Married To The Dark King- Mafia Boss- Season 3 !! Part- 30
রুহীর কলার সরিয়ে সেখানকার লাল তিলে চুমো খায় রোয়েন।রুহীর গলা থেকে সরে নিজের ঠোঁট রুহীর ঠোঁটো চেপে ধরলো।রুহী চোখ বুজে রোয়েনের ছোঁয়া উপভোগ করছে।রোয়েন আজ আর নিজের মাঝে নেই।রুহীর গেঞ্জীর ভিতর হাত ঢুকিয়ে পেটে হাত বিচরন করাচ্ছে।একমুহূর্তে রুহীর গেঞ্জী টেনে খুলার চেষ্টা করতে থাকে রোয়েন।রুহী বাঁধা দিতে পারছেনা রোয়েনকে।রুহীর গেঞ্জী খুলতে খুলতে জ্ঞান হারিয়ে রুহীর ওপর থেকে পরে গেলো রোয়েন।রুহী মাথা উঠাতে পারছেনা।প্রচন্ড ভারি হয়ে আছে।রুহীর গেঞ্জীর দুপাশ ছিড়ে গেছে রোয়েনের টানাটানিতে।
জামা পাল্টে নিলো রেহান।স্যার ডিনার রেডি।দরজার অপরপাশ থেকে বলল কাজের লোক।ওকে আমি আসছি।রুম থেকে চিৎকার করে বলল রেহান।কাজ সেড়ে রুম থেকে বেরিয়ে নিচে চলে আসে রেহান।বড় একটা বাটিতে ওর প্রিয় পাস্তা।
স্যার রুপন্তী ম্যাম বানিয়েছে।লোকটা মাথা নিচু করে বলল লোকটি।
ও কই?ডেকে আনো।একসাথে খেয়ে নিবো।বলে উঠলো রেহান।
স্যার ডেকেছিলাম।ওনি দরজা খুলছেননা।বলে উঠলো কাজের লোক।
ওহ।ওকে আমি দেখছি।রেহান উঠে প্লেটে একটুখানি পাস্তা বেড়ে নিয়ে উপরে উঠে গেলো।রুপন্তীর রুমের সামনে এসে দরজায় নক করলো রেহান।
দরজা খুলে খেয়ে নাও।বলে উঠলো রেহান।
আমার খিদে নেই।ঘুমোবো আমি।কান্না থামিয়ে বলল রুপন্তী।
একটু খেয়ে নাও।বলে উঠলো রেহান।
বললাম না খাবোনা।আপনি খেয়ে নিন।চিৎকার করে বলল রুপন্তী।
আমারই ভুল হয়েছে।এভাবে রিয়্যাক্ট করা উচিৎ হয়নি।সরি তো বলেছিলোই।আমি এভাবে ওকে কথা গুলো শুনালাম।মন খারাপ করে ভাবতে থাকে রেহান।রুমে চলে এলো রেহান।ডিনার না করেই ঘুমিয়ে পড়লো।
সকালে ঘুম ভাঙ্গতেই উঠে বসে রোয়েন।পাশে রুহীর দিকে চোখ পড়তেই সারা মুখ জুড়ে আতঙ্ক ফুঁটে উঠলো।রুহীর গেঞ্জী ছেড়া, কোন কিছুই জায়গা মতো নেই।রোয়েনের চোখ ভিজে আসে।কি করেছিলো ও?রোয়েন দুহাতে মাথা চেঁপে ধরলো।ও কি রুহীর সম্মতি ছাড়াই সব করলো?বুক ধুক করে উঠলো রোয়েনের।
ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে রুহী কে ডেকে তুলে রোয়েন।রুহী চোখ খুলে রোয়েনের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে রোয়েনের হাত জড়িয়ে আবার শুয়ে পড়লো।রোয়েনের জানতে হবে কাল কি হয়েছিলো?কিন্তু কেমন করে জানবে?রুহীর দিকে ভাবছে রোয়েন।রু রুহী কাল আমরা কখন এসেছিলাম?জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।রাত বারোটায় এখানে নিয়ে এসেছিলে আমায়।হালকা হেসে বলল রুহী।তারপর?(রোয়েন)
আমাকে অনেক গুলো ভালোবাসা দিলে।বলে উঠলো রুহী।আ’ম সরি রুহী।জানিনা কি করে ফেললাম আমি।আমার কথা ঠিক রাখতে পারলামনা।মন খারাপ করে বলল রোয়েন।বুঝতে পেরে ঠোঁটের মাঝে হাসি ফুঁটে উঠে রুহীর।উঠে বসে রোয়েনকে জড়িয়ে ধরলো ও।যা ভাবছো তার কিছুই হয়নি।তুমি জ্ঞান হারিয়েছিলে।আর যদি হতো কিছু আমার আফসোস থাকতোনা।কিছু না হওয়ার কথায় স্বস্তি পেলো রোয়েন।শেষ কথায় কিছুটা অবাক হয়ে রুহীর দিকে তাকালো রোয়েন।ঠোঁটে হাসি ফুঁটালো রুহী তারপর বলল ভালবাসি যে।পুরো বিশ্বাস আছে তোমার ওপর।রোয়েনের হৃদয় জুড়ে ভীষন ভালো লাগা কাজ করছে।মুখ বাড়িয়ে রুহীর ঠোঁটে আলতো চুমু খেলো রোয়েন।তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও।নাস্তার ব্যাবস্থা করি।রুহীর থেকে সরে এসে বিছানা ছেড়ে উঠতে উঠতে বলল রোয়েন।রোয়েন রুম থেকে বেরিয়ে যেতেই রুহী ফ্রেশ হতে চলে গেলো।তারপর দুজন নাস্তা সেড়ে বেরিয়ে পড়ে রেহানের বাসার উদ্দেশ্যে।রুপন্তীকে আজ একটা মুহূর্তের জন্য ও চোখের দেখা দেখেনি।সকালে নাস্তার টেবিলে ও আসেনি রুপন্তী।
রোয়েন আর রুহী ফিরে আসলো।রোয়েনকে ধরে বসলো রেহান।ফ্রেন্ডদের সাথে দেখা হয়েছিলো কিনা?কেমন হয়েছিলো পার্টি?আরো অনেক কিছু।রুপন্তী রুহীর সাথে গল্প করছিলো ডাইনিং টেবিলে বসে।রুপন্তী কে দেখে রেহান ডাইনিং টেবিলের দিকে এগিয়ে আসতেই রুপন্তী রুমে চলে গেলো।
এভাবেই রুপন্তী যতো পারছিলো রেহান কে এভয়েড করছিলো।রেহান নিতে পারছিলো না এতো অবহেলা।রুপন্তীর রেহানের সামনে না থাকা,রেহান যেখানে থাকে সেখানে না আসা পুরোটাই খেয়াল করছিলো রোয়েন।
একসপ্তাহ পর
রোয়েনের সামনে বসে আছে রুপন্তী।কি হয়েছে?ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো রোয়েন।
কই কি হলো?জিজ্ঞেস করলো রুপন্তী।রেহানকে এভয়েড করছো,ও যেখানে যাচ্ছে সেখানে থাকছোনা,কথা বলার চেষ্টা করছে তুমি বলছোনা।দেখো রুপন্তী এমন করলে কখনোই কিছু ঠিক হবেনা।বুঝেছো?চিৎকার করে বলল রোয়েন।
রোয়েনের চিৎকারে কেঁদে দিলো রুপন্তী।রুহী বোনের কান্না দেখে এগিয়ে এলো।এভাবে ধমকাচ্ছো কেন ওকে?রোয়েনকে জিজ্ঞেস করলো রুহী।রুহী প্লিজ তুমি জানো ওকে আমি ছোট বোন মনে করি।আর ওদের বিষয়টা ঠিক করতে চাচ্ছি আমি।প্লিজ আমাকে করতে দাও।বলে উঠলো রোয়েন।মাথা নিচু করলো রুহী।ওকে বলে বসে পড়লো রুহী।
রুপন্তী সেদিনকার পুরোটাই বলল রোয়েনকে।রোয়েন মুখ শক্ত করে রেখেছে।তুমি যাও, রেহানের সাথে কথা হবে আমার।বলে উঠলো রোয়েন।থ্যাংকস জিজু,বলে উঠে বেরিয়ে গেলো রুপন্তী।রুপন্তীর চোখ সরিয়ে রুগীর দিকে তাকালো রোয়েন।
রুহী রোয়েনের দিকে আড় চোখে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে নিজের রুমে দৌড়ে চলে গেলো।
সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরতেই কাজের লোক রেহানকে বলল গার্ডেনে রোয়েনের সাথে দেখা করতে।
রেহান রোয়েনের সামনে এসে দাঁড়ালো।ভাইয়া এখানে কেন ডাকলেন?মানে ঘরেই কথা বলতে পারতেন।বলেই জিভ কাঁটলো রেহান।
ইটস ওকে।বাট তুমি অনেক কিছু না জেনে রুপন্তীকে humiliate করেছো।জানো কি?ভ্রু কুঁচকালো রোয়েন।
কি জানি না আমি।বলা হয়নি আমায়…কথাটা শেষ করতে পারলোনা রেহান রোয়েন বলল চান্স দিয়েছো ওকে?দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।
মাথা নাড়লো রেহান।না দেইনি বলে মাথা নিচু করলো রেহান।ওর ওপর রেগে ছিলে কারন ও তোমাকে অপমান করেছিলো বাজে কথা শুনিয়েছিলো।বাট এই বাজে কথাটার পিছনের কারন কখনো জানতে চাওনি।চেয়েছো কি?জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
রেহান মাথা নাড়লো।জানার দরকার ছিলো।একটা মেয়ের জন্য তার সম্মানটা সবচেয়ে বড়।আর যখন তার সম্মানের ওপর কোন আঘাত আসে তখন তার মনের অবস্থা সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান তোমার নেই।কারন সব জোর করে পেতে চাও তুমি।শুনো রেহান জোর করে ভালবাসা হয়না কখনো।মনটাকে জয় করতে হয়।একনাগাড়ে বলল রোয়েন।
সরি ভাইয়া।বাট সম্মানের কথা বললেন।কি হয়েছিলো ওর সাথে?জিজ্ঞেস করলো রেহান।
রোয়েন সেদিনকার সব খুলে বলল।রুপন্তীর হ্যারেসমেন্ট হওয়ার কাহিনী পুরাটুকু বলল।রেহানের চলে আসার পর রুপন্তীর মনের অবস্থা সবটুকু বলল রোয়েন।
রেহান বেঞ্চের ওপর ধপ করে বসে পড়লো।এতো পাগল আমি?কতো বার বলতে চেয়েছিলো ও।জানতে চাইনি আমি?মুখে দুহাত চেপে বলল রেহান।রোয়েন রেহানের পাশে বসে ওর কাঁধে হাত রাখলো।এখনো সময় আছে রেহান।ওকে জাস্ট একটা বার সরি বলে ভালোবেসে বুকে টেনে নাও।ও সারাজীবন গোমার হয়ে থাকবে ওর হৃদয়ের পুরোটুকু দিয়ে ভালোবাসবে তোমায়।
রেহান রোয়েন কে জড়িয়ে ধরলো। থ্যাংকস ভাইয়া।লাভ ইউ ভাইয়া বলে রেহান রোয়েনের গালে চুমো খেলো।
পরদিন সকাল
রুপন্তী লাগেজ নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে এলো।রুহী আর রোয়েন রুপন্তীর কাছে এগিয়ে এলো।কই যাচ্ছিস রুপন্তি? রুহী জিজ্ঞেস করে উঠলো।বাংলাদেশ যাচ্ছি।আমার যেতে হবে আপি।
পাগল হয়ে গেলা রুপন্তী?হঠাৎ কি বলছো এসব?জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
জিজু আমাকে যেতে দিন।আমার দরকারি কাজ পড়ে গেছে।বলে উঠলো রুপন্তী।
পারবা তুমি?(রুপন্তী)
মাথা ঝাঁকালো রুপন্তী।ওকে যাও।নিচে গাড়ি আছে তোমাকে এয়ারপোর্ট নিয়ে যাবে।বলল রোয়েন।হুম।রুপন্তী বেরিয়ে পড়লো।
কি করলে এসব?ও ছোট মানুষ।কি করে যাবে ও?চিৎকার করে উঠলো রুহী।রোয়েন বাঁকা হেসে রুহীর দিকে তাকালো।