বধুবরন-সিজন-2 ! Part- 06
রাতের ঘুমটা মোটামুটি ভালোই হয়েছে শুভার।ফজরের আজানের সাথে সাথে উঠে মায়ের সাথে নামাজ পড়ে নাস্তা বানাতে শুরু করে।রুটি, আলু ভাজি সাথে গরম গরম ধোঁয়া ওঠা এক কাপ রং চা।ব্যস আর কি চাই? শুভা খেয়ে দেয়ে ঘর দোর পরিষ্কার করার কাজে লেগে গেল।কতোদিন হয়ে গেছে ঘরটা নিজ হাতে পরিষ্কার করা হয় না।নীলের দেওয়া থ্রেট ভুলতে না পারলেও ভুলতে চেষ্টা করলো।আশিক অফিস যাওয়ার জন্য ব্যাগ নিয়ে বের হতেই শুভাকে বাইরের লাগানো শাকের চারাগুলোতে পানি দিতে দেখে।কতোদিন শুভাকে এই সময় দেখে না।আশিক কিছুক্ষণ দাড়িয়ে দেখে তারপর মুখে হাসি ঝুলিয়ে এগিয়ে গেল।
“- কেমন আছ শুভা?
“- ওহ! আশিক ভাইয়া! জ্বী আলহামদুলিল্লাহ ভালো।আপনি?
“- আমিও! আজ কাজ করতে যাও নি?
“- না ভাইয়া! ঐ কাজ ছেড়ে দিছি।
“- কেন! কেন!
“- ঐ বাড়ি কুকুর আছে।আপনি তো জানেন কুকুরকে কি পরিমান ভয় পায় আমি? দুবার কুকুরের দাবড়ানি খাইয়া সেই যে ভয় পাইছি এর পর দূর থেকেও কুকুর দেখলে ভয় করে।আর ঐ বাড়িতে উঠতে বসতেই কুকুর আর কুকুর।মানুষ কম মনে হয় কুকুর বেশি।
“- সাংঘাতিক বিষয় তো! কি আর করবা।যার রিজিক যেখানে যে পর্যন্ত থাকে সে পর্যন্তই হয়।ঐ বাড়ি তোমার রিজিক বোধহয় ওতোটুকুই ছিল।
“- হুমম! সেটাই।
“- আচ্ছা চলি।রাতে কথা হবে।ঘুমিয়ে পড় না আবার।
“- আচ্ছা ভাইয়া।
শুভা আবার গাছে পানি দিতে লাগলো।আশিক যেতে যেতে ফিরে তাকালো বার বার।শুভা চাকরি ছেড়ে দিয়েছে এই খুশিতে আশিকের ডিস্ক ড্যান্স দিতে ইচ্ছা হচ্ছে। আশিক চাই আর একটা বছর শুভার এভাবে ঘরে বসে কাটুক। প্রমোশন হলেই বাবা মা কে রাজি করিয়ে আশিক ঠিক শুভাকে বিয়ে করে নেবে। এমন একটা লক্ষি বউ পেলে আশিকের সংসার সোনার সংসার হয়ে উঠবে।যেতে যেতে মনের মধ্যে কল্পনার রঙবেরঙের তুলির ছটায় নানা স্বপ্ন আঁকতে থাকে। সারাদিন এটা ওটা করে কাটিয়ে মনের ভয়টা দূর করেছিল।দুপুর গড়াতেই সব ভয় ডর অনেকাংশেই দূর হয়ে যায়।কারন নীল বা নীলের ড্রাইভার কেউ ই এর মধ্যে আসে নাই।তার মানে লুচু ব্যাটার আক্কেল ভালো হইছে।শুভা মনে মনে শান্তির হাসি দেয় নীল কে বকে।দুপুরের শেষের দিকে বোরকাটা পড়ে প্রিয় বান্ধবী শর্মির বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।শর্মিকে নীল সম্পর্কে না বলে থাকতেই পারছে না শুভা।স্বপ্নে কি ঘটলো জাগরণে কি ঘটলো সবটাই শুভা শর্মিকে বলে।শর্মিও তাই।এই দুজনের পেটের খবর শুধু দুজনই জানে।তৃতীয় জন ঘূর্ণাক্ষরেও আচ করতে পারবে না। শর্মি শুভাকে পেয়ে ঈদের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো খুশি হয়।শুভাকে জড়িয়ে, গড়িয়ে নানা ভাবে আহ্লাদ, আদর করে।শর্মি মাও খুব ভালো। শর্মি আর শুভাকে দুচোখে দেখেন না তিনি।এতোদিন পর শুভা এসেছে দেখে পায়েস,লুচি,মিষ্টি, ফল, কাবাব সহ নানা খাবার সামনে দিয়ে রেখেছে।শুভা খেতে খেতে নীলের সাথে ওর দেখা থেকে শুরু করে নীলের বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া পর্যন্ত সব বলে।শর্মি সবটা শুনে মুখে না দিয়ে আঙ্গুর ঠোঁটে ধরে রেখেছে চোখ বড় বড় করে
“- শুনলি তো সব! এবার বল তো। ওখান থেকে চলে এসে ঠিক করেছি না ভুল?
“- পরে বলছি আগে বল তোর ঐ লুচু সাহেব দেখতে কেমন?
“- ক্যাডায় জানে? আমি কি ওতো ভালো করে দেখেছি নি?শর্মি শুভাকে চিমটি কেটে বলে
“- হু! ডং।বল না।
“- আরে সত্যি আমি তার দিকে ভালো করে তাকাই নাই।সামনে গেলেই ভয়ে কলিজা শুকিয়ে যায়।চোখের পাতা ভারি হয়ে আসে।তখন চোখের পাতা খুলে তার দিকে তাকাতে পারি না।তবে আড়ে ঠাড়ে যা একটু দেখেছি তাতে মনে হয় ভালোয় দেখতে।ঐ তোর হিন্দি সিরিয়ালের হিরোদের মতো ড্যাশিং হ্যান্ডসাম টাইপ হয়তো।
“- সত্যি বলছিস! লম্বা কতোটুক রে!
“- উমম! অনেকটা ছ ফিটের মতো হবে।
“- ওয়াও! ওয়াও!
“- এতো ওয়াও ওয়াও করিস না তো? অয়ন ভাই শুনলে তোরে গিলে খাবে পানি ছাড়া।
“- আরে ধ্যাৎ!ঐ হালার বেল আছে নি? একটা মজার কথা শুনবি?
“- কি?
“-অয়ন হালারে তিনদিন ধরে সেই ভুগানটিস ভুগাইতাছি।কাল রাত থেকে কথা বলছে না।মনে হয় ফিড আপ হয়ে গেছে আমারে বোঝাতে বোঝাতে।
“- কেন! তোরে কি বুঝাবে?
“- ঐ টার লগে মজা নিসি।হি! হি!।বলছি দুদিনের মধ্যে আমার লগে পালাই বিয়ে করবি নয়তো তোর লগে ব্রেকাপ।
“- কি খারাপ তুই! এসব কেন বলছিস?অয়ন ভাই কতো ভালো একটা ছেলে।তোরে পাগলের মতো ভালোবাসে আর তারে তুই হুদাই কষ্ট দ্যাস।
“- পাকনামি করিস না। চুপ থাক।অয়ন ভালা না বাল।ঐ ভালা হইলে রাজি হয়া যাইতো বুঝছোস? হালা আমার লগে টাইম পাস করার জন্য পিরিত করছে।এইজন্যই তো রাজি হয় নাই।
“- মোটেও না! অয়ন ভাই এমন ছেলেই না। সে খুব ভালো ছেলে।তুই তারে জ্বালাই খাছ।বেচারা!
“-উরে রে! এতো অয়ন অয়ন করতাছোস কেন রে? ডাল মে কুচ কালা হে।হুমম
“- তোর মাথা।যা সত্যি তা বলতে আমি কুন্ঠিত বোধ করি না।তুই অয়ন ভাইয়ের মতো ছেলে পেয়ে শুধু শুধু নাজেহাল করিস।অয়ন ভাইয়ের জায়গায় অন্য কোনো ছেলে হলে তোরে থাবড়ানি দিয়ে ফোকলি বানাই ফেলতো এতোদিন।
“- আল্লাহ! আল্লাহ! ঐ কুত্তা ওয়ালা ব্যাডা রে ডাক দিমু! ঐ ব্যাডার লগেই তোর বিয়া হওয়া উচিত রে বেঈমানী ছেরি।যা ভাগ! অয়নের কাছে যা।
“-শয়তান একটা! শুভা আর শর্মির মধ্যে আজ আবার ঝগড়া লাগলো অয়ন কে নিয়ে।শুভা দু একবার অয়নকে দেখেছে।অমায়িক একটা ছেলে।যেমন দেখতে সুন্দর তেমন আচার ব্যবহার। আর এই শর্মি কারনে অকারণে ভাইটাকে নাজেহাল করে।শুভা রাগ করে চলে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়াতেই শর্মি জাপটে ধরে,
“- কই যাস!
“- তোরে কমু কেন? ছাড় তুই!
“- রাগ করছোস জানটু।
“- শর্মি ছাড় আমি বাসায় যাবো।ভাল্লাগছে না।
“- না ছাড়বো না।তুই আজ বাসায় যেতে পারবি না।
“- একশ এক বার যাবো।সর।শর্মি শুভাকে জাপটে খাটের উপর ফেলে দিয়ে শুভা পেটের উপর বসে পড়ে।
“- দেখ ভালো হচ্ছে না কিন্তু! যেতে দে।দমবন্ধ হয়ে গেল তোর চাপে।
“- না! আজ তুই আমার সাথে নির্ঝর যাবি।না হলে তোর দমবন্ধই করে ফেলবো।
“- না! আমি কোথাও যাবো না।তোর সাথে তো নাই ই।
“- বেশি নাটক করবি না শুভা।মেজাজ এমনিতেও ঐ অয়ন হালার জন্য খারাপ।চেতাইস না ভালো হইবো না।
“- বাল হইব! তুই সর।আমারে উঠতে দে! আন্টি! আন্টি শর্মিরে কিছু বলেন দেখেন যেতে দেয় না।
“- চিল্লাইস না তাইলে কিন্তু কুত্তা ওয়ালা ব্যাডারে ডাইকা এহনই বিয়া পড়াই দিমু।এক সেকেন্ডের মধ্যে।এর পর সারাজীবন ব্যাডার কুত্তার ঘু মুত ধুইবি।বহুত ই মজার বিষয়।
“- শর্মি বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে এবার।সর।শুভা উঠতে চেষ্টা করলেও শর্মি বিছানার সাথে চেপে ধরে রাখে।অনেকক্ষন দু বান্ধবী ঝগড়া করে ক্লান্ত হয়ে যায়।শর্মি একসময় শুভার রাগ ভাঙ্গিয়ে জোর করে নিজের একটা থ্রি পিছ পড়িয়ে লিপিস্টিক আইলানার,কাজল দিয়ে সাজিয়ে মাথায় হিজাব বেধে নির্ঝর আর্মি অফিসার্স কোয়াটারে আন্টির বাসায় উদ্দেশ্যে রওনা হয়।।শুভা মুখ ফুলিয়ে রেখেছে অর্ধেক পথ।এই রকম ভাবে ও কোথাও যায় না জেনেও এই শর্মির বাচ্চা ওকে সাজিয়ে নিয়ে আসছে।শাস্তি দিচ্ছে অয়নের পক্ষ নেওয়ায়।শর্মির জিদের সাথে কোনোদিন পেরে ওঠে না কেউ।গাড়িতে বসে বসে এসব ভাবছিল।হঠাৎ বিজয় কেতন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সামনে শর্মি গাড়ি থামিয়ে দিল।
“- আম্মু! আমি আর শুভা হেটে হেটে আসি বাকিটা পথ।এই রাস্তায় হাঁটতেই আলাদা মজা।শর্মির আম্মু না করেও শর্মির জেদের কাছে হার মেনে রাজি হয়।১০/১৫ মিনিটের রাস্তা ভেবে নামিয়ে দেয়। শুভা নামতে না চাইলেও শর্মি জোর করে টেনে নামিয়ে হাত রেখে রাস্তায় হাটতে থাকে।ক্যান্টনমেন্ট এরিয়ার ভেতর হওয়ায় ছিমছাম রাস্তা গুলো।হাঁটতে মজায় লাগে শর্মির। আর সাথে যদি বেস্ট ফ্রেন্ড থাকে তবে তো কথায় নাই।অনেক কষ্টে শুভার রাগ ভাঙ্গিয়ে হাসতে হাসতে দুজন হাটতে থাকে।বেশকিছুদূর যেতেই শর্মির মনে হয় কেউ ওর নাম ধরে ডাকছে।আশ্চর্য সত্যি কেউ ডাকছে।শর্মি কন্ঠস্বর চিনে জোরে হাটতে চাইলেও শুভার কারনে পারে না।শুভা পেছন ফিরে চিৎকার করে ওঠে উৎফুল্ল চিত্তে।
“- অয়ন ভাইয়া! এই শর্মি দেখ।
“- তুই দেখ।ছেরি বদ।শুভা শর্মির ভাব দেখে ভেংচি দিয়ে অয়নের সাথে হেসে হেসে কুশল বিনিময় করলো।শর্মি অন্যদিকে ফিরে মুখ কালো করে আছে দেখে অয়ন কাঁদো কাদো স্বরে বললো,
“- বাবু সরি! আচ্ছা তুমি যা বলবা তাই হবে।
“- মানে! কি হবে? মুখ ঘুরিয়ে রেগে বলে শর্মি।
“- তুমি বলছিলা না বিয়ে করবা পালাইয়া।আমি তাতেই রাজি।চলো পালাই যায়।শর্মির হাত টেনে ধরে।
“- ঐ ছাড়! তোর টাইম আপ! এহন আমার মত ঘুইরা গেছে।বিয়া টিয়ার করার ইচ্ছা শেষ।আবার যখন মন চাইব কমুনে।এহন তুই যা।শর্মি সামনে যেতেই অয়ন পথ আগলে দাঁড়ায়। হঠাৎই বিনা মেঘে বজ্রপাত ঘটে।ঠাটিয়ে একটা চড় বসিয়ে দেয় শর্মির গালে অয়ন।শর্মি, শুভা এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনায় বিস্ময়ে নির্বাক হয়ে দাড়িয়ে থাকে।শর্মির মনে হচ্ছে ওর ডানের গালের উপর দিয়ে টর্নেডো বইয়ে গেছে।শর্মি গালে হাত দিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে,
“- তুমি আমাকে মারলা অয়ন! এই তোমার ভালোবাসা। যাও সিরিয়াস ব্রেকাপ তোমার সাথে
“- আবার ব্রেকাপের নাম মুখে আনবি কাঁচা খেয়ে ফেলবো।চল!
“- কই যামু! ছাড়ো।লাগছে আমার।
“- বিয়ে করবি না।চল! অয়ন টানতে টানতে একটা মার্সিডিসের সামনে এসে থামে।শুভা অয়নকে বলেও থামাতে পারছে না।উল্টো ধমক খেয়ে অয়নের পেছন পেছন আসছে। গাড়ির কাছে আসতেই শুভার কেন যেন মনে হলো এই গাড়ি ও কোথাও দেখেছে।অয়ন গাড়ির সামনে এসেই হাসি হাসি মুখ করে দরজা খুলে বলে,
“- ভাই নিয়ে এসেছি!
“- গুড! গাড়িতে বসা।শর্মি হা করে ভেতরে বসা ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আছে।উজ্জ্বল ফর্সা,চিকন লম্বা নাক,গোলাপি ঠোঁট অনেকটা অয়নের মতো হলেও অয়নের থেকে বডি ফিটনেস ভালো।শর্মি ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে রইল।শর্মিকে ওভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে অয়ন জোরে হাতে একটা টান দিতেই শর্মি উু উু করে উঠলো ব্যথায়।
“- হা করে কি দেখছ? ভাসুর হয় তোমার।সালাম করো।
“-আসসালামু আলাইকুম হ্যান্ডসাম ভাসুর! এই অয়ন তোমার ভাইটা তো জোস! শর্মি কথাটা বলে অয়নের দিকে তাকাতেই দেখে চক্ষু রক্ত বর্ণ করে তাকিয়ে আছে ওর দিকে।শর্মি আমতা আমতা করে শুভাকে খোঁজে।
“- এই শুভা! শুভা
“- হ্যা বল! শুভা পেছন থেকে সামনে আসতেই গাড়িতে বসা লোকটার সাথে চোখাচোখি হয়।শুভার অবস্থা খারাপ হয়ে যাই তাতেই।শর্মির পেছনে গিয়ে লুকিয়ে পড়ে।নীল অবাক হয়ে যায় শুভাকে এই রূপে এখানে দেখে।না চাইতে প্রিয়ারদর্শন।বাহ!সারাদিন অয়নকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় শুভার সাথে বিয়ের কাজটা সারতে পারে নাই। আজ শুভাকে বিয়ে করার কথা ছিল কথাটা মনে আসতেই নীল গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়াল।শুভাকে ভয় পাওয়া ইদুরের মতে পেছনে লুকাতে দেখে অয়ন শর্মি দুজনেই ভ্রু কুচকে তাকালো।শর্মি বিরক্ত মুখে জিজ্ঞেস করলো
“- এই শুভা কি হয়েছে?
“- শর্মি! কুত্তা ওয়ালা!
“- কে? আমার ভাসুর সেই কুত্তা ওয়ালা ব্যাডা!আল্লাহ গো! কস কি তুই? শুভার কথা শুনে শর্মি মাথায় হাত দিয়ে জোরে করে বলে।শর্মি এক্সাইটেড হয়ে ভুলে কথাটা জোরে বলে ফেলায় নীল, অয়ন রেগে তাকিয়ে থাকে ওদের দিকে।নীল দাঁত কটমট করে শুভার দিকে তাকিয়ে শর্মি কে প্রশ্ন করে,
“-এক্সকিউজ মি! কে কুত্তাওয়ালা ব্যাডা!
“- এই শর্মির বাচ্চা! কি বললি তুই।এখন তো আমাকে মেরেই ফেলবে রে।শুভা কাঁদো কাঁদো স্বরে শর্মির কানে কানে ফিসফিস করে বলে।শর্মি শুভার কথা শুনে নার্ভাস হয়ে পড়ে।নিজের বেআক্কেলীর জন্য কপাল চাপড়ায়।দুজনকে চুপ থাকতে দেখে নীল গর্জন করে ওঠে,
“- কি হলো চুপ কেন?
“- জ্বী মানে! মানে!
“- এই মেয়ে চুপ! অয়ন এটাকে নিয়ে পেছনে বস।অয়ন শর্মিকে টেনে পেছনে বসলো।শর্মি চেষ্টা করেও শুভাকে সাথে নিতে পারলো না কারন নীল শুভার হাত ধরে সামনের সিটে বসিয়ে দিয়েছে।শুভা মাথা নিচু করে ঘাপটি মেরে বসে আছে।কপালটাই খারাপ।না হলে ঘুরে ফিরে এই বদ লোকের সামনেই কেন পড়লো শুভা? ইচ্ছা করছে শর্মির চুল টেনে ছিড়তে।ফাজিল ছেরি সব উগলে দিল।এখন তো তুই শেষ শুভা।একদম শেষ।
চলবে,,,,