1. নতুন গল্পঃ4. রোমান্টিক উপন্যাস গুলোঃরাগী বস

রাগী বস !! MD. Raihan Arohi

সিনহা: ওরে বাব্বারে ও মাগো কেরে ধাক্কা দিলো আমার স্কুটি টাকে, চোখের মাথা খেয়েছে নাকি চোখে দেখে না বলেই পিছনে তাকালাম দেখলাম একটা কালো গাড়ি, omg গাড়ির ভিতর থেকে কে আসে ওটা স্যুট,পড়া কালো, চুলগুলো স্পাইক করা জেল নামক সয়াবিন তেল দিয়ে চুল খাড়া করে রাখছে মনে হয়,অনেক লম্বা আর বডি ফিটনেস সেটা আর বলতে হেব্বি দেখতে তো ক্রাশ খাইয়া গেলাম,এইবার নিশ্চিত বাঁশ খাবো।গাড়ি থেকে লোকটি নেমে এসে আমার দিকে এক বান্ডিল টাকা দিলো আমার হাতে।
.
সিফাত:এই নাও,আশা করি যা দিয়েছি তাতে তোমার আর তোমার স্কুটির ক্ষতি টা পুরণ হয়ে যাবে বলেই মেয়েটির হাতে টাকা ধরিয়ে দিলাম।
.
সিনহা:কি এতো সাহস আমায় টাকা দিচ্ছে, আমি কি ফইন্নি নাকি।মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে আমার,এই যে শুনছেন, টাকা দিয়ে চলে যাচ্ছিলো তাই ডাকলাম।
.
সিফাত:পিছনে ফিরে তাকালাম,আবার কি হলো আরো চায় নাকি,বাট আমি যা দিয়েছি তাতে তোমার স্কুটি সাড়িয়ে নিয়ে নিউ একটা স্কুটি কিনতে পারবে।কম হওয়ার কথা না।
.
সিনহা:এইবার রাগ চরমে উঠে গেলো।ইচ্ছে করছে উষ্টা দেই দুইটা। এই যে শুনুন আমি চেয়েছি আপনার কাছে ক্ষতিপুরন। টাকার অহংকারে ফুলে না উঠে ধরুন টাকা টা আপনার কাছেই রাখুন। এই টাকা টা দিয়ে কারো কাছে থেকে সরি বলা শিখে নিবেন 😒
কথাগুলো বলে উনার হাতে টাকা দিয়ে চলে আসলাম।
.
সিফাত:টাকাটা হাতের মুঠোয় শক্ত করে ধরলাম,দাঁতের ওপর দাঁত দিয়ে। how dare u,এতো সাহস এই মেয়ের সিফাত আহম্মেদ কে কথা শুনিয়ে গেলো।দেখো নিবো তোমায়।বলে সানগ্লাসটা চোখে দিয়ে গাড়িতে উঠে ড্রাইভ করে অফিসে চলে আসলাম।
.
আবিদ:গুড মর্নিং স্যার।
.
সিফাত:হুম মর্নিং। আবিদ তুমি আমার কেবিনে এসোতো।
.
আবিদ:আসছি স্যার।বলে স্যারের পিছু পিছু গেলাম।
.
সিফাত:আবিদ তোমাকে যে কাজ টা করতে বলেছিলাম সেটার কি করলে?
.
আবিদ:স্যার অলরেডি নিয়োগ দিয়ে দিয়েছি,কাল ইন্টারভিউ নেওয়া হবে।
.
সিফাত:গুড,বাছাই করে নিবা।যাকে নিবা সে যেনো discipline maintain করে চলতে পারে।
.
আবিদ:ওকে স্যার।
.
সিফাত:হুম এবার এসো, কাজ করো নিজের।
.
আবিদ:হুম স্যার আসছি বলে চলে আসলাম নিজের ডেস্কে।
.
বাড়িতে
.
সিনহা:মা ও মা,ঘুমিয়ে পড়ছো নাকি এই দেখো ওষুধ নিয়ে আসছি।উঠোতো কিছু খেয়ে ওষুধ খেয়ে নেবে।জানো আজ কি হয়েছে,একটা গোমড়া মুখো রাক্ষস আমার স্কুটি টা ধাক্কা দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে তাই ওটা মেকানিকের কাছে দিয়ে আসলাম।
.
মা :হ্যাঁ রে মা এসেছিস,স্কুটি ধাক্কা দিয়েছে তো তোর কিছু হয়নি তো দেখি দেখি?
.
সিনহা:আরে না মা আমার কিচ্ছু হয়নি,আমার কিছু হলে কি আমি বাড়ি আসতাম নাকি, এতোক্ষনে কবরে নয়তো হসপিটালে থাকতাম।
.
মা:কি সব বলিস চুপ কর।
.
সিনহা:হুম এইবার উঠোতো লক্ষি মা আমার।কিছু খেয়ে ওষুধ খেয়ে নাও।
.
মা:আমি মনে হয় আর বেশি দিন নেইরে মা।আমার কিছু হলে তুই কার কাছে থাকবি।কে দেখবে তোকে।মরার আগে যদি তোকে কারো হাতে তুলে দিতে পারতাম তাহলে শান্তিমতো মরতে পারতাম।
.
সিনহা:মা কি সব আজাইরা কথা বলো।কিচ্ছু হবে না তোমার।আমি আছি না।তুমি সুস্থ হবে অনেক ভালো ডাক্তার দেখাবো আমি তোমায়।
.
মা:এখনো কম ডাক্তার দেখালি না আর কম ওষুধ খাওয়ালি না।কই কিছুতো হলো না।দিন দিন বেড়েই চলেছে।এ রোগ সাড়বে না রে মা।এই রোগের শেষ পরিনতি মৃত্যু ।
.
সিনহা:মা চুপ করোতো অনেক কথা হইছে এইবার খাবে,দাড়াও খাবার নিয়ে আসি বলে খাবার এনে মা কে খাইয়ে দিলাম,ওষুধ খাইয়ে শুয়ে দিলাম।এইবার ঘুমাও।
.
বিকলে
.
বসে বসে বিজ্ঞপ্তি দেখছিলাম।জবের জন্য।একটা জব খুব দরকার, মা এর ভালো ডক্টর দেখানোর জন্য। ওয়াও পেয়ে গেছি এইতো একটা জব সার্কুলার (S.A)কোম্পানির পি.এ পদে,বেশ ভালোই স্যালারি আমাদের শহরেই।কাছাকাছি ভালোই হবে।এটাতেই চেষ্টা করে দেখি,হয় কি না। রাতে সব কাগজ,ফরম ঠিক করে ঘুমিয়ে পড়লাম।সকালে ইন্টারভিউ দিতে যাবো।
.
সিফাত:ঐ মেয়েটার কথা শুধু মনে পড়ছে আর রাগ লাগছে এতো সাহস আমার দেওয়া টাকা ফিরিয়ে দেয়।সিফাত আহম্মেদ এর মুখের ওপর কথা বলে।আরেকবার পাই দেখাবো মজা।
.
সকালে
.
সিনহা:ওরে বাবা,বেলা তো অনেক হয়ে গেছে।এখনো ঘিম থেকে উঠিনি,আজ তো আমার ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার কথা। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে গেলাম ইন্টারভিউ দিতে ।
.
সিফাত:হ্যালো,হ্যা আদিব তোমায় যা বলেছি সব ঠিক মতো করো।জানোইতো আমি আজ অফিস যেতে পারছি না।সো তুমি সব দিক সামলাও।বলেই ফোনটা কেটে দিলাম।আজ অফিসে ইন্টারভিউ আমার পি.এ পদে আমি নিজে বাছাই করে নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু তা আর হলো না।আমার অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ থাকে আজকের দিনে।আপনাদেরতো বলায় হয়নি আমার সম্পর্কে তেমন কিছু।আমি (S.A) কোম্পানির নিউ এম.ডি সিফাত আহম্মেদ।আমি একা আমার কেউ নেই।মা ছোটবেলায় মারা গেছে আর বাবা বেশ কয়েক মাস আগে।বাবা বাংলাদেশে ছিলো আর আমি USA ছিলাম।বাবার মৃত্যুর পর আমি বাংলাদেশে এসে বাবার রেখে যাওয়া প্রোপার্টি সামলাচ্ছি। আজ অফিস গেলাম না কারন আজ বিশেষ একটা দিন আমার কাছে।আজ আমার মামুনির জন্মদিন। তাই মামুনির নামে বাবা তৈরী করা এতিনখানায় ওদের সাথে মামুনির জন্মদিন পালন করবো।
.
.বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *