Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 61

সেদিনের পর থেকে রুপন্তী কথাই বলছেনা রেহানের সাথে।মেয়েটা রেহান সামনে আসলেই সেখান থেকে সরে যায়।মারিয়াকে দেখার পর থেকে রুপন্তীর। মনটা ভীষন খারাপ হয়ে আছে।ঐ মেয়েটা ও কেমন সবার সামনে ওনাকে চুমু দিলো আর উনি ও নিয়ে নিলো হাসি মুখে?ছিহ!!!!!আমার ভেবেই ঘিন্না লাগছে।চোখের পানি মুছে বিড়বিড় করে বলতে থাকে রুপন্তী।হঠাৎ কোমড়ে কারোর ছোঁয়ায়ন রুপন্তী পিছন ফিরে।রেহান রুপন্তীর কোমড় থেকে সরে যাওয়া কাপড় ঠিক করে দিলো।রুপন্তী দ্রুত উঠে বসলো।গায়ে উড়না জড়িয়ে নিলো ভালো করে।আপনি এখানে কেন বেরিয়ে যান?চিৎকার করে বলল রুপন্তী।
দেখো রুপন্তী।তুমি যা ভাবছো তেমন কিছু না।বলে উঠলো রেহান।
আমার ভাবা দিয়ে আপনার কি?বেরিয়ে যান।চিৎকার করে বলল রুপন্তী।
দেখো রুপন্তী বুঝার ট্রাই করো।ওর সাথে আমার তেমন কিছু নেই।প্রমিজ!!!বলে উঠলো রেহান।
আমার কিছু বুঝা লাগবেনা।আপনার মারিয়া চলে এসেছে।মারিয়াকে তো আপনার অনেক পছন্দ।তার লিপস তার আইজ অনেক সুন্দর না?যান তার কাছে যান।চিৎকার করে বলল রুপন্তী।
রুপন্তী প্লিজ এমন করোনা।আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি।মারিয়া টারিয়া আসবেনা আমাদের মাঝে।
বলে উঠলো রেহান।
রুপন্তী মাথা ঘুরিয়ে নিলো।বিরক্ত লাগছে ওর।
রেহান এসে রুপন্তীর পাশে বসলো।এই বুড়ি প্লিজ আমার দিকে তাকাও।রুপম্তীর গালে আলতো করে ছুঁয়ে বলল রেহান।রুপন্তী রেহানের হাত ঝাড়ি মেরে সরিয়ে দিলো।
রেহান এবার রুপন্তীর গাল দুটো ধরে ইচ্ছে মতো টানতে লাগলো।রুপন্তী রেহানের হাত ছাড়াতে চেষ্টা করছে।কিন্তু রেহান হেসে ওর গাল দুটো টেনেই চলছে। এবার রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে কেঁদেই দিলো রুপন্তী।রুপন্তীকে কাঁদতে দেখে রেহান ওর গাল ছেড়ে দিলো।তারপর রুপন্তীর গাল আলতো করে ধরে ওর ঠোঁটের ভাজে রুপন্তীর ঠোঁটজোড়া নিয়ে নিলো।
রুপন্তীর চোখজোড়া বেয়ে টপটপ করে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।কিন্তু অবাক চোখে রেহানকে দেখছে রুপন্তী।
রেহান বেশ কিছুক্ষন পরে রুপন্তীকে ছেড়ে সরে এলো। রুপন্তী আমি অস্ট্রিয়ায় বড় হয়েছি।ঐখানকার কালচার এখানকার সাথে মিলেনা।সেখানে আমার অনেকগুলো গার্লফ্রেন্ড ছিলো।মারিয়া ওদের মধ্যে একজন।তবে ওদের জন্য আমার এট্রাকশন কাজ করতো তবে এখন শুধু তোমাকে আমি ভালোবাসি আর কাউকে না।রুপন্তী মাথা নিচু করলো।
সরি আমি না বুঝে এতো কিছু বলে ফেললাম।মন খারাপ করে বলল রুপন্তী।
,
,
,
,
,
সরি বলার কিছু নেই।যা করেছো সেটা স্বাভাবিক।সম্পর্কে একটু রাগ অভিমান না থাকলে সে সম্পর্কে মজা পাওয়া যায়না।রুপন্তী মুচকি হেসে রেহান কে জড়িয়ে ধরলো।রুহী রুমে চলে এলো।কিছুক্ষন পর রোয়েন ফিরে এলো।রোয়েনকে দেখে রুহী ওর কাছে চলে আসে।রোয়েন আমার ভীষন খুশি লাগছে আজ বিয়ে হলো আমাদের।আমরা এক হলাম।রোয়েনকে জড়িয়ে ধরে বলছিলো রুহী।রোয়েনের কোন সাড়া না পেয়ে রুহী মাথা উঠালো।একদৃষ্টে সামনে তাকিয়ে আছে রোয়েন।কি হলো কথা বলছো না কেন?রোয়েনের দুগালে হাত রাখলো রুহী।প্লিজ কথা বলো।রোয়েন রুহীর হাতজোড়া নিজের গাল থেকে সরালো।তোমাকে ভীষন ভালোবাসি আর তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবোনা বলে বিয়ে করেছি।কিন্তু তুমি আমাকে অবিশ্বাস করেছো অপমান করেছো একটাবার ও জানতে চাওনি আমার এমন ব্যাবহারের পিছনের কারন কি।আমি ভীষন অপমানিত বোধ করেছি রুহী।আমার সময় দরকার।কথা গুলো অভিমানী গলায় বলে রুহীকে সরিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো রোয়েন।রোয়েনের যাওয়ার দিকে চেয়ে আছে রুহী।ওর চোখের কোনা বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগলো।
এভাবে আরো কিছুদিন চলে গেলো।রোয়েন রুহীর সাথো তেমন কথা বলোনা।বিয়ের পর থেকে রুহী কে সেই লোক কল দিয়ে মেসেজ করে সেই রাতের কিছু ছবি পাঠিয়ে বিরক্ত করা বেড়েই চলছিলো।
এই তো সেদিন রাতে রুহী শুয়ে রোয়েনের দিকে পলকহীন ভাবে চেয়েছিলো।হঠাৎ ওর ঘোর কাটে মেসেজের রিংটোনে।রুহী ফোন হাতে নিয়ে দেখলো লোকটার নম্বর থেকে অডিও ক্লিপ এসেছে।রুহী কানে হেডফোন দিয়ে শুনতে লাগলো।
কেউ একজন বলে উঠলো।অনেক মানা করেছিলাম বিয়ে না করতে। তারপর ও করেছিস।এখন আমি এই ছবি আর ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দিবো।তখন সবাই তোর ওপর থুথু ফেলবে।যদি এমন না চাস জলদি তোর বরকে ডিভোর্স দে।রুহীর ভয় দ্বিগুন বেড়ে গেলো লোকটার কথায়।সারারাত বুকের ধুকপুকানি নিয়ে পাড় করে দিলো রুহী।সকালে রোয়েন আর রুহী একসাথে নাস্তা করছিলো।রোয়েনের দিকে একনজর তাকায় রুহী তারপর মুখ খুলল।রোয়েন ঐ ল লো,,,,,,,,,কথা শুনার আগেই রোয়েন টেবিল ছেড়ে উঠে চলে গেলো বাহিরে।রুহী নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলোনা।চিৎকার করে কেঁদে দিলো।
রোয়েনকে যতোবারই মেসেজ আর ছবির কথা বলতে যেতো রুহী রোয়েন ওর সামনে থেকে চলে যেতো।রুহীর যেন নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিলো।এত মেসেজ ছবি ভিডিও গুলো আর নিতে পারছিলো না ও।রেহান ঠিক করলো রুপন্তী কে নিয়ে বাহিরে ডিনার করবে।প্ল্যান মোতাবেক সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো ওরা Green lounge রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে।ডিনার শেষে রুপন্তীর হাত ধরে নিচে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো রেহান।
Will you marry me Rup???বলে উঠলো রেহান।
রুপন্তীর মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো।সারা মুখজুড়ে ফুঁটে উঠলো বিশ্বজয় করা হাসি।Yes i will.বলে উঠলো রুপন্তী।
,
,
,
,
রেহান রুপতীর আঙ্গুলে আংটি পরিয়ে দিলো।রেহান দাঁড়াতেই রুপন্তী ওকে জড়িয়ে ধরলো।থ্যাংকস এই দিনটার জন্য।রেহান রুহীর কোমড় জড়িয়ে ধরে থাকলো।রুপন্তী ঘরে ফিরে রুহীকে কল দিলো।চোখজোড়া মুছে ফোন হাতে নিলো রুহী।রুপন্তী ভিডিও কল দিচ্ছে।রুহী ফোন রিসিভ করলো।সামনে রেহান আর রুপন্তী বসে আছে।
আপি কেমন আছিস?জিজ্ঞেস করলো রুপন্তী।হুম ভালো।তোরা কেমন আছিস?জিজ্ঞেস করলো রুহী।এই তো ভালো আপি।বলে উঠলো রুপন্তী।আপি জানি আজ ওনি প্রপোজ করেছে আমাকে বিয়ের জন্য।বলে উঠলো রুপন্তী।
মুখে হাসি ফুঁটে উঠলো রুহী ভেরি গুড নিউজ।আপি দেখ আংটি।আঙ্গুলের আংটিটি দেখিয়ে বলে রুপন্তী।অনেক সুন্দর।বলে উঠলো রুহী।
রুপ জানো এই প্ল্যানটা কার ছিলো?বলে উঠলো রেহান।
রুপন্তী রেহানের দিকে তাকালো।কার ছিলো(রুপন্তী)?
রেহান হেসে রুহীর দিকে তাকালো,ভাবির প্ল্যান ছিলো।ওয়াও আপি থ্যাংক ইউ বলে উঠলো রুপন্তী।বোনের জন্য এতোটুকু করতে পারবো না রে?বলে উঠলো রুহী।না আপি অবশ্যই পারবি।আপি তোর কি কিছু হয়েছে?চেহারা দেখে মনে হচ্ছে মন ভালো নেই তোর।
নারে আমি ঠিক আছি।তোরা কথা বল আমি একটু ঘুমোবো।বলে উঠলো রুহী।রুপন্তী ফোন কাঁটতেই রুহী দেখলো লোকটা খুব বাজে ছবি পাঠিয়ে রেখেছে।সহ্য করতে না পেরে কাঁদতে লাগলো রুহী।
একসময় কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে যায় রুহী।
রাত ১১র্টায় রোয়েন ফিরে এসে ঘুমন্ত রুহীকে দেখতে পায়।ওর চোখের পানিতে বালিশ ভিজে আছে।চোখের কোনে পানি জমে আছে।তারপর রুহীর থেকে চোখ সরিয়ে ওর ফোনের দিকে তাকায় রোয়েন।সেখানে মেসেজ আসতেছে বারবার। রোয়েন ফোন হাতে নিয়ে মেসেজ অপশনে গেলো।মেসেজ গুলো দেখে ভীষন রাগ হলো রোয়েনের।
রুহী!!!এই রুহী!!!ডাকতে লাগলো রোয়েন।
চোখ খুলে তাকায় রুহী।তারপর চোখ মুছে নেয় ঝটপট।এগুলো কতদিন ধরে চলছে?বলো নি কেন আমাকে? রাগী গলায় বলল রোয়েন।
আপনার তো কথা বলারই সময় হয়ে উঠেনা।কিভাবে বলবো আপনাকে?কতো বার চেষ্টা করেছি।বলে উঠলো রুহী।
রোয়েন রুহীর কপালে ঠোঁট ছুঁয়ালো। আ’ম সরি রুহী।আর কখনো হবেনা।বলে উঠলো রোয়েন।রুহী রোয়েনকে জড়িয়ে কাঁদতে লাগলো।রুহীকে জড়িয়ে ধরলো রোয়েন।এখন থেকে আর এটার জন্য কাঁদবেনা।সব ঠিক করে দিবো আমি।বলে উঠলো রোয়েন।রুহী সামনে এসে মুচকি হাসি দিলো।রোয়েন রুহীর চিবুক ধরে ওর ঠোঁটে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়াতেই কেঁপে উঠলো রুহী।একটু সরে যেতেই রোয়েন You i don’t like disturbance in romance.দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।রুহী রোয়েনের ঠোঁটে আচমকা চুমু দিয়ে বসলো।রোয়েন মুচকি হেসে রুহীর ঠোঁট জোড়ায় ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।
|
|
|
|
চলবে