মায়াবিনী

® মায়াবিনী—– পর্ব- ৮

: কিরে নীল বললি না তো ভাবীর নাম টা কি,,
: কিহ্,,,অয়নী কোন ভাবীর কথা বলছিস তুই,,
: আরে ভাবী.. ভাবী…. সে কি আমার পূর্ব পরিচিত…!
নীলের হঠাৎ মনে হলো কিছুক্ষণ আগের কথা…তারপরেই বললো
: ও ভাবী….! হ্যা,, হ্যা,,
: হুম,,,,বলনা..
: হ্যা তুই ওকে চিনিস,,,
: নাম কি…
: নাম,,,নাম,, আআ,, নামটা পর বলবো…!
: অপেক্ষায় রইলাম
এমন সময় বাড়ির কাজের লোক এসে বললো
: মামা,,সাথী খালামনি তো কি একটা কাজে বাইরে গেছে…যাওনের আগে কইয়া গেছে কাল বিকালে আপনি আর আন্টি যেনো বসার ঘরে বসে থাকেন..
: ও বুঝেছি… আচ্ছা তুমি যাও…
: জ্বী মামা যাইতেছি
: ইয়ে মামা… মামা..
: জ্বী মামা কন
: দুই কাপ কফি পাঠায় দেননা..প্লিজ
: আচ্ছা আনতাছি..
অয়নী: আপু কোথায় গেছে রে,,,
নীল: এতিমখানাতে….!
অয়নী: কেনো….?
নীল: ওও আপু প্রতিমাসে এই তারিখে ওখানে যায়,,, বাচ্চাদের সাথে সময় কাটায়। আর ওদের কি লাগবে না লাগবে,,,অসুবিধা হচ্ছে কি না..এগুলো শোনে তারপর সে অনুযায়ী সাহায্য করে….
অয়নী: সত্যি….!
নীল: হুমম…আমিও আগে যেতাম আপুর সাথে,,,বাট এখন কাজের চাপ এতোটাই বেড়ে গিয়েছে ওখানে প্রতিমাসে যাওয়া সম্ভব হয়না,,,তবে হ্যা সময় সুযোগ পেলেই চলে যায় ওখানে..
অয়নী: তুই সেই আগের মতোই আছিস..
নীল: না নেই রে..
অয়নী: মানে..!
নীল: পরিবেশ পরিস্থিতি,,, সবকিছু আমাকে বদলে দিয়েছে রে…আমার আমি টা আর নেই আমার ভিতরে…! আগে কখোনো মাথা গরম করতাম না..কিন্তু এখন সামান্য কারনেও ভয়ংকর রাগ উঠে যায় মাথায়..
অয়নী: কিন্তু কেনো..!
নীল: ওই যে বললাম না পরিস্থিতি একটা মানুষকে যে কতটা বদলে দেয় তা নিজের জীবন দিয়ে বুঝেছি..
অয়নী: ও..
নীল: আচ্ছা অরু তুই বস,, সুপ্তর সাথে খেল একটু,,,আজ এক জায়গায় আমাকে যেতে হবে রে
অয়নী: না গেলে হয়না,,,
নীল: কেনো…?
অয়নী: আমার কেমন জানি ভয় লাগছে,,
নীল: আরে ধূর পাগলি ভয়ের কিছু নেই.
অয়নী: না গেলেই কি নয়, নীল
নীল: নারে যাওয়াটা খুবই দরকার..!
অয়নী: ও.
নীল:হুম..অনেকদিন ধরে আজকের জন্য অপেক্ষা করে আছি..
অয়নী: বিশেষ কিছু কি…
নীল: বিশেষ তো বটেই…অনেক না জানা সত্য বেরিয়ে আসবে…জানতে পারবো অজানাকে..! মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে মানুষগুলোর আসল রুপটা বেরিয়ে আসবে এবার..! বাইরে এক ভিতরে এক সব…
অয়নী: মা…মানে…
নীল: হুম..! অনেকদিন ধরে প্রতীক্ষায় আছি আজকের এই দিনটার জন্য…!
অয়নী: নীল তোর কথা কিছুই বোধগম্য হলোনা আমার….!
নীল: এখন না হওয়াটাই উত্তম..
অয়নী: তুই কি বলছিস এসব.
নীল: সময় সব বলে দেবে সব…শুধু দেখার অপেক্ষা….!
অয়নী: কি বিষয়ে বলছিস কথা আমাকে কি বলা যাবে..না মানে আমি হেল্প করতাম…
নীল: আচ্ছা তাহলে তুই বাসাতেই থাকিস। আপু আসতে দেরি হবে…আর সুপ্তকে নিয়ে বাগানে যা নয়তো ছাদে যা.. বাট বাড়ির বাইরে যাসনা আজ…! যাই রেডি হয়ে নিই..!
অয়নী বুঝতে পারলো শেষের কথাটা নীল শুনেও না শোনার ভান করলো। এভোয়েট করে চলে গেলো…!
অয়নী বসার ঘরে কফির মগ হাতে ধরে ভাবছে,
” কি এমন কথা যে ও এভাবে এড়িয়ে গেলো..আর যাবেটাই বা কোথায়। এই কদিন ওকে ঠেলেও বাইরে পাঠানো যায়নি…অথচ আজ নিজে থেকে যেতে চাইলো। কি বিষয়..!
আমি ওকে নিষেধ করলাম তারপরও আজ বাইরে যেতে চাচ্ছে….! কিছুতো গড়বড় আছেই এখানে…! অবশ্য আমাকেই বা সব বলবে কেনো ও, আমি কে ওর…! ”
নীল বাইরে যেতে যেতে বললো , ” সাবধানে, ,, কফি পায়ের ওপর পড়ে যাবে…! মগটা ভালো করে ধর…!”
তারপর হাসতে হাসতে চলে গেলো…!
অয়নীর কাছে আজ সবকিছু কেমন যেনো অস্বাভাবিক লাগছে..!
সুপ্ত কে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে আছরের নামাজ আদায় করে অয়নী বাগানে আসলো। একরকম মিষ্টি পরিবেশ বিরাজমান এখানে….নরম আবহাওয়া….!
এসে দেখলো অয়নীর যাবতীয় পছন্দর ফুল গাছ লাগানো,,
আর্কিড আছে,,গোলাপ,,, একটু দূরে জবা তার কিছু দূরেই গাঁদা ফুল গাছ আর সামান্য সামনে এসেই সাদা গোলাপ গাছ অয়নীর খুব প্রিয় এ গাছ। নীল প্রায় বকা দিতে এজন্য। সাদা রং দেখলে নাকি ওর শোকাচ্ছন্ন পরিবেশের কথা মনে হয়ে যায়। ভয় পায় খুব, ভাবে এই বোধায় বিপদ এলো…
বাগানটা খুব বড়ো। অয়নী আগে নীলকে তার কল্পনার বাগানের কথা বলতো ঠিক সেরকমই বাগান করেছে ও।
নীলকে বলতো,
” নীল বুঝলি আমার বাগানের সবজায়গায় থাকবে ফুলের গাছ…আর একটু দূরে থাকবে কয়েকটা কাঠগোলাপের গাছ। আর সেখানে বসার জন্য থাকবে একটা জায়গা। মাটিতে কাঠগোলাপ ফুল পড়ে থাকবে আর আমি সেগুলোর সৌন্দর্য অনুভব করবো। পুরোটা বিকাল কাটিয়ে দেবো ওখানেই..! মাঝে মাঝে দু এক কলি গানও গাইবো…! কেমন হবে রে বলনা…!”
” ফাটাফাটি হবে রে..!”
” আজই রাজীব কে তাহলে বলবো সব.. ”
” তোর মুখে কি ওই নাম ছাড়া আর অন্য কোনো নাম থাকেনা রে….!”
” কেন রে তোর এতো জ্বলে কেন ..!”
“অরু ও ভালো নয়,,আমার কথাটা শোন…বাজে ছেলে ও…!”
” ব্যাস নীল,,,আর না। আর একটা বাজে কথা ওর সম্পর্কে বললে এখনি একটা চড় দিয়ে সব দাতগুলো ফেলাই দিবো…!”
” অরু কিভাবে কথা বলছিস তুই..!”
” চুপ..একদম চুপ…! তুই আমার চোখের সামনে থেকে এখনি চলে যা…!”
“অরু……!!”
“(চিল্লিয়ে) কি বললাম কি….! যাবি….!! ”
রাস্তার প্রায় সবাই তাকাচ্ছিলো…নীলের লজ্জা লাগলেও সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে বললো,
” অরু আমি চলে যাচ্ছি..! তবে আবারও বলছি ও ভালো ছেলে নয়…!”
“(জোরে জোরে বললো) Shut up….!! Hey stupid get lost frow my eyes…!”
সেদিনর পর থেকে আর অয়নীর সামনে আসেনি নীল। অয়নী খুব রেগে গেছিলো। অবশ্য রাগারই কথা….!
ভালবাসার মানুষকে কে না বিশ্বাস করেতে চায়। কিন্তু ওরা কি তা বোঝে….সম্মান দিতে জানে কি সহজ সরল মেয়েগুলোকে….! বেশির ভাগই তো পশুর ন্যায়..বিশ্বাস নিয়ে খেলে….! আজব সব…!
অয়নীর সেদিন পরে খুব খারাপ লেগেছিলো।। আর ভাবছিলো হায় আল্লাহ্‌ কি করলাম..! রাজীবের কথা বলাতে ও ঘোরের মধ্য চলে গেছিলো,,,
নীল পরে চেষ্টা করেছিলো যোগাযোগ করার বাট অয়নীর তখন ইগোতে তা আঘাত হেনেছিলো…!
আর তারপর দীর্ঘ ৫ বছর পর আবার দেখা নীলেররল সাথে হাসপাতালে…!
রাজীব নীলের ব্যাপারে অনেক ভূল বুঝিয়েছিলো অয়নীকে। তাই রাহ, ক্ষোভ ঘিন্না,,,সব মিলিয়ে আর যোগাযোগ করেনি। কিন্তু আজ বুঝতে পারছে যে নীলই সেদিন ঠিক ছিলো..!
অয়নীর মাথা ধরে আসছে তাই। আরেক কাপ কফি এনে তার স্বপ্নে কল্পনা করা বাগান এখন বাস্তবে। সেখানে বসলো তার কল্পিত প্রিয় জায়গাতে…!
অয়নী বসে আছে কফি হাতে আর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে মাটিতে পড়ে থাকা কয়েকটা কাঠ গোলাপের দিকে….!
অয়নী আগেই বুঝতে পেরেছিলো নীল ওর ওপর দূর্বল খুব। কিন্তু তখন তো অয়নী রাজীবের মোহতে ডুবে থাকতো।।
কিন্তু এই একমাসে নীল যে আরো দূর্বল হয়ে পড়েছে ওর প্রতি সেটা অয়নী বুঝতে পারছে,,,
অয়নী:(মনে মনে) নাহ্ এসব আমি কি আবল তাবল ভাবছি তখন থেকে..! এটা কখোনে সম্ভব নয়। নীল অনেক ভালো ছেলে। ওরও তো ভবিষ্যৎ বলে একটা কথা আছে। আমি কি করে ওকে ঠকাই..!
নাহ্ অতটা নীচ নই আমি.. আর সব থেকে বড় কথাটা হলো ও একটা মেয়েকে জীবন দিয়ে ভালবাসতো। আর সে ওকে ছেড়ে চলে গিয়েছে….
ইশ কোন সে অভাগী যে নীলের মতে একটা ছেলে কে ছেড়ে গিয়েছে..দেখার খুব শখ আমার…আর নীলটাও ওকে এখনো মনে রেখেছে…!
সত্যিই পারেও বটে ছেলেটা…..!..
যতদ্রুত সম্ভব আমি চলে যাবো এখান থেকে। জানি কষ্ট পাবে ও। কিন্তু সেটা সাময়িক। সারা জীবনের জন্য ওকে কষ্ট পেতে দিবেনা…!
আমি কোনো ভাবেই ওকে তিলে তিলে মরতে দিবেনা…! ও আমার কলেজ লাইফের বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো আস ভার্সিটি লাইফেও…!
আচ্ছা ও তো আমার সাথে ভার্সিটিতে পড়তো তাহলে ডাক্তার হলে কি করে…! রাজীবের সাথে চলে যাওয়ার পর অবশ্য ওকে আর খুঁজিনি….! বড়ই স্বার্থপর আমি…! ”
অযনীর হাতে নরম কিছু বারবার ছুঁয়ে যাচ্ছে ভালো করে খেয়াল করে দেখলো সুপ্ত ওর হাত ধরে টানছে,,!”
অয়নী: কি হলো সোনা..কিছু বলবে…!
সুপ্ত: মাম্মি চকলেত খাবো..!
অয়নী: তোমার ডয়ারে নেই আর
সুপ্ত : না..
অয়নী: ওও
সুপ্ত: মাম্মি আমি খাবো…!
অয়নীর মনে হলো বাড়ির গেটের সামনেই তো একটা দোকান আছে। ওখান থেকে কিনে দেই। কিন্তু নীল তো বারবার নিষেধ করেছিলো যেনো বাইরে না যাই….! কি করবে এখন..! নীলকে ফোন দিয়ে আনতে বলবো…! না থাক..কি ভাববে তখন…
সুপ্ত: মাম্মি চকলেত খাবো..!
অয়নী: ওটা চকলেত নয় চকলেট উচ্চারণ হবে বাবাই…
সুপ্ত: আমি খাবে…!
অয়নী সুপ্তর জেদ দেখে মনে মনে বলছে….,
যাই বাইরে তো যাচ্ছিনা আর সমস্যা হবেনা..আর হলে দ্রুত ঢুকে পড়বো…!
অয়নী ফ্রেশ হয়ে এসে সুপ্ত কে নিয়ে বাইরে যাচ্ছে আর ভাবছে….! না জানি কি হয়…সুপ্তটাও না…! হোক সমস্যা নাই বাড়ির সামনেই তো…নতুন দোকান তাই অনেক রকম চকলেটই পাওয়া যাবে হয়তো….!
অয়নীকে আসতে দেখে দাড়োয়ান দাড়িয়ে সালাম দিলো….
: ম্যাডাম স্যার যে বাইরে যেতে নিষেধ করেছে,,
: কেনো,,
: জানিনা ম্যাডাম,,এমনকি স্যার কাওকে আজ ভিতরে এলাও করতে নিষেধ করেছে সাথী ম্যাডাম ছাড়া…!
: আরে না সমস্যা নাই… আমি ওই যে সামনের দোকানটাতে যাবো আর সুপ্তর জন্য চকলেট কিনে নিয়ে চলে আসবো…!ভয় নেই,,,
: কিন্তু স্যার যদি…!
: আমি আছিতো…
অয়নী ধীর পায়ে এগিয়ে গিয়ে দোকানে গেলো। দোকানটা নতুন হলেও ভালো ভালো দ্রব্য অবশ্য রাখা আছে..অয়নীর মাথায় হঠাৎ বুদ্ধি এলো ও তো চলেই যাবে তার আগে নীলকে ওর প্রিয় খাবার পায়েশ তৈরি করে খাওয়ালে মন্দ হয়না..!
অয়নী মনেযোগ দিয়ে বাজার করছিলো। প্রয়োজনীয় মশলা কিনছিলো আর সাথে সব উপকরণ…!
অয়নীর মনে হচ্ছিলো কিছু যেনো উল্টো পাল্টা ঘটছে..নিজের ভিতরে কেমন একটা অনুভূতি কাজ করছিলো মনে হচ্ছিলো বারবার কিছু একটা ঘটতে চলেছে..কিন্তু কি সেটা…বুঝতে পারছেনা।
অয়নী দ্রুতই সব জিনিসগুলো কিনে দোকানদার কে দাম দিচ্ছিলো। কিন্তু মনে হচ্ছিলো যেনো দোকানদার বার বার ইচ্ছে করেই হিসেব ভূল করছে..
এক পর্য়ায়ে অয়নী বললো, ” ভাইয়া আপনি পুরোটাই রেখে দিন। পরো এসে হিসাব করে নিবো কেমন….!
সুপ্ত সামনে বসে চকলেট খাচ্ছিলো..
অয়নী: সুপ্ত সোনা চলো…!
হঠাৎ অয়নীর মনে হলো কে ওর যেনো পিছনে দাড়িয়ে আছে….! আর তারপরই ওর হাত ধরে ওকে ঘুরাতেই দেখলো নীল..!
অয়নী: নী…
নীল: (চিল্লিয়ে) চুপ করো তোমাকে না নিষেধ করেছিলাম। বাইরে বের হতে তুমি কেনো শুনলেনা এতো বেশি কেনো বোঝো,,,সবসময়,,একমুহূর্তও শান্তি দিবেনা আমাকে…! বার বার নিষেধ করেছিলাম বাইরে বের হতে আর সেটাই তুমি করলে…কি সমস্যা তোমার,,
অয়নী: নীল,,! সুপ্ত….
নীল: সাট আপ….! কি হতে চলেছে কোনো আইডিয়া আছে তোমার….
অয়নী : মানে..!
নীল:(অনেক জোরে) ওহ্ শিট্….গেট ডাউউন……!
বলেই অয়নীর মাথায় চাপ দিয়ে মেঝেতে ফেলে দিয়ে নীল বসে পড়লো…!
কয়েক সেকেন্ডের ব্যাবধানে বাইরে ফায়রিং এর আওয়াজ হলো বেশ কয়েকটা..জোরে শব্দ হচ্ছিলো সুপ্ত ভয়ে কাঁদতে লাগলো…সুপ্তকে নীল কোলের ভিতরে জড়িয়ে রেখেছিলো…!
এক মিনিটের মাথায় নীল আবার বলে উঠলো,
নীল: (জোরে জেরে) ওহ্ মাই গড্…. অয়নী…. মুভ ফ্রম হেয়ার….!
সুপ্তকে কোলে জড়িয়ে রেখে অয়নীর হাত ধরে হ্যাচকা টান দিয়ে বাইরে নিয়ে আসতেই মুহূর্তেই বড় দোকানটা বোম ব্লাস্টে উড়ে গেলো…..!
বিকট জোড়ে শব্দ হয়েছিলো…! চারিদিক একবার কেপে উঠেছিলো। অয়নী ভয়ে নীলের হাত জড়িয়ে ধরে..! আর মুহূর্তেই জ্ঞান হারায়… কিছুক্ষণ পূর্বে কি হতে চলেছিলো ভাবতেই নীলের গায়ের কাটা শিউরে উঠছিলো….!
রাতের দিকে অয়নী চোখ খোলে। ঘটনার আকস্মিকতায় অয়নীর জ্বর চলে এসেছে….সুপ্তকে জড়িয়ে ধরে নীল বসে আছে…!
অয়নী চোখ খুলতেই নীল বললো,
: আচ্ছা তখন তুমি বাইরে গেলে কেনো…তোমাকে না হাজার বার নিষেধ করেছিলাম। আর দাড়োয়ানটাকে না আমি বারন করেছিলাম কাওকে বাইরে যেতে না দিতে ওর আজ খবর আছে…
: উনার দোষ নাই আমিই জোর করে গিয়েছিলাম নীল..!
: কেনো…….??????
: সুপ্ত চকলেট খাবে বলে বাইনা ধরেছিলো আর বাড়িতে ছিলনা তাই বাধ্য হয়ে…!
: কেনো তোমাকে ফোনটা কেনো কিনে দিয়েছি…একবার আমাকে কি জানাতে পারতেনা…নাকি তুমি ভাবো আমি সুপ্তকে ভালবাসিনা..!
: না না তা নয় নীল..
: আজ কি হতে যাচ্ছিলো বুঝতে পারছো..!
: ওখানে কি হলো নীল , অতো গোলাগুলি বোম্বিং….! মনে হলে গায়ের কাটা শিউরে উঠছে…
: সেজন্যই তো নিষেধ করেছিলাম যেতে…জানতাম কিছু একটা অঘটন ঘটবে…
: কিন্তু তুমি কিভাবে জানতে..এসব ঘটবে….! আজ..!
: মানে..!
: তুমিতো ডাক্তার তাহলে তুমি কি করে জানলে এতো..!
নীলের এবার হুশ ফিরেছে.. নীল চমকে উঠেছে…
: ইয়ে মানে..
: নীল তুমি আসলে কে…..?
:মানে কি..
: আমার প্রশ্নের উত্তর দাও…! কে তুমি…..?
: সরি….হোয়াট ডু ইউ মিন বাই….
নীলের ফোন আসলো নীল একটু দূরে গিয়ে বলছে,
” হোয়াট….!!! কি ভাবে সম্ভব এটা……. কিহ্ নদীর পাড়ে…..!!!”
অয়নী কিছুই বুঝতে পারছেনা কি হচ্ছে আসলে আর হবে সামনে….!
< <<চলবে>>>