বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 02
তিথি আবির দুইজনে ভিজে চুপচুপ,,আবির ড্রাইভ করছে আর ভাবছে কি বলবে মাকে আর এই দিকে তিথি তো বকবক করেই যাচ্ছে,,,,
কিছুটা রাস্তায় আবিরের গাড়ির টায়ার পানচার হয়ে যায়,,,তিথি তো ভয়ে শেষ মাঝ রাস্তা হুট করে গাড়ি থেমে গেছে,,,বাহিরে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে তীব্র গতিতে বাতাস বয়ছে,,,কালো অন্ধকার রাত,,না কেউ আছে আর না কোনো যানবাহন,,,নিরব সে পরিবেশ,, ভয়ে যেন আত্না শুকিয়ে যাচ্ছে তিথির কারণ টা ছিলো তার পাশেই তো আবির আর আবির যদি কিছু করে,,,উল্টো পালটা সব ভাবছে
অনেক টা বিরক্তি নিয়ে বলে উঠে
আবিরঃ উফফফ এই সময় একটা মেকানিক পাওয়া ও সম্ভব না,,,,(এই ফাজি মেয়ের চক্করে আজ আমার এমন বেহাল অবস্থা উফফ)
তিথিঃ এখন কি করবেন?
আবিরঃ কি আর করার যা করার তাই করবো (বিরক্তি ভআব নিয়ে)
তিথিঃকিইইই আপনার মত এমন নিষ্ঠুর হনুমান লাল কাক আমি জীবনে দেখি নাই যে একটা অসহায় মেয়েকে একা পেয়ে ছি ছি
আবিরঃ হোয়াট?
তিথিঃ দেখুন একদম ইংলিশ ঝাড়বেন না আমার সামনে আমার এর্লাজি আছে এই ইংলিশে,,,
আবিরঃ কিসের সুযোগ নিবো আমি?
তিথিঃ আহারে কুচি খোকা কিছু জানে না,,আমি জানি আপনি আমাকে এখানে খুন করে রাস্তায় ফেলে চলে যাবেন,,,
আবিরঃ আপনি যে একটা পাগল সত্যি আমার আর বিন্দু মাত্র সন্দেহ নাই,,,স্টুপিড গার্ল
তিথিঃ কিইই আমি স্টুপিড??
আবিরঃ হুম তাই আর হ্যাঁ একটু আস্তা চিল্লান আপনার যে মাইক আমার কান টা যাবে তাড়াতাড়ি
তিথিঃ আপনি একটা,,,,,
আবিরঃ কি?
তিথিঃ হলুদ ইঁদুর,,,
আবির তিথির দিকে হা করে তাকিয়ে আছে আবার বলে
আবিরঃ জীবনে হলুদ ইঁদুর দেখেছেন?
তিথিঃ হ্যাঁ এই তো আমার সামনে বসা,,
আবির এইবার ক্ষেপে যায় রাগে বলে উঠে
আবিরঃ একটা থাপ্পড় মারবো যে এই ফালতু বকবক বন্ধ হয়ে যাবে,,,চুপচাপ বসে থাকুন (ধমক এর সুরে)
এতো জোরে ধমক দেয় যে তিথি ভয় পেয়ে কান্না শুরু করে দেয়,,
আবিরঃ কাঁদছেন কেন আপনি আজিব
তিথিঃ আমাকে আজ পর্যন্ত কেউ এতো জোরে ধমক দেয় নাই কেউ আমাকে ধমক দিলে কান্না পায়,,,
আবিরঃ হুম বুজছি,,চুপচাপ বসে থাকুন,,
তিথিঃ আর আপনি?
আবিরঃ কি আর আমাকে টায়ার চেঞ্চ করতে হবে,,,
তিথি আবার গভীর ভাবে ভাবতে থাকে আবির যদি কিছু করে
তিথিঃ (আচ্ছা এই কালা বজ্জাত থুক্কু সাদা বজ্জাত যদি আমাকে এখানে খুন করে ফেলে আর রাস্তায় বস্তা ভরে ফেলে দেয়,,তখন তো আমার কি হবে?? আমার তো এখনও বিয়ে হয় নাই দূর বিয়ে থেকে তো পালিয়ে আসলাম)
আবিরঃ এই যে ম্যাডাম আপনি গাড়িতে বসে থাকেন আমি টায়ার টা চেঞ্চ করে নেই,,,আর হ্যাঁ আপনার ফালতু বকবক যেন স্টপ থাকে আবার রেডিও মত চলা শুরু করিয়েন না,৷
তিথিঃ আমি একা থাকবো?
আবিরঃ কেন সঙ্গী হিসেবে কি সিংহ বা বাঘ এনে দিবো?
তিথিঃকিইই এখানে বাঘ সিংহ ও আছে?
আবিরঃ উফফ তাই বলে এতো জোরে চিৎকার দিবেন আপনি আসলে একটা মাইক
তিথিঃ আপনার কি মনে ভয় বলতে কিছু নাই?
আবিরঃ কেন?
তিথিঃ এই যে সিংহ বাঘ আছে আর ওরা যদি আমাদের খেয়ে ফেলে তখন কি হবে,,,
আবির খুব হাসি পায় তিথির কথা শুনে,,তাই ফাজলামি করে বলে উঠে
আবিরঃ হাহা আমার বাসায় আছে তো আমি ভয় পাই না ওকে
তিথিঃ (ওহ আল্লাহ আমি কই আসলাম এখন তোর কি হবে তিথি,,,,তোর এই নরম নরম মাংস হাড্ডি তো চিবিয়ে চিবিয়ে রোষ্ট বানিয়ে খাবে,,তুই কোথায় মাসুম কিউট নরম নরম হাড্ডি ওয়ালা কিউটি যদি খেয়ে ফেলে তার তোর বাচ্চা গুলো মা হারা হবে তিথি কিছু ভাব)
আবির তিথির মুখের রিএকশন দেখে বুজে তিথি ভয় পেয়েছে,,,তিথির এমন হাল দেখে তার কাছে খুব হাসি পায়,তিথি মুখটা যেভাবে বানিয়ে নেয় আর কি কি যেন ভাবছে,,,আবির পারছে না হাসি থামাতে তবুও কিছু টা হাসি থামিয়ে নেয়,,
এই দিকে আবির গাড়ি থেকে নেমে টায়ার চেঞ্চ করতে লাগে,,,তিথি গালে হাত দিয়ে দেখছে আবার চারপাশ টা ও দেখছে যদি সত্যি বাঘ সিংহ আসে অই ভয়ে,, আবির টায়ার চেঞ্চ করে নেয়,,,হাঁচি দিতে থাকে আবির এক তো আগে থেকে ভিজা আবার ভিজে শেষ,,,এই দিকে তিথি বেচারি ভাবতেই থাকে কি করবে সে অপরিচিত এক লোক তাও আবার এতো রাগী,,,
টায়ার চেঞ্চ করে আবির চারপাশে তাকিয়ে দেখে কেউ নাই নির্ভর জায়গা,,,
আবির এসে গাড়িতে বসে,,
তিথিঃ আমরা কই যাবো?
আবিরঃ চিড়িয়াখানাতে,,,
তিথিঃ কিইই
আবিরঃ মাইক টা কিছু ক্ষন অফ করেন যেখানে যাই দেখবেন,,,মাইক একটা,,,
আবির বিরক্তি ভাব নিয়ে ড্রাইভ করছে আর তিথিকে বলছে
আবিরঃ বিয়ে থেকে যে পালিয়ে আসলেন আপনার ফ্যামিলি চিন্তা করবে না,,,আপনার বাবা-মা ওরা চিন্তিত হয়তো,,,
তিথিঃ ফ্যামিলি তো সাহায্য করেছে পালাতে(ফিসফিসিয়ে)
আবিরঃ কি বুজি নাই একটু জোরে বলবেন?
তিথিঃ আপনার মত ভয়রাকে আমি বারবার বলি না,,,
আবিরঃ আর একটা বাজে বকবেন তো গাড়ি থেকে নামিয়ে চলে যাবো,,,
তিথিঃ এই না না সরি সরি মাফ করবেন আসলে আমার না মাথা ঠিক নাই সরি সরি
আবিরঃ বাদ দেন,,এখন শুনেন আমি আপনাকে আমার বাসায় নিয়ে যাচ্ছি আমার ফ্যামিলি সবাই অনেক ভালো আজ রাত অইখানে থাকবেন কাল সকালে যাতে আপনি বিদায় হন মনে রাখবেন,,যদি সকালে আপনাকে দেখি তাহলে খবর আছে বলে রাখলাম,,
তিথিঃওকে ওকে এইভাবে বলার কি আছে হু
তিথি আবিরকে ভেঙ্গচি কেটে অন্য দিকে ফিরে যায় আর ভাবে কিভাবে সে এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবে তাকে অন্তত কিছু দিন হলেও লুকিয়ে থাকতে হবে কিন্তু কই যাবে এই অচেনা শহরে যদি এই শহরে এসেছে মাত্র কয়েক মাস কিন্তু কাউকে তেমন চিনে না
তিথিঃ(মা-বাবা কেমন আছে কে জানে,,আর সামির টা ও যে কি করছে?)
তিথি চিন্তার জগতে চলে যায় এই দিকে অনেক ক্ষন পর বড় একটা গেটের ভিতরে গাড়ি প্রবেশ করে দাড়োয়ান তাড়াতাড়ি ছাতা নিয়ে আসে বলে
দাড়োয়ানঃ ছোট মালিক
আবির তিথিকে একটু জোরে বলে
আবিরঃ এই যে মিস বকবক নামেন এসে গেছি,,,
দাড়োয়ান দুইটা ছাতা আনে আবিরকে একটা দেয় আর একটা নিজের,,,আবির ছাতা খুলে তিথিকে নামতে বলে,,,বউ সাজে একটা মেয়েকে সাথে দেখে দাড়োয়ান টাশকি খায় ভাবে কি কি,,,,তিথি চারপাশ ভালো করে দেখে এক বিশাল বাড়ি যেন প্রাসাদ৷,,,আবির আর তিথি বাড়ির ভিতরে যায় দরজা খুলে দেয় তার বোন আরিশা,,,
আরিশা আবিরকে দেখে বলে
আরিশাঃ কিরে ভাইয়া এতো ভিজে গেলি কিভাবে?
আবিরঃ চুপ থাক আর তাওয়াল নিয়ে আয়,,,
আবিরের পিছন থেকে তিথি বের হয়ে আসে,,তিথিকে দেখে আরিশা তো পুরো অবাক,,,বধু সাজে দেখতে মাশাল্লাহ আর অবাক বেশি এতো রাতে আবির একটা মেয়েকে নিয়ে বাসায় আসে তাও আবার মেয়েটা বউ সাজে,,আরিশা মাথায় হাত দিয়ে বলে
আরিশাঃএই কি করলি তুই ভাইয়া,,আজ কি হবে তোর
আবিরঃ আরু চুপচাপ যা কথা না বলে
আরিশা চিৎকার করে বলে
আরিশাঃ মাম্মায়ায়ায়ায়া পাপ্পায়ায়ায়ায়ায়া দাদিমায়ায়ায়া কই আছো সবাই তাড়াতাড়ি আসো
আবিরঃ একটা থাপ্পড় লাগাবো চিল্লাস কি জন্য আজিব
আরিশাঃ তুমি যে কান্ড করে রাখছো না তা দেখবে সবাই খাড়াও
আবিরঃ মাথা ঠিক আছে নাকি সারাদিন ডান্স নিয়ে থাকিস যে তাই গেছে,৷
আরিশাঃ কার মাথা ঠিক নাই একটু পরে টের পাবে হুম,,,
তিথি হা করে তাকিয়ে আছে কি হচ্ছে বুজার চেস্টা করছে,,এই দিকে আরিশা তার মা -বাবা সবাই কে ডাকতে যায়,,
আরিশা আবিরের ছোট বোন দেখতে অনেকটা আবিরের মত লম্বা চুল দেখতে অনেক মায়াবী আর কিউট,,তিথির কাছে বেশ ভালো লাগে আরিশাকে কিউট গলুমলু যে মেয়েটা,,,চোখ গুলো বেশ মায়াবী,,, তিথি আবিরকে জিজ্ঞেস করে
তিথিঃ এই মেয়েটা কে?
আবিরঃ আমার ছোট বোন অনেক ফাজিল,,বাদ দেন আসেন
তিথিঃ লাগছে না,,,
আবিরঃ কি?
তিথিঃ না মেয়েটা খুব কিউট আপনার বোন লাগছে না আপনি হলেন হলুদ ইঁদুর আর মেয়েটা কিউটি,,
আবির রাগী লুক দেয় তিথিকে,,তিথি মুখ ভেঙ্গচি দিয়ে অন্য দিকে তাকায়,,
আবির তিথি দাঁড়িয়ে আছে,,,, কাজের লোক একটা তাওয়াল এনে দেয় দুইজনকে,,এইদিকে সিড়ি দিয়ে মা-বাবা দাদি ছোট চাচা সবাই নেমে আসে,,, সবাই এসে আবির তিথির সামনে তিথি অবাক,,,
মা তো তিথির দিকে একবার আবার আবিরের দিকে একবার তাকাচ্ছে
আবির কিছু বলতে যাবে বাবা বলে উঠে
বাবাঃএই সব এর মানে কি আবির?
আবিরঃকি সব এর মানে আব্বু
মাঃতুই শেষ মেষ বিয়ে করে বাসায় বউ নিয়ে এসেছিস তাও আবার এতো ঝড় তুফানের রাতে,,আল্লাহ এই ছেলে
আবিরঃবিয়ে? কে বিয়ে করছে?
মাঃ আমাদের বলতি আমরা অনুষ্ঠান করে আনতাম আমার বড় ছেলের বিয়ে আর এই ভাবে,,,
দাদিঃ উফফফ দাদুভাই আমাকে আগে জানাতা আমি একটু পার্লার থেকে সেজে গুজে আসতাম,,উফফ আমার সেল্ফি ও তুলা হবে না নতুন বউয়ের সাথে
বাবাঃউফফফ মা চুপ থাকো তো এখানে ও পার্লার,,এই বয়সে সাজ আর সাজ রাতে ও সাজ আর সেল্ফি,,
তিথি পুরো কাহিনী বুজে উঠতে পারছে না কিন্তু এই বুজেছে যে তারা সবাই ভাবছে যে আবির তাকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছে,,সবাই আবিরকে বকছে আবিরের কথা কেউ শুনতেই চাইছে না,,,তিথির মাথায় আসে এক বুদ্ধি আর কি শুরু করে
তিথি কান্না করে দেয় সবাই অবাক হয়ে যায় আবির ও তিথির দিকে তাকায় এই মেয়ে কাঁদছে কেন তাই,,
মা তিথিকে বলে
মাঃ প্লিজ কেঁদো না,,,,
তিথিঃ আমি তোমাকে বলেছিলাম পরিবারকে জানাও কিন্তু তুমি কিনা (কান্না কান্না ভাব নিয়ে)(আবিরকে ইশারা করে)
আবিরঃহেএ কি বলছেন?মাথা ঠিক আছে?
তিথি কান্না কান্না ভাব নিয়ে আবিরের মায়ের কাছে আসে আবিরের মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়,,,,তিথির কান্না দেখে তো আবিরের মায়ের চোখে পানি আসে,,আবির হা করে তাকিয়ে আছে এই ভেবে কি হচ্ছে
তিথিঃজানেন মা(এক মুহূর্ত পটানো শুরু)আমরা দুইজন দুইজন কে খুব ভালোবাসি,,(প্রচুর কেঁদে)
আবির তো এই কথা শুনে ৪৪০ এর শকড খায়,,কি বলে এইসব এই মেয়ে ওই ভেবে সে শেষ,,,
তিথিঃ আমাকে জোর করে অন্য দিকে বিয়ে দিচ্ছে তাই উনি মানে আপনার ছেলে(একটু লজ্জা পেয়ে)আমাকে নিয়ে পালিয়ে এসে বিয়ে করে
আবির কাশতে থাকে তিথির মিথ্যা শুনে,,,,আবিরের অবস্থা তো খুব খারাপ কাজের মেয়ে তাকে এক গ্লাস পানি দেয় তা গটগট করে গিলে নেয়,,,
আবিরঃ অই মেয়ে কি সব বলছেন আজেবাজে এক থাপ্পড় দিবো না যে সব মিথ্যা বের হয়ে আসবে ফাজি মেয়ে একটা,,, (রাগী ভাব নিয়ে)
তিথিঃদেখলেন মা আমাকে পালিয়ে এনে বিয়ে করে এখন আবার ধমক দিয়ে বলে আমি নাকি কি বলছি(কান্না করে দেয়)আর তো কথায় কথায় থাপ্পড় মারে(ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে)আমাকে নিয়ে পালিয়ে এসে আবার এমন করে কই যাবো আমি,,হে আল্লাহ আমাকে নিয়ে যাও সবাই সার্থপর,,,,
আবির আবার রেগে যায় তিথিকে কিছু বলতেই যাবে বাবা বলে উঠে
বাবাঃ আবির চুপ একদম,,,সবাই তোমার কথা শুনে চলে তাই বলে সব সময় নিজের মন মত করবে,,,একটা মেয়েকে এইভাবে পালিয়ে এনে বিয়ে করলে আবার সবার সামনে অশিকার ও করছো সমস্যা কি?বিয়ে করেছো ভালো কথা মেনে নিতে সমস্যা কই?
আবিরঃ(আমি বিয়ে কবে করলাম আল্লাহ আর এই মেয়ে কি সব বলছে পুরো মিথ্যার দোকান এক নাম্বারের ড্রামা কুইন)
তিথি চোখের পানি একটু মুছে আবার কাঁদে আর দাদি ও কিছু টা গলে যায় সবাই তিথির পক্ষে মুহূর্তে নিয়ে নেয় তার কান্না দেয়,,আর বিশ্বাস কেন বা করবে না বউ সাজে এতো রাতে নিয়ে আসে তাও বাসায়,,,,এই দিকে তিথি আবিরের দিকে একটু তাকায় আবির যা রাগী লুক দেয় তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে নেয়,,,
তিথিঃ(আল্লাহ প্লিজ তোমার এই মাসুম কিউট শান্ত তিথিরে বাঁচাই নিও এই বজ্জাত এর হাত থেকে বাকিটা আমি সামলে নিবো,,,,)
দাদিঃ আবির ভেরি বেড এতো সুন্দর মেয়েটাকে ভিজাই আনলা পুরো মেকাপ নষ্ট হয়ে গেছে,,তো নাম কি তোমার?(তিথিকে ইশারা করে)
তিথিঃ আমার নাম ইসরাত জাহান তিথি(অনেক টা ভাব নিয়ে মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী)
আবিরঃ সাথে নাম্বার ওয়ান ড্রামা বাজ ও আর মিথ্যাবাদি আর একটা মাইক,,,
মাঃ, একদম চুপ তুই,,বেচারি মেয়েটা,,,, আরু তাড়াতাড়ি ওকে নিয়ে যা আর তোর থেকে একটা ড্রেস দে চেঞ্চ করে নেক,,ঠান্ডা লাগবে
আবিরঃ মা আমার কিছু কথা আছে তোমার সাথে
মাঃ তুই আমার সাথে একদম কথা বলবি না বলে দিলাম
আবিরঃ মা শুনো তো উফফ এক চামচ কেন বুজো সবাই আজিব
মাঃচেঞ্চ করে আয় বাকি কথা পরে বলবো এর আগে চুপ থাক,,
আবির রাগে শেষ এই মেয়ে কি এক তো সাহায্য করছে তার উপরে তাকে আচ্ছা মত বাঁশ আর ঝাড়ি খাওয়াইছে সবার কাছে,,,,
চলবে,,,,,,,