ভালোবাসা এমনও হয়

ভালোবাসা এমনও হয় Season 2 !! Part- 18

আদ্রঃ এমন ভাবে বলছো যেন আগে কখনো টাচ করিনি।।এর থেকেও গভীরে বিচরন করেছে আমার হাত(মেয়েটির মুখে স্লাইড করতে করতে)

মেয়েটিঃ যা করেছেন আমার হুস নাহ থাকতে।।আর এখন আমার হুস আছে।।তা ভুলে যাবেন নাহ।

আদ্রঃ ওহহ তাই বুঝি

মেয়েটিঃ হোয়াট এভার।।গিভ মি মাই প্যাকেট

আদ্র একটা প্যাকেট মেয়েটির হাতে দিলো।।মেয়েটি তা নিয়ে রুমে চলে গেল।

আদ্র মেয়েটির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসলো।

আদ্রঃ উফফ মেঘ তোকে যদি এই তরীকে দেখাতে পারতাম নাহ কলিজাটা আরো ঠান্ডা হয়ে যেত।।অবশ্য তুই দেখবিই।।রিদ কে মেরেছিস আমাকে ও নিশ্চয়ই পাগল কুকুরের মতো খুঁজে বেরাচ্ছিস।।বাট আমাকে কি ধরা এতোই সোজা😎

(জি জি মেয়েটা আপনাগো তরীই আছিলো😒)

এইদিকে রিয়া গিয়ে ইশানের রুমে ঢুকে গেল।

রিয়াঃ মে আই কাম ইন স্যার

ইশানঃ ইয়েস কাম

রিয়াঃ স্যার আপনার কাছে একজনের নামে কম্পেলেন করার আছে

ইশানঃ কার নামে

রিয়াঃ স্যার ওয়েট আমি নিয়ে আসছি। আপনি ওকে যাস্ট একটু থ্রেট দিয়ে দিবেন।ঠিকাচ্ছে

ইশান হেসে দিলো

রিয়া গিয়ে মেঘ কে ডেকে নিয়ে আসলো।

রিয়াঃ চলুন দেখবেন স্যার এখন আপনার কি হাল করে।।আমার সাথে পাঙা নেয়ার ফল হাড়ে হাড়ে পাবেন।

ইশানের কেবিনে

রিয়াঃ মে আই কাম ইন স্যার

ইশানঃ কাম

ইশান মেঘকে দেখে হাসলো।

ইশানঃ ফাইনালি তুই আসলি

মেঘঃ ইয়েপ।।বাট তোমার পিএর মনে হচ্ছে আমাকে নিয়ে প্রবলেম হচ্ছে

রিয়াঃ স্যার এই লোকটা যাস্ট জঘন্য একটা মানুষ।।একটু আগে নাহ ইচ্ছে করে আমার গায়ের উপর পড়ে গেছিলো

ইশান চোখ বড় বড় করে রিয়ার দিকে তাকালো।। কারন মেঘ যে এটা করতে পারে নাহ তা নিয়ে ইশান ডেম সিউর।

রিয়াঃ ট্রাস্ট মি আমি সত্যি বলছি

মেঘঃ ডেড আমার কাজ আছে আমি কি যাবো নাকি এই ফালতু মেয়ের কথা শুনবো এখন

রিয়াঃ আপনি স্যার কে ডেড বলছেন কেন(কনফিউজড হয়ে)

মেঘঃ বিকজ হি ইজ মাই ফাদার।আপনি হয়তো আমার পুরো নাম জানেন নাহ।।আমার নাম মেঘ চৌধুরী।। আই থিংক নাও ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড

রিয়া শক হয়ে মেঘের দিকে তাকালো।তারপর ইশানের দিকে

রিয়াঃ আই এএম সসরি স্যার।আমি ববুঝতে নাহ পেরে…..

মেঘঃ ইউ মে গো নাও

রিয়াঃ স্যার আমি

মেঘঃ লিভ

রিয়া ভয় পেয়ে চুপচাপ বেরিয়ে গেল।

মেঘঃ এমন টাইপের মানুষ রাখো কেন ডেড।।এরা কাজ থেকে বেশি আরো কাজে ডিস্টার্ব করবে

ইশানঃ মেঘ এমনটা নয়..আর ও খুব মেধাবী, Fordham University থেকে গ্রেজুয়েট হয়ে এসেছে।।আর নিজের কাজগুলো ও খুব মন দিয়ে করে।।বাট আজ হঠাৎ..

মেঘঃ Fordham University?? এটা তো নিউইয়র্ক তাই নাহ

ইশানঃ হ্যা বাট কেন

মেঘঃ নাহ কিছু নাহ।।আচ্ছা আমি আসছি এখন।

ইশানের কেবিন থেকে বেরিয়ে।

মেঘঃ মমে মনে- রিয়া নিউইয়র্ক এ থেকেছে।।ওকে একবার আদ্রর কথা জিজ্ঞাসা করে দেখব!বাট ও কি চিনবে।।একবার জিজ্ঞাসা করেই দেখি।

রিয়ার সামনে যেতেই রিয়া আবার মেঘকে সরি বললো।

মেঘঃ আচ্ছা হয়েছে।।এখন এইসব বাদ দিন।।আপনি তো নিউইয়র্ক এ থেকেছেন অনেক দিন তাই নাহ?

রিয়াঃ জি স্যার বাট কেন

মেঘ নিজের মোবাইল থেকে আদ্রর ছবি বের করে রিয়াকে দেখালো।

মেঘঃ এই ছেলেটাকে কখনো নিউইয়র্ক এ দেখেছেন কিনা একটু মনে করার চেষ্টা করুন।

রিয়া ভালো করে দেখে মাথা না নারলো।।যার মানে সে দেখেনি।।

মেঘ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চলে যেতে নিলো

রিয়াঃ উনি কি নিউইয়র্ক এ থাকে?

মেঘঃ হুম

রিয়াঃ তাহলে আমি আমার হাজবেন্ডকে জিজ্ঞাসা করছি।।ও নিউইয়র্ক অনেকদিন থেকেছে।

মেঘ যেন আবার আশার আলো খুঁজে পেল।

মেঘঃ প্লিজ একটু জেনে আমাকে জানান।

রিয়া তার হাজবেন্ডকে ফোন করে ছবিটা দেখতে বললো।।তার হাজবেন্ড জানালো সে আদ্রকে দেখেছে।

শুনেই মেঘের মনটা আনন্দে ভরে গেল।।অবশেষে এই আদ্রকে পেল সে।।এখন শুধু তার মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষা।

(আপনারা সত্যিই আজব মানুষ তো😒।।বললাম নায়ক নায়িকা পাল্টাবো নাহ তাও ভুলভাল ভেবে বসে আছেন।।আমি কি একবার ও বলছিলাম রিয়া নায়িকা হবে।সবাই নিজের মতো ভেবে হুমকি ও দেয়া শুরু করে দিছে।আমি আগেই বলেছি আমার গল্প আপনাদের বুঝার বাইরে🙄।করতে যাই একটা বুঝে আরেকটা🙁)

সবার থেকে বিদায় নিয়ে পরেরদিনই নিউইয়র্ক এর ফ্লাইট উঠলো।যদি ও সবার হাজারো প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে।।বাট মেঘ তো মেঘই।। কারো কথার জবাব নাহ দিয়ে বেরয়ে গেছে।

পরেরদিন গিয়ে নিউইয়র্ক পৌছালো।। রিয়ার হাজবেন্ডের কথা মতো আদ্রর বাড়িতে গিয়ে পৌছাল সোজা।।কিন্তু লুকিয়ে।।বাড়ির চারপাশে খুঁজে দেখলো ভালো করে।

মেঘঃ আজব।।আদ্র কোন সিকিউরিটির ব্যাবস্থা করেনি বাড়িতে। বাট কেন।।আমার ধারণা যদি ভুল নাহ হয় তাহলে আদ্র জেনে গেছে যে রিদ মিসিং।।আর তাকে যে আমিই কিছু করেছি তা আদ্র অবশ্যই বুঝতে পেরেছে।।সে ভালো করেই জানে তাকে ধরতে ও আমি আসবো।।তবুও কোন সিকিউরিটির ব্যাবস্থা করলো নাহ।।যাই হোক বাড়িতে ঢুকে দেখি।

মেঘ পিছনের দরজা দিয়ে আস্তে আস্তে বাড়িতে ঢুকলো।।মেঘ বাড়িতে ঢুকতেই পুরো বাড়িতে লাইট জ্বলে গেল।

সাথে আদ্রর গলার আওয়াজ ও পেল।

আদ্রঃ ওয়েলকাম মাই ডিয়ার মেঘ বাবু।।অবশেষে আমাকে খুঁজেই ফেললি।।বাট কি করার দোস্ত।। পেয়েও পেলি নাহ।।তোর জন্যই এই প্লেন টা ছিলো।।আবার আমাকে খোঁজা শুরু করে দে।
বলেই সাউন্ডটা অফ হয়ে গেল।

মেঘ ভালো করে দেখলো ভয়েসটা একটা সাউন্ড বক্স থেকে আসছে।।মেঘ বুঝতে পারলো এটা আদ্রর চাল ছিলো।।আদ্র জানতো মেঘ আসবে।মেঘ বাড়ির চারদিকে ভালো করে খেয়াল করে দেখলো অনেক গুলো ক্যামেরা লাগানো।

মেঘ ধীরে ধীরে সাউন্ড বক্সের তার টাকে ফলো করতে লাগলো।।ফলো করতে করতে একটা রুমে পৌছাল যেখান থেকে আদ্রর ভয়েস টা এসেছে।।সেই রুমের পাশেই একটা দরজা বাইরে যাওয়ার জন্য।।মেঘ দরজা দিয়ে বাইরে যেতেই কাউকে দেখতে পেল।।

তার পিছনে দৌড়াতে লাগলো।।লোকটিও দৌড়াচ্ছে আর মেঘ ও।। একটা সময় মেঘ লোকটাকে ধরে ফেল।।বাট দুর থেকে কেউ লোকটার মাথা বরাবর শুট করে পালিয়ে যায়।।মেঘ দুরে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পেল নাহ।।এই দিকে মেঘের সামনে যে লোকটা ছিলো সেও মারা গেছে।

মেঘ জোরে মাটিতে লাথি মারলো রাগে।।

তারপর রনকে ফোন দিলো।

মেঘঃ আমি একটা নাম্বার দিচ্ছি তোমাকে সেই নাম্বার টা কোথায় কোথায় আর কাকে ফোন করেছে সব কিছু ডিটেইলস আমাকে দাও।আর খুব তাড়াতাড়ি

রনঃ ওকে স্যার

মেঘ লোকটার পকেট থেকে মোবাইল নয়ে সেই নাম্বার টা রনকে মেসেজ করে পাঠালো।

মেঘঃ তোকে তো আমি খুঁজে ছাড়বোই আদ্র যেভাবেই হোক।

অবশেষে আদ্রর আসল ঠিকানা পাওয়া গেল।।মেঘ একজন ড্রাগ ডিলার সেজে আদ্রর বাড়িতে ঢুকলো।।কারন তার আসল বাড়িতে অনেক বেশি সিকিউরিটি রেখেছে আদ্র।

এইদিকে মেঘও প্লেন করেই ঢুকেছে।।আদ্র জানে যে মেঘ আবার বাংলাদেশ চলে গেছে।।বাট এটা যে তাকে বোকা বানানোর প্লেন ছিলো তা আদ্র জানতো নাহ।

রুমে ডুকেই আদ্র মেঘের দিকে তাকালো।।বাট তাকে চিনতে পারেনি।।কারন মেঘ ছদ্মবেশ এ এসেছে।

আদ্র তার সাথে ইংরেজি তে কথা বললো।

আদ্রঃ আপনার কি পরিমাণ লাগবে

মেঘঃ আমার কোন ড্রাগ নাহ তোর লাইফ চাই

আদ্র চোখ বড় বড় তাকালো।।মেঘ তার নকল মুখোশ খুলে পকেটে হাত দিয়ে সোজা দাড়িয়ে আদ্রর দিকে তাকালো

মেঘঃ কেমন আছিয়া আদ্র😎

আদ্রঃ ততততুই ককিভাবে😨

মেঘঃ কয়দিন আর পালিয়ে বাঁচবি আদ্র

আদ্র তার লোকদের ইশারা করলো।।বাট আমাদের নায়ক সবাইকে মেরে ধুল জমিয়ে দিলো💪💪

মেঘ যেই নাহ আদ্রর দিকে এগোতে যাবে আদ্র চেচিয়ে উঠলো

আদ্রঃ আর আগাস নাহ মেঘ।।আমার কিছু করতে পারবি নাহ তুই(ভয় পেয়ে)।।

মেঘঃ বাহ এই ভয়টাই তো দেখতে চেয়েছিলাম তোর চোখে।।বাট কি করার বল যেই কাজ করেছিস তার পর আর ক্ষমা করার প্রশ্নই উঠে নাহ।।(বলেই আদ্রকে একটা ঘুষি মারলো।।আদ্র ও মারলো)

দুইজনের মারামারিতে একটা সময় আদ্র পিছিয়ে গেল।।মেঘ যেই নাহ আরেকটা ঘুষি দিতে যাবে আদ্র চেচিয়ে উঠলো আবার

আদ্রঃ তুই যদি আমার কিছু করিস তাহলে ও বাঁচবে নাহ মেঘ(চেচিয়ে)

মেঘ হাত নামিয়ে ভ্রু কুচকে আদ্রর দিকে তাকালো

মেঘঃ কে!!!!!

আদ্রঃ তততরী।তততরী।।যদি তুই আমাকে মেরে ফেলিস ওইদিকে তরী ও মারা যাবে

চলবে