ভালোবেসে মরেছি

ভালোবেসে মরেছি – Part- 08

মিহু শুধু এদিক ওদিক নজর বুলাচ্ছে। একটু আগেই হোচট খেয়ে পড়ে গেছিল সে।অডিটোরিয়ামের পর্দার পেছনে অনেক তার থাকায় সেই তারে বেধে পড়েছিল। তাই চারিদিকে তাকিয়ে দেখছে কেউ ওর পড়ে যাওয়া দেখে ফেলেছে কিনা।কাউকে না দেখে হাসিমুখে উঠে গেল সে।ওদিকে আড়ালে দাড়িয়ে যে একজন হাসছে সেটা মিহু টের পায়নি।

অবশ্য মিহুকে হোঁচট খাওয়ানোর পেছনে তারই হাত।অর্নবের কাছে মনে হয়েছিল মিহু ওকে অ্যাটিটিউড দেখায়।তাই মিহুর ওইরকম অ্যটিটিউড ভাঙ্গানোর জন্য একটা তার এমনভাবে ফ্লোরে বেধে রেখেছিল যাতে পা বাধলেই মিহু পড়ে যায়।
মিহুর পড়ে যাওয়াতে অর্নবের বেশ শান্তি লাগছে এখন। নিজেকে একটু সময়ের জন্য বীরপুরুষ মনে হচ্ছে তার।
সে যাই হোক অডিটোরিয়ামের সাজানো দেখে অর্নব ভীষন খুশি, নিজের বা কাধে নিজেই দুটো বারি দিয়ে বলছে,বাহ অর্নব বাহ,একদিনের মাঝে এতসুন্দর ডেকোরেশন।
নিজেকে নোবেল দিলে ধন্য লাগতো।

_______________
মিহুর এখন কপাল চাপড়ানোর ইচ্ছে হচ্ছে। কখন থেকে তিথি ও চৈতিকে খুজে যাচ্ছে কিন্তু কোথাও খুজে পাচ্ছে না।ওদিকে বিপুল ও পিয়াস কোথায় যাওয়ার কথা বলে ওকে একা রেখে চলে গেল। এই ক’দিনে পিয়াস অনেকটাই আগের মত হয়ে গেছে।ওদিকে অনুষ্ঠান শুরু হতে চলেছে।মিহু নিজেকে ভালোবাসা, অনুভুতি এসব থেকে দুরে রাখে।ভার্সিটিতে আসার পর ক’দিনের মাঝেই অনেকে ওকে প্রোপোজাল পাঠিয়েছিল।কিন্তু ও সবাইকে রিজেক্ট করেছে।
এর মাঝে স্টেজে অর্নব স্যারের আগমন ঘটল।অর্নবের চোখ মিহুর চোখে পড়তেই মিহু চোখ সরিয়ে নেয়।মনে মনে অর্নবকে হাজার গালাগাল দিতে থাকে।তখন অর্নবকে সম মেয়েরা ঘিরে ধরায় মিহু ভাবে এই স্যারটাই হয়তো এমন।রুপের ভাব দেখায়।নিজেকে কি প্রিন্স চার্মিং ভাবে নাকি?একটা আবাল ছাড়া কিছুই না এই স্যারটা। এমনভাবে মেয়েদেরকে অ্যাটিটিউড দেখায় যেন পৃথিবীতে উনি ছাড়া ছেলেদের অভাব পড়েছে।

গ্যালারিতে বসে এসব ভাবতে ভাবতে একটা আওয়াজ ওকে বেশ বিস্মিত করে দেয়।মাইকে নিজের নামের অ্যানাউন্সমেন্ট শুনে মিহু অনেকটা অবাক হয়। কি কারনে,কেন, এবং কিসের জন্য ওর নাম মাইকে অ্যানাউন্সমেন্ট করা হলো তা জানতে এবার ভালো করে কান পেতে সবকিছু শুনলো।সেখানে তার সেই বদমাইশ অর্নব স্যার এটাই বলছেন,আজকের পুরোটা অনুষ্ঠানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল পারফর্মেন্সের অ্যাংকরিং করবেন,
অপর্না মেহেজাবিন ওরফে মিহু
প্রানীবিদ্যা বিভাগ
অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ
.
.
.
#চলবে__