রাগী বস

রাগী বস – পর্ব- ০২

সিনহা:কি শান্তি আমার জব টা হয়ে গেলো কাল থেকে আমি জয়েন করবো।কি যে খুশি লাগছে না আমি ভাবতেও পারিনি জব টা হয়ে যাবে।অফিস থেকে বের হয়ে বাড়ি ফিরছি আর ভাবছি।
.
মা:সিনহা মা এসেছিস?
.
সিনহা:হুম মা এসেছি আর একটা গুড নিউজ আছে,জব টা আমার হয়ে গেছে।
.
মা:আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে মা,এইবার আল্লাহ তোর জন্য একটা ভালো ছেলে মিলিয়ে দিলেই আমার শান্তি।
.
সিনহা:মা,,ধ্যাত সবসময় শুধু বিয়ে বিয়ে আর বিয়ে,এই বিয়ে ছাড়া কি আর কিছু মাথায় আসে না তোমার?
.
মা:না রে আসে না ঘরে বিবাহ যোগ্য মেয়ে থাকলে বাবা,মা কে যে কি পরিমাণ চিন্তা করতে হয় তা শুধু বাবা,মা ই জানে।তুই মা হ তখন বুঝবি।
.
সিনহা:হুম সে বুঝবোনি,এখন বলোতো খাবার,ওষুধ ঠিক মতো খেয়েছো কি না?
.
মা:হ্যাঁ খেয়েছি।
.
সিনহা:হুম গুড এবার লক্ষি মেয়ের মতো ঘুমিয়ে পড়ো।আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
.
মা:হুম যা।
.
পরের দিন সকালে
.
সিনহা:মা আমি বেরুলাম ভালো হয়ে থেকো।দরকার হলে আমায় একটা ফোন করিও,,আসি।বলে অফিসের উদ্দশ্যে বের হলাম।আজ প্রথমদিন তাড়াতাড়ি বের হলাম যদি রাস্তায় জ্যাম হয় আর স্কুটি টাও তো নেই পড়ে আছে মেকানিকের কাছে কবে যে ঠিক হবে।ধ্যাত ভালোই লাগে না।রাস্তায় দাড়িয়ে আছি এতো কাঁদা হয়েছে না।রাতে খুব বৃষ্টি হয়েছে গাড়িও পাচ্ছি না যাই কিভাবে। এইসব ভাবছি আর হাতের নখ খাচ্ছি,হঠাৎ এই রে এগুলো কি করে দিলো।ঐ কেড়ে দেখে শুনে গাড়ি চালাতে পারেন না।রাস্তার কাদা পানি গুলো দিলেন তো আমায় পুরো ভিজিয়ে।নিজের রাস্তা মনে করে গাড়ি চালান নাকি।মেজাজ খারাপ ধ্যাত এমনিতেই দেরী হয়ে গেলো আর তারওপর আবার এইরকম কাদা পানিতে ভিজিয়ে দিলো।
.
সিফাত:একটা মেয়ের চিল্লানি শুনে গাড়ি থেকে নেমে গেলাম,দেখেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।এটা কাল কের মেয়েটা ঠিক হইছে আমার সাথে বাজে বিহেভ করার শাস্তি এটা মনে মনে বলছি আর হাসছি।মেয়েটি পুরো ভিজে গেছে দেখার মতো অবস্থা হয়েছে ওর।সামনে গিয়ে দাড়ালাম কি যেনো বলছিলে?
.
সিনহা:আপনি কি কানা নাকি বয়রা।দেখেন না শুনেন না আমায় কাদা পানিতে ভিজিয়ে দিলেন।চোখে দেখে গাড়ি চালাতে পারেন না। কাল তো ক্ষতিপুরন না চাইতেই দিয়েছিলেন আজ চাইছি দিন আমার ক্ষতিপুরন।
.
সিফাত:পাগল নাকি আমি আজ তোমার ক্ষতি করিনি যে পুরন করবো।মাঝরাস্তায় পানির কাছে দাড়িয়ে থাকলে এমনটাই হবে।গাধী কোথাকার।
.
সিনহা:কি বললেন আমি গাধী,আপনি তো আস্ত একটা,,,,,
.
সিফাত:আমি আস্ত একটা কি বলে ওর দিকে এগোতে লাগলাম আর ও পিছতে লাগলো,বলো আমি আস্ত একটা কি??
.
সিনহা:উনি আমার দিকে এভাবে এগিয়ে আসছে কেনো মারবে নাকি আমায় এই পাবলিক প্লেসে, না না আপনি কিছু না।
.
সিফাত:কি ক্ষতিপুরন চাই তোমার?
.
সিনহা:না না কোন ক্ষতিপুরন চাই না আমার, আমি আসি।বলেই ওনার সামনে থেকে একপ্রকার ছুটেই চলে আসলাম।বাড়ি এসে ভেজা কাপড় টা পাল্টিয়ে আবার অফিসে যাওয়ার জন্য বেরোলাম।
.
সিফাত:আবিদ আমার পি. এ কি সিলেক্ট হয়েছে?
.
আবিদ:হ্যাঁ স্যার,একটা মেয়ে নাম সিনহা চৌধুরী।
.
সিফাত:তাকে এখনি আমার কেবিনে পাঠিয়ে দিন?
.
আবিদ:স্যার সে তো এখনো এসে পৌছে নি।
.
সিফাত:কি এখনো আসে নি মানে কি।কাকে সিলেক্ট করেছো দেখে শুনে করোনি।এমন একজন কে নিয়েছো যে প্রথম দিনেই এখনো এসে পৌছেনি।
.
আবিদ:সরি স্যার।
.
সিফাত:সে আসলেই আমার কাছে পাঠিয়ে দেবে।
.
আবিদ:ওকে স্যার।
.
সিনহা:প্রথমদিনেই দেরী করে আসলাম আল্লাহ জানে কি হয়,জব টা মনে হয় পেয়েই হারাবো, সব হইছে ঐ খাটাশ টার জন্য।এসব ভাবতে ভাবতে অফিসে ঢুকলাম।
.
.বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *