Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 62

রুহীর ঠোঁটে চুমু খেতে খেতে রোয়েন রুহীর গলায় চুমো দিয়ে সরে আসে রোয়েন।রুহী ঘুম ঘুম চোখে তাকায় রোয়েনের দিকে।রোয়েন রুহীর কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিয়ো সরে আসতে নিতেই রুহী রোয়েনের গলা জড়িয়ে ধরলো।রোয়েন রুহীর হাত ছাড়িয়ে পাশে শুয়ে রুহীকে ওর দিকে ফিরিয়ে নিলো।রুহী ঘুম ঘুম চোখে মুচকি হাসছে।রোয়েনের ঠোঁটের কোনে হাসি ফুঁটে উঠেছে।রুহী আলতো হাতে রোয়েনের গাল স্পর্শ করলো।রোয়েন রুহীর হাত টেনে সেখানে চুমু দিলো।তারপর রুহীর কাছে এগিয়ে এসে ওর গলায় মুখ ডুবালো।রুহী চোখ বুজে রোয়েনের স্পর্শ উপভোগ করছে।বেশকিছুক্ষন যাবৎ রুহীর গলায় কাঁধে ঠোঁট ছুঁইয়ে মাথা উঠালো রোয়েন।বৌ!!!ও বৌ!!!!আদুরে গলায় ডাকলো রোয়েন।রোয়েনের মুখে বৌ ডাকশুনে চোখ খুলে রুহী।বৌ ডাকটায় আলাদা এক অন্যরকম শিহরন বয়ে যায় রুহীর শরীর মন জুড়ে।রোয়েনের দিকে তাকায় রুহী।আবার ডাকো ছলছলে চোখে বলে উঠে রুহী।বৌ!!আমার বৌ!!!!বলেই হালকা হাসলো রোয়েন।রুহীর চোখের কোনা বেয়ে একফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো।রোয়েন রুহীর গালে ঠোঁট দিয়ে রুহীর অশ্রু গুলো শুষে নিলো।রোয়েন রুহী একেঅপরকে অপলক দৃষ্টিতে দেখছে।রুহীর চোখে রোয়েনের নিজের সুন্দর ভালোবাসায় ভরা ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছে।আর রোয়েন যেন নিজের চোখজোড়া দিয়ে রুহীকে আদর করছে।ভাবতে ভাবতেই রুহী দুই হাতে মুখ ঢেকে নিলো।রুহীর হাত ধরলো রোয়েন।কি হলো ওভাবে মুখ ঢেকে নিলে যে?কি দেখলে যে অতো লজ্জা পাচ্ছো।
রুহী মুখ ঢেকেই বলল জানিনা তোমাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভীষন লজ্জা হচ্ছে।রোয়েন মুখ বাড়িয়ে রুহীর হাতের ওপর চুমু দিয়ে রুহীকে বুকে টেনে নিলো।রুহী ও রোয়েনকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে গেলো।
,
,
,
,
,
পরদিন সকাল রুহী আর নিজের জন্য নাস্তা বানিয়ে নিলো রোয়েন।ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এলো রুহী।ভিজা চুলগুলো তোয়ালের মাঝে নিয়ে আলতো হাতে ঘষে ঘষে মুছে নিচ্ছে রুহী।চুল মুছে ভার্সিটির জন্য তৈরি হয়ে নিলো ও।হঠাৎ রুমে নাস্তার ট্রে নিয়ে ঢুকে পড়লো রোয়েন।নাস্তা দেখে ভীষন অবাক হলো রুহী।এতো নাস্তা কখন বানালে?জিজ্ঞেস করে উঠে রুহী।এই তো যখন গোসল করছিলে তখন।বলে উঠলো রোয়েন।রুহী চুল বেঁধে খাটে বসতে যাবে তখনই রোয়েন ওর হাত টেনে নিজের কোলে বসিয়ে দিলো। রুহী কিছু বলার আগেই ওর মুখে স্যান্ডউইচ ঢুকিয়ে দিলো।নাস্তা সেড়ে রুহীকে নিয়ে ওর ভার্সিটির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো রোয়েন।রুহীকে ভার্সিটিতে পৌছে।দিয়ে নিজের ভার্সিটিতে চলে যায় রোয়েন।এখানে ছয়মাসের একটা ট্রেইনিং নিবে রোয়েন।
ট্রেইনিং শেষ হতেই গাড়ি নিয়ে রুহীর ভার্সিটির দিকে বেরিয়ে পড়লো রোয়েন।ফোন হাতে নিয়ে ঢাকায় থাকা ওর এক লোক কে কল দিলো রোয়েন।ছেলেটার নাম রায়িদ।রায়িদ পেশায় ইঞ্জিনিয়ার।খুব ইন্টিলিজেন্ট রায়িদ।
ফোন রিসিভ হতেই অপর পাশ থেকে রায়িদ কথা বলে উঠলো।
হ্যালো স্যার ভালো আছেন?
হুম।তোমার কি খবর রায়িদ?জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
এই তো স্যার আছি আপনাদের দোয়ায়।
আন্টি কেমন আছে?জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
এই তো স্যার ভালো।আপনি যে কতো বড় উপকার করলেন আম্মুকে হাসপাতালে এডমিট করিয়ে।নাহলে কোন হাসপাতালই ভর্তি নিতে চাচ্ছিলো না আম্মুকে।
রায়িদরা বেশ গরীব।ওর মা প্যারালাইজড ৬বছর যাবৎ।রোয়েনের দলে আসার পর রায়িদ ম্যাট্রিক পাস করেছিলো কিন্তু কলেজে ভর্তি হওয়ার টাকা ছিলো না ওর।রোয়েন আর্থিক সাহায্য করে রায়িদকে এ পর্যায়ে এনেছে।থেকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে গেছে রোয়েন।সেদিন রায়িদের ঘরে গিয়ে ওর মাকে দেখে ভীষন খারাপ লাগে রোয়েনের।তারপর থেকে মায়ের সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলো রোয়েন।
আচ্ছা রায়িদ তোমাকে একটা ভিডিও পাঠাবো।সেটা চেক করে বলো নকল না আসল?বলে উঠলো রোয়েন।
আচ্ছা স্যার পাঠান।চেক করে জানাচ্ছি।বলে উঠলো রায়িদ।
রোয়েন ভিডিও টা রায়িদের ফোনে পাঠিয়ে দিলো।কিছুক্ষন পর রায়িদ কল দিলো।স্যার ভিডিও টা কেমন যেন।দুইদিনপর জানাচ্ছি আপনাকে। বলে উঠলো রায়িদ।
,
,
,
,
আচ্ছা রায়িদ।তবে যা করো প্লিজ কেয়ার ফুলি।বলে উঠলো রোয়েন।ওকে স্যার চিন্তা করবেননা।বলে উঠলো রায়িদ।রোয়েন ফোন রেখে দিলো।রুহীর ভার্সিটির সামনে এসে গেছে রোয়েন।রোয়েনের গাড়ি দেখেই রুহী দৌড়ে গাড়ির কাছে চলে এলো।রোয়েন পাশের দরজা টা খুলে দিলো।রুহী ভিতরে ঢুকে বসলো।আজ সারাদিন কেমন গেলো রুহী?জিজ্ঞেস করে উঠলো রোয়েন।
ভালো গেছে।তোমার?(রুহী)আমার ও ভালো গেছে বলে উঠলো রোয়েন।বাসায় ফিরে এলো ওরা।
রাতের খাবার সেড়ে রুমে চলে এলো রোয়েন আর রুহী।রুপন্তী বারবার ভিডিও কল দিয়েই যাচ্ছে।রুহী ল্যাপটপে রুপন্তীকে ভিডিও কল দিলো।
রোয়েন আর রুহী রুপন্তী আর রেহানের সাথে কথা বলছে।কথার এক পর্যায়ে রুহী বলল তোমরা অফিশিয়ালি এ্যাংগেজমেন্ট করে নাও।
ভাবি এটা কি বললা?ইম্পসিবল তুমি আর ভাইয়া নাই। আর আমরা আকদ করবো?কেন?তোমরা আসবা তারপর সব হবে।একনাগাড়ে বলে গেলো রেহান।
আচ্ছা শুনো দুইমাস পর আমাদের একমাসের একটা হলিডে আছে।রোয়েনের ও আছে তখন।আমরা দেশে আসবো একমাসের জন্য।বলে উঠলো রুহী।
ওকে ডান।তোমরা যখন আসবা তখনই আকদ করবো আমরা।বলে উঠলো রেহান।
আচ্ছা ভাইয়া তোমার মেরিড লাইফ কেমন যাচ্ছে?মানে একটু বললে সহজ হতো বিষয় টা আমতা আমতা করে বলল রেহান।
রোয়েন রাগী চোখে রেহানের দিকে তাকাতেই রেহান চুপসে গেলো।
রুহীর দিকে একনজর তাকিয়ে রোয়েন বলল ইটস রিয়েলি সুইট মোমেন্ট অফ মাই লাইফ।রুহী খানিকটা লজ্জা পেয়ে রুপন্তীর সাথে কথায় ব্যাস্ত হয়ে পড়লো।
,
,
,
,
,
সে রাতটা স্বাভাবিক রাতের মতোই পার হয়ে যায়।সাজিদ রায়হান রোয়েনের বাংলাদেশের নম্বরে কল করতে গিয়ে ফোন বন্ধ পায়।রোয়েনকে খুব ভালো বন্ধু মেনে বসে আছেন সাজিদ রায়হান।
রোয়েনের নম্বর বন্ধ পেয়ে অস্থির প্রায় ওনি।ওনার লোকজন বেশ অবাক।সাজিদ রায়হান কখনোই কারোর জন্য এতো টা ব্যাস্ত হননি যতোটা হচ্ছেন সেদিন কার আসা অপরিচিত ছেলেটার জন্য।রোয়েন আর রুহীর সময় গুলো মিষ্টি উষ্ম ভালবাসায় কেঁটে যেতে থাকে।আর রুপন্তী রেহান তাদের দুষ্টু মিষ্টি ভালবাসায় সময় গুলো পার করতে থাকে।দুইদিন পর রোয়েনের ফোনে রায়িদের কল আসে।
রায়িদের সাথে কথা বলে রোয়েন জানতে পারে ভিডিও টা নকল ছিলো।আরেকটা মেয়ের মুখে রুহীর চেহারা লাগানো হয়েছে।আর সেই মেয়েটা আর কেউ না রুহীর ঘনিষ্ঠ এক বান্ধুবী মিতালী মাহবুব।
সেটা রোয়েন জানতে পারলো নিজেরই এক লোকের কাছ থেকে। মিতালী রুহীর ইন্টারের বান্ধুবী।ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর ওরা আলাদা হয়ে যায়।রুহীর পাশে আধশোয়া হয়ে আছে রোয়েন।কথাটা কি করে তুলবে বুঝতে পারছেনা ও।স্বামীর চুপ থাকাটা ভালো লাগছেনা রুহীর।রোয়েনের হাত ধরে ঝাঁকালো রুহী।কি যেন বলবে বলছিলে?জিজ্ঞেস করে উঠলো রুহী।রুহী কথাটা হলো তোমার সাথে সেই রাত কিছুই হয়নি।তোমাকে সেন্সলেস করে ফ্লোরে ফেলে রাখা হয়েছিলো।বলে উঠলো রোয়েন।তাহলে সেই ছবি সেই ভিডিও?কাঁপা গলায় প্রশ্ন করলো রুহী।অবশ্য ওর আত্মাটা শান্তি পাচ্ছে।সেখানে আরেকটা মেয়ে ছিলো।তার ফেসে তোমার ফেস লাগানো হয়েছিলো।তারপর সকালে তারা তোমাকে খাটেশুইয়ে দেয়।বলে উঠলো রোয়েন।একটা মেয়ে হয়ে আরেক মেয়ের সাথে কি করে এমন করতে পারলো?ভাবতে থাকে রুহী।তা মেয়েটি কে জানো রোয়েন?জিজ্ঞেস করে উঠলো রুহী।
মাথা ঝাঁকায় রোয়েন।হুম জানি সে মিতালী মাহবুব।বলে উঠলো রোয়েন।কি?মিতালী মাহবুব?অবাক হয়ে যায় রুহী।হুম। বলে উঠলো রোয়েন।রুহী রোয়েনকে জড়িয়ে কাঁদতে লাগলো। ওর বেস্টফ্রেন্ড ছিলো মিতালী।তাহলে কি করে পারলো মিতালী?
|
|
|
|
|
চলবে