Psycho is Back

Psycho is Back ! Season- 2 ! Part- 10

আয়নার সামনে দাড়িয়ে আছি।। এই নিয়ে পাঁচ, পাঁচ বার গলার সাইডের কাছ থেকে কাঁপা কাঁপা হাতে ওরনা শরিয়ে দেখলাম।।নাহ্ তখনের ঘটনা টা সত্য ছিল।। কারণ গলার সেই সাইডে উপরে দুটো দাঁত আর নিচের দুটো দাঁত মোট চারটি দাঁতের চিন্হ।।বরাবর তা দেখছি আর ভয়ে ঘেমে একাকার হচ্ছি।।কি হচ্ছে এসব আমার সাথে।। সারা শরীর থর থর করে কাপনী দিয়ে উঠে তখন কার কথা মনে হতেই।।দম বন্ধ হয়ে আসে।।এ কেমন অনুভুতি।। এবার ওরনাটা ফেলে দিলাম।।সাথে পরনের জামাটা খুলে ফেললাম।।আয়নায় নিজের প্রতিছবি দেখতে পাচ্ছি।।আমার ফর্সা দেহে শুধু সেই লাল দাগ টুকু ফুটে উঠেছে।।মুন্তানিছা আপির গলায় এমন দাগ অনেক বার দেখেছি।।শুনেছি একে নাকি লাভ বাইট বলে।।অথচ আমাকে যে অপ্রত্যাশিত ভাবে এই দাগটি দিয়ে গেল! তার কি নাম হওয়ার কথা?তাকে আর যাই হোক লাভ বাইট বলে না! তাহলে কি বলব? হেইট বাইট??হুহ ভাবতে পারছি না।।বিছানায় গিয়ে গা এলিয়ে দিলাম আমি।।
পরেদিন খুব ভোরে উঠে গেলাম।।নামাজ পরে নিলাম।।কেবিনেট থেকে একটি লাইট পিংক কালার ড্রেস বের করে পরে নিলাম।।যেহেতু আজ অফিসের প্রথম দিন তাই নিজেকে পরিপাটি করতে ব্যস্ত আমি।।তার উপর আমার বাসা থেকে অফিসের দূরত্ব ১ ঘন্টা।। মাঝে জ্যাম পরলে আবার লেট হয়ে যেতে হবে।।যেই ভাবা সেই কাজ ৮.৩০ এ বের হয়ে গেলাম।। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো তখন মাঝ রাস্তায় আসতেই জ্যামে আটকা পরতে হলোই তখন ঘড়িতে বাজে ৯.১৫।। আর যাই হোক আর ১৫ মিনিটে কোনো ভাবেই পৌছানে সম্ভব না।।লেট হবে।।
অফিসে ঢুকতে ঢুকতে ঘড়িতে দেখে নেই। বাজে ১০.৫ মিনিট।।অফিসের যেতেই মেনেজারের কাছে ঝাড়ি ক্ষেতে হলো প্রথম দিন।।কখনো ভাবিনি এমনও দিন আমবে হুহু।।
মেনেজার বললেন,
—–আপনি এত লেট কেন মিস? জানেন স্যার একদমি পছন্দ করেন না কেউ অফিসে লেট করে আসা।।স্যার নিজেই ৫ মিনিট আগে চলে আসে অফিস আওয়ারের।।স্যারের মত পানচুয়ালিটি মানুষ পৃথিবীতে কমি আছেন।।
লোকটি প্রচুর বাড়তি কথা বলেন।।উনার কথা শুনে মনে হচ্ছেন তিনি বসে খুব ভক্ত যেভাবে তার গুনগান গাইছে তাতে মনে হচ্ছে, স্যার উনাকে টাকা দিয়ে রেখেছেন শুধু তার সুনাম করার জন্য হুহ।।
আমি মাথা নিচু করে বললাম,
—স্যার রাস্তায় জ্যাম ছিল।।
মেনেজার বললেন,
—জ্যাম তো থাকবেই।।ঢাকা শহরে যদি জ্যাম না থাকে তাহলে হবে বড়ই আশ্চর্য জনক ব্যাপার।। কথা হচ্ছে যেহেতু জানি আমরা জ্যাম পরে তো ১০ মিনিট আগে ভাগে বের হলে হতো না মিস!!
বুঝলাম বেটা কথা পেচায় বেশি তাই কিছু আর বললামি না।।
তিনি বললেন,,
—-যান তাড়াতাড়ি স্যার ওয়েট করতে আপনার জন্য।।
আমি আর কথা না বাড়িয়ে চলে গেলাম বসের কেবিনের দিক।। আর নক করলাম।।
সাথে সাথে ওপাশ থেকে ঝংকার ময় চমৎকার একটি কন্ঠ ভেসে আসলো।।
—-কামিং।।
ভিতরে ঢুকে বললাম,,
—-গুুুডডড মর্নিংংংং স্যার।।
স্যার তখন পিছনে ফিরে ছিলেন।।
আমার কথা শুনে আমার দিকে তাকালেন।যাষ্ট তার চোখ দুটা দেখ থম মেরে গেলাম।। অজানতেই মুখ ফসকে বের হয়ে গেল,,
—-ইউসুফ ভাইয়া!
এবার তিনি মুখের সামনে থেকে ফাইল সরিয়ে বললেন,,
—-হোয়াট??
আমি তার চেহারা দেখে নিজেকে সামলে নিলাম কারণ ইনি ইউসুফ নন।। নিজের মাথায় চাপর মেরে বললাম,,
—-কিছু না স্যার।।
স্যার বললেন,,
—লেট করা মানুষ গুলো আমার এক দমি পছন্দ না সো নেক্সট টাইল লেট হলে উল্টো পথে বাসায় চলে যাবেন।। আর অফিসে আসার দরকার নেই।।
আমি মিনমিন করে বললাম,,
—-সরি স্যার।।
—-প্রথম দিন যেহেতু তাই মাফ করে দিচ্ছি।।
তারপর কাকে জানি ফোন করলো,,
—-কেবিনে আসুন।।
কিছুক্ষণ পর একটি মেয়ের আগমন যার পরনে ফর্মাল ড্রেস।।
—-উনাকে কাজ বুঝিয়ে দিন।।
মেয়েটি মাথা ঝাকিয়ে আমাকে নিয়ে চলে গেল।।আমি যেতে আবার পিছনে তাকালাম।।
না শুধু চোখ দুটোই উনার মতো।।
মেয়েটির না লিনা।।আমাকে বুঝিয়ে চলে গেলেন।আমি নিজের সিটে বসে কাজ করতেসি ম।কিন্তু সেই চোখ দুটো যেন আমার চোখের সামন্য থেকে সরছেই না।।কেন?? আর মানুষের চেহরা মিলে ঠিক আসে কিন্তু চোখ ও মিলে আজ দেখলাম।।সব ভাবান্তর বাদ দিয়ে কাজে লেগে গেলাম।।
সেদিন অফিস করে বাসায় চলে আসি।।আর কিছু না ভেবে নাক ডেকে ঘুম দেই।।মাঝরাতের দিকে মনে হলো কেউ আমাকে গভীরভাবে দেখছে, কিছুক্ষণ পর কারো গরম নিশ্বাস আমার মুখে পড়তে লাগে।।ঘুমের জন্য চোখ মেলতে ইচ্ছা করছিল না তখন।। কিছুক্ষণ পর বুঝতে পরলাম কোনো নরম কিছু আমার গলায় স্পর্শ করছে।। সাথে সাথে শরীরে কেমন কাপনী দিয়ে উঠল।।না পেরে চোখ মেলে তাকালাম।। কি আশ্চর্য কেউ নেই।।মনের ভুল ভেবে কাঁথা টেনে আবার শুয়ে পরলাম।।
পরেরদিন সকালে উঠতেই লেট হেয়ে গেছে।। তাই তাড়াতাড়ি করে রেডি হচ্ছি।।নয়তো আজ আর অফিসে ঢুকতেই দিবেনা বস।।জলদি রেডি হয়ে অফিসে আসতেই কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে ধাড়াম করে নিচে পরে গেলাম সামনে তাকিয়ে দেখি..!!
to be continue…….