অন্তরালে !! Part- 03 (Last-Part)
আমি অফিস যেতে একটু অবাক আজ কেউ নেই অফিসে পুরা ফাকা কি হলো আজকি তবে ছুটির দিন। আমি কিছু বুঝতে পারছিনা৷ হটাৎ করে আমার সামনে এসে উপস্থিত হলেন আমার মা, বাবা,আর দুই ভাই বোন।
-তোমরা এখানে?
-আজ তোর বিয়ে আমরা থাকবেনা (আমার মা)
-বিয়ে মানে।
-কথা বারাস না চল।
আমার মা আমাকে এক প্রকার টানতে টানতে নিয়ে এলেন একটা বড়ো বাড়িতে।
আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। কি হচ্ছে আমার সাথে এগুলো।
-মা কোথায় নিয়ে এসেছো। বাবা ও বাবা কিছু বলো না আমি কি করেছি। আমাকে কোথায় নিয়ে এসেছো।
-আগে চল৷
মা আমাকে বাসার মধ্যে এনে একটা রুমে নিয়ে বিয়ের সাজে সাজিয়ে দিলো৷।
আমি কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না। মা আমাকে ভেতরে এনে কড়া গলায় বললেন আমি যেন কোন কাজে বাধা না দি। কিছুই করার নেই আমি তো কাঠের পুতুল মাত্র তাই না। আমাকে সাজিয়ে নিয়ে এলেন নিচে সেখনে আমি আসফি স্যারকে দেখতে পেলাম বর সাজে বোসে আছে।
চোখ দিয়ে পানি পরছে অনাবরত।
-মা এই লোকটাকে বিয়ে করবো না৷ ও বাবা বোঝাও না মাকে। আমিতো সব কথা শুনি তোমাদের৷
-আর কতো কষ্ট দিবি বলতো তুই অলক্ষি। তুই এখন এনাকে বিয়ে করে আমার ঘাড় থেকে নাম মাকে খেয়ে আমার ব্যাবসা খেয়েছিস আমাকে জন্মের পর থেকে শান্তি দিস নি দয়া কর এখন আমাকে। (বাবা রেগে বলে উঠলেন) ।
আমি এই কথা গুলো শুনার পর কিছু বলার ইচ্ছে টাকে মেরে দিলাম চুপ করে বিয়ে টাও করে নিলাম। আমার বিয়ের সমস্ত কাজ হয়ে গেল। পাথরের মুর্তির ন্যায় দাড়িয়ে আছি৷ চুপ করে সব কথা শুনে চলেছি৷ আর বোঝা হতে চায় না কারোর৷
আমার বিয়ে হয়ে গেলে মা বাবা আমাকে রেখে চলে এলেন৷ আমি রয়ে গেলাম৷
,

ফুলে সজ্জিত খাটে বসে আছি আমি। ভারি ভারি গয়না পরে, হটাৎ আসফি স্যার এলেন এসে আামর হাট দুটো শক্ত করে ধরে হটু মুড়ে বসলেন আমার পাশে।
-আমি জানি সবটা তোমার অনিচ্ছায় হয়েছে। তুমি চাওনি বিয়েটা করতে৷ আমি এক পর্যায় জোর করে করেছি। কিন্তু আমি আর তোমাকে ওই বাজে লোক গুলোর সাথে থাকতে দিতে পারতাম না তোমাকে। বড্ড বেশি ভালোবাসি আমি তোমাকে। তুমি হয়তো জানো না তোমাকে আমি চিনি তোমার জখন ৫ বছর বয়স তখন থেকে আন্টি মারা জাবার পর তোমাকে নিজের চোখের সামনে অনেক কষ্ট পেতে দেখেছি আমি৷ তোমার জন্য নিজেকে গোড়ে তুলেছি একটু একটু করে। তোমাকে প্রথম এতদিন পর দেখে নিজেকে সামলাতে পারি নি তাই ওই দিন ওই রকাম ব্যাবোহার করেছিলাম। তার জন্য দুঃখিত আমাকে মাফ করে দেও। চলোনা নতুন জীবন শুরু করি তোমার জীবনের সব দুঃখ মুছে দিবো। আমাকে সেই সুজগ টা দিবে।
-আপনি কে।
-তোমার আসফি ভাইয়। মনে পরে৷ অবশ্য অনেক ছোট ছিলা মনে না থকাটা সাভাবিক। আমরা একই বাসায় ভাড়া থাকতাম।
আমি ওনাকে জরিয়ে ধরি।
-এতোগুলা বছর কই ছিলন। হটাথ ইবা চলে কেন গেছিলেন সেদিন।
-নিজেকে তোমার জগ্য করতে ব্যাস্ত ছিলাম৷ আসলে তুমিতো জানো বাবার চাকরি বদলি হয় হুট করে চলে যায় আমরা। তোমাকে বলার সুজোগ পাই নি।
– আন্টি। আঙ্কেল কই।
-ওরা আর নেই। ওদের হারিয়ে আমি তোনাকে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে ছিলাম। আমার জীবনের লক্ষ্য ছিলে তুমি সুধু তুমি।
– এতো ভালোবাসো আমাকে তুমি ভাইয়া।
-তুমি যতটা ভাবছো তার থেকে ১০০× বেশি।
-আমিও।
-কি
-ভালেবাসি।
-আচ্ছা তাহলে কি আমি আামার তুমির অধিকারটা পেতে পারি।
লাজ্জা পেলাম ওনার কথায়৷ ওনার বুকে মুখ লুকাতে উনি আমাকে নিয়ে তলিয়ে গিলেন ভালোবাসার এক অন্য রাজ্জে,
৮ বছর পর,
-অমু, আরিয়ান বাবা তোরা এভাবে কেন বাধাস বলতো সব সময়৷ আমার কিন্তু আর ভালো লাগছে না। আরিয়ান তুমি বোনকে দিয়ে দেও ওটা।
(অমু, আরিয়ান মেঘলা আর আসফির ছেলে মেয়ে। অমুর বয়স ৫ বছর আার আরিয়ানের বয়স ৭ বছর দুই জনি খুব দুষ্টু আর জেদি)
-আম্মু তুমি সব সময় এমন করো৷
-আচ্ছা কাউকে দিবেনা ওটা আমাকে দেও এখনি৷
-কি হচ্ছে আমার বাচ্চা দুটোর উপর চিল্লাছো কেন৷
-তোমার বাচ্চা দুটো আমাকে পাগল বানিয়ে ছাড়বে।
-পাপা তুমি (অমু, আরিয়ান দুই জনে চলে গেল পাপার কাছে গিয়ে কোলে উঠে পরলো৷)
-তোমাদের জন্য নতুন খেলনা এনেছি৷ এগুলা নিয়ে মারা মারি কম করো।
-সত্যি কই।
-উপরে গিয়ে দেখো।
দুই জন আসফির কোল থেকে নেমে উপরে চলে যায়৷
-আমার বৌটা কি করে৷ (জরিয়ে ধরে মেঘলাকে)।
-কি করবো বলো।
-একটা কথা বলবো।
-বলো
-এই-যে মা বাবা কেউ তোমার খোঁজ রাখেনি ওই দিনের পর থেকে। তোমার কি কষ্ট হয়।
-মা বাবা রাখেনি আমি আসাও করি নি। সব হারিয়ে তোমাকে পেয়েছি৷ অমু, আরিয়ানকে পেয়েছি তোমরা তিন জন আমার সব আর জীবনে তো সবই দিয়েছো তোমার জন্য আজ পরা লিখাও কম্পিলিট করতে পেরেছি আর কি লাগবে বলো।
-বৌরে।
#অন্তরালে আমি তোকেই ভালেবাসি৷
সমাপ্ত
(আমি খুবই দুঃখীত এই গল্পটা এখানে এভাবে শেষ করে দেবার জন্য কিছু বেক্তিগত কারন ছিলো তাই শেষ করে দিলাম৷এভাবে শেষ করার কোন ইচ্ছে ছিল না। ধৈর্য ধরে গল্পটা পরার জন্য ধন্যবাদ।)