Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 7

লোকটা নিচে পড়ে গেছে।তার কপাল বেয়ে রক্ত গড়িয়ে যাচ্ছে।রোয়েন লোকটার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।ওর মুখে হিংস্রতা ফুঁটে উঠেছে।চোখজোড়া ভীষন লাল হয়ে আছে।বন্দুকটা হাত থেকে পড়ে গেলো রোয়েনের।ফোঁসফোঁস শব্দ আসছে রোয়েনের ভিতর থেকে।খুব ধীরে ধীরে পিছনে ফিরলো রোয়েন।মেয়েটা দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।চোখজোড়া বেয়ে অনবরত অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।দুহাত নাড়িয়ে রোয়েন কাছে আসতে মানা করছে রুহী।না প্লিজ আসবেননা!!!!আমার কাছে আসবেননা প প প্লিজ!!!!কাঁদতে কাঁদতে বলছিলো রুহী।রোয়েন এগিয়ে আসছে। রুহীর কোন কথাই ওর কানে যাচ্ছেনা।
উপায় না পেয়ে চলে যাওয়ার জন্য দরজার দিকে পা বাঁড়ালো রুহী।ঠিক তখনই রুহীর হাতের কবজি খুব শক্ত করে ধরে নিজের দিকে ফিরালো রোয়েন। কোলে তুলে নিলো রুহীকে।রুহী অশ্রুসিক্ত চোখে ভয়ে ভয়ে রোয়েনের দিকে তাকালো।রোয়েন সামনে তাকিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।ওর কপালের কোনে রক্ত লেগে আছে।রুহী অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো।রুহীকে নিচে নেমে এলো রোয়েন।সবাই ওদের দেখছে।আর ভয়ে অন্যদিকে চলে যাচ্ছে।
ঘরে ফিরে রুহীকে ওর খাটের মাঝখানটায় ছুড়ে মারলো রোয়েন।রুহী অবাক ও রাগী চোখে তাকিয়ে আছে রোয়েনের দিকে।রোয়েন রুহীর দিকে রক্তচক্ষু দিয়ে তাকাতে তাকাতে বেরিয়ে গেলো। রোয়েন বের হতেই খাট থেকে উঠে দাঁড়িয়ে দরজা লাগালো রুহী।এখানে দম বন্ধ হয়ে আসছে ওর।কেন ওকে আটকে রেখেছে এই লোকটা?সে নাকি ভালোবাসে?এ কেমন ভালবাসা তার?কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই খাটে বসে টেডিবিয়ার টাকে কাছে টেনে নিলো রুহী।জানিস খুব কষ্ট হয় আমার এখানে। এতোটা নৃশংস ভাবে কেউ কাউকে খুন করতে পারে ভাবলেই শরীর শিউরে উঠে।আমি এখানে থাকতে চাইনা, বন্দী জীবন পছন্দ না আমার।তাকে ভালোবাসিনা আমি।পুতুলটা কে জড়িয়ে কথা গুলো বলতে বলতে কেঁদে দিলো রুহী।
কিছুক্ষন টেডিটাকে জড়িয়ে সেটার কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকে রুহী।চোখের কোনা বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে ওর।হঠাৎ দরজায় নকের শব্দ পেয়ে সেদিকে তাকায় রুহী।রুহী ওপেন দা ডোর!!!!ডিনার করতে হবে তোমার।রুহী চুপচাপ আগের মতোই শুয়ে আছে।অপর পাশ থেকে রোয়েন আবার ও চেঁচিয়ে উঠলো।প্লিজ ওপেন দা ডোর ড্যাম ইট।আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিওনা রুহী।চিৎকার করে বলছে রোয়েন।রুহী ত্যাড়ামি করে শুয়ে আছে।রোয়েন খুব জোরে দরজা লাথি দিলো।কিছুটা কেঁপে উঠে বসে পড়লো রুহী।লোকটা ভীষন রেগে আছে যদি সত্যি দরজা ভেঙ্গে দেয়?রুহী কাঁপন ধরা পায়ে টিপটিপ করে হেঁটে দরজার কাছে এগুলো।রোয়েন এখনো চিৎকার করেই যাচ্ছে।রুহী তোমার সাথে কি করতে পারি সেটা আমি নিজেই ভাবতে পারবোনা।জলদি দরজা খোলো।চিৎকার করছে রোয়েন।
দরজার লক ঘোরাতেই রোয়েন খুব জোরে দরজা খুলে দিতেই রুহী দৌড়ে সরে গেলো।রোয়েন হাতের প্লেট টাকে টেবিলে রেখে রুহীর কাছে এগিয়ে এলো।ওর বাহু জোরে চেপে ধরলো। কেন এমন করো?এখনো ভালো করে চিনো নাই আমাকে।রুহীর গলা আটকে গেছে কিছু বলতে পারছেনা ও।রুহীর বাহুতে রোয়েনের হাত কিছুটা শিথিল হয়ে এলো।রোয়েনের হাতটা ধীরে ধীরে রুহীর হাত বেয়ে উপরে উঠছে।রুহী নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছেনা।এখন ওর হাত ছাড়ানো সহজ হবে কিন্তু রুহী পারছেনা।রোয়েনের হাতটা রুহীর কাঁধ ছাড়িয়ে রুহীর চুলের ভিতর হারিয়ে গেলো।রুহীর কাঁধে রোয়েনের হাত স্লাইড করছে।রোয়েন আরেক হাতে রুহীর কোমড় জড়িয়ে নিজের কাছে টেনে নিলো।রুহী কিছুটা কেঁপে উঠে সরে যেতে চাইলো।রোয়েনের তেমন কোন রিএ্যাকশন নেই।সে নিজের কাজে ব্যাস্ত।
রুহীর খুব কাছে রোয়েনের মুখটা চলে এসেছে।
প প প্লিজ লিললিভ মি,,,,,,,,পুরো কথাটা শেষ করতে না করতেই রুহী নিজের ঠোঁটে খুব নরম কিছুর আভাস পেলো।
রোয়েন নিজের বৃদ্ধা আঙ্গুলটাকে রুহীর নরম ঠোঁটের মাঝে বুলাচ্ছে।রুহী বড় বড় চোখে রোয়েনের দিকে চেয়ে আছে।তোমার সম্মতি ছাড়া কখনোই কিছু করবোনা।কজ আই লাভ ইউ।ভালোবাসার মানুষকে এভাবে আপন করে নেয়ায় কোন মজা নেই।আমি অপেক্ষা করবো তোমার।যখনই তোমার মাঝে আমার রুহীকে পাবো তখনই নিজের করে নেবো তোমায়।লথা গুলো শান্ত গলায় বলল রোয়েন।রুহীর কোমড় ছেড়ে সরে এলো রোয়েন।খাটে বসো খেয়ে নিবে গম্ভীর কন্ঠে বলল রোয়েন।
রুহী কিছু বলতে পারলোনা।চুপচাপ বসে পড়লো।রোয়েন নিজের হাতে রুহীকে খাইয়ে দিলো।রুহীকে ঘুমপাড়িয়ে রুমে এসে শুয়ে পড়লো রোয়েন।
বাগানের চারপাশ ঘুরে ঘুরে দেখছে রুহী।ফুলগুলোর নরম পাপড়ি গুলো আলতো হাতে ছুঁয়ে দেখছে রুহী।ঠোঁটের কোনে পাগল করা হাসি ফুঁটে উঠেছে ওর।স্লিভ লেস হাতা ভেদ করে সাদা হাত গুলো রোয়েনের বুকে শিহরন জাগাচ্ছে। সূর্যের আলো রুহীর সৌন্দর্য কে আর ও বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে।কোঁকড়া চুল গুলোয় পুরো পুতুল লাগছে মায়াবতীকে।রোয়েন রুহীর কিছু ছবি নিজের ফোনে বন্দী করে নিলো।
রুহী ফুল দেখতে দেখতে রেয়েনের দিকে তাকালো।রোয়েন দূর থেকে রুহীকেই দেখে যাচ্ছে।রুহীর মুখের হাসি চলে গেলো।সুইমিংপুলের পানিতে পা চুবিয়ে বসে পড়লো ও।
রোয়েন রুহীর পিছনে এসে দাঁড়িয়ে কি যেন ভেবে বসে ওর কাঁধের চুল গুলো সরালো।রোয়েনের হাতের ছোঁয়ায় সোজা হয়ে গেলো রুহী।ওর হার্টবিট যেন ফাস্ট হয়ে গেছে।রুহীর কাঁধে রোয়েনের ঠোঁট জোড়া উষ্ণ পরশ বুলিয়ে যাচ্ছে।কিছুক্ষন পর রোয়েনকে ঠেলে রুহী উঠে বাসার ভিতরে চলে গেলো।এভাবে রোয়েন রুহীর দিন গুলো মান অভিমান রোয়েনের ভালোবাসার মাঝেই কেঁটে যেতে লাগলো।অবসর সময়ে রুহীকে বাগানে আর বাহিরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া।কখনো চকোলেট পুতুল সহ ছোট্ট খাটো গিফট দেয়া নিয়েই চলে যাচ্ছিলো সময় গুলো।রোয়েনের এই কেয়ারিং গুলো বেশ ভালো লাগলেও পরক্ষনে খুনের দৃশ্যগুলো মনের মাঝে ভেসে উঠতেই রুহীর মনে জেগে উঠতো একরাশ অশান্তী।
(প্রথম রোজা।খুব খারাপ লাগছে)
চলবে