ভালোবেসে মরেছি – Part- 09
ডান হাতে মাইক ও বা হাতে একটা সাদা কাগজ নিয়ে বোকার মত স্টেজে দাড়িয়ে আছে মিহু।অর্নব স্যার যে ওকে এমন একটা বাঁশ দিবে জানা থাকলে আজ ভার্সিটিই আসতো না ও।এভাবে কোন প্রাকটিস ছাড়া কি অ্যাংকরিং করা যায়?পর্দার আড়ালে দাড়িয়ে অর্নব হেসেই চলেছে।
মিহু এর আগেও একবার এইসব করেছে তাই আর ভয় না পেয়ে শুরু করে দেয়।
সাথে তিথি ও চৈতি থাকায় ততোটা ভয় হচ্ছেনা।
________________
এবারেও অর্নব কে হার মানালো মিহু।অর্নবের ধারনা ছিল মিহু এসব অনুষ্ঠান পরিচালনা পারবেনা।কিন্তু এতো ভালোভাবে অনুষ্টান পরিচালনা করায় সবাই মিহুকে বাহবা দিচ্ছে। মিহুফেরার সময় অর্নবের সাথে দেখা হলে বলে,
-স্যার বাঁশতো আজ খাইসিলাম,কিন্তু দেখলেন সেটাই আবার কিভাবে অন্যজনকে দিয়ে দিলাম(নিজের অনেকটা প্রাউড লুক দিয়ে)
অর্নব মিহুর কথায় মুখে খানিকটা বিরক্তির ছাপ নিয়ে বলপ,
-রাস্তা ছাড়ো তো।কোত্থেকে যে আসে উফ।
অর্নব চলে গেল।
মিহু একগাল হেসে দিয়ে নিজের বাড়ির পথে রওনা দিল।
অর্নব গাড়ির কাচ নামিয়ে মিহুর যাওয়ার পথে চেয়ে হালকা মুচকি হাসি দিল।
এই মেয়েটাকে ভীষন অন্যরকম লাগে তার।কিছুটা মনের মতন আর কিছুটা অদ্ভুত, সব মেয়েদের থেকে আলাদা।
পরদিন সকালে ভার্সিটিতে একটা কান্ডে শোরগোল পড়ে গেল।ভার্সিটির সবাই চিৎকার চেচামেচি করছে।কেউ কেউ কান্নাও করছে।এর মাঝে মিহু গেইট দিয়ে ভার্সিটি প্রবেশ করল।ওর ফ্রেন্ডদের কাউকেই খুজে পাচ্ছিল না সে। মাঠের এককোনে অনেক মানুষের ভীড় ঠেলে গিয়ে দাড়ায় মিহু।
গিয়ে দেখে তীথি চৈতি ও বিপুল মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।চৈতি অনেক চুপচাপ হয়ে আছে।দেখে মনে হচ্ছে অনেক বড় একটা শক্ পেয়েছে সে।
চৈতি ও তিথির পাশে গিয়ে বসে চিন্তিত সুরে ওদের জিজ্ঞেস করে মিহু,
-কি হয়েছে তোদের?এমন দেখাচ্ছে কেন?
-নিশ্চুপ
-কিরে বল কি হয়েছে?
ওরা কেউ জবাব না দেওয়ায় ভীরের মাঝে একজনকে জিজ্ঞেস করে,
-কি হয়েছে রে?
উক্ত ব্যক্তিটি কাঁদো কাঁদো সুরে বলে ওঠে,
-মিহু কাল রাতে পিয়াসের লাশ ওই বড় ব্রিজের নিচে পাওয়া গেছে।
-কিহহহ্
মিহু যেন আকাশ থেকে পড়লো কথাটু শুনে।কয়েক মুহুর্তের জন্য সমস্ত দুনিয়া ওলট-পালট হয়ে গেছে তার।ধপ করে সেখানেই বসে পড়ে মিহু।
.
.
.