Married To The Dark King- Mafia Boss- Season 3 !! Part- 29
রুহীর কথায় কোথাও যেন পরম সস্তি পেলো রোয়েন।অশ্রুর মাঝে ও ঠোঁটের কোনে হাসি ফুঁটে উঠলো।তারপর কোন কথা বলেনি রোয়েন।রুহীর বুকে রোয়েনের মাথা ঢলে পড়লো।রুহী নিজে ও খুব শক্ত করে রোয়েনকে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে রেখেছিলো।রুপন্তীর চোখে ঘুম নেই।কিভাবে রাগ ভাঙ্গাবে রেহানের বুঝে উঠতে পারছেনা ও।শোয়া থেকে উঠে বসলো রুপন্তী।বিছানা থেকে নেমে টিপটিপ পায়ে হেঁটে রুম থেকে বেরিয়ে এলো ও।রেহানের রুমের দরজা হালকা চাপানো।সেদিকে পা বাঁড়ালো রুপন্তী।রেহানের রুমের সামনে এসে থামলো ও।রুমের লাইট অফ।দরজায় হাত ছোঁয়ালো।রুমে যাওয়াটাকি ঠিক হবে কিনা?না থাক যাবোনা ভেবেই পিছু ফিরে সামনে একটু এগিয়ে আবার ও রেহানের রুমের দিকে ফিরলো রুপন্তী।বড় একটা নিশ্বাস টেনে নিয়ে নিঃশব্দে রেহানের রুমে ঢুকে পড়লো রুপন্তী।রেহান ঘুমাচ্ছে।ওর শরীর বারবার উঠা নামা করছে।রুপন্তী রেহানের পাশে এসে দাঁড়ালো।জানালার পর্দা ভেদ করে আসা চাঁদের হালকা আলোয় রেহানের চেহারা দেখা যাচ্ছে।রুপন্তী খাটের ওপর বসে পড়লো।রেহানকে দেখে মিটিমিটি হাসছে ও।জনাব আর কতোদিন রাগ করে থাকবেন।আপনার এই রাগ যে ভাঙ্গিয়েই ছাড়বো।কথা টা বলে রেহানের গালে হাত রাখলো রুপন্তী।রেহানের গালে রুপন্তীর হাত বিচরন করছে।রেহানের গাল থেকে ওর ঠোঁটে রুপন্তীর হাত এসে থামলো।রুপন্তী বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে রেহানের ঠোঁটে পরশ বুলালো।রেহান কিছুটা কেঁপে উঠতেই রুপন্তী হাত সরিয়ে ফেললো খানিকটা ভয় পেয়ে।রেহান একসাইড থেকে সোজা হয়ে শুয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়লো।
রুপন্তী যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো।রেহানের দিকে খানিকটা ঝুঁকে ওর ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়ালো রুপন্তী।রেহান অপরপাশে ফিরে শুয়ে পড়লো।রুপন্তী উঠে দাঁড়িয়ে রেহানের রুম থেকে বেরিয়ে পড়লো।
সকালে ঘুম থেকে উঠে রোয়েন নিজেকে রুহীর বুকে নিজেকে অাবিষ্কার করলো।রোয়েন মাথা উঠিয়ে রুহীকে দেখলো।রুহীর গালে চুমু খেয়ে বিছানা ছেড়ে ওয়াশরুমের দিকে পা বাঁড়ালো রোয়েন।
রোয়েন রুহী রেহান রুপন্তী টেবিলে বসে নাস্তা খাচ্ছে।খাওয়ার মাঝে রুহী রোয়েনকে একবার দেখলো।রোয়েন রেহানের সাথে গল্প করছে।রেহানের সাথে গল্প করার মাঝেই রুহীর দিকে তাকালো রোয়েন।রুহী অবাক দৃষ্টিতে রোয়েনকে দেখছে।রোয়েন মাথা ঝাঁকিয়ে ইশারা করলো কি হয়েছে?
রুহী মাথা নাড়লো,নাহ কিছুনা।
ভাইয়া হঠাৎ অস্ট্রিয়ায় আসার কারন টা জানতে পারি?জিজ্ঞেস করে উঠলো রেহান।এক্চুয়ালি আমি মেডিকেল কলেজ অফ ভিয়েনায় পড়েছিলাম।সেখানে রিউনিয়ন আছে।আমাকে যেতে হবে সেখানে আর,,,,বলতে গিয়ে থেমে গেলো রোয়েন।মন খারাপ হয়ে গেলো রোয়েনের।রেহান রুহী রুপন্তী ভীষন অবাক হলো রোয়েনের কথায়।রোয়েন ডাক্তার।তাহলে ডাক্তারি ছেড়ে মাফিয়ায় কেন?ভাবছে ওরা।
পড়া কমপ্লিট করেননি ভাইয়া?(রেহান)
হুম।আমার রেজাল্ট ও বেরিয়েছিলো ফাইনাল ইয়ারের।তিনটা ডিপার্টমেন্ট মিলিয়ে ফাস্ট হয়েছিলাম।মন খারাপ করে বলল রোয়েন।রেহান হা হয়ে গেলো।এত ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট তাহলে মাফিয়া কেন হলেন ওনি?ভাবতে থাকে রেহান।রোয়েন টেবিল ছেড়ে উঠে রুমে চলে গেলো।রুহী রেহান রুপন্তী বসে আছে।তারমানে ভাইয়া কাল ঐ হসপিটালের দিকে সেজন্যই তাকিয়েছিলো।কারন সেখানেই ওনি পড়াশুনা করেছেন।বলে উঠলো রেহান।
রুহী কিছু না বলে রোয়েনের পিছু পিছু ওর রুমে চলে এলো।দাঁড়িয়ে শার্টের বোতাম খুলছে রোয়েন।
এভাবে চলে এলে কেন?জিজ্ঞেস করলো রুহী।
খিদে নেই।রুহী রেডি হয়ে নাও একটু শপিং এ যাবো।বলে উঠে পিছনে ফিরে গায়ের শার্টটা খোলার জন্য হাত বাঁড়ালো রোয়েন।পিঠের ওপর থেকে শার্ট যতো সরছে রুহীর বুকের ধুকপুকানি বাড়ছে।শার্টটা খুলে যেতেই সেই কিং কোব্রাটা চোখে পড়লো রুহীর।এই ট্যাটুটা ভীষন ভাবে আকর্ষিত করেছিলো রুহীকে।গায়ের শার্টটা খুলে আরেকটি শার্ট পরতে যাবে তখনই রোয়েন পিঠে কারোর ছোঁয়া পেলো।এই ট্যাটুটা অনেক আকর্ষনীয়।কেন জানি খুব ভালো লাগে আমার।রোয়েনের পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে বলল রুহী।এর মাঝে ভালো লাগার কি পেলে?জিজ্ঞেস করে উঠলো রোয়েন।জানি না তবে ভালো লাগে আর তোমার পিঠে ফুঁটে উঠেছে।বলে উঠলো রুহী।রোয়েন সামনে ফিরলো।তোমাকে একটা বানিয়ে দিবো?বাঁকা হাসলো রোয়েন।ক কোথায়?ভয় পেয়ে গেলো রুহী।রোয়েন রুহীর কানের মাঝে ফিসফিসিয়ে কি যেন বলল।রুহী লজ্জায় লাল হয়ে রোয়েন কে ধাক্কা দিয়ে সরালো।ছিহ কি যে বলোনা।আমি আসি।মাথা নিচু করে চলে যাচ্ছিলো রুহী।
শুনো রেডি দেখতে চাই ইন ফাইভ মিনিটস।পিছন থেকে বলল রোয়েন।রুহী পিছু ফিরে মুচকি হেসে বেরিয়ে গেলো।রুহীকে রোয়েন কিছু ওয়েস্টার্ন পার্টি ড্রেস কিনে দিয়েছে। সেই সাথে ম্যাচিং ছোট্ট পার্টি ব্যাগ আর কিছু কসমেটিকস কিনে বাড়ি ফিরলো ওরা।
পরদিন যথাসময়ে রুহীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো রোয়েন ওর ভার্সিটির কনভেনশন সেন্টারের উদ্দেশ্যে।রুহী সিলভার কালারের একটা গাউন পরেছে আর সাথে সিলভার কালারের ছোট্ট একটি পার্স।একদম মায়াবতী লাগছে আজ রুহীকে।রোয়েন কালো কোট প্যান্ট পরেছে।
পার্টিতে পৌছাতেই বাহির থেকে ভীষন জোরে গান বাজনা শুনতে পেলো ওরা।ইংরেজি গান চলছে ভিতরে।রুহী রোয়েনের হাতের ভিতর হাত গুঁজে দিলো।ওরা ভিতরে ঢুকতেই লাল কোট আর টুপি পরা এক লোক মাথা ঝুঁকিয়ে ওদের ওয়েলকাম জানালো।রোয়েন যেন সবাই কে চিনে ও অচেনা লাগছে।ভিতরে এগোতে লাগলো ওরা।
হঠাৎ একজন বয়স্ক লোক এলো।লোকটাকে দেখে রোয়েন আর অপেক্ষা না করে জড়িয়ে ধরলো।
Dr Charles how are you?(রোয়েন)
লোকটা রোয়েনকে জড়িয়ে ধরে আছে।ওনার চোখে পানি।হয়ত বয়সের কারনে কিছু মনে করতে পারছেননা ওনি।
I know you but can’t remember.ভ্রু কুঁচকে বলল ডাক্তার চার্লস।
Doctor I am Rogen Chowdhury.উত্তেজনায় বলে উঠলো রোয়েন।
Oh my god Royen.What a pleasant surprise my son.Where were you?রোয়েনকে জড়িয়ে ধরে বলল লোকটা।
Sir I had to get back in my country for some personal problem.মন খারাপ করে বলল রোয়েন।
It’s ok dear.Who is the cute lady?রুহীর দিকে তাকিয়ে বলল ওনি।
sir she is my Wife.কথাটা বলে রুহীর দিকে তাকালো রোয়েন।রুহী বিশ্বজয় করা হাসি দিয়ে রোয়েনের দিকে তাকালো।
ডাক্তার চার্লস রোয়েন আর রুহীকে নিয়ে অন্য প্রফেসরদের সাথে দেখা করালো।সবাই ভীষন খুশি রোয়েনকে পেয়ে।এরপর রোয়েন রুহীকে নিয়ে আরো ভিতরে যেতে লাগলো।হঠাৎ একটা কোলাহল দেখে রোয়েন রুহীকে নিয়ে সেদিকে পা বাঁড়ালো।রোয়েন এগিয়ে গিয়ে একটা লোকের কাঁধে হাত রাখলো।লোকটা পিছনে ফিরে বলল
Royen Recht???(Royen Right)
ja sunny.বলে উঠলো রোয়েন।
তারপর দুজন কোলাকুলি করলো।
রুহীর সাথে ও রোয়েনের বন্ধুরা পরিচিত হলো।সাজ্জাদ ও এসেছে তার দুই বেবি আর ওয়াইফ কে নিয়ে।তবে রোয়েনের মনযোগ রুহীর দিকে।রুহী যখন রোয়েনের ফ্রেন্ডদের সাথে কথা বলছিলো তখন রোয়েনের চোখ রুহীর দিকে।কথা না বললে ও রোয়েন রুহীকেই দেখছে।রুহীর হাত এক মুহূর্তের জন্য ও ছাড়েনি রোয়েন।বন্ধুদের সামনেই রুহীর গালে চুমো খেয়েছে অনেক।আর রুহী যেন লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যাচ্ছিলো।একপর্যায়ে কাপল ড্যান্সের পালা এলো।সবাই রোয়েন আর রুহীর নাচ দেখে মোহিত।আসলেই ওদের বন্ডিংটা বেশ জোরালো।সহজেই ভাঙ্গবেনা কেউ কেউ বলছিলো।ডিনার সেড়ে বেরিয়ে পড়লো ওরা।
রুপন্তী আজ রেহানের অনুপস্থিতিতে রেহানের প্রিয় পাস্তা তৈরি করেছে।রেহানের জন্য নিজ হাতে কেক বানিয়ে সেখানে সরি লিখলো।রুপন্তী আজ সাদা সিল্কের শাড়ী পরেছে।সাথে সাদা চুড়ি আর ঠোঁটে হালকা লাল রং এর লিপস্টিক।চুল গুলোকে পিঠের মাঝে ছেড়ে দিয়েছে।রেহানের রুম ও অপরুপ ভাবে সাজিয়েছে।রঙ্গীন কাগজে বড় করে লিখলো I am sorry.রাতের ১০টায় রেহান ফিরে এলো ঘরে। রুমে আসতেই চোখ যেন সরাতেই পারছেনা শাড়ীতে আচ্ছাদিত রুপন্তীর উপর থেকে।রুপন্তী হাতে সরি কেকটি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
কি করছো এখানে?আর এসব কি?রাগী গলায় বলল রেহান।রুপন্তী কেকটি রেখে পানির গ্লাস রেহানের হাতে দিলো।খেয়ে নিন।রেহান গ্লাসটি ছুড়ে ফেলে দিলো।
রুপন্তী কেঁপে উঠলো।সরি!!দুকানে হাত দিয়ে বলল রুপন্তী।
না করেছিলাম আমার রুমে আসতে।গেট আউট।বলেই সিগারেটের প্যাকেটটা হাতে নিতে যাবে রেহান।ঠিক তখনই রুপন্তী প্যাকেটটা রেহানের হাতে তুলে দিলো।প্লিজ কথা শুনেন।বলে উঠলো রুপন্তী।কেন আমি তো পতিতা পল্লী যাই,তোমাকে তো ভোগ করতে চেয়েছি তাইনা!আসো তোমার আপু আর তোমার জিজু বাসায় নেই। চলো ভোগ করি তোমাকে আসো জানু রুপন্তীকে ধরার চেষ্টা করতে লাগলো রেহান।রুপন্তী পিছাচ্ছে,আমি তো ক্যারেক্টার লেস ছেলে,আমার তো একটা দিয়ে হয়না তাইনা?ওহ তুমি তো আমার থার্ডক্লাশ গার্লফ্রেন্ড গুলোর মতো নও তাইনা?তাহলে তো তোমাকে অন্যাভাবে ট্রিট করতে হয় তাইনা?রুপন্তীর হাত টেনে খাটের মাঝ বরাবর ফেলল রেহান।
এটা কার বাসা?রোয়েনের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো রুহী।
আমার বাসা।বলল রোয়েন।রুহী মুগ্ধ চোখে বাসা দেখছে রোয়েনের।দৌড়ে ভিতরে ঢুকে গেলো রুহী।দেয়ালে বেশ কিছু ছবি ঝোলানো রোয়েনের।কোন কোন ছবিতে একেবারেই বাচ্চা লাগছে রোয়েনকে।তুৃ
মি না ভীষন কিউট ছিলে।জানো মাঝে মাঝে তোমাকে আর রেহান ভাইয়াকে দেখলে এক লাগে।মনে হয় হারানো ভাই তোমরা।বলে উঠলো রুহী।
রোয়েন ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে রুহীর দিকে।
বিকজ অফ ইউর আইজ।বলে উঠলো রুহী।রেহান ভাইয়ার চোখ একদম তোমার মতো খয়েরী বর্ন।রোয়েন হাসলো।চলো,রুহীর হাত ধরে বলল রোয়েন।
রেহান প্লিজ ছাড়েন।রেহান রুপন্তীর ওপর শুয়ে পড়লো।রুপন্তী রেহানকে সরাতে চেষ্টা করছে।টানা হেচড়ায় রুপন্তীর ব্লাউজের হাতা ছিড়ে যায়।রেহান উঠে দাঁড়িয়ে রুপন্তীর হাত টেনে উঠিয়ে দরজা দিয়ে বের করে দিলো।আমার মন হৃদয় থেকে সম্পূর্ন ভাবে হারিয়ে গেছো তুমি।বলেই দরজা লাগালো রেহান।রুহীকে নিয়ে নিজের রুমে এলো রোয়েন।জামাটা গায়ে ফুঁটছে।গেঞ্জী হবে তোমার?বলে উঠলো রুহী।
হুম।আলমারি খুলে রুহীর হাতে সাদা একটা গেঞ্জী ধরিয়ে দিলো রোয়েন।রুহী দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।
কিছুক্ষন পর ওয়াশরুমের দরজা হালকা খুলল রুহী।রোায়েন রুহীকে দেখার ট্রাই করলো।ভিজা চুল রুহীর দুগালে লেপ্টে আছে।রুহী ধীর পায়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়ালো।রোয়েন নিজের গায়ের শার্ট পাল্টাচ্ছিলো।রুহীকে দেখে থেমে গেলো।রুহীর কাছে এসে দাঁড়ালো রোয়েন।গেঞ্জীর হাতাটা লুজ তাই বারবার কাঁধ থেকে সরে যাচ্ছে।রোয়েন রুহীর দিকে বাঁকা হেসে ওর কাঁধে ঠোঁট ছুঁয়ালো।
রুহী চোখ খিচে বন্ধ করে রোয়েনের চুল খামচে ধরলো।
রোয়েন রুহীর কাঁধ থেকে সরে এসে রুহীকে কোলে তুলে নিলো।রুহী চোখ খুলতে ভয় পাচ্ছে।স্বপ্ন টা যদি ভেঙ্গে যায় সেই ভয়।রোয়েন রুহীকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ওর ওপর নিজের ভর ছেড়ে দিলো।আজ ড্রিংকস করেছে রোয়েন তাই নিজের ওপর কন্ট্রোল নেই ওর।
রুহীর ঠোঁটে আলতো করে কামড় বসালো রোয়েন।রুহীর বন্ধ চোখ জোড়া বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।রোয়েন যেন আজ কান্না দেখতে পাচ্ছে না রুহীর।রুহীর রসালো ঠোঁটজোড়া নিজের ঠোঁটের ভাজে নিয়ে নিলো।রুহীর পেটে হাত বুলাতে বুলাতে রোয়েন রুহীর গলায় মুখ ডুবালো।
চলবে