My Mafia Boss- Season- 2 !! Part- 20
,,,,রুমুর দিকে রক্তচক্ষু দিয়ে চেয়ে আছে আনাম।রুহী গেস্টদের সাথে গল্পে লেগে গেছে আর চারপাশে চোখ ঘুরিয়ে কারোর উপস্থিতি অনুভব করার চেষ্টা করছে।রুমু ড্রিংকের সেকশনে এসে দাঁড়ালো। আনাম এতো বিরক্ত করছে কেন ওকে?যে নিজের বোনকে ভালবাসতে পারেনা সে ছেলে ওকে ভালোবাসবে কি করে ভেবে পায়না রুমু।গ্লাসে রাখা ড্রিংক গুলো একে একে গিলে যাচ্ছে রুমু।চোখের কোনা বেয়ে গড়িয়ে পড়া অশ্রু গুলো ড্রিংকের সাথে মিলে যাচ্ছে।
হঠাৎ রুহীর ফোনে মেসেজ টোন বেজে উঠে।আমি আসছি বলে মুচকি হেসে গেস্টদের থেকে একটু আড়াল হয় রুহী।হাতের ছোট্ট পার্সটা থেকে ফোন বের করে মেসেজ চেক করতে থাকে রুহী।লুচু মাফিয়ার মেসেজ এসে আছে।মেসেজ ওপেন করে পড়তে থাকে রুহী।রুমে দেখতে চাই ইন ফাইভ মিনিটস।রুহী ফোনটাকে কপালে আস্তে করে বাড়ি লাগায়। পাগল নাকি এ লোক?চারপাশে তাকিয়ে রোয়েন কে খুঁজতে থাকে রুহী।আশেপাশে কোথাও না পেয়ে সিড়ির দিকে পা বাড়ায় রুহী।
,,,,,,,,,রুমুর পাশে দুজন ছেলে এসে বসলো।একজন যার সাথে রুমু নাচছিলো আর অপরজনকে চিনতে পারলো না রুমু।এতো ড্রিংক করোনা।তোমার স্ব্যাস্থের জন্য ভালো না।একজন লোক বলে উঠলো।থ্যাংকস। আমার চিন্তা কারোর করতে হবেনা। তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল রুমু।এভাবে বলছো কেন? চলো তোমাকে বাসায় নিয়ে যাই?এ অবস্থায় এতো রাতে ঘরে ফিরবে কেমন করে?লোকগুলো বলে উঠলো। আমার ড্রাইভার আছে।কথাটি বলে হেলে দুলে হেঁটে যাচ্ছিলো রুমু।হঠাৎ মাথাটা কেমন যেন ঝিম ধরে উঠে।লোক দুজন দৌড়ে এসে রুমুর হাত ধরে।আরে আরে বলছিলাম পারবেনা। আমরা সাহায্য করি বলে একে অপরের দিকে চাওয়া চাওয়ি করে হাসলো লোকগুলো।রুমু ওদের ধাক্কাচ্ছিলো শরীরের সর্ব শক্তি দিয়ে কিন্তু পারছেনা।আর দেরি না করে সিড়ির দিকে পা বাঁড়ালো রুহী।রুমের দরজার সামনে আসতেই আরেকটি মেসেজ এলো।মেসেজ অপশনে গিয়ে মুচকি হাসলো রুহী।লুচু মাফিয়াটা আবারো মেসেজ পাঠিয়েছে।
খাটের ওপর একটা প্যাকেট রাখা আছে।মুখের আটা ময়দা ধুয়ে নাও।এক্ষুনি আসছি।আমি আটা ময়দা মাখি?ব্যাটা বজ্জাত।রাগে বিড়বিড় করতে করতে দরজা খুলে রুমে ঢুকলো রুহী।পুরো রুম অন্ধকার।তবে বিভিন্ন রংয়ের মোমবাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে রুমটাকে।গোলাপ আর রজনীগন্ধার ঘ্রানে ছেঁয়ে গেছে পুরো রুম। কিন্তু ফুলের অস্তিত্ব পেলো না রুহী।খাটের ওপর একটা প্যাকেট রাখা।রুমের চারদিকে চোখ বুলিয়ে নিলো রুহী।রোয়েন কে কোথা ও দেখা যাচ্ছেনা।খাটের দিকে এগোলো রুহী।নরম তুলতুলে বিছানার ওপর রাখা প্যাকেটটিকে হাতে নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে এগোলো।
,,,,,,,,,,,,,,রফিক আর শামীমকে বাকি কাজ বুঝিয়ে দিয়ে রুমে এলো রোয়েন।বিছানার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসি দিলো।পরনের কোট প্যান্ট পাল্টে কালো লোমের নাইট স্যুট টা পরে নিলো রোয়েন।ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসে রুহী।ড্রেসিংটেবিলের দিকে পা বাঁড়াতেই কাঁধে গরম নিশ্বাসের ছোঁয়া পায় রুহী।খুব দ্রুত নিশ্বাস ফেলছে।দুটি হাত ওর পেটকে আড়াআড়ি ভাবে জাপটে ধরেছে।রুহীর ভিজা চুলে মুখ ডুবালো রোয়েন।মিষ্টি নেশা ধরানো ঘ্রান রোয়েনকে রুহীর দিকে আরো টানছে।রুহীর কাঁধ থেকে চুল সরিয়ে নাক ঘষলো রোয়েন।পার্টি এখনো শেষ হয়নি।রুহীর কথায় পাত্তা না দিয়ে পাঁজাকোলে উঠিয়ে নিলো রোয়েন।রোয়েনের গলা জড়িয়ে ওর চোখের দিকে চেয়ে আছে রুহী।রুহীকে নিয়ে খাটের ওপর বসালো রোয়েন।নিজে ও বসে পড়লো রুহীর পাশে।জানালার পর্দা ভেদ করে আসা চাঁদের আলো রাতটাকে আরো নেশা যুক্ত করে তুলেছে।একটা আঙ্গুল দিয়ে রুহীর ঠোঁটে আলতো করে ছুঁয়ে দিলো রোয়েন।ধীরে ধীরে রুহীর খুব কাছে এসে বসলো রোয়েন।একে অপরের নিশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছে। রুহীর কপালে আর গালে আলতো করে ঠোঁট ছুয়ে দিয়ে একটু সরে এলো রোয়েন।দুজনের ঠোঁটজোড়া ছুঁইছুঁই করছে।রুহী পরম আবেশে চোখ বুজে রোয়েনের নাইট ড্রেসের কলারটাকে খামচে ধরে আছে।রুহীর নাকে আলতো করে ঠোঁট ছুঁয়ে দিতেই রুহীর শরীর কেঁপে উঠলো।রুহীর দুকানের নিচে হাত রেখে রুহীর ঠোঁটে আলতো করে চুমু দিয়ে রোয়েন আস্তে করে বলে উঠলো আই লাভ ইউ রুহী।কথাটি রুহীকে যেন আরো পাগল করে দিলো।বড় বড় নিশ্বাস নিয়ে রোয়েনকে পাবার ইচ্ছা জানান দিচ্ছে রুহী।আর দেরি না করে রুহীর রসালো ঠোঁট জোড়ায় ঠোঁট ডুবালো রোয়েন।রুহীর নাইটির ফিতায় হাত চলে গেলো রোয়েনের।আলতো হাতে ফিতা খুলে দিলো রোয়েন।রুহীর নাইটির উপরের অংশটুকু কে খুলে ছুড়ে ফেলে দিলো।রুহীর দুকাঁধে হাত রেখে বালিশে শুইয়ে দিলো রোয়েন।রুহীর পায়ের কাছে এসে থামলো রোয়েন।রুহীর পায়ে ঠোঁট ছুইয়ে দিতেই রোয়েনের হাত খামচে ধরলো রুহী।যতোই এগুচ্ছে রুহীর খামচির পরিমান ও বেড়ে যাচ্ছে।রোয়েন আরো পাগল হয়ে যাচ্ছে।রুহীর পেটে চুমু দিয়ে উঠে বসলো রোয়েন।নিজের নাইটড্রেসটাকে খুলে ফেলে দিয়ে রুহীর পাশে শুয়ে ওর গলায় মুখ ডুবালো রোয়েন।গলায় কাঁধে ঠোঁট বুলিয়ে রুহীর ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে গভীর চুম্বনে লিপ্ত হলো তারা।
,,,,,,,,,,,,,রুমু কে দুজন প্রায় টেনে হিচড়ে নিয়ে যাচ্ছে।হঠাৎ আনাম এসে ওদের সামনে দাঁড়ালো।মাতাল রুমুর দিকে একনজর তাকিয়ে লোকদুটোর দিকে তাকালো আনাম।ওকে নিয়ে কই যাচ্ছেন আপনারা?রাগী গলায় প্রশ্ন করলো আনাম।আরে এই সুন্দরীকে দিয়ে আজ রাতের নেশা কাঁটাবো আর কাল ছুড়ে মারবো বলে উঠে লোক দুজন।তাই না?নেশা কাঁটানোর খুব শখ?নেশা কাঁটানোর মজা দেখাচ্ছি।দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে আনাম।লোক দুটোকে মারতে শুরু করে।প্রায় আধমরা করে রুমুর দিকে এগিয়ে আসে আনাম।রুমু আনামের দিকে দুহাত উঠিয়ে দিয়েছে ওকে তুলে নেয়ার জন্য।আনাম কোলে তুলে নিলো রুমুকে।রুমু কি যেন বিড়বিড় করে বলছে।কিছুই বুঝতে পারলো না আনাম।রুমু কে নিয়ে পার্টওি থেকে বেরিয়ে এলো।গাড়িতে রুমুকে বসিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে পড়লো আনাম।গাড়ি এসে থামলো আনামের পার্সোনাল বাংলোতে।গাড়ির গেইট খুলে রুমুকে কোলে করে নামিয়ে নিলো আনাম।বাসর ভিতরে ঢুকে গেলো ওরা।রুমুকে খাটে শুইয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে আনাম।রুমুর কপালের ওপর থেকে চুল সরিয়ে চুমু দিলো আনাম।আজ এতোটাই ভালবাসা দিবে ও রুমুকে যেন ওর কাছ থেকে আর দূরে যেতে না পারে।
(একটু ভালো লাগছে তাই আরেকটা পর্ব দিলাম)
চলবে