Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 24

পরিস্থিতি থমথমে।নিস্তব্ধ চারিদিক।রোয়েন দু হাত বাড়িয়ে আগুন পোহাচ্ছে আর রুহীকে দেখছে।রুহী ঠোঁট টিপে হেসে রোয়েনকে দেখছে লজ্জা মাখা মুখে।রুপন্তী গোমড়া মুখে আগুনের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে,আর রেহান রুপন্তীকে মুগ্ধ চোখে দেখছে।চারজনের মাঝেই অদ্ভুত ঘোর লাগা কাজ করছে।
রুহীকে আজ যেন অপরুপ লাগছে রোয়েনের চোখে।রোয়েন প্রত্যকবারেই যেন নতুন করে খুঁজে লায় রুহীকে।রুহীর মাতাল করা ঘ্রান ওর হৃদয়কে ঘায়েল করে।এর থেকে আর কতো দূরে থাকবে ও?খুব বেশি চায় মায়াবতীকে।যেদিন নিজের রানী প্রাসাদে আনবে সেদিন রোয়েনের আর কোন কিছুই চাইনা।সব পেয়ে যাবে ও।রুহীর মাঝেই ওর দুনিয়া।ওর হৃদয়ের প্রত্যেক পরতে পরতে রুহীর জন্য আছে অসীম ভালোবাসা।এ ভালবাসায় হয়ত ভাগ্যক্রমে কয়েকজন পায়।
মেয়েটার দুষ্টুমি গুলো খুব টানে রোয়েনকে।খুব ভালবাসতে ইচ্ছে হয় তখন ওর মায়াবতীকে।
রেহান রুপন্তীকে দেখছে।মেয়েটার মায়াভরা মুখখানা আগুনের আলোয় ঝলমলিয়ে উঠলো।একটু ছুঁয়ে দিতে পারতো বাচ্চাটাকে।
হঠাৎ সকল নিস্তব্ধতা দূর করে গান ধরলো রোয়েন
নীলাঞ্জনা
ওই নীল নীল চোখে চেয়ে দেখনা,
তোমার ওই দুটি চোখে আমি হারিয়ে গেছি
আমি বোঝাতেতো কিছু পারি না।
নীলাঞ্জনা
বিরহ ব্যথাতে এ মন ভেঙ্গে যায়
না পাওয়ার আঁধারে খোঁজেছি তোমায়,
কতগুলো ফাগুন গিয়েছে ফিরে
আশাগুলো কেঁদেছে তোমার দ্বারে।
আজ সব ব্যথা ভুলে যাব
চেয়ে দেখনা,
তোমার ওই দুটি চোখে
আমি হারিয়ে গেছি;
আমি বোঝাতেতো কিছু পারি না।
নীলাঞ্জনা
বহুদিন পরে এসেছে মধুমাস
তোমার যতসুখ সে তো আমার সন্ন্যাস,
মেঘের ডানায় রূপে সোনালী ছায়া
প্রেমে ভরা চোখে সুখের নেই সীমানা,,,,,,,,,
রোয়েনের গানে সবাই যেন কিছুটা অবাক হলো।সবচেয়ে বেশি রুহী।রোয়েনের দিকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো চেয়ে আছে।
লোকটার গানে এতো মায়া এতো দরদ।রুহী যেন আরেক দফা প্রেমে পড়ে গেলো রোয়েনের।রেহান রোয়েনের গান শুনতে রুপন্তীর দিকে তাকালো।রুপন্তী মিষ্টি হেসে রোয়েনের গান শুনছে।
,
,
,
,
রুপন্তী রেহানের নীলাঞ্জনা।রেহানের স্বপ্নপরী।রেহানে স্বপনে জাগরনে সবকিছুতেই রুপন্তীরপে বিচরন।রোয়েনের গান শুনতে শুনতে রেহানের দিকে তাকালো রুপন্তী।অসভ্যটা কেমন চেয়ে আছে।কাঠ এগুলো উঠিয়ে যদি ওর চোখ ফুঁটো করে দিতে পারতো।খুব ভালো লাগতো ওর।রেহানের দিকে রাগী চোখে তাকাতেই রেহান চোখ টিপলো রুপন্তীর দিকে।রুপন্তী রেগে ফুঁসতে ফুঁসতে অন্য দিকে তাকালো।
রোয়েন তো আছে নিজের জগতে গানটায় ওর মায়াবতীকেই ভাবছে রোয়েন।গান শেষ হতেই রুপন্তী আর রেহান জোরে হাততালি দিলো।অসাম মাইন্ডব্লোয়িং ভাইয়া খুব চমৎকার!!!! আপনার শিল্পী হওয়া উচিৎ ছিলো।আসলেই জিজু জটিল হয়েছে খুব ভালো গেয়েছেন।তাইনারে আপু?কথা গুলো বলে রুহীর দিকে তাকালো রুপন্তী।রুহী রোয়েনকে দেখছে আর মুচকি হাসছে।গলা পরিষ্কার করলো রেহান।প্রাইভেসি দিতে হবে নাকি?দুষ্টু হেসে জিজ্ঞেস করলো রেহান।আরে নাহ বলে উঠলো রোয়েন।কিছু খেলা যায় ভাইয়া।বলে উঠলো রেহান।রোয়েন রুহী রুপন্তী রেহানের দিকে তাকালো ভ্রু কুঁচকে।আরে এভাবে তাকাচ্ছো কেন?বাচ্চেকি জান লোগি কেয়া?ভয় পাওয়ার অভিনয় করে বলল রেহান।রোয়েন রুহী আর রুপন্তী হেসে দিলো।রেহান রুপন্তীর হাসি দেখছে।কি সুন্দর হাসি ওর ভালোবাসার মানুষটার।দেখেই মনটা ভরে গেলো রেহানের।
কি খেলা? জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
ট্রুথ এন্ড ডেয়ার।বলে উঠলো রেহান।
ডান।বলে উঠলো রোয়েন।
রুহী আতঙ্কিত ভাবে রোয়েনের দিকে তাকালো।ফাস্ট ভাইয়াকে দিয়ে শুরু করা যাক।কি নিবেন?ট্রুথ অর ডেয়ার?
ট্রুথ।বলে উঠলো রোয়েন।
প্রেম করেছেন কয়টা?বলে উঠলো রেহান।
আসলে লাইফ নিয়ে এতোটাই ডিস্ট্রেসড ছিলাম।এসবের কথা ভাবিইনি।বলে উঠলো রোয়েন।
ওকে।তো রুহী এবার তোমার পালা।বয়ফ্রেন্ড ছিলো?
বয়ফ্রেন্ড ছিলো ৬,৭ টার মতো,তবে এখন একটা আছে যে অনেক সুইট কিউট কেয়ারিং,হ্যা একটু রাগী তবে খুব ভালো লাগে ওর সাথে সময় কাঁটাতে, হাতে হাত রেখে হাঁটতে ওর ছোঁয়া পেতে।বলেই মুচকি হেসে রোয়েনের দিকে তাকালো রুহী।রোয়েনের ফর্সা গাল দুটো লাল হয়ে আছে।রাগে ফুঁসছে রোয়েন।
,
,
,
,
ভাইয়া এবার আমি প্রশ্ন করি।বলে উঠলো রুহী।ওকে।বলল রেহান।রুপন্তী তুই কি নিবি ট্রুথ অর ডেয়ার।রুহী জিজ্ঞেস করলো।
ট্রুথ।বলে উঠলো রুপন্তী।বয়ফ্রেন্ড আছে?জিজ্ঞেস করলো রুহী।নারে আপু।ওসব নিয়ে ভাববার সময় নেই।বলে উঠলো রুপন্তী।ওকে তো রেহান ভাইয়া আপনার পালা।গার্লফ্রেন্ড ছিলো?(রুহী)
ছিলো মানে অনেক গুলো ছিলো তার মাঝে ছয়জনের নাম মনে আছে।রুহী ঠোঁট উল্টিয়ে হাসলো।লিজা, এ্যালসা,জোহানা, এমি,লারা,মারিয়া।সবচেয়ে সুইট ছিলো মারিয়া।সি ওয়াজ বিউটিফুল।হার লিপস আইজ ওম মাই গড!!!!সি ওয়াজ এন্জেল।বাট ওর চাওয়া পাওয়া খুব বেশি ছিলো।আমাদের রিলেশন টা অনেক ডিপ ছিলো।বাকি গুলো ও কিউট ছিলো বাট মারিয়া!!উফ সি ওয়াজ সুপা,,,,,,,রেহানের কথা শেষ না হতেই রুপন্তী দাঁড়িয়ে গেলো।আমার ভালো লাগছেনা।আমি যাই।বলেই পিছনে ফিরে ঘরের দিকে পা বাঁড়ালো রুপন্তী।সবাই হতভম্ব হয়ে রুপন্তীর যাওয়ার দিকে চেয়ে রইলো।আমাদের ও যাওয়া উচিৎ রুহীর দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।রুহী দুষ্টু হাসি দিয়ে রোয়েনের দিকে চেয়ে আছে।
ওকে বাসায় যাওয়া যাক।রেহান বলে উঠলো।সবাই সব কিছু গুছিয়ে বাসায় চলে এলো।রেহান নিজের রুমে চলে গেলো।রুহী রুমের দিকে পা বাঁড়াতেই রোয়েন রুহীর হাতের কবজি চেঁপে ধরে টানতে টানতে নিজের রুমে এনে দেয়ালে চেঁপে ধরলো।তোমার বয়ফ্রেন্ড আছে আগে কেন বলোনি?আর ওদের সামনে এতো কিছু বলছিলে কেন?সুইট কেয়ারিং রাগি ব্লা ব্লা।রাগী গলায় বলল রোয়েন।রুহীর সারা মুখ জুড়ে হাসি ফুঁটে উঠলো।রাগটাকি ওদের সামনে বলার জন্য?নাকি তুমি জেলাস?বলে উঠলো রুহী।গো টু হেল উইদ ইউর জেলাসি,,,জাস্ট বলো সে কে?রুহীকে আরো জোরে দেয়ালে চেপে ধরে চিৎকার করে বলল রোয়েন।আসলেই বুঝোনি তুমি?বলে উঠলো রুহী।আমার বুঝা বুঝির কথা বাদ দাও।কে সে বলো?রাগী গলায় জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।থাক বুঝোনি যখন বলে ও লাভ নেই।রোয়েন থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে নিতে বলছিলো রুহী।দরজার দিকে পা বাড়াতেই রোয়েন রুহীর হাত টেনে পিছনে ফিরিয়ে ওকে বিছানায় ছুড়ে মারলো।আকস্মিকতায় কিছুটা ঘাবড়ে গেছে রুহী।রোয়েন ওর ওপর আধশোয়া হয়ে রুহীর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।রুহীর গেঞ্জীর ভিতর হাত প্রবেশ করাতেই রুহী রোয়েনের হাত সরাতে চেষ্টা করলো।রোয়েন রুহীর পেট খামচে ধরে রুহীকে কিস করতে লাগলো।যতক্ষন পর্যন্ত রাগ না কমে।
,
,
,
,
ত্রিশ মিনিট পর
রুহীর বুকের ওপর মাথা দিয়ে আছে রোয়েন।রুহীর সাদা গেন্জীর পেটের সাইডটা রক্তে ভিজে গেছে।রুহী বলো সে কে?শান্ত গলায় প্রশ্ন করলো রোয়েন।রুহীর চোখজোড়া ভিজে গেছে।যন্ত্রনায় চোখ বুজে ঠোঁটটিপে রেখেছে রুহী।কি হলো বলছোনা যে?আবার ও বলে উঠলো রোয়েন।নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করলো রুহী।ঠোঁটের রক্ত গুলো শুষে নিয়ে বলল কে আর?আমার মিঃকিলার প্রিন্স চার্মিং তো আপনিই।অভিমানী গলায় বলল রুহী।রোয়েন হালকা হাসলো।বুঝতেই পারলামনা।কেউ একজন এতো টা ভালোবাসে আমায়।বলেই মুখ উঠিয়ে রুহীর দিকে তাকালো রোয়েন।
কি হলো কাঁদছো কেন?চোখে পানি কেন তোমার?আতঙ্কিত কন্ঠে বলল রোয়েন।আরে এমনিই।রোয়েন আবার রুহীর বুকে মাথা রাখলো।রুহীর গেঞ্জীর ভিতর থেকে হাত বের করতেই ভিজা ভিজা লাগলো নিজের কাছে।হাত চোখের সামনে আনতেই রোয়েন দেখলো ওর হাত রক্তে মাখামাখি হয়ে আছে।চোখ বড় করে রুহীর দিকে তাকায় রোয়েন।রুহীর ওপর থেকে সরে ওর পাশে এসে বসলো রোয়েন।রুহীর গেন্জী লাল হয়ে আছে।এস,,,,,,,, কি করে ফেললাম?মানুষ না আমি।মায়াবতীকে এতো কষ্ট কি করে দিলাম?চোখ ভরে আসে রোয়েনের।সরি রুহী বুঝতে পারিনি মাফ ক,,,, রোয়েনের ঠোঁটের ওপর আলতো করে হাত রাখলো রুহী।এটা কোন কষ্টনা।তোমাকে যে কষ্ট দিয়েছিলাম তোমার হৃদয়ে যে রক্তক্ষরন হয়েছিলো আমার কারনে তার কাছে এসব কিছুইনা।রুহীর কপালে চুমু খেলো রোয়েন।ফাস্টএইড বক্স এনে রুহীর পেটে মলম লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিয়ে সেখানে চুমু খেলো রোয়েন।রুহীকে বুকে নিয়ে শুয়ে ওর চুল হাতিয়ে দিতে লাগলো।
চলবে