হিংস্র ভালোবাসা

হিংস্র ভালোবাসা !! Part- 26

🍁
— উফফ বাবা বাচা গেলো সারা রাতে সাইকো টা রুমে আসেনি কিন্তু এই একি ড্রেস পরে আর কতোক্ষন থাকবো ..?

ফারহা কাবার্ড খুলে নীল স্কাট আর সাদা গেন্জি নিয়ে শাওয়ার নিতে গেলো রুমে মেঘ না থাকায় ফারহা ওয়াসরুমের দরজা লক না করেই শাওয়ারের নিচে দারিয়ে চুলে শ্যাম্পু দিয়ে লাগলো ……

— হায় মারজাবা (বুকে হাত দিয়ে মেঘ দারিয়ে বললো)

— সাইকো টার গলা শুনে পিছুনে তাকিয়ে দেখি সাইকো টা বুকে হাত দিয়ে হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ৷ পানি তে ভিজে পুরো জামাটা গায়ের সাথে লেপ্টে আছে শরীরের ভাজ গুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আর এদিকে সাইকো টা তা হা করে দেখে গিলছে . ভিষন লজ্জা লাগছে সাথে রাগ ও এভাবে কেউ নক না করে আসে সালা সাইকো , গন্ডার , মরুভূমির কিট, ধলা চিকা , শেয়ালের শিং , ইদুরের লেজ, কালা বিড়াল, লেজ কাটা গরু, কান ছাড়া মিনি হাতি ….

ফারহা নিজের মনে বকা গুলো দিতে দিতে খেয়াল করলো না মেঘ ফারহার কমর জরিয়ে ধরে আছে…..

–” ওহহ মেরি জান ইসস থারা ধিরে ধিরেছে মুজে কাতেল মাত কারনা ,,
তুমকো জাব দেখতি হো , মেরি দিল কি ধ্যারকানে ওর তেজ ধেরাকতি হে . দিল চাতাহে মে তুজমে সামান যাও…. ” বলে মেঘ ফারহার ভেজা কাধে চুমুর বর্ষন শুরু করলো ….

— মে,,মেঘ ছাড়ো আমাকে ,মেঘ ছাড়ো ,,ফারহা মেঘ কে সরানোর চেষ্টা করছে কিন্তু একচুল ও সরাতে পারলো না বরং মেঘ আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরলো ফারহা কে , হঠাৎ করে মেঘ ফারহার শরীলের কাপড় খুলতে লাগলো ফারহা চিৎকার করে মেঘ কে বারন করছে কিন্তু মেঘ ফারহার কোন কথাই কানে তুললো না মেঘ তার কাজ করে যাচ্ছে …..

— হুসসস এখানে আর একটা কথা বললে এখানে বাসর করবো জান ,,(মেঘ)

— মেঘ তুমি আজ যা করলে তা ঠিক করলে না….(রেগে বললো ফারহা)

মেঘ ফারহার দিকে তাকিয়ে বাকা হেসে তোয়ালে জড়িয়ে ফারহা কে আড় কোলে নিয়ে ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে বেডে শুইয়ে দিয়ে মেঘ ওর সব টুকু শরীরের ভার ফারহার উপর ছেড়ে দিলো ……

— আহা মেঘ কি করছো ওঠো বলছি , আমি চেন্জ করবো ….(ফারহা)

— চেন্জ করবে তো জানপাখি , তবে আমি করিয়ে দিবো কিন্তু তার আগে তোমাকে একটু ভালোবাসতে দেও , তোমার ভালোবাসা পাওয়ার তৃষ্ণা আমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে ৷ আজ আমি আমার ভালোবাসা আদায় করে নিবো তুমি চাও বা না চাও আই রেইলি ডোন্ট কেয়ার ৷ ……..কথাটা বলে মেঘ ফারহার চুলে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে মেঘের উষ্ণ ঠোট জোড়া ফারহার ঠোটে মিলিয়ে দিলো..ধিরে ধিরে মেঘের ভালোবাসা গভীর থেকে আরো গভীরে যেতে থাকে মেঘের ভালোবাসা গভীর হওয়ার সাথে সাথে হিংস্রতায় রুপ নিতে থাকে ৷ ফারহা চোখ বন্ধ করে দাতেঁ দাঁত চেপে সহ্য করে যাচ্ছে দেওয়া মেঘের হিংস্র ভালোবাসা …..
.
.
.
.
.
.
After 3 Hours ………..

নিচে পরে থাকা তোয়ালে টা তুলে শরীলে কোন ভাবে পেচিয়ে প্রচন্ড শরীলে ব্যাথা নিয়ে ওয়াসরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে কাদতে থাকে ৷ মেঘের হাত ফারহা কে খুজতে থাকে না পেয়ে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে ফারহা পাশে নেই মেঘ চারি দিক তাকিয়ে ফারহা কে না দেখতে পেয়ে ওয়াসরুমের দিকে তাকিয়ে দেখে দরজা লক করা আর পানির আওয়াজ হচ্ছে ৷ মেঘ বুজতে পারে ফারহা ওয়াসরুমে বসে আছে ৷ মেঘ বেড থেকে উঠে ওয়াসরুমে নক করে……

— জান দরজা খুলো .,, (নক করে কিন্তু ভিতর থেকে ফারহা কোন আওয়াজ না পেয়ে মেঘ টেনশন করতে থাকে)

— জান এখন যদি তুমি দরজা না খোল তাহলে কিন্তু আমি দরজা ভেঙ্গে ফেলবো তারপর তোমার সাথে কি কি করবো তা তুমি নিশ্চিয় বুজতে পারছো……..

ফারহা এবার বেশ জোড়ে জোড়ে কেদে ফেলে আসলে ফারহা ভেবে ছিলো মেঘ ওকে আটকে রাখলে ও কখনো ওকে জোড় করবে না কিন্তু আজ মেঘ যা করলো তা ফারহা কল্পনায় আসে নি ৷ ফারহা আয়নায় তাকিয়ে দেখে ঠোটে গলায় কাঁধে শরীলের বিভিন্ন জায়গায় কামড়ের দাগ লাল কালসিটে পরে গেছে কিছু কিছু জায়গায় , ফারহা পানি দিয়ে জোড়ে জোড়ে ঘসে দাগ গুলো ওঠানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে এদিকে মেঘ পাগলের মতো ছটপট করছে এটা ভেবে যে ফারহা নিজের কোন ক্ষতি করে না বসে মেঘের রাগে টেনশনে নিজের মাথার চুল টান তে লাগলো …….

— শিট কি করলাম আমি , নিজে কন্ট্রোল করতে পারলাম না কেনো ; জানপাখি হয়তো এই সবের জন্য প্রস্তুত ছিলো না , কি করবো এখন আমি জান যদি নিজের কোন ক্ষতি করে বসে নাহ তাহলে আমি বাচঁবো কাকে নিয়ে …মেঘ এবার বেশ রেগে দরজায় নক করে বলে” জান লাস্ট বার বলছি এখন যদি দরজা না খোল তাহলে আমি দরজা ভাঙ্গতে বাধ্য হবো …..(মেঘ)

মেঘ দরজা ভাঙ্গতে যাবে ঠিক সে মুহূর্তে ফারহা দরজা খুলে দেয় ৷সাথে সাথে মেঘ ভিতরে ঢুকে ফারহা কে মুখ ধরে চুমু খেতে থাকে আর বলে …..” জান তোমার কোথাও লাগে নি তো হাতে চুমু দিয়ে ”

— এখানে দারিয়ে থাকবেন নাকি রুমে যেতে দিবেন….(শান্ত গলায় বললো ফারহা)

— সরি সরি জান , আমি ভুলে গেছিলাম …

ফারহা হেটে বাইরে আসতে যাবে তার আগে মেঘ ফারহা কে কোলে নিয়ে ড্রেসিংটেবিলের সামনে বসিয়ে দেয়,৷ ফারহা উঠতে যাবে তার আগে মেঘ চোখ গরম করে তাকাতে ফারহা ওখানে চুপ করে বসে , মেঘ হেয়ার ড্রাইয়ার বের করে ফারহার ভেজা চুল গুলো শুকিয়ে দিতে লাগলো আর ফারহা মিররে মেঘের দিকে এক পলকে তাকিয়ে আছে …..

— এই মানুষটার সাথে কতো জঘন্যতম কাজ করেছি যে দোষ এই মানুষটার ছিলো না সেই দোষের শাস্তি আমি তাকে দিয়েছি… ফারহার ধ্যান ভাঙ্গে গালে মেঘের ঠোটের স্পর্শ পেয়ে….

— I am Sorry janpakhi ,

— আমাকে কেনো সরি বলছো ..(অবাক হয়ে জানতে চাইলো ফারহা)

— মেঘ বুজতে পারলো ফারহা ওর সরি বলার কারন বুজতে পারে নি তাই আর কিছু বললো না শুধু ফারহার কানে কানে বললো…” জান আজ থেকে তুমি এই রুম থেকে মুক্ত তবে ভেবো না এই মেঘ চৌধুরির হাত থেকে তুমি মুক্তি পেয়েছো কারন মৃত্যু বেতিত তোমাকে আমার থেকে কেউ ছিনিয়ে নিয়ে পারবে না ……”

ফারহা মেঘের কথা শুনে এতোটুকু বুজতে পেরেছে মেঘ কখনো ওকে মুক্তি দিবে না বরং ছেড়ে যেতে চাইলে ওর হিংস্র ভালোবাসা রুপের সাথে বার বার ওকে পরিচিত হতে হবে ৷

— মেঘ আমি কিছুক্ষন একা থাকতে চাই….(ফারহা)

— নো জানপাখি তোমাকে একা থাকতে দেওয়ার জন্য তোমাকে আমি ভালোবাসি নি বেসেছি নিজের সাথে সারাক্ষন জড়িয়ে রাখবো বলে……মেঘ ফারহার কমরে হাত দিয়ে কাধে মুখ গুজে কথা গুলো বলতে লাগলো ৷ হঠাৎ করে মেঘ ফারহা কে ছেড়ে দিয়ে নিজের ফোন টা খুজতে লাগলো ..

— তোমার ফোন…(ফারহা)

— থ্যাংকস জান ….

ফারহার হাত থেকে ফোন টা নিয়ে কাউ কে কল করে কিছু একটা আনতে বললো মেঘ ,কল টা কাটার দু মিনিট পর দরজায় কেউ নক করে মেঘ যেয়ে দরজা খুলে দেয় সাথে সাথে একটা মেয়ে কিছু খাবার নিয়ে রুমে ঢুকলো…..

— টেবিলের উপর রেখে যা আর শোন দুপুরে হালকা খাবার বানাবি সাথে চিকেন স্টু ওকে…(মেঘ)

— ওকে স্যার…(মেয়ে টি)

— এদের কথা শুনে মনে হলো মেয়েটা এ বাড়ির সারবেন্ট তবে মেয়েটা আমার বয়সি মনে হয় , ওকে দিয়ে মেঘের সব ইনফরমেশন বার করতে হবে আমাকে….(মনে মনে কথা গুলো ভাবতে থাকে ফারহা কিন্তু ফারহার ভাবনায় ছেদ ঘটায় মেঘ)

— জান মেয়েটির নাম নীলা ও এবাড়ির সব কাজ করবে ইভেন রান্না টাও ও করবে শুধু তুমি বলে দিবে কি কি খাবে এখন চলো খাবার গুলো ফিনিস করতে হবে তোমাকে …(মেঘ)

— মেঘ ফারহা কে নিজ হাতে খাইয়ে দেয় , ফারহা ও মেঘ কে খাবার খাইয়ে দেয় এটা দেখে মেঘ ভিষন খুশি কিন্তু কিছুক্ষন যেতে ফারহা চোখ মুখ খিচে পেট চেপে ধরে মেঘ ফারহার এমন অবস্তা দেখে অস্থির হয়ে যায়…

— জান কি হয়েছে তোমার পেটে ব্যাথা করছে..( মেঘ)

ফারহা পেট চেপে ধরে ধিরে ধিরে বলতে লাগলো…

— পেটে চিন চিনে ব্যাথা করছে মেঘ আমি আর পারছি না ,,,(ফারহা)

মেঘ সাথে সাথে গাইনি ডক্টর কে কল করে….

— হ্যালো ডক্টর আমি মেঘ চৌধুরী বলছি …(মেঘ)

— ইয়েস মিস্টার চৌধুরি বলুন কোন প্রব্লেম..(ডক্টর)

– ইয়েস ডক্টর আমার স্ত্রীর হঠাৎ করে পেটে চিন চিনে করে ব্যাথা করছে ..(মেঘ)

— ওহ আই সি আচ্ছা মিস্টার চৌধুরি এই ব্যাথা শুরু হওয়ার আগে কি আপনারা শারীরিক সম্পর্কে জরিয়ে ছিলেন ..??(ডক্টর)

— ইয়েস ডক্টর..

— বুজতে পেরেছি আমি কিছু মেডিসিনের নাম বলে দিচ্ছি আপনি কাইন্ডলি মেডেসিন গুলো আনিয়ে মিসেস চৌধুরি কে খাইয়ে দিবেন তাহলে উনি ঠিক হয়ে যাবে ৷ আর একটা কথা দু- তিন দিন শারীরিক সম্পর্ক করা থেকে দুরে থাকবেন ….(ডক্টর)

ডক্টর মেডেসিন গুলোর নাম বলে দিতে মেঘ কল ডিসকানেক্ট করে দ্রুত মেডেসিন গুলো একজন গার্ড কে আনতে বলে মেঘ ফারহার কাছে গিয়ে হাটু মুরে ফারহার হাত ধরে বসে পরে….

— জানপাখি বিশ্বাস করো তোমাকে আমি কষ্ট দিতে চাই নি কিন্তু তোমাকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে এই কাজ গুলো করতে বাধ্য হয়েছি….(মাথা নিচু করে বললো মেঘ)

— মেঘ আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না ..(ফারহা)

ফারহার কথা শুনে মেঘ নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারছে না যে তার জানপাখি নিজের মুখে ওকে ছেড়ে না যাবে না বলছে …..

— তু,, তুমি সত্যি বলছো জান …(আকুল চোখে তাকিয়ে আবার ও জ্বিগাসা করলো মেঘ)

— হ্যাঁ মেঘ আমি সত্যি বলছি , আমাকে নিয়ে তোমাকে আর ভয় পেতে হবে না ৷ আমি কোথাও পালিয়ে যাবো না…….(ফারহা)

মেঘ বসা থেকে উঠে বসে ফারহা কে জরিয়ে ধরে কপালে ঠোট ছুইয়ে দেয় মেঘ……….
.
.
.
.
.
.
— Welcome To Bangladash boss…….(গার্ড)

প্লেন থেকে নেমে আসতে গার্ড রা আগুন কে ফুলের বুকে দিয়ে ওয়েলকাম জানাতে লাগলো , আগুন বুকে নিয়ে অন্য গার্ডদের হাতে দিয়ে সোজা গাড়িতে ওঠে বসলো…..

— বাড়িতে চলো …(আগুন)

কিছুক্ষন পর বাড়িতে ঢুকে আগুন একটা হট শাওয়ার নিয়ে চেন্জ করে ল্যাপটপ নিয়ে বসে পরে তার পরেই আগুনের বিশ্বস্ত গার্ড নক করে…..

— কামিং …(ল্যাপটপে চোখ রেখেই আসতে বললো আগুন)

— বস আপনার কথা মতো মেয়ে টাকে ঠিক জায়গায় পাঠানো হয়েছে ..(গার্ড)

— আগুন ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে গার্ডের দিকে তাকিয়ে বললো ” মেয়েটা বেকে বসবে না তো.?”

— না বস কারন আপনার কথা মতো মেয়েটির পুরো পরিবার আমাদের কাছে বন্দি আছে যদি কথা মতো কাজ না করে তাহলে সব কটাকে জানে শেষ করে দিবো…(গার্ড)

— ওয়েল ডান রিক (গার্ড) এই জন্য তোমাকে এতো পছন্দ করি ৷ আমার কথা শেষ হওয়ার আগে বুজতে পারো আমি কি বলতে চাইছি …(আগুন)

— বস আপনাকে দেখে তো এতো কিছু শিখেছি ,,(লজ্জা পেয়ে)

— থাক আর মেয়েদের মতো লজ্জা পেতে হবে না তবে একটা কথা মনে রেখো আমার ফারহা কে চাই এ্যাট এনি কস্ট তবে ওর কোন হার্ম ছাড়াই ….(আগুন)

— বস আপনি যা চান তাই হবে ,,(গার্ড)

— ওকে , এখন রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার ওর্ডার করো রিক …(আগুন)

— বস আপনার আসার সাথে সাথে এই শহরের বড় রেস্টুরেন্টে খাবার অর্ডার করে দিয়েছে পাচঁ মিনিটের মধ্যে পার্সেল এসে পরবে….(গার্ড)

আগুন রিকের কথা শুনে মৃদু হেসে রি ক কে যেতে বলে চোখ আবার ল্যাপটপে নিলো ৷ রিক চলে যেতে আগুন ল্যাপটপে ফারহার দুষ্টুমি মাখা ছবি গুলো দেখতে লাগলো……..

— ডোন্ট ওয়ারি বেবি তোকে আমি খুব তারাতারি আমার কাছে নিয়ে আসবো শুধু মাছের টপ গেলার অপেক্ষা ……(আগুন এক রহস্যজনক হাসি দিয়ে ফারহার ছবিতে চুমু দেয়)
.
.
.
.
(পাঠক পাঠিকাদের উদ্দেশ্য বলছি এই গল্পের নায়ক আগুন নয় মেঘ তাই দয়া করে কনফিউজড হবেন না ৷ আর যারা আগুনের ভক্ত হয়ে গেছেন তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা জানাই কারন টা পরেই জানতে পারবেন😉)

#To_be_Continued……….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *