The Cobra King Mafia Boss- Season 4

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 47

শপিং শেষে ঘরে ফিরে আসে রুহী।অবশ্য বাসায় ফিরার সময় দেখতে পেলো রোয়েনের কলোনিতে ঢুকারয জন্য যে গেটটা ব্যাবহৃত হয় সেই গেটের সামনে তিনচারজন লোক কাজ করছে।রাস্তা অনেক গুলো লাইট রাখা প্যাঁচানো।এগুলো বিয়ে বাড়িতে ব্যাবহৃত হয়।ওদের সাথে শামীম ও দাঁড়িয়ে ছিলো।রুহীকে দেখে শামীম বলল,
.
.
-”ও হচ্ছে রুহী তোমাদের বড় স্যারের হবু বউ।”
-”ওহ।ভালো আছেন ম্যাডাম?”
.
.
ওদের মাঝে একজন জিজ্ঞেস করে।বাকিরা রুহীকে দেখে হাসছে ওর সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে।রুহী ভিতরে চলে এলো।আশফিনা আর নীরা রেজোয়ান মাহবুবের বাসায় চলে যায় তাঞ্জুম ও নিজের ঘরে চলে গেলো।রুহী বাসায় চলে আসে।ঘরে পাঁচজন সার্ভেন্ট ছাড়া কেউ নেই।রুহী রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে কাপড় পাল্টে খাটে গা এলিয়ে দিলো।তারপর ফোন অন করে ফেসবুক নোটিফিকেশন স্ক্রোল করতে শুরু করে।ওর প্রোফাইল ছবিটা হলো রোয়েন আর ওর কাপল পিক।রোয়েন হাত বাড়িয়ে রুহীকে জড়িয়ে ধরে আছে।আর রুহীর মুখে লাজরাঙ্গা হাসি।রুহীর চোখজোড়া ভারি হয়ে আসে।প্রোফাইল টা দেখতে থাকে।এখানে কিছু স্ট্যাটাস আছে যেমন,”আজ সে প্রোপজ করলো বিয়ের জন্য।জানিনা একজন মানুষ কিভাবে এতো ভালবাসতে পারে?নাকি আমি অনেক বেশি ভাগ্যবতী!!”স্ক্রোল করার মাঝেই রুহীর হোয়াটস এ্যাপে একটা আননোন নম্বর থেকে মেসেজ এলো।রুহী তৎখনাৎ হোয়াটসএ্যাপ ওপেন করলো সেখানে ওর এ্যাংগেজমেন্টের আগে যেমন সিম্পল পোষাকে ছিলো তেমন কিছু ছবি আর এ্যাংগেজমেন্টের সময়ের কিছু ছবি।কিছু টা অবাক হয় রুহী।তখন মনে হয় হয়ত কেউ ফাজলামো করছে কারন সেদিন অনেকেই এসেছিলো।সামায়রার কাজ হতে পারে।রুহী আবার ফেসবুক ঘাঁটতে শুরু করে।একসময় রোয়েনের আইডিতে ঢুকে।সেখানে সব কিছু লুকানো।খালি রুহী রোয়েন কিংবা রোয়েনের দলের লোক আর ওর বন্ধুদের সাথে তোলা কিছু ছবি।
সন্ধ্যায় ফিরে আসে রোয়েন ফোনে কথা বলতে বলতে।রুহী সেদিকে উঁকি দেয়।মনে হচ্ছে লোকটা বেশ ব্যাস্ত।রুহী রুম থেকে বের হয়ে গ্লাসে পানি ঢেলে রোয়েনের রুমে আসে।শার্টের বোতাম খুলছে রোয়েন।রুহী গ্লাসটা টিটেবিলে রেখে বলল,
.
.
-”একটু বলবেন কি হয়েছে?কেন ওনাদের ওপর এতো রাগ আপনি?বলেন আমাকে।আর কতোদিন এভাবে চুপ থাকবেন?আমার দম আটকে আসছে এভাবে থাকতে পারছিনা আর।”
.
.
রুহীর কথার কোন রুপ জবাব না দিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যায় রোয়েন।রুহী আর কিছু বলতে পারেনা।চোখের মনিজোড়া চকচক করছে। রুহী কোনমতে নিজেকে দমিয়ে রুমে চলে আসে।পরদিন রুহীকে নিয়ে পার্লারে যাওয়া হয়।ওর চেহারার অবস্থা ভালো নেই।কয়েকদিনে চেহারার উজ্জ্বলতা হারিয়ে গেছে।আশফিনা রুহী আর সামায়রা এসেছে।রুহীর চুল কাঁটা হচ্ছে।সামায়রা আর আশফিনা হাসা হাসি করছে কি নিয়ে যেন।কিন্তু রুহী ভাবছে সকালের কথা।কারন সকালে হোয়াটসএ্যাপে আগের নম্বর থেকে গতকালকের ছবি এসেছে ওর নিজের।মার্কেট থেকে শুরু করে ঘরে কাঁটানো প্রত্যেকটা মুহূর্তের ছবি পাঠিয়েছে।রুহীর কেন যেন মনে হলো হয়ত রোয়েন করছে।তার হয়ত অভিমান কাঁটতে শুরু করেছে।সে কথা বলতে চাইছে।তবে এ নম্বরটা তো ওনার নয়।হয়ত নতুন সিম লাগিয়েছে।রুহীর অপেক্ষার শেষ হচ্ছেনা।চুল কাঁটার পর ফেশিয়াল করা হলো।সামায়রা ও আশফিনা কিছু কাজ করিয়েছে।কাজ শেষ হতে হতে রাত আটটা বেজে গেলো।রোয়েন এতক্ষনে ঘরে এসে গেছে।রুহীর ফোনে আরো কিছু ছবি এলো পার্লারে যাওয়ার আগের থেকে পরের কিছু মুহূর্তের।রুহী ঘরে ফিরেই রোয়েনের রুমে উঁকি দেয়।সে রুমে নেই।বাথরুমে গোসলের শব্দ আসছে।রুহী রুমে ঢুকে দেখে খাটের ওপর ফোন রাখা।রুহী ফোনটাকে খুলে খেয়াল করে সিম একটাই।নতুন কোন সিম নেই।রুহীর এবার কেমন যেন লাগলো।রোয়েন এ কাজ করছেনা তাহলে কে করছে।চিন্তিত মুখে রুমে আসে রুহী।ফ্রেশ হয়ে বিছানায় বসতেই হোয়াটসএ্যাপে সেই একই নম্বর থেকে মেসেজ এলো,
সেখানে লিখা ছিলো,”তোমার ছবি শুধু আমিই দিতে পারবো আর কেউ না।স্বয়ং তোমার হবু স্বামী রোয়েন ও নন।”
রুহী এবার চিন্তিত হয়ে পড়ে।বেশ ভয় কাজ করতে থাকে ওর মাঝে।এরই মধ্যে রুহীর বিয়ের শাড়ী আর গয়না গাটি ও কিনা হয়।সেদিনকার ছবি ও সেই নম্বর থেকে পাঠায়।
সেদিন রামীন রোয়েন আর কয়েকজন একসাথে বসে।রোয়েন অবশ্য আসতে চায়নি রামীন জোর করে এনেছে।রামীন রোয়েনকে জিজ্ঞেস করে,
.
.
-”হলুদ আট তারিখে না?”
-”হুম।কেন?”
-”আচ্ছা শোন আমি বলি।আট তারিখে যদি হলুদ আর মেহেদী হয় তাহলে নয় তারিখে সঙ্গীত।এটার জন্য দুই মেয়ে লাগবে ওরা নাচবে।প্রোফেশনাল ড্যান্সার লাগবে।যারা যেকোন গানে সহজে নাচতে পারবে।”
-”সো।তুই নাচবি?”
.
.
গম্ভীর গলায় জিজ্ঞেস করে রোয়েন।রামীন ভেংচি কেঁটে বলল,
.
.
-”আরে নাহ আশফিনার সামনে ইজ্জত খোয়াবো?আমার পরিচিত দুজন বোন আছে।ওরা বিভিন্ন বিয়েতে গিয়ে নাচে আর ইন্সট্রাকশন দেয়।ওরা বেশ ভালো ও।সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে আসছে।তো ওদের ভাড়া টা বেশিই হবে।আর ভালো থাকার ব্যাবস্থা করতে হবে।”
.
.
এতক্ষন রামীনের কথা শুনে রোয়েন বলল,
.
.
-”তোর ইচ্ছে হলে আসতে বল।থাকা খাওয়ার প্রবলেম হবেনা।”
-”একটা কথা রোয়েন।ওরা কিন্তু একা কোন হোটেলে থাকবেনা।ফেমিলি বাসা লাগবে।আমার ভাই দেখলে বিরক্ত হতে পারে।”
-”প্রবলেম নাই আমার উপরের রুম গুলো তো খালি।ওখানে থাকবে।”
-”রোয়েন তুই শিওর?ওরা রিহার্সাল করতে পারে গান ছেড়ে।”
-”সেটা দেখা যাবে।”
.
.
রোয়েন খেয়াল করছে রুহী খুব ডিস্টার্বড কিছু নিয়ে।অমনোযোগী সব কিছুতে।রোয়েন চেয়েও কিছু করতে পারছেনা।কাকে দিয়ে বলাবে বুঝতে ও পারছেনা।কেঁটে যেতে থাকে দিনগুলো।এর মাঝে রুহী বারবার চেষ্টা করে রোয়েনের সাথে কথা বলতে কিন্তু বলেনি রোয়েন।
রুহী সারাটা সময় মন খারাপ করে আতঙ্কে কাঁটাতে থাকে।এদিকে হলুদের আগের দিন রোয়েনের ঘরে ফুল লাগানো শেষ হলো রামীন আর রোয়েন বসে গল্প করছিলো।রুহী খাটের এক কোনে বসে রুমের ফুল গুলো দেখছে। ওর পরনে লাল রং এর স্যালোয়ার কামিজ আর মাথায় ঘোমটা।হঠাৎ রুহীর ফোনে সেই আগের নম্বর থেকে একটা ছবি আসে রুহী এখন যে অবস্থায় যে কাপড়ে বসে আছে সে অবস্থার।এ ছবি দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনা রুহী।কিছুটা উন্মাদের মতো খাট থেকে নেমে দৌড়ে বেরিয়ে আসে ড্রয়িং রুমে।সেখানে রামীন আর রোয়েন বসে গল্প করছে।রুহীকে দেখে বেশ অবাক হয় ওরা।রামীন রোয়েন অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ওর দিকে।রামীন বলল,
.
.
-”রুহী সব ঠিক আছে তো?এমন ঘাবড়ে গেছো কেন?”
.
.
রামীন আর রোয়েনকে দেখে রুহী আর কিছু বলতে পারেনা।এক কথাই বলল ও,
.
.
-”না ভাইয়া কিছুনা।”
.
.
রুহী রুমে চলে আসে।সেরাতটা বড় আতঙ্কে কেঁটে যায় ওর।আজ হলুদের দিন।
হলুদের দিন রাতে দুই বোন আসবে জানায় রামীন।হলুদের দিন টা চলেই এলো।হলুদ রোয়েনের কনভেনশন সেন্টারে করা হবে।দুজনের একসাথেই হলুদ করা হবে।হলুদ সকালেই হবে আর মেহেদী সন্ধ্যায়।খুব ভোরে রুহীকে উঠিয়ে দেয় আশফিনা আর নীরা।ওকে ঠেলে ফ্রেশ হতে পাঠিয়ে দেয় ওরা।এদিকে আরমান হামিদ,রামীন, শামীম, রেজোয়ান সবাই এসে গেছে।রোয়েন কে ও তো রেডি করতে হবে।রুহীকে সাজাচ্ছে আশফিনা আর নীরা হামিদ।মেকআপ করাতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হলো নীরা হামিদের।রুহী ওনাকে বার বার থামাচ্ছে আর না আরনা বলে।ওনি ও থামবার পাত্রী নন।রুহীকে সাজিয়ে শাড়ী পরানো হয়।পুরো হলুদ বর্নের শাড়ী।শাড়ীর পারে ছিটা ছিটা জরীর কাজ।বেশ জ্বলজ্বলে কাপড়টি।খুব সুন্দর। এরপর রুহী ফুলের গয়না পরানো হয়।সব গুলো ফুল হলুদ বর্নের।রুহীকে একদম হলদে পাখি লাগছে।রুহীর সামনের চুল গুলো বেনি করে দুপাশে ক্লিপ দিয়ে আটকানো আছে।আর ফুলের টিকলির সাথে দুটো হলুদ ফুলের মালা বেনী দুটোর সাথে জড়ানো।রুহীকে সাজানো শেষে আশফিনা আর নীরা ওর সামনে এসে দাঁড়ায়।নীরা হামিদ বলেন,
.
.
-”বাহ তোকে তো চমৎকার লাগছে রুহী।”
.
.
রুহী কিছুই বলেনি মন খারাপ করে বসে আছে।নীরা হামিদ রুহীর চিবুক ধরে নেড়ে বলেন,
.
.
-”একটু হেসে দেনা মা।”
.
.
জবাবে রুহী ম্লান হাসি দেয়।এদিকে রোয়েনকে সাদা পাঞ্জাবী পরানো হয়েছে।সাদা পাঞ্জাবীর কলারে কালো ফুলের কাজ।রামীন বলল,
.
.
-”বাহ হিরো লাগছে রোয়েন।”
-”হুম।”
-”আচ্ছা দেখে আসি রুহীর সাজ হলো কিনা।বের তো হতে হবে।”
.
.
রামীন বেরিয়ে আসে।ও রুহীকে না আশফিনা কে দেখবে।আশফিনা লাল শাড়ী পরেছে অবশ্য বৌ ছাড়া সব মেয়েরা লাল শাড়ী পরেছে।আশফিনাকে ভালোমতো দেখতে রামীন রুমে ঢুকে যায়।
.
.
-”বাহ বৌ আর বান্ধুবীকে তো সেই মানিয়েছে।আর মামী তো সেরা রুপবতী।মামা কে বলে আবার বিয়ে করে নেন মামী।”
-”যাহ বাঁদর ছেলে কি বলে???”
.
.
হেসে দেন নীরা হামিদ।রুহী আর রোয়েন সমেত বেরিয়ে আসে সবাই।মামী সামায়রা,আশফিনার হাতে ডালা।রুহী আর রোয়েনকে জোর করে গাড়িতে পাশাপাশি বসায় রামীন।রুহীর পাশে আশফিনা বসেছে।রোয়েন সামনের গ্লাস দিয়ে রুহীকে দেখতে পায়।একদম হলুদ পরী লাগছে রুহী।দুহাতে সাদা আর হলুদ ফুলের চুড়ি।গলায় তিনটা সাদা আর হলুদ ফুলের মালা।ইসস একটু ছুঁয়ে দিতে পারতো।রুহী ও লুকিয়ে রোয়েনকে দেখে কালকের দিনটার পর ওর বর হবে রোয়েন।ওদের ভালবাসা ও একটা নাম পাবে।কিন্তু হয় আগের কাছে পাওয়া টা হবেনা।দূরত্ব লেগেই থাকবে।
কনভেনশন সেন্টারে পৌছে গেলো ওরা।রুহীর মাথার ওপর বড় ফুলের ডালা ধরে।এটি বাঁশ দিয়ে বানানো।চার সাইড ধরেছে রামীন শামীম ফাহিম আর রাসেল।রুহী আর রোয়েন কে পাশাপাশি স্টেজে বসিয়ে দেয়া হলো।ওদের সামনে ডালা রাখা আছে আর বড় একটা কেক।নানা নানু ও এসেছে। ওদের দেখে রোয়েনের প্রচুর মেজাজ খারাপ হলো।তবে মুরব্বী হয়ে ওরা আগে এসে রুহী আর রোয়েনের পাশে বসে।নানু রুহীর কানে কানে বলল,
.
.
-”শাড়ী কতো নিয়েছে রুহী?”
-”নানু দয়া করে হলুদ দিয়ে চলে যান প্লিজ!!!!”
.
.
ফিসফিসিয়ে বলল রুহী।নানু মুখ গোমড়া করে রুহীর গালে হলুদ লাগিয়ে দেয়।নানা কিছুটা বিরক্ত হয়ে রোয়েন কে হলুদ লাগায়।দুজনেই ওদের আঙ্গুর খাইয়ে দিয়ে চলে যায়।এর পর আসেন রেজোয়ান মাহবুব।ওনি আগে রোয়েনকে তারপর রুহীকে হলুদ লাগান।তারপর খাইয়ে দিয়ে চলে যান।রুহীকে খাওয়ানোর সময় ঝরঝর করে কেঁদে দেন ওনি।রুহীও কেঁদে ফেলে বাবার কান্না দেখে।এদিকে রামীন আশফিনার সাথে কথা বলার জন্য ঘুর করছে।কিন্তু আশফিনা ঘুরছে রুহী আর রোয়েনকে হলুদ লাগাবে আর ইচ্ছেমতো ছবি তুলবে।বান্ধুবীর হলুদ বলে কথা।এদিকে রামীন আশফিনাকে একা পেতে চাইছে।আশফিনা মামা মামীর পর সামায়রা কে নিয়ে স্টেজে উঠলো।রোয়েন রুহী হলুদ লাগিয়ে খাইছে ইচ্ছে মতো ছবও তুলতে শুরু করে।এক পর্যায়ে রোয়েনকে সামায়রা বলল,
.
.
-”ভাইয়া মাইন্ড না করলে একটু উঠবেন কষ্ট করে।আপুর সাথে ছবি তুলবো।”
-”শিওর,তুলো ছবি।”
.
.
রোয়েন দাঁড়িয়ে কই যেন গেলো।আশফিনা আর সামায়রা অনেক্ষন ছবি তুলে স্টেজ থেকে নেমে আসে।রোয়েন এসে বসলো।আশফিনাকে একা পেয়েই রামীন আর সুযোগ মিস করেনি।আশফিনাকে টেনে খালি জায়াগায় আনে।আশফিনা রেগে বলল,
.
.
-”পাগল আপনি?কেউ দেখে ফেললে?”
-”প্রবলেম কি? আমার প্রেমিকা তুমি।অন্য কাউকে আনি নাই।”
-”আসলেই পাগল আপনি।”
-”তোমার জন্য।”
-”আপনার মাথা। ছাড়েন ওখানে থাকতে হবে।”
.
.
বলে আশফিনা চলে যাচ্ছিলো।রামীন ওকে টেনে দেয়ালের সাথে চেঁপে ধরে ওর ঠোঁট জোড়ায় ঠোঁট ডুবিয়ে শুষে নিতে থাকে।
চলবে