ পড়ে যাইস আগে আমি তো দেখি আমার ভাই গুলোর বউকে,,বাহা মাশাল্লাহ দুইজনে অনেক সুন্দর
সবাই আসে এক সাথে অনেক ফ্যামিলি পিক তুলে,,আবির তিথির অনেক কাফেল পিক তুলা হয়,,,,রিং পড়ানোর সময় হয় আমান বড় ভাই তাই তাকে আগে পড়াতে বলে আমান রিতুর হাতটি ধরে রিং পড়িয়ে দেয়,,,,,,,,হাতের করতালিতে মেতে উঠে পুরো উৎসব,,,,,,,রিতুও আমানের হাতে পড়িয়ে দেয় রিং
রিমানঃ মাম্মা অইতা কি
রিতু তাকিয়ে দেখে লাইট জ্বলে কালারিং অই টার কথা বলে রিমান,,মুচকি হেসে রিমানকে কোলে নেয় আমান,
আবির তিথির হাতটি ধরে হাঁটু ঘেড়ে বসে বসে আর সবার সামনে বলে উঠে
আবিরঃ অনেক ভালোবাসি তোতাপাখি তোমাকে অনেক বেশি,,,,আমার লাইফ পার্টনার হবে আবার একবার
সবাই তো মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে এতো সুন্দর করে যে কেউ প্রোপজ করে আবার তাও পুরো ফ্যামিলি এর সামনে,,,, তিথির মুখ দিয়ে যেন আওয়াজ বের হচ্ছে না এমন,,,,তিথি আবিরের দিকে শুধু তাকিয়ে আছে
আবিরঃ কত খানি ভালোবাসি জানি না শুধু জানি অনেক ভালোবাসি তোমায়,,,কখনো হারাতে চাই না,,,বারবার তোমায় বিয়ে করতে রাজি আছি
তিথি চুপ করে শুধু শুনছে আবিরের কথা,,
আবিরঃ আমার ভালোবাসা কি গ্রহণ করবেন মিসেস আবির রহমান
তিথি হাতটি বাড়িয়ে দেয় আবির তিথির হাতে রিংটি পড়িয়ে হাতে চুমু দেয়,,,সবাই তো করতালি দিতে ব্যস্ত,,,হালকা লাইটের আলোতে তিথির চেহারাটা অনেক মায়াবী লাগছে,,,,আবির ও উঠে তিথির সামনে হাত বাড়িয়ে দেয় তিথিও আবিরকে রিং পড়িয়ে দেয়,,
নাচ গান তো আছেই,,অনেকে কাফেল ডান্স করে আবির তিথির হাত ধরে ডান্স করতে যাবে আবিরের বাবা আসে
আবিরের বাবাঃ মে আই প্লিজ
আবির নাম ফুলিয়ে বলে
আবিরঃ বাবা তোমার বউ এইখানে উনাকে নিয়ে যাও
বাবাঃ চুপ আমি আমার মেয়েকে বলছি তোর মাকে তুই আন হুর
তিথি হাসে বাবার কান্ড দেখে,, আবির ও তার মাকে গিয়ে বলে
আবিরঃ তোমার হাজবেন্ড আমার শত্রু
মাঃ কেন কি হইছে আবার?
আবিরঃ আমি তিথির সাথে ডান্স করতে যাচ্ছিলাম বাবা এসে বলে মে আই প্লিজ হু
মাঃ আচ্ছা তাই নাকি ওকে চল আমিও দেখাই তোর বাপকে যে তোর মাও ভালো ডান্স পারে হু
আবিরঃ এই তো আমার মায়ের মত কথা
মাঃ কি বললি?
আবিরঃ আরে দূর কিছু না বলছি চলো
বাবাঃ তিথি আমার ছেলেটা তোমায় অনেক ভালোবাসে,,তোমার মাও আমিও আমরা সবাই
তিথিঃ জানি বাবা এই জন্য নিজেকে অনেক ভাগ্যবতী মনে করি,,,
বাবাঃ ভাগ্যশালি তো আমরা যে আমরা মেয়ে পেয়েছি,,,
আবির বাবার কাছে এসে বলে

আবিরঃ জনাব আপনার ওয়াইফ ডান্স করে দেখেন
বাবাঃ ওকে ডান্স করতে কে বলছে তুই তাই না
আবিরঃ হুম তো
বাবাঃ পরে দেখে নিবো তোরে এই ছেলে আমার নাকি শত্রুর কে জানে,,
বাবা তাড়াতাড়ি চলে যায় তিথি হাসতে থাকে আর জিজ্ঞেস করে
তিথিঃ কি ব্যাপার বাবা এমন ভাবে ধমক দিয়ে কেন গেলো?
আবিরঃ মা অনেক ভালো ডান্স পাড়ে আর বাবা জেলাস ফিল করে,,,একবার তো একটা পার্টিতে মাকে এক লোক প্রোপজ করে বাবা যে অই দিন ক্ষেপে যে উফফফ
তিথিঃ হাহা তাই
আবিরঃ এমন অনেক কাহিনী আছে যা শুনলে প্রচুর হাসবে
তিথিঃ বাবা অনেক লাভ করে মাকে তাই না
আবিরঃ হুম অনেক ছোট থেকে ওদের মধ্যে কখনো ঝগড়া দেখি নাই সব সময় ওদের ভালোবাসা কেয়ারিং দেখে বড় হইছি,,,আম্মু তো সব সময় বলতো আমার বউ নাকি আমার পছন্দ মত যাতে আমি কখনো আমার বউকে একটুও কষ্ট না দেই,,,,,,
তিথিঃ ভালোবাসি
আবিরঃ কি বললে?
তিথিঃ ভালোবাসি মিস্টার বিপজ্জনক রাক্ষস অনেক বেশি ভালোবাসি এই ফ্যামিলি কে আপনাকে অনেক অনেক
চলবে,,,,,,