হিংস্র ভালোবাসা !! Part- 27
🍁
— থাক আর মেয়েদের মতো লজ্জা পেতে হবে না তবে একটা কথা মনে রেখো আমার ফারহা কে চাই এ্যাট এনি কস্ট তবে ওর কোন হার্ম ছাড়াই ….(আগুন)
— বস আপনি যা চান তাই হবে ,,(গার্ড)
— ওকে , এখন রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার ওর্ডার করো রিক …(আগুন)
— বস আপনার আসার সাথে সাথে এই শহরের বড় রেস্টুরেন্টে খাবার অর্ডার করে দিয়েছে পাচঁ মিনিটের মধ্যে পার্সেল এসে পরবে….(গার্ড)
আগুন রিকের কথা শুনে মৃদু হেসে রি ক কে যেতে বলে চোখ আবার ল্যাপটপে নিলো ৷ রিক চলে যেতে আগুন ল্যাপটপে ফারহার দুষ্টুমি মাখা ছবি গুলো দেখতে লাগলো……..
— ডোন্ট ওয়ারি বেবি তোকে আমি খুব তারাতারি আমার কাছে নিয়ে আসবো শুধু মাছের টপ গেলার অপেক্ষা ……(আগুন এক রহস্যজনক হাসি দিয়ে ফারহার ছবিতে চুমু দেয়)
.
.
.
.
.
— ড্যাড একটা ব্যাড নিউজ আছে ..(মিহু)
মিহুর কথা শুনে নিউজ চোখ সরিয়ে মিহুর দিকে দিতে মিহু মুখ কালো করে আরহান চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে আছে….
— ব্যাড নিউজ টা কি মিহু .? (আরহান চৌধুরী )
— ড্যাড মেয়েটি কাল রাতে পালিয়েছে…(মিহু)
— ওয়াট .(বসা থেকে উঠে দারিয়ে আরহান চৌধুরী বললো,,) মিহু তুমি কি বলছো এটা তুমি বুজতে পারছো ..? তুমি জানো মেয়েটা যদি অন্য কারোর হাতে বা পুলিশের হাতে পরে তাহলে আমার সব প্লান ফ্লপ হয়ে যাবে৷
— ড্যাড মেয়েটি গার্ডদের বোকা বানিয়ে পালিয়েছে খোজ চলছে …(মিহু)
— বোকার মতো কথা বলো না মিহু তুমি এই মেয়ে টাকে আর খুজে পাবে না ৷ আমি AK কে ফোন করছি সবটা জানাতে হবে ৷
— ড্যাড তু,,তুমি AK সাথে কথা বলবে ..??(মিহু)
— এটা ছাড়া আর কোন ওয়ে নেই মিহু শুধু আল্লাহ কে ডাকো যেনো Ak আমার উপর রেগে না যায়…( আরহান চৌধুরী )
মিহু চিন্তিত হয়ে কিচেনে চলে গেলো পানি খেতে কারন আরহান চৌধুরীর মুখে Ak নাম টা শুনে মিহুর গলা শুকিয়ে গেলো কারন আন্ডারওয়াল্ডে কিং Ak যার কথায় দেশে বিদেশে নারী পাচার অস্র পাচার দেশের মহা মূল্যবান জিনিস চুরি থেকে বিদেশে বিক্রয় করা আর এর থেকে ও ঘৃণ্য কাজ করে Ak অল্প বয়সি মেয়েদের বিক্রি করে আর যারা সুইসাইড করে তাদের কিডনি বের করে নেয় বাচ্চাদের পর্যন্ত রেহায় দেয় না এই নরপিশাচ আর এই নরপিশাচের সাথে হাত মিলিয়েছে আরহান চৌধুরী …….
— নাহ ড্যাড কে এই নোংড়া জগতের সাথে থাকতে দেওয়া যাবে না ৷ ড্যাড ফারহার ক্ষতি করতে গিয়ে ভাইয়ের ক্ষতি করে ফেলছে এটা কেনো ড্যাড কে বুঝাতে পারছি না আমি ..(পুরো পানি টা খেয়ে মিহু নিজের মনে মনে কথা গুলো বলতে লাগলো)
— মিহু…..(আরহান চৌধুরী )
গ্লাস টা টেবিলে রাখতে পিছুন থেকে আরহান চৌধুরীর গলা পেয়ে পিছুনে ফিরে দেখে আরহান চৌধুরী দারিয়ে …
— ইয়েস ড্যাড…(মিহু)
— Ak সাথে আমার কথা হয়েছে মেয়েটির সম্পর্কে সব টা বলে দিয়েছি ৷
— কি বললো তোমার বস ..(মিহু)
— তেমন কিছুই না শুধু বললো এই নিয়ে না ভাবতে তিনি সব টা দেখে নিবে ৷ তবে একটা কাজ করতে বলেছে মেঘের যতো গার্ড আছে তাদের নাম ফোন নম্বর টা ওনাকে মেইল করতে বলেছে৷
— ভাইয়ের গার্ডদের নাম্বার দিয়ে উনি কি করবে..???(অবাক হয়ে জানতে চাইলো মিহু)
— হয়তো আমাকে সাহায্যে করবে তাই …বাকিটা বলতে না দিয়ে মিহু বলে উঠলো ,,” আর তাই তুমি হ্যা বলে দিলে ,! ড্যাড তুমি খুব ভালো করেই জানো ভাই এখনো ম্যানটালি সিক এই অবস্তায় তুমি যদি ভাইয়ের বিরুদ্ধে কিছু করতে যাও বা ফারহার কোন ক্ষতি করার চেষ্টা করো তাহলে আমি বলবো ফল টা তুমি খুব একটা ভালো পাবে না ৷
— মিহু আমি আমার কাজে কেমন ফল পাবো কি না তা তোমাকে জানতে হবে না ৷ আমি ওই মিডিলক্লাস মেয়ের সাথে মেঘের সম্পর্ক আমি আগে ও মানি নি আর এখন ও মানবো না মাইন্ড ইট ,,,,,,আরহান চৌধুরী রেগে গট গট করে হেটে উপরে চলে গেলো এদিকে মিহু পরলো বর বিপাকে না পারছে ভাইয়ের সাইড নিতে আর না পারছে বাবার অন্যায় আবদার গুলোর সাইড নিতে …..
— নো ড্যাড নো তোমাকে আর বিপথে যেতে দিবো না আমি তোমার অন্যায় গুলো দেখে আর মুখ বুজে থাকবো না ৷ তোমাকে আটকাতে যদি আমাকে ফারহার সাহায্য নিতে হয় আমি তাই নিবো ………
মিহু গাড়ির চাবি নিয়ে বেরিয়ে যায় …..
.
.
.
.
.
.
— জান তুমি রেস্ট করো আমি একটু বাইরে যাচ্ছি ছোট্ট একটা কাজ আছে ৷ তোমার যদি কিছুর প্রয়োজন হয় তুমি নীলা কে বলো তবে হা বেড থেকে এক পা ও নিচে দিবে না গট ইট (কপালে চুমু দিয়ে)
— হুমম , মেঘ একটা কথা ছিলো ..!(ফারহা)
— নাহ জান এখন কোন কথা নয় , তুমি এখন চুপটি করে রেস্ট করবে তারপর আমি এসে একসাথে লান্চ করবো তারপর শুনবো তোমার সব কথা ঠিক আছে …..(মেঘ)
মেঘের কথায় ফারহা মাথা নেরে সম্মতি জানাতে মেঘ ফারহার ঠোট জোড়া দখল করে নেয় কিছু মুহূর্তের জন্য তারপর ছেড়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়৷ এদিকে ফারহা কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে পরে তবে ফারহা ফিল করে কেউ তার হাত পা বাধার চেষ্টা করছে ৷ এটা ফিল হতেই ফারহা ঘুম ভেঙ্গে যায় আর সামনে তাকিয়ে দেখে নীলা কে.. ফারহা বেশ অবাক হয় নীলা এই সময় রুমে দেখে কিন্তু তার থেকে ও বেশি অবাক হয় ফারহা ওর হাত পা বাধা দেখে ……
— সরি ম্যাম স্যারের নির্দেশ অনুযায়ী আপনার হাত পা বাধতে বাধ্য হলাম…(নীলা)
— তার মানে মেঘ আমার হাত পা বাধতে বলেছে ..?(ফারহা)
— ইয়ে মানে না ..হা ….(ভয়ে ভয়ে তুতলে বললো নীলা)
— মেঘ কি এখনো মাকে বিশ্বাস করে উঠতে পারছে না ..?? আমি তো বললাম আমি পালাবো না তাহলে কেনো..??
ফারহা মেঘের এমন ডিসিশনে ভিষন অবাক হয় সাথে প্রচন্ড রাগ ভর করে ফারহার মাথায় …
— নীলা আমার হাতে পায়ের বাধন খুলে দেও এখুনি নয় তো…(রেগে বললো ফারহা)
— ম্যাম প্লিজ ভুল বুজবেন না আমাকে আমি বা মেঘ স্যার কেউ আপনার ক্ষতি চাই না ….(নীলা)
— মেঘ আমার ক্ষতি চায় না তাহলে হাতপা বাধতে বললো কেনো শুনি…??(ফারহা)
— মেঘ স্যার তো বলে নি..(কথাটা বলে নিজের মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরলো নীলা বুজতে পারলো ও ফারহার সামনে বেফাস কথা বলে ফেলেছে )
— মেঘ বলে নি ..!!! তাহলে কোন স্যার বলেছে নীলা..?? স্পিক আপ বলো আমাকে…(ফারহা বেশ রেগে বলতে থাকলো)
— ম্যাম আমি এখুনি আপনার হাত পায়ের বাধন খুলে দিচ্ছি…(নীলা)
নীলা তারাতারি করে ফারহার হাত পায়ের বাধন খুলে দিয়ে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায় সাথে সাথে নীলার ফোন টা বেজে ওঠে নীলা ফোন টা দেখে ভয়ে ভয়ে কল টা রিসিব করে…….
— কাজ টা কি হয়েছে ….
— ন,,না স্যার ..( নীলা)
— ওয়াট , তোর কি প্রানের মায়া নেই নাকি তোর পরিবারের প্রতি কোন ভালোবাসা নেই কোন টা ..??
— স্যার বিশ্বাস করুন আমি অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু ম্যামের ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার কাজ টা আর করে উঠতে পারে নি ইভেন ম্যাম তো আমাকে সন্ধেহ করতে শুরু করেছে….(নীলা)
— ড্যাম ইট , এখুনি বস কে খবর টা জানাতে হবে আর শোন আমি ইনট্রেকশন না দেওয়া পর্যন্ত কিছু করতে যাবি না ৷ গট ইট…
— জ্বি স্যার……
নীলা কল ডিসকানেক্ট করে কিচেনের দিকে যাওয়ার জন্য ঘুরতে সামনে তাকিয়ে দেখে একটা মেয়ে দারিয়ে , মেয়েটা কে দেখে নীলা বেশ ঘাবড়ে যায় এটা ভেবে যে মেয়ে টা ওর কোন কথা শুনতে পেয়েছে কিনা ৷ নীলা মেয়েটির দিকে এগিয়ে যায়….
— আপনি কে..?? আর এখানে কি চান .??(নীলা)
— আমি কে এটা তোমাকে না জানলে ও চলবে ফারহা কোথায়..??
— ওই দিকের রুম টায় আছে..
— ফারহা ….(মিহু)
— তু,,তুমি এখানে …(ফারহা)
— আসতে হলো কারন টা নাহ পরে বলবো.এখন বলো কেমন আছো.??(বিদ্রুপ করে হেসে বললো মিহু)
— মিহু তোমার মুখের হাসি তো অন্য কথা বলছে ! তুমি যে শুধু আমাকে এখানে বিদ্রুপ করতে আসো নি তা আমি খুব ভালো করেই জানি …(ফারহা)
— ভেরি ইনটেলিজেন্ট তুমি ফারহা , যাই হোক আমি চাই না পাচঁ বছরের ওই খারাপ অতিতটাকে আবার টেনে হিচরে সামনে নিয়ে আসতে তবে এটাও চাই না আমার ভাইয়া আবার কোন ধোকা পাক৷
— মিহু যা বলতে চাও ক্লিয়ার করে বলো …??
— ফারহা তুমি ভালো করেই জানো ড্যাড তোমাকে আগে ও পছন্দ করতো না আর এখন ও করে না ৷ ড্যাড তোমার ক্ষতি চায় আর তার জন্য ইন্টার ন্যাশনাল মাফিয়া Ak যাকে সবাই আন্ডার আন্ডারওয়াল্ডের কিং বলে তার সাথে হাত মিলিয়েছে….(মিহু)
— ওয়াট , আমার ক্ষতি করার জন্য একজন মাফিয়ার সাথে হাত মিলিয়েছে আরহান চৌধুরী , ওকে তাহলে আমি ও দেখছি কি করে উনি আমার ক্ষতি করে ৷ মিহু একটা হেল্প করবে আমার..?(ফারহা)
— ইয়েস অফকোর্স বলো কি হেল্প চাই তোমার..?(মিহু)
— বেশি কিছু না তুমি এই আন্ডার্রওয়াল্ডের কিং Ak য়ের ছবি বা এমন কোন ইনফরমেশন যেটা তুমি জানো তা আমাকে বলো..?(ফারহা)
— প্রথমত আমি এই Ak কে কখনো দেখেনি তবে হা ইনফরমেশন বলতে ড্যাডের কাছে মেঘ ভাইয়ের সব গার্ডদের নাম আর ফোন নাম্বার দিতে বলেছে…(ফারহা)
— গ্রেট আচ্ছা এই ইনফরমেশন গুলো কি তুমি কালেক্ট করবে..??
— হ্যা কেনো..?? তার মানে কি তুমি চাইছো…!!!(মিহু)
— হ্যা তুমি একদম ঠিক ভাবছো ওই টাই তোমাকে করতে হবে …(ফারহা)
— ওকে তাই হবে আর এই নেও একটা ফোন এটাতে আমার নাম্বার সেভ আছে প্রয়োজন পরলে কল দিও…(মিহু)
— থ্যাংইউ , ফোনটার সত্যি আমার খুব দরকার ছিলো , আমার ফোন টা মেঘ নিয়ে নিয়েছে…(ফারহা)
— আচ্ছা ফারহা এখন আমি আসি ভাইয়ের লোকদের লুকিয়ে এসেছি আর যেতে ও হবে লুকিয়ে তাই এখনি আমাকে বের হতে হবে কারন এখন ওদের লান্চের সময়….(ফারহা)
— ওকে মিহু কিন্তু সাবধানে…
মিহু মেঘের লোকদের লুকিয়ে বেরিয়ে যায় অনেক কষ্ট করে কিন্তু মিহুর এ বাড়িতে আসা ফারহার সাথে দেখা করা সব টাই Ak কানে পৌছাতে বেশি সময় লাগল না……..
.
.
.
.
.
— ওদের কে টর্চারিং রুমটায় নিয়ে যা আমি আসছি …(মেঘ)
মেঘের কথা মতো দুটো লোক কে মেঘের সেই ভয়ঙ্কর রুম টায় নিয়ে গেলো ৷ একজন কে লোহার পেরেক দিয়ে ফ্লোরের সাথে হাত আটকে দিলো আর অন্যজন কে হাত পা বেধে নিচে ফেলে রাখলো মেঘের এক হাতে লোহার শিক যেটা আগুনে পুরে লাল টকটকে হয়ে আছে আর একহাতে ইলেকট্রিক তার তা নিয়ে এগিয়ে আসছে লোক টার দিকে এদিকে লোক টা হাতের যন্ত্রনা সাথে মেঘের ভয়ঙ্কর রুপ দেখে ভয়ে চিৎকার করতে লাগলো আর মেঘ এক পৌশাচিক হাসি দিতে লাগলো …………
.
.
.
.
.
কে এই Ak কেউ কি??🤔🤔
আর ফারহা কি করতে যাচ্ছে.??🤔
মিহু বা কেনো শুধু শুধু ফারহা কে সাহায্য করছে.?নাকি এর পিছুনে বড় কোন সার্থ আছে..??🤔
আগুন কি ফারহা কে সব সত্যি টা আগে বলেছিলো ?? নাকি অর্ধেক সত্যি বলেছিলো..??🙄
#To_be_Continued………….