Married To The Dark King- Mafia Boss- Season 3 !! Part- 25
পরদিন সকাল রুহী রেহান রুপন্তী ঘরে ফিরার প্রস্তুতি নিচ্ছে।নাস্তা সেড়ে উঠে পড়লো ওরা।ভাইয়া খুব ভালো কেঁটেছে আমাদের সময়টা।বলে উঠলো রেহান।হুম আবার এসো।আমার ভালো লাগবে।রেহানের সাথে কোলাকুলি করতে করতে বলল রোয়েন।অবশ্যই।বলে উঠলো রেহান।জিজু বাসায় আসবেন।মিষ্টি হেসে বলল রুপন্তী।অবশ্যই লিটেল প্রিন্সেস তুমি ও এসো।রুহী মলিন হাসি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।রেহান রুহীর দিকে তাকিয়ে রোয়েনের দিকে তাকালো।ওকে আমরা বের হচ্ছি।রুহী তুই বিদায় নিয়ে আয় ভাইয়ার থেকে।কথা গুলো বলে রুপন্তীর হাত টেনে বেরিয়ে গেলো রেহান।রুহী চোখ মুছে নিয়ে রোয়েনের কাছে এসে দাঁড়ালো।রুহীর থুতনি ধরে মাথা উঠালো রোয়েন।পাগলটার চোখে পানি।রুহী আবার খুব শীঘ্রই দেখা হবে।আর ভিডিও কলে তো কথা হবেই।তোমার থেকে দূরে থাকতে ভালো লাগছেনা আমার।নাক টানতে টানতে বলল রুহী।আমার ও কষ্ট হয়।খুব শীঘ্রই আমার রানী করে আনবো।ঠোঁটে মিষ্টি হাসি এনে রোয়েনকে জড়িয়ে ধরলো রুহী।মায়াবতীকে অাষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে রোয়েন।উফ হাউ ডেয়ার ইউ?আমার হাত ধরার সাহস কে দিলো আপনাকে?রেহান থেকে হাত ছাড়িয়ে চিৎকার করে বলল রুপন্তী।
হাহ তার হাত ধরতে আমার বয়েই গেছে।অপরপাশ ফিরে বলল রেহান।
তাহলে এভাবে আনলেন কেন?চিৎকার করে বলল রুপন্তী।
লিসেন এভাবে চিৎকার করবেনা।ওদের দুজনকে প্রাইভেসি দিতেই নিয়ে এসেছি।নাহলে তুমিতো রোমান্টিক মুভি দেখার টিকিট কাটিয়ে নিয়েছিলে।দাঁতে দাঁত চেপে কথা গুলো বলল রেহান।
রুহী রোয়েনের ঠোঁটের উষ্ণতা উপভোগ করছে।রুহীর চোখের কোনা বেয়ে অনবরত অশ্রু গড়িয়েই যাচ্ছে।রসালো ঠোঁটের স্বাদ নিতে ব্যাস্ত থাকা রোয়েন।রুহীর কোমড় জড়িয়ে নিজের কাছে টেনে নিয়ে রুহীর কাঁধে চুমো খেলো।কিছুক্ষন পর রুহীকে ছেড়ে দিলো রোয়েন।যাও ওয়েট করছে ওরা।বলে উঠলো রোয়েন।হুম।বলে মুখে মলিন হাসি ফুঁটালো রুহী।রোয়েন রুহীকে বাহিরে নিয়ে এলো।
ওরা চলে গেলো।রোয়েন ঘরে ঢুকে দরজা লাগালো।
বেশ কিছুদিন যাবৎ রুপন্তীকে খুব চিন্তিত লাগছে।কেন জানি বিষন্ন মনে হচ্ছিলো মেয়েটাকে।আর কেউ না বুঝলে রুহী ঠিকই টের পেলো।বারবার জিজ্ঞেস করার পর ও জবাব মেলেনি রুপন্তীর।
,
,
,
,
রুহী ভাবছিলো বোনকে সময় দিবে।সময় হলে রুপন্তী ঠিকই রুহীকে জানাবে।বেশ কিছু দিন চলে গেলো।রুপন্তী কলেজ থেকে ফিরে রুমে ঢুকতেই রেহান জড়িয়ো ধরে ওর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবালো।পরম আবেশে রুপন্তীকে চুমু খাচ্ছে রেহান।শরীরের সর্ব শক্তি প্রয়োগ করে রেহানকে ধাক্কা দিয়ে সরালো রুপন্তী।বাজারের পন্য পেয়েছেন?হ্যা!!!! পন্য পেয়েছেন বাজারের?যখন তখন এসে জড়িয়ে ধরবেন!!!!! চুমু খাবেন!!!!ভোগ করতে চান তো?করেন না?না করেছে কেউ?করেনি।বাসায় কেউ নেই।এইতো সময় প্লিজ হ্যাভ মি!!!কাম ক্লোজার!!প্লিজ কাছে আসেননা।রেহানের বুকে ধাক্কা দিয়ে কথা গুলো চিৎকার করে বলছিলো রুপন্তী।অন্তত যা করার একবারেই করে নিন। প্রত্যেকদিন এভাবে বিরক্ত করার থেকে একবারেই সব করে নেয়া ভালো না?লিসেন আমি আপনার ঐ থার্ডক্লাশ গার্লফ্রেন্ড গুলোর মতো নই।ওকে?যখন যা মন চায় তাই করবেন।পতিতাপল্লী যান না?ঐখানে অনেক ধরনের মেয়ে পাবেন।জোয়ান বুড়ো অনেক মেয়ে?প্লিজ লিভ মি!!!আপনার এসব আর নিতে পাচ্ছিনা প্লিজ চলে যান!!!চিৎকার করে উঠলো রুপন্তী।রেহানের চোখ ভিজে গেছে।আর কিছু না বলে পিছু ফিরে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো রেহান।রেহান বেরিয়ে যেতেই রুপন্তী দরজা লাগিয়ে দিলো।রুপন্তীর পরক্ষনেই মনে হতে থাকে কাজটা ঠিক হয়নি।আরেকজনের রাগ রেহানের ওপর এভাবে ঝাড়া ঠিক হয়নি।খুব বেশি খারাপ কথা বলেছে ও।মাফ চাওয়া উচিৎ রেহান থেকে।সেদিন আর রেহানের চেহারা দেখেনি রুপন্তী। হয়ত রেহানই ওর সামনে আসেনি।সারারাত ঘুম হয়নি রুপন্তীর।মাফ না চাওয়া পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছেনা ও।পরদিন কলেজ থেকে ফিরে রেহানের রুমে এসে বড় সড় ধাক্কা খেল রুপন্তী।রেহানের কোন কিছুই নেই।পুরো রুম খালি।রুপন্তী দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে রায়না রহমানের কাছে এলো।মামী!!!!!!
,
,
,
,
রুপন্তীকে দৌড়ে আসতে দেখে খানিকটা অবাক হয় রায়না রহমান।কি রে মামনি কি হলো?প্রশ্ন করে উঠলেন রায়না রহমান।রেহান ভাইয়া কই?(রুপন্তী)ও
তো চলে গেছে রে।অফিসের ইমার্জেন্সি কাজ এসে পড়েছে তাই চলে গেলো।রুপন্তী নিজের কানকে বিশ্বাস করাতে পারছেনা। রেহান সত্যিই চলে গেলো।রুপন্তী জানে রেহান রাগ করেই চলে গেছে।মাফ চাওয়ার ও সুযোগ পেলোনা ও?এরপর রুপন্তী ভেবেছিলো শান্তিতে সময় কাঁটাতে পারবে।কিন্তু তেমনটা হয়নি।রেহানের শূন্যতা ভোগাচ্ছে ওকে।রেহানের ওর সাথে করা দুষ্টুমি গুলো, ওদের ঝগড়া,রেহানের অট্টহাসিতে ফেঁটে পড়া,সব গুলোই মনে পড়ছিলো রুপন্তীর।সবখানেই রেহানের স্মৃতি আছে।গভীর রাতে ফোন বেজে উঠে রুহীর।পাশের ঘুমন্ত রুপন্তীকে একনজর দেখে ফোন হাতে নিলো রুহী।প্রিন্স চার্মি এখন কেন কল দিচ্ছে?ভাবতে থাকে রুহী।
ফোন রিসিভ করে কানে রাখলো রুহী।হ্যালো!!!
ছাদে আসো।বলে উঠলো রোয়েন।
এতো রাতে?ফিসফিসিয়ে বলল রুহী।
হুম।আসো ফাস্ট।বলে উঠলো রোয়েন।
তুমি কই?জিজ্ঞেস করে উঠলো রুহী।
ডোন্ট কোয়েশ্চেন মি।তোমাকে ছাদে ডেকে আমি
আমার বাসায় থাকবোনা তাই না?সো প্লিজ কাম ফাস্ট।কিছুটা রেগে গেলো রোয়েন।
ওকে ওকে আসছি।খাট থেকে নেমে পা টিপে টিপে ছাদে চলে আসে রুহী।আধারের মাঝে চাঁদের স্নিগ্ধ আলোয় রোয়েনকে দেখা যাচ্ছে।কালো শার্টের কলারটা উড়াউড়ি করছে।রুহী ধীর পায়ে এগিয়ে এসে রোয়েনের হাত ধরলো।রোয়েন হ্যাচকা টেনে রুহীকে বুকের মাঝে জড়িয়ে নিলো।
,
,
,
,
জনাব এ সময় কি করছে এখানে।রোয়েনের বুকে মাথা রেখে আহ্লাদী কন্ঠে বলল রুহী।জনাবের জানটাকে দেখতে এসেছে।বলে উঠলো রোয়েন।এভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে আর কতো দেখা করবে জনাব?বিয়ে হওয়ার আগ পর্যন্ত।রোয়েনের কোমড় জড়িয়ে রুহী রোয়েনের বুকে মুখ ডুবালো।ঘনঘন চুমো দিয়ে রোয়েনের ভালোবাসায় ডুব দিতে চাইছে রুহী।রোয়েন চোখ বুজে রুহীর ছোঁয়া গুলো উপভোগ করছে।রোয়েনের ইচ্ছে হচ্ছে রুহীকে একান্ত ভাবে নিজের করে পেতে।কিন্তু না এটা তো অন্যায়।রুহীকে সরালো রোয়েন।রুহী ভিজা চোখে রোয়েনের দিকে তাকালো।রুহীকে এবার পিছন থেকে জড়িয়ে বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো রোয়েন।নিজে রেলিংয়ের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
সারারাত এভাবেই গল্প করে গেছে ওরা।সকাল হতেই রোয়েন বেরিয়ে গেলো।রুহী এসে রুপন্তীর পাশে শুয়ে পড়লো।রুপন্তী রেহান কে খুব বেশি মিস করছে।এমন কেন হচ্ছে জানা নেই ওর।নাস্তা সেড়ে সবাই যার যার রুমে চলে গেছে।রুপন্তী রুহীর রুমের ভিতর ঢুকে রুহীকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।বোনের কান্না দেখে কিছুটা হকচকিয়ে গেলো রুহী।সামনে ফিরে বসে রুহীর মুখ দুহাতে তুলে ধরলো। কিরে কাঁদছিস কেন?জিজ্ঞেস করলো রুহী।আপু কি করবো বলতো আমি যে থাকতে পারছিনা।কাঁদতে কাঁদতে বলছিলো রুপন্তী।
হয়েছেটা কি?রুহী জিজ্ঞেস করলো।
রেহানের জন্য খুব খারাপ লাগছে আমার।ওনি আমার জন্যই চলে গেছে।
কি বলছিস এসব?তোর জন্য গেছে মানে কি?ওনি তো অফিসের কাজে গেছে।
নারে আপু আমার জন্যই গেছে।রুহীকে রেহানের জোর করে রোম্যান্স রুহীর বাজে ব্যাবহার সবটুকুই খুলে বলল রুপন্তী।কথা গুলো বলে সামনে তাকাতেই রুপন্তী দেখলো ভিডিও কলে রোয়েন ওর কথা শুনে রীতিমতো হাসতে শুরু করেছে।আপি তুই বলিস নি কেন জিজুর সাথে কথা বলছিলি?বলে উঠলো রুপন্তী।
কিছু হবেনা রুপন্তী।রুহী বলে উঠলো।
রুপন্তী ঐদিন এমন ব্যাবহার কেন করেছিলে রেহানের সাথে বলো?জিজ্ঞেস করে উঠলো রোয়েন।
রুপন্তী মাথা নিচু করে আছে।
রুপন্তী বল?কেন করেছিলি এমন?(রুহী)
কিছুদিন ধরে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে