1. নতুন গল্পঃ4. রোমান্টিক উপন্যাস গুলোঃThe Cobra King Mafia Boss- Season 4লেখাঃ তাবাসসুম রাইনা

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! লেখাঃ তাবাসসুম রাইনা

Mafia Boss

রেজোয়ান মাহবুবের ফোন বেজেই চলছে।ফোন এসে কিছুক্ষন বাজার পর কেঁটে যাচ্ছে আবার ও ফোন আসছে।ফোনের নম্বরটির ওপর একবার চোখ বুলান রেজোয়ান মাহবুব তারপর বিরক্ত হয়ে ফোন সাইলেন্ট করে দিলেন।পাশের ডেস্ক থেকে শামীম বলল,
.
.
-স্যার মনে হয় দরকারি কল কথা বলেন।
-কোন দরকারি কল নয়।যত্তসব ন্যকামি করবে মেয়েটা।

(বিঃ দ্রঃ “ The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! লেখাঃ তাবাসসুম রাইনা ” উপন্যাসর সবগুলো পর্ব একসাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন)

শামীম আর কিছু বলতে পারলোনা।রেজোয়ান মাহবুব কে ভালো করেই চিনে ও।লোকটা নিজের মেয়ের প্রতি উদাসীন।কখনো আদর করে কথা বলেননা।শামীম নিজের মেয়ে দৃষ্টির প্রতি খুব যত্নশীল। ভীষন আদর করে মেয়েটাকে।বাহিরে এলেই ফোন দিয়ে বাবার খবর নিবে।খেয়েছে কিনা জানতে চাইবে।ভীষন মায়া লাগে মেয়েটার জন্য।মেয়ের কথা ভেবে একটু হাসে শামীম।এদিকে ফোনের লাইট বারবার জ্বলছে দেখে আর থাকতে পারলেননা রেজোয়ান মাহবুব।ল্যাপটপের বাটন থেকে হাত সরিয়ে ফোন হাতে নিয়ে কল রিসিভ করে।
.
.
-কি হলো এতো বার কল দিচ্ছিস কেন?দেখছিস না কল রিসিভ করছিনা।তোর বুঝা উচিৎ আমি ব্যাস্ত।
-চোখজোড়া ভরে আসে রুহীর।বাবা তুমি আসবেনা?
-কোথায়?
-নানু বাসায়।
-কেন? কেউ মারা গেছে?
-বাবা এভাবে বলো না।পরশু আমার এ্যাংগেজমেন্ট রায়িদ এর সাথে।তুমি আসলে ভালো লাগতো।
-দেখ রুহী।আমার হাতে দশকোটিটাকার ডিল আছে।কোথাও মুভ করতে পারবোনা আমি।তোর এ্যাংগেজমেন্টে এসে কি আমি আমার দশকোটি টাকা লস করবো?
-না বাবা তা না।কিন্তু!!!!
-কোন কিন্তু না।আমার এসব ভালো লাগেনা।তোর এ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাচ্ছি।যা লাগে কিনে নিবি।
-বাবা রায়িদের মা বাবা কে কি বলবো।ওনারা তো জিজ্ঞেস করবেন তুমি আসোনি কেন?
-বলিস মারা গেছে তোর বাপ।
.
.
রুহী আরো কিছু বলতে নিচ্ছিলো তখনই রেজোয়ান সাহেবের ডাক পড়ে পিছন থেকে।রেজোয়ান সাহেব পিছনে ফিরেন।
.
.
-জি রফিক বলো।
-বস আপনাকে ডাকছে।
.
.
রেজোয়ান মাহবুব ফোন কেঁটে বেরিয়ে যায়।বিদায় নেয়ার ও সময় হয়নি ওনার।পাশ থেকে শামীম ওনার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।এমন কেন ওনি?অন্তত ভাবে কথাটা বললেই পারতেন।কেমন যেন খারাপ লেগে উঠে শামীমের। রেজোয়ান মাহবুব হেঁটে হেঁটে সোনালী বর্নের কোবড়া খচিত কালো দরজাটার সামনে এসে দাঁড়ান।তারপর নিজের আইডি কার্ড ধরেন ক্যামেরার সামনে।তারপর দরজাটা গড়গড় করে খুলে গেলো।রেজোয়ান মাহবুবের চোখ পড়ে সামনে পিঠ দিয়ে বসে থাকা মানুষটার দিকে।তার কালো কোটটার ওপর সবুজ আর নীল রং এ রাঙ্গানো কোবড়াটির দিকে।রুমটি বেশ ঠান্ডা আর মৃদু মনোমুগ্ধকর পারফিউমের গন্ধে ভরে আছে।রেজোয়ান মাহবুব চারদিকে চোখ বুলিয়ে সামনে বসে থাকা লোকটির ওপর চোখ রাখেন।সে চেয়ারটিকে ঘুরিয়ে সামনে ফিরে।তারপর হাতে থাকা। কফি মগটাকে টেবিলের ওপর রেখে রেজোয়ান মাহবুবের দিকে তাকায়।হালকা খয়েরী বর্নের চোখজোড়ায় একবার চোখ বুলিয়ে রেজোয়ান মাহবুব বললেন,
.
.
-স্যার ডেকেছিলেন।
-ইয়েস।আমাদের সেই ডিলটার কি হলো।কাজের কতোটুকু হলো?
-আ’ম সরি স্যার।এখনো একটু বাকি আছে।
-ইটস ওকে রোজোয়ান।তুমি আমার লেফ্ট হ্যান্ড তুমিই আমার রাইট হ্যান্ড।পুরো বিশ্বাস আছে তোমার ওপর।কতদিন লাগতে পারে কাজটা হতে?
-সারা পাঁচটা দিন দেন।হয়ে যাবে কাজ।
-ওকে।টেক ইউর টাইম।
-থ্যাংকস স্যার।
-হুম।
.
.
রেজোয়ান মাহবুব বেরিয়ে আসেন।এতক্ষন যার সাথে কথা বলছিলেন সে হলো কোব্রা লর্ড রোয়েন চৌধুরী।যে নিজের পার্ফেকশনের মাধ্যমে তার মাফিয়া গ্রুপটাকে আগলে রেখেছে।নিজের খয়েরী বর্নের চোখজোড়া দিয়ে যে কাউকে সহজে ঘায়েল করতে সক্ষম এ কোব্রা লর্ড।শরীরের অসাধারন মুভ গুলো দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করতে জুড়ি নেই রোয়েনের।অফিস থেকে বের হতেই দূর দুরান্তের মেয়েরা ওকে দূর থেকে দেখে নিজেদের চোখজোড়াকে সার্থক করে।কারন ওর সামনে যাওয়ার সাহস কারোর নেই।রেজোয়ান চলে যেতেই বাঁকা হাসে রোয়েন।লোকটার ফোনে বলা কথা গুলো ও শুনেছে।তবে ও কেয়ার করেনা।কাজ হলেই হলো।
,
,
,
,
এদিকে রুহী ফোন রেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেনা।কাঁদতে শুরু করে ফুঁপিয়ে।মিসেস সেলিনা হামিদ রুহীর রুম পাড় করে ড্রয়িং রুমে যাচ্ছিলেন।নাতনীর কান্না শুনে রুহীর রুমে আসেন ওনি।তারপর রুহীকে বুকে জড়িয়ে নেন।
.
.
-কি হয়েছে রুহী?
-নানু বাবা এমন করে কেন?আমার না একদম ভালো লাগছেনা।
-কি করেছে রেজোয়ান?
-বাবা বিয়েতে আসবেনা।বাবার নাকি ভালো লাগেনা।আমাকে একদম ভালোবাসেনা বাবা।নানু আমি কি এতোটাই খারাপ।
-না নানুমনি তুই যাদুমনি।তোর বাবা ব্যাস্ত ছিলো মনে হয়।
-বাবা সবসময় এমন করে নানু।
-সামনে আসলে একদম বকে দিবো।
.
.
সেলিনা হামিদের গলা জড়িয়ে কাঁদতে থাকে রুহী।রুহীর পিঠে হাত বুলাচ্ছেন সেলিনা হামিদ।তারপর মায়াজড়ানো কন্ঠে বললেন,
.
.
-আমার নানু মনির জন্য ক্ষীর বানিয়েছি।নানু মনিটাকি খাবে?
-মুখে হাসি ফুঁটে উঠে রুহীর।নানু তুমি এত্তগুলা ভালো।সেলিনা হামিদের গালে চুমু খায় রুহী।
-চল। তোকে দেই।
-চলো।
.
.
রুহী সেলিনা হামিদের সাথে ক্ষীর খেতে চলে যায়।ক্ষীর খাওয়ার মুহূর্তে রুহীর ফোন বেজে উঠে। চামুচ রেখে ফোন হাতে নেয় রুহী।তারপর ওর মুখে লজ্জা মাখা হাসি ফুঁটে উঠে।সেলিনা হামিদের বুক ভরে এলো নাতনীর মুখের হাসি দেখে।
.
.
-নানু আমি এক্ষুনি আসছি।
-আচ্ছা যা কথা বলে নে।
.
.
রুজী রুমে এসে দরজা চাপিয়ে ফোন কানে ধরে।অপর পাশ থেকে কেউ বলল,
.
.
-কেমন আছো জান?
-ভালো। তুমি?
-এইতো।খুব মিস করছি তোমাকে।
-কয়দিন পর তো তোমার কাছেই আসছি।
-তারপর সারারাত ভর আদর করবো মন ভরে।
-রুহী চোখজোড়া বুজে বলল এসব বলো না সামির।
-কেন জান লজ্জা লাগছে বুঝি?
-না।বলো কি বলবে?
-বলছিলাম তোমার বাবা কি আসবে?
-আসলে বাবার খুব ইম্পরট্যান্ট কাজ এসে গেছে।বলেছে আসার চেষ্টা করবে।
-মেয়ের থেকে কাজ ইম্পরট্যান্ট?কেমন বাবা তোমার?
-একটু রাগ হয় রুহীর।সামির বাবা আসবে দেইখো।
-আচ্ছা ম্যাম রাগ করতে হবেনা।চলো কোথাও ঘুরে আসি।
-আজ একটু পার্লারে যেতাম।
-ওহ আচ্ছা ঠিক আছে।তাহলে আজকের ডেট ক্যান্সেল।তবে কাল অবশ্যই যাবো আমরা।
-ওকে।
-আর শুনো।
-বলো শেখ জায়েদ মসজিদে বিয়ের কথা বলছিলো ড্যাড।তোমার মতামত জানতে চেয়েছিলো।
-ওটাতো আবুধাবীতে।
-তো।আগের দিন যাবো সেখানে।তা তোমার কোথায় ইচ্ছে বলো।
-আঙ্কেল যা বলছে তাই হবে।
-ওকে।
.
.
ফোন কেঁটে যায়।সেদিন রুহীর এ্যাকাউন্টে ১০ লাখ টাকা জমা হয়।রুহী পার্লার থেকে ফিরার সময় টাকা নিয়ে ঘরে ফিরে।পরদিন বিকেলে সামির কে নিয়ে বেরিয়ে যায় শপিংমলের উদ্দেশ্যে।সামির পুরো শপিংমলে ওর শরীরে হাত দিচ্ছিলো আর রুহী বারবার সরে যাচ্ছিলো।এসব ভালো লাগেনা ওর।সামিরকে কতো করে বলেছিলো।কিন্তু কথা শুনতে চায়না ও।গাড়িতে বসে রুহীকে অনেকবার কিস করার চেষ্টা করে সামির।জোর করে গালে দুটো চুমু খেয়ে ও নেয়।কিন্তু রুহী ওকে সরিয়ে দিয়েছে বারবার।রাগ হয় সামিরের।তারপর ও নিজের রাগ দমন করে নেয়ও।সেদিন এ্যাঙ্গেজমেন্টের শপিং করে ঘরে ফিরে রুহী।
রেজোয়ান মাহবুব অফিসের একটি বারে রোয়েনের সাথে কথা বলছিলো।রেজোয়ান মাহবুবের ফোনে বারবার ছবির মেসেজ আর কল আসছে।এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে শামীমের হাতে ফোন ধরিয়ে দেন ওনি।শামীম ফোন দেখছে।বারবার কল মেসেজ আসছে।
.
.
-স্যার আপনার মেয়ে বারবার মেসেজ দিচ্ছে আর কল করছে।একটু কথা বলুন।আজ তো ওনার এ্যাংগেজমেন্ট মনে হয়।
-শামীমের হাত থেকে ফোন নিয়ে টেবিলে রেখে দিলেন রেজোয়ান।যত্তসব।
.
.
রেজোয়ান মাহবুবের সাথে কথা বলার মাঝে রোয়েনের চোখ পড়ে ফোনে আসতে থাকা ছবি গুলোর দিকে।তারপর আর চোখ সরাতে পারেনা ও।কেমন জানি ওর চোখজোড়া আটকে গেছে ছবিটার ওপর।
চলবে…..

Mafia Boss Mafia Boss Mafia Boss Mafia Boss Mafia Boss Mafia Boss Mafia Boss Mafia Boss

বিঃ দ্রঃ নিচে ভালো করে লক্ষ্য করুন পরবর্তী পর্বে দেওয়া আছে

বিঃ দ্রঃ “ লেখাঃ তাবাসসুম রাইনা ” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন !!

👉আমাদের ফেসবুক পেজ