My Mafia Boss- Season- 2 !! Part- 19
,,,,,সকালে ঘুম ভেঙ্গে আরো জোরে জড়িয়ে নিলো রুহীকে রোয়েন।কপালের চুলগুলো সরিয়ে কপালে চুমো একেঁ দিলো রোয়েন।
আরো কিছুক্ষন শুয়ে রুহীকে বালিশে শুইয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো রোয়েন। কাপড় চোপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো রোয়েন।রুহীর ঘুমভাঙ্গলো পর্দার ফাঁকা দিয়ে আসা এক ছটাক সূর্যের আলোয়।চোখের ওপর হাত রাখলো রুহী।শরীরে ভালোমতো চাদর টেনে নিয়ে উঠে বসলো।লুচু মাফিয়াকে নিজের করে পেয়েছে রুহী।ইসস সে কি অনুভূতি বলার মতো নয়।বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো রুহী।দরজার কাছে এক পা একপা করে এগুলো রুহী।দরজায় হালকা টোকা দিয়ে বলল আপনার হয়ে গেছে?
,,,,,,,,,,,,,,,,,অপরপাশ থেকে চেঁচিয়ে উঠলো রোয়েন।কেন কি হয়েছে?
না এইতো ফ্রেশ হতাম আরকি।আমতা আমতা করে বলল রুহী।দরজা একটু খুলল রোয়েন।ফ্রেশ হবার মতো কিছু করেছি কাল?বাঁকা হেসে বলল রোয়েন।আরে যান আপনিই ফ্রেশ হন।আমি অন্য কোথা ও যাচ্ছি।দূরে যেতে যেতে বলল রুহী।রোয়েন রুহীর হাত হ্যঁচকা টেনে ভিতরে ঢুকিয়ে দিলো।আরে করছেন কি?রুহী চিৎকার করে উঠলো।রোয়েন রুহীকে ঝড়নার নিচে দাঁড় করালো।এসব কি?অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো রুহী।কেন তুমি না ফ্রেশ হবে?ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো রোয়েন।আগে আপনি ফ্রেশ হতেন।রুহী বলে উঠলো।
এখন থেকে আমার সাথেই ফ্রেশ হবে বলে আর দেরি করলো না রোয়েন রুহীর গলায় মুখ ডুবালো রোয়েন।প্রায় একঘন্টা পর বের হলো ওরা।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,নাস্তা করছে আনাম।আনিলা বেগম আনামের পাশে এসে বসলো।আজ রিসিপশন পার্টিতে যাবি?হালকা হেসে জিজ্ঞেস করলেন আনিলা বেগম।
জানিনা। হয়ত যাবোনা।মাথা নিচু করে বলল আনাম।কেন যাবিনা? দেখ না গেলে রুহী আর রোয়েনের মাঝে মিসআন্ডার্স্ট্যান্ডিং তৈরি করবি কেমনে?আনিলা বেগম বলে উঠলেন।হুম ঠিক বলেছো।মিসআন্ডার্স্ট্যান্ডিং তৈরি করতে হবে ওদের মাঝে।নাস্তা ছেড়ে উঠে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো আনাম।রুহীর জন্য ডায়মন্ড সেট আর রোয়েনের জন্য গোল্ড ওয়াচ কিনে নিলো আনাম।ঘড়িটায় ডায়মন্ড স্টোন লাগানো।দোকান থেকে বের হতেই রুমুকে দেখতে পেলো আনাম।শাড়ীর দোকানে কি যেন কিনছে মেয়েটা।
আনাম ওর পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।দোকান দার কে বলল ওনার যতো টাকা আসছে আমাকে বলুন রুমুকে দেখিয়ে বলল আনাম।কারোর দানপ্রার্থী নই আমি।বলে বেরিয়ে এলো রুমু।আনাম ওর হাত ধরে কাছে টেনে নিলো।এভাবে নেগলেক্ট করতে পারোনা রুমু।দাঁতে দাঁত চেপে বলল আনাম। আপনি কি আমার কিছু হন?হন না তাহলে আপনাকে নেগলেক্ট করার প্রশ্নই আসেনা।ছাড়ুন আমাকে।রাগী গলায় বলতে থাকলো রুমু।কতোবার বলবো তেমায় আই লাভ ইউ।রাগী গলায় বলে উঠলো আনাম।রুমু আনামের হাত ছাড়িয়ে দ্রুত পদে বেরিয়ে গেলো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রুহী চুল মুছে রোয়েনের দিকে আড় চোখে তাকালো।রোয়েন রুহীর দিকে এক নজর তাকিয়ে ফোনে কথা বলায় ব্যাস্ত হয়ে পড়লো।ফোনে কথা শেষ করে রুহীকে কোলে তুলে নিলো রোয়েন।রুহী মাথা নিচু করে রোয়েনের গলা জড়িয়ে আছে দুহাতে।রুম থেকে বেরিয়ে এলো রোয়েন রুহীকে নিয়ে।
সিড়ির দিকে পা বাঁড়ালো রোয়েন।রুহীকে ডাইনিং টেবিলে বসিয়ে সবসময়কার মতো নিজ হাতে নাস্তা করালো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,সন্ধ্যায় গেস্টরা আসতে শুরু করেছে।রুহী ডার্ক ব্লু কালারের shari পরেছে।তার সাথে ম্যাচিং করে কানের দুল,ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক।রোয়েন কালো স্যুট পরে নিয়েছে। দুজনে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে গেস্টদের ওয়েলকাম জানাচ্ছে।কিছুক্ষন পর ওদের সামনে আজমল খান, আনিলা বেগম আর আনাম এসে দাঁড়ালো।
,,,,,,,,,,,,,,হায় ফাদার ইন ল বাঁকা হেসে আজমল খানের দিকে হাত বাড়ালো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,হ্যালো জামাই বাবু।Congratulation for the day.
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আপনাকে দেখে ভীষন ভালো লাগছে মিঃ আজমল খান।শয়তানি হাসি দিয়ে বলল রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,হুম মেয়ের জামাইর বাসা আসতেই হয়।বাঁকা হাসলো আজমল খান।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রোয়েন আজমল খানকে জড়িয়ে ধরে ওনার কানে বললেন সব কেঁড়ে নিবো আপনার।কুকর্ম গুলো সবাই জানবে। ফিসফিস করে বলল রোয়েন।আজমল খান থেকে সরে এসে মুচকি হাসলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,lets see son in law.হেঁটে সামনে চলে গেলেন আজমল খান।
,,,,,,,,,,,,,,,আনাম ওর হাতের ব্যাগ রুহীর হাতে ধরিয়ে দিলো।Congratulation both of you,শান্ত গলায় বলে স্মিত হাসলো আনাম।ধন্যবাদ আনাম।আনামের কাঁধে হাত রেখে বলল রোয়েন।
থ্যাংকস।রুহী মাথা নিচু করে আছে।ওর গলা ভারি হয়ে আসছিলো।মা রুহীর হাতে বালা জোড়া পরিয়ে দিলেন গোপনে।রোয়েনের হাতে একটি ঘড়ি পরালেন।দৃশ্যটা আজমল খানের চোখ এড়ালোনা।রক্তচক্ষু দিয়ে তাকিয়ে ছিলেন আনিলা বেগমের দিকে।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রুমু ও আজ রিসিপশন পার্টিতে এসেছে।সবাই খাওয়া দাওয়া করছে।আনাম রুমু কে দেখছে।রুমু আনামকে দেখে ও না দেখার ভান করছে।রুহী একা দাঁড়িয়ে গেস্টদের দেখছে।ঠিক সেই মুহূর্তে রুহীর হাত হ্যাঁচকা টানে বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো রোয়েন।সাদা একটা লাইট এসে পড়লো ওদের ওপর।রুহীর কপালে আলতো করে চুমু খেলো রোয়েন।রুহী রোয়েনের কোটের কলার খামচে ধরে আছে।রুহীর কোমড় জড়িয়ে আছে রোয়েন।রুহীর ডান হাতের আঙ্গুল গুলো নিজের আঙ্গুলের ভাজে ঢুকিয়ে নিয়েছে
রুহীর কোমড় ধরে দুলাচ্ছে রোয়েন গানের তালে তালে
Naino ki to baat naina jaane hai
Sapno ke raast rena jaane hai
Naino ki to baat naina jaane hai
Sapno ke raast rena jaane hai
Dil ki baatein dhadkan jaane hai
Jispe guzari woh dil jaane hai..
Hum deewane ho gaye hai aapke
Hum to bas itna jaane hai
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
Tu mera hai sanam
Tu mera hum dum..
Tere sang jeena ab sathon janam
Tu mera hai sanam
Tu mera hum dum..
Tere sang jeena ab sathon
রুহীর নিশ্বাস রোয়েনের নিশ্বাসের সাথে বাড়ি খাচ্ছে।দুজনের নিশ্বাস ভারি হচ্ছে।রুহীর বেশ কাছে চলে এসেছে রোয়েন।ফয়সাল চৌধুরী আজমল খানের কাছে এসে দাঁড়ালেন।
,,,,,,,,,,,,,,,,ভালো আছেন আজমল খান?ফয়সাল চৌধুরি বলে উঠলেন।
,,,,,,,,,,,,,,,,জি ভালো।তা এতোদিন পর আমার কথা মনে পড়লো আজমল খান ড্রিংক করতে করতে বললেন।
,,,,,,,,,,,,,হুম।তা মেয়েকে দেখছি শত্রুর কাছেই বিয়ে দিলেন।শয়তানি হাসি দিয়ে বললেন ফয়সাল চৌধুরী।
,,,,,,,,,,,,,,,,হয়ে গেলো তো।রুহীর দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে বললেন আজমল খান।আপনার ছেলে আনামকে আমার মেয়ে লিজার বেশ পছন্দ হয়েছে।যদি আপনার আপত্তি না থাকে তাহলে ওদের বিয়েটা সেড়ে ফেলতে পারি।একনাগাড়ে বলে উঠলেন ফয়সাল চৌধুরী।লিজা আজমল খানের কাছে এসে দাঁড়ালো। আজমল ও লিজা। মেয়েকে দেখিয়ে বললেন ফয়সাল।
আমার কোন আপত্তি নেই বিয়েতে। আজমল খান বলে উঠলেন।
আনিলা বেগম আজমল খানের কাছে এসে দাঁড়ালেন এসব কি করছো?ছেলের সম্মতি নেয়া উচিৎ।রাগী গলায় বলে উঠলেন আনিলা বেগম।তুমি চুপ থাকো।তোমাকে তোমার অপিনিয়ন জানাতে বলিনি আনিলা দাঁতে দাঁত চেপে বললেন আজমল খান।
আঙ্কেল আনাম কই?আজমল খানের দিকে তাকিয়ে বলল লিজা।
আনামকে টেনে আনলেন আজমল খান।লিজা কে একটু সময় দে আনাম।
আনাম আজমল খানের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো।কেন বাবা?
ও তোর হবু বৌ আনাম।লিজা যাও আনামের সাথে।আজমল খান আনামকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে লিজার সাথে গল্প করতে পাঠালেন।
আনামের কানের সামনে লিজা বকবক করছে।কিন্তু আনামের দৃষ্টি রুমুর দিকে।রক্তচক্ষু দিয়ে রুমুক দেখছে।রুমু ওকে ছেড়ে কি করে আরেকজনের সাথে নাচতে পারে ভেবে পাচ্ছেনা আনাম।লিজা থেকে সরে এসে রুমুর দিকে পা বাঁড়ালো আনাম।
নাচ শেষ হতেই রুহী সরে এলো রোয়েন থেকে।রোয়েন রুহীর দিকে বাঁকা হাসি দিয়ে চেয়ে আছে।রুহী রোয়েনের দিকে এক নজর তাকিয়ে দৌড়ে চলে গেলো।রোয়েন রুহীকে খালি একটা রুমে এনে দেয়ালের সাথে জাপটে ধরলো।গে গ গেস্ট আছে।কাঁপা কাঁপা গলায় বলল রুহী।
রুহীর শাড়ি ভেদ করে ওর পেটে চলে গেলো রোয়েনের হাত।নাভীর কাছে রোয়েনের হাতের আঙ্গুল গুলো স্লাইড করছে।রুহী দ্রুত নিশ্বাস নিচ্ছে।রোয়েন রুহীর কাঁধে ঠোঁট বুলাতে লাগলো।একএকটা স্পর্শ রুহীর ভিতর তোলপাড় শুরু করেছে।বেশ কিছুক্ষন পর সরে এলো রোয়েন।রুহী চোখ বুজে আছে।রুহীর চোখের পাতায় চুমু একেঁ দিলো রোয়েন।রুহী চোখ খুলে রোয়েনের তাকালো।রুহীর হাত ধরে পার্টিতে চলে এলো রোয়েন।
আনামের দিকে চোখ পড়তেই রুমু ওর ড্যান্সপার্টনারের সাথে আরো ক্লোজ হয়ে নাচতে লাগলো।রুমুর হাত ধরে টেনে নিজের কাছে আনালো আনাম।তোমার তো সাহস কম না?আরেকজনের সাথে ড্যান্স করছো?দাঁতে দাঁত চেপে বলল আনাম।রুমু আনামকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো।যার সাথে ইচ্ছে ড্যান্স করবো আপনার কি?রাগী গলায় বলে উঠলো রুমু।আনাম থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে দৌড়ে চলে গেলো রুমু।
(জানিনা কেমন হয়েছে?একটু ভালো লাগছিলো দেখে লিখে দিলাম)
চলবে