Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 6

ওহ মিঃ আজিজ রায়হান হোয়াট আ সারপ্রাইজ?রুহীকে খাওয়ানো শেষ করে পাশে ফিরতেই আজিজ রায়হানের দিকে চোখ পড়লো রোয়েনের।বাবা!!!!উত্তেজনায় লাফ দিয়ে উঠতে নেয় রুহী।রোয়েন রুনীর দিকে রাগী চোখে তাকাতেই মাথা নিচু করে নিলো ও।বাবা প্লিজ আমার কাছে এসে বসোনা।অভিমানী কন্ঠে বলে উঠলো রুহী।শুনলাম মেয়েটা অসুস্থ তাই আরকি।রুমে ঢুকতে ঢুকতে বলছিলেন আজিজ রায়হান।
ওহ দ্যাটস গুড।বলে উঠে রোয়েন।তোমরা কথা বলো আমি এগুলো রেখে আসি।সুপের বাটিটাকে হাতে নিয়ে খাট ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলল রোয়েন।রোয়েন চলে যেতেই রুহী আজিজ রায়হানকে জড়িয়ে ধরলো।আজিজ পরম আদরে মেয়ের কপালে গালে চুমু খেলেন।জ্বর কখন আসলো মা?প্রশ্ন করে উঠলেন আজিজ।
তোমাকে কেন বলবো?তোমরা আমাকে ভালোবাসোনা তাই এই বাজে খুনিটার কাছে দিয়ে গেছো।অভিমানী কন্ঠে বলল রুহী।ভালবাসিনা কে বলল তোকে?অবশ্যই ভালবাসি।মেয়ের গালে হাত রেখে বললেন আজিজ রায়হান।ভালোবাসলে কেন আমাকে তোমাদের সাথে রাখছোনা?ভালো লাগছেনা আমার এখানে।একনাগাড়ে কথা গুলো বলতে থাকলো রুহী।
ভালো লাগবে মা।বলে উঠলেন আজিজ।জানো বাবা লোকটা আমার সামনে কতগুলো লোককে খুন করেছে কাল।
জানিস কোন খুন করেছে?হালকা হেসে প্রশ্ন করে উঠলেন আজিজ।রুহী নিশ্চুপ।ও জানতে ও চায়না খুনের কারন।লোকটাকে ওর জাস্ট সহ্য হচ্ছেনা।মেয়েকে চুপ থাকতে দেখে খানিকটা হাসলেন আজিজ সে তোর সেফ্টির জন্য লোক গুলো কে মেরেছে।তোকে যারা কিডন্যাপ করেছিেলো ওরাই আবার এসেছিলো কাল।বলে উঠলেন আজিজ।
আমার ভালো লাগেনা ওনাকে ওনি একটু ও ভালো না।আমি থাকবোনা এখানে।বলতে থাকে রুহী।রোয়েন তোকে এখানে রেখেছে কারন ও তোকে খুব ভালোবাসে।আর নাহলে রাখতোনা।বলে উঠলেন আজিজ রায়হান।বাবা এসব কি বলছো তুমি? সে যতোই ভালবাসুক সে খুন করেছে সে খুনী।সে আমাকে আটকে রেখেছে।এ কেমন ভালোবাসা?এটা কোন ভালোবাসা না।যা বলছো সব মিথ্যা।রাগী গলায় বলে উঠলো রুহী।
করেছে কার জন্য?তোর জন্য।সেদিন তোকে যদি বাঁচাতো তাহলে ঐ লোক গুলো তোকে বেঁচে দিতো।রোয়েন তোকে সেফ রাখতেই লোকগুলো কে খুন করেছে।আর পুরো সত্যটা তোকে বলতে পারছিনা।তবে বাবাকে যদি এতোটুকুও বিশ্বাস করিস তাহলে কথা মান।রোয়েন কোন দিক থেকেই খারাপ না রুহী।সে অনেক ভালো।তোকে এখানেই থাকতে হবে।রুহী জ্বলজ্বল চোখে অন্যদিকে ফিরে তাকালো।মেয়ের মাথায় ঠোঁট ছুইয়ে দিলো আজিজ রায়হান।বাবার দিকে আর তাকালোনা রুহী।
ওদের কথা শেষ হতেই রোয়েন দরজার সামনে থেকে সরে এলো।কারন ওর একটা সন্দেহ হচ্ছিলো আজিজ রাহান রুহীকে কোন বাজে বু্দ্ধি দেয় না তো?আজিজ রায়হান রুম থেকে বেরিয়ে দেখলেন রোয়েন ল্যাপটপ নিয়ে বসে আছে।স্যার একটু কথা ছিলো আপনার সাথে আমতা আমতা করে বললেন আজিজ রায়হান।
ল্যাপটপ ঠাস করে বন্ধ করলো। আজিজ রায়হানের দিকে তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো রোয়েন।জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আজিজের দিকে তাকালো রোয়েন।
স্করপিয়ন রা আরো কিছু মেয়ে সেল করতে এনেছে।
এগুলো আমাকে কেন বলছো?আমি তো আপনার শত্রু।দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।
দেখেন স্যার মানলাম এতোদিন অনেক ভুল করেছিলাম।কিন্তু সেদিন মেয়ে কে যখন নিলামে উঠাতে দেখলাম তখন সিদ্ধান্ত নিলাম এ কাজটা ছেড়ে দিবো।বলে উঠলেন আজিজ রায়হান।
হাহ অন্যদিকে ফিরে শব্দ করে উঠলো রোয়েন।স্যার প্লিজ ওদের বাঁচান।ওদের মা বাবার কাছে ফিরিয়ে দেন।বড় একটা নিশ্বাস নিয়ে অন্যদিকে ফিরে রইলো।
আজিজ রায়হান বেরিয়ে পড়লেন।
আজিজ রায়হানের চলে যেতেই রুহীর রুমের দিকে এগুলো রোয়েন।রুহী শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।রুহীর পাশে এসে বসে ওর কপালে চুমো একেঁ দিলো রোয়েন।রুহী কিছুটা কেঁপে উঠে রোয়েনের গলায় মুখ ডুবালো। রুহীর গরম নিশ্বাস গুলো রোয়েনের বুকে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।সেভাবেই বেশ কিছুসময় বসে থাকলো রোয়েন।
বেশখানিক্ষন পর ঘুমভাঙ্গলো রুহীর।একহাতে চোখ ডলে কারোর মাতাল করা ঘ্রান নাকে এসে লাগলো রুহীর।চোখ ভালো মতো খুলে ভালো মতো বুঝার চেষ্টা করলো কই আছে ও?একটু সরে এসে দেখার চেষ্টা করলো রুহী কিন্তু ততক্ষনে কেউ যেন ওর হাতের কবজি চেপে ধরলো।রুহী মাথা তুলে তাকালো রোয়েনের দিকে।ও এতক্ষন লোকটার এতো কাছে এসে শুয়েছিলো?ভাবতেই ভীষন রাগ লাগছে রুহীর।
রোয়েন ততক্ষনে রুহীর হাত টেনে ওর কাছে নিয়ে নিলো।
আরে আপনি,,,,,,,রুহীকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওর গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো রোয়েন।রুহী ছটফট শুরু করলো রোয়েনকে সরাতে।কিন্তু বদ মাফিয়াটা ওর গলায় ঠোঁট বুলিয়েই যাচ্ছে।ওর গলায় পরম আনন্দে চুমো খেয়েই যাচ্ছে।রোয়েনের চুল টেনে ওকে সরাতে চাইছিলো রুহী।রোয়েন নিজের চুল থেকে রুহীর হাত সরিয়ে খাটে চেপে ধরলো।বেশ কিছুক্ষন পর রুহীর গলা থেকে মাথা উঠালো রোয়েন।I don’t like disturbance in romance. Got it?রাগী গলায় কথাটা বলে রুহীর গালে শব্দ করে চুমো খেয়ে উঠে দাঁড়িয়ে গেলো রোয়েন।
রুহী গালে হাত দিতে যাবে তখনই ওর হাত ধরে ফেলল রোয়েন।মুছার শেষ্টা করেছো তো এর পরিনাম ভালো হবেনা।দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।রুহীর হাত ছুড়ে ফেলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো রোয়েন।রুহী উঠে বসে ওর গাল গলা ইচ্ছামতো ডলতে ডলতে কেঁদে দিলো।
খাট থেকে নেমে বাথরুমে গিয়ে রোয়েনের ছুঁয়ে দেয়া জায়গা গুলো সবান পানি দিয়ে ধুতে থাকে রুহী।ওর চোখ জোড়ায় পানি যেন বাঁধা মানছেনা।চোখ মুছে বেরিয়ে এলো ওয়াশরুম থেকে রুহী।রোয়েন রাগী চোখে রুহীর দিকে তাকিয়ে আছে।জানিনা কেন সহ্য করতে পারোনা? তবে যাই করোনা কেন এখানেই থাকতে হবে আজীবন।যেতে হলে লাশ হয়ে যাবা।Cause Your princess of my kingdom.কথা গুলো বলে একটা শপিং ব্যাগ রুহীর খাটের ওপর ছুড়ে মারলো রোয়েন।Get ready in 5mnts!!Only five minutes!!!remeber it!!রাগী গলায় কথা গুলো বলে বেরিয়ে গেলো রোয়েন।রুহী রোয়েনের দিকে তাকাতে পারছিলোনা।লোকটার চোখজোড়া রক্ত বর্ন হয়েছিলো যেন মুহূর্তের মাঝেই সব ভস্ম করে দিবে।
খাটের ওপর ধপ করে বসে পড়লো রুহী।প্যাকেটটার ওপর একটু হাত বুলিয়ে নিলো।অনিচ্ছাবশত প্যাকেটটির ভিতরের ব্লাক স্যালোয়ার কামিজটি বের করলো রুহী।সেই সাথে ম্যাচিং কানের দুল ও আছে।জামাটা গায়ে জড়িয়ে নিলো রুহী।কানের দুল গুলো পরে ঠোঁট হালকা লিপস্টিক দিয়ে বেরিয়ে গেলো।
রুহীর দিকে চোখ পড়লো রোয়েনের।মায়াবতীর থেকে চোখ ফেরানো দায় হয়ে পড়েছে।রুহী এসে রোয়েনের পিছনে দাঁড়ালো।রুহীর হাত ধরে গাড়ির কাছে নিয়ে এলো রোয়েন।
কিছুক্ষন পর
রুহীকে নিয়ে শপিংমলের সামনে এসে থামলো রোয়েন।দুজনে মার্কের ভিতর ঢুকে পড়লো।রুহীকে জোর করে এটা ওটা কিনে দিচ্ছে রোয়েন।গাউনের দোকানের সামনে এসে থামলো ওরা।দোকানদার রুহীকে গাউন চয়েজ করতে বলল।রোয়েন ফোনে ব্যাস্ত।সামনে এগিয়ে পিছনে ফিরে রুহী।লোকটা আসলেই এতো হ্যান্ডসাম বলার মতোনা।চোখ ধাঁধানো বডি আর অসাম পার্সোনালিটি। ভাবতে থাকে রুহী।পরক্ষনের রোয়েনের খুনের কথা গুলো মনে পড়তেই আর ভাবতে পারেনা রোয়েনকে নিয়ে।সামনের চকোলেট কালারের গাউনটি কেন যেন খুব টানছে রুহীকে।সেদিকে এগোলো রুহী।নট দিস!!!পিছন থেকে বলে উঠলো রোয়েন।রুহী পিছনে না ফিরেই ভেংচি কাঁটলো হুহ!!! কিনে নিয়েছেন আমাকে তার চয়েজ মতো জামা পরতে হবে!!হুহ যত্তসব ঢং।এইযে আপি!!!পাশ থেকে একটা কর্মচারী মেয়ে ডাকলো রুহীকে।এই যে আপু এটা দেখেন পছন্দ হবে আপনার।বলে উঠলো কর্মচারী মেয়েটা।রুহীর ও বেশ পছন্দ হলো।সেদিকে চলে গেলো ও।রোয়েন ততক্ষনে চকোলেট কালার আর সবুজ কালারের গাউনটির ফাঁক থেকে লোকটাকে টেনে বের করে বাহিরে নিয়ে এসে লোকটার ঘাড় মটকে দিলো।আরো দু তিনজনকে মেরে রুহীর হাতে একটি গাউন ধরিয়ে দিয়ে বিল পে করে বেরিয়ে রোয়েন।রুহীর হাত শক্ত করে ধরে হাঁটছে রোয়েন।ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে রুহী রোয়েনের দিকে।হঠাৎ খয়েরী বড় টেডি বিয়ারটি মন কেড়ে নিলো রুহীর।দাঁড়িয়ে গেলো রুহী।রোয়েন রুহীকে নিয়ে সেদিকে এগোলো।কিন্তু কোন কিছুই সুবিধের ঠেকছেনা রোয়েনের কাছে তাই তাড়াতাড়ি একটা পুতুল ধরিয়ে চলে আসতে নিবে ঠিক তখনই খেয়াল করলো একটা কালো লোক রুহীর দিকে এগিয়ে আসছে।রুহী পুতুল টাকে খুঁটিয়ে দেখছে।অবশ্য রোয়েনের লোকেরা আশেপাশে আছে।রোয়েন লোকটাকে টেনে ছাদে নিয়ে গেলো।
হঠাৎ গোলাগুলির শব্দে রুহী চমকে উঠলো। পাশে রোয়েনকে না পেয়ে নিচে নামতে যাবে ঠিক তখনই রুহী খেয়াল করলো রোয়েনের লোকদের।রুহী তখনই ছাদের দিকে পা বাঁড়ালো।রোয়েন লোকটাকে ছাদে এনে বেধড়ম মার দিলো রোয়েন।লোকটা কোনমতেই বলছেনা যে কে ওদের জানিয়েছে রুহী মার্কেটে।শেষমেষ লোকটার কপালে বন্দুক ঠেঁকালো রোয়েন।
রুহী ছাদে এসে ভিতরে ঢুকতে নিবে তখনই বন্দুকের শব্দে সেদিকে তাকাতেই চিৎকার করে উঠে রুহী।
চলবে