ভালোবাসা এমনও হয়

ভালোবাসা এমনও হয় Season 2 !! Part- 16

মেঘের মনে পড়তে লাগলো চার বছর আগের পুরোনো সৃতি গুলো।।যেদিন তরী মেঘকে ভালোবাসি বলেছিলো তারপর তো সবই পাল্টে গেছিলো তাদের মাঝে।

৪ বছর আগে
এনগেজমেন্ট এর দিন

তরীলে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।।মেঘের কথা অনুযায়ী তরী এই বিয়েতে রাজি তো হয়ে গেছে বাট কেন যেন খুব ভয় লাগছে তরীর।।পার্লারের মহিলারা তাকে সাজিয়ে চলে গেল।তরী চুপচাপ বসে আছে।।দরজা খোলার শব্দ পেয়ে তরী সেদিকে তাকায়।সামনে মেঘ দাড়িয়ে আছে।।মেঘকে দেখে তরী হা হয়ে গেল।। হোয়াইট শার্ট সাথে এশ কালারের কোর্ট আর ব্লাক ডেমিন পেন্ট।।বলতে গেলে ফরমাল লুক।বাট এই লুকে তরী প্রথম মেঘকে দেখলো তাই তার চোখে মেঘকে সুন্দরই লাগছে।।
এইদিকে মেঘও হা করে তরীর দিকে তাকিয়ে আছে।।ডার্ক ব্লু কালারের লেহেঙ্গা পড়েছে তরী।চুল গুলো সামনে দিয়ে কার্ল করা।।গলায় চিকন সাদা পাথরের নেকলেস ।। যা লাইটের আলোতে চিক চিক করছে।।তরীর মুখও চিক চিক করছে।।হয়তো বা মেকআপ এর ফলে।।বাট আপাদত এইসব নিয়ে মেঘের ভাবার সময় নেই। হাটু গেড়ে তরীর সামনে বসলো।

তরী অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে মেঘের দিকে।।কি করতে চাইছে মেঘ।

মেঘ পকেট থেকে একটা বক্স বের করলো।।তারপ বক্স থেকে একটা রিং বের করে তরীর সামনে ধরলো।

মেঘঃ উইল ইউ মেরি মি তরী(মুচকি হেসে)

তরী গাল ফুলিয়ে তাকিয়ে রইলো

মেঘঃ কি হলো জবাব দিবা নাহ😁

তরী টুগুর টুগুর চোখে তাকিয়ে আছে এখনো। মেঘ বুঝতে পেরে হেসে দিলো।

মেঘঃ তো তরী বলে ডাকায় কি আমার জান টা রাগ করেছে

তরীঃ হুহ

মেঘ হেসে তরীর বাম হাত টেনে রিং ফিঙ্গারে আংটি টা পড়িয়ে দিলো।।

মেঘঃরেগে থাকুক তাতে কি।। সব রাগ ভেনিস করে দিবো রাতে।

বলেই মেঘ চলে গেল

মেঘের সব কাজকর্ম তরীর মাথার উপর দিয়ে গেল।।হুট করে এসে আংটি পড়িয়ে আবার ধুপ করে চলে গেল।।তরী তার হাতে মেঘের পরানো আংটিটার দিকে তাকালো।

ব্লাক ডায়মন্ড আর হোয়াইট ডায়মন্ড এর কম্বিনেশন করে বানানো আংটিটা।।

তরীঃ মনে মনে- বাহ পছন্দ আছে বলতে হবে(বলেই আংটিটায় একটা কিস করলো)

সন্ধ্যায় সব মেহমানরা উপস্থিত হলো।।আদ্র আর তরীকে স্টেজে আনা হলো আংটি পড়ানোর জন্য।।হিয়া তরীর হাত আদ্রর দিকে এগিয়ে দিলো।।।
আদ্র খেয়াল করলো তরীর আঙুলে অলরেডি একটা আংটি আছে।

আদ্রঃ এটা??

তরীঃ এটা আমার আংটি😑

আদ্রঃ বাট এটা নাহ খুললে আমি পড়াবো কিভাবে

মেঘঃ বাট এই আংটি তো খুলা যাবে নাহ আদ্র(কথাটা বলেই স্টেজে উঠে গেল)

সবাই তাদের দিকে ঢেবঢেব করে তাকিয়ে আছে।

আদ্রঃ মানে?তাহলে আমি আংটি পড়াবো কোথায়

ঈশাঃ তরী তুই আপাদত তোর আংটি টা খুলে রাখ।।পড়ে পরে নিস

মেঘঃ নো মম তরী এই আংটি ও খুলবে নাহ।

ঈশাঃ তাহলে কীভাবে আংটি পড়াবে আদ্র।।আচ্ছা ঠিকাছে তো অন্য আঙুলে পড়িয়ে দেও আদ্র।

মেঘঃ নো মম আদ্র বৃষ্টি কে আংটি পড়াবে নাহ।

নেশাঃ কি বলছিস এইসব মেঘ।।আদ্র আংটি কেন পড়াবে নাহ

মেঘঃ কারন এই বিয়েটা হচ্ছে নাহ

নীড়ঃ বাট কেন??আর কি বলছো মেঘ

মেঘঃ সব বলবো মামা।।ওয়েট করো।।(আদ্রর দিকে তাকিয়ে) তা আদ্র তুই কি তোর আসল পরিচয় দিবি নাকি আমি দেব

আদ্রঃ কককিসের আসসল পরিচচয়

মেঘঃ এই যে তোর মায়ের নাম নিহা আর বাবার নাম আবির(বাঁকা হেসে)

আদ্রঃ তততো কককি হহয়েছে

ইশানঃ হোয়াট তুমি নিহার ছেলে😕???

আদ্রঃ হ্যাঁ আঙ্কেল বাট এতে কি প্রবলেম।।আব্বু আর আম্মু দুইজনই খুব ছোট কালে মারা যায়।।তার পরই তো আমি ফুপির কাছে বড় হই।

নীড়ঃ আই থিংক ইশান আদ্র ওইসব জানে নাহ।

ইশানঃ আই অলসো থিংক সো

মেঘঃ বাট বোথ অফ ইউ আর রং।।আদ্র সবই জানে।।আর ও সেইসবের প্রতিশোধ নেয়ার জন্যই বৃষ্টি কে বিয়ে করতে চাইছে।

এই কথা শুনে সবার মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো

আদ্রঃ কককি সব বলছিস তুই মেঘ।

মেঘঃ তোর খেলা শেষ আদ্র।।আজ আর তোর কোন চালেই কাজ হবে নাহ।

আদ্রঃ এইসব মিথ্যা (নীড়ের দিকে তাকিয়ে) ট্রাস্ট মি আঙ্কেল আপনারা কিসের প্রতিশোধের কথা বলছেন আমি কিছু জানি নাহ

মেঘঃ ওকে তো তুই নিজের মুখে স্বীকার করবি নাহ তাই তো।।ওকে তাহলে মেনে নিলাম তুই প্রতিশোধ নেয়ার জন্য এইসব করিস নি।।তাহলে আমাকে বল তুই আমার গাড়িতে বোম কেন ফিট করালি সেইদিন বৃষ্টি কে মারার জন্য

আদ্রঃ হোয়াট কি বলছিস।।আমি কোন বোম ফিট করিনি ট্রাস্ট মি

মেঘঃ তো এই ভিডিও তে তো দেখা যাচ্ছে যে তুই আমার গাড়িতে বোম লাগাচ্ছিস(বলেই মোবাইল এ একটা ভিডিও অন করলো যাতে দেখা যাচ্ছে আদ্র মেঘের গাড়িতে বোম লাগাচ্ছে)

মেঘঃ তুই হয়তো জানতি নাহ আমাদের বাড়ির বাইরে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে।।যখন ঘটনা গুলো ঘটলো তার পরই আমি বাড়িতে এসে চেক করি আর ভিডিও গুলোও পেয়ে যাই।।তো বল তুই যদি প্রতিশোধ নাহ নিতে চাস তাহলে গাড়িতে বোম লাগালি কেন

নীড়ঃ কিহহ আদ্র আমার প্রিন্সেস কে খুন করার জন্য গাড়িতে বোম লাগিয়েছে।।একে তো আমি…..

মেঘঃ (নীড়কে থামিয়ে) ওয়েট মামা আগে সব কিছু ক্লিয়ার করতে দাও তারপর না হয় শাস্তি দিবে।

মেঘঃ তোর তো তরীর বয়সের একটা বোন ও আছে তাই নাহ। আর তার নাম বর্ষা।।কি ভুল বললাম

আদ্রঃ 😲

মেঘঃ বাট তা কেন আমাদের থেকে লুকালি।কি ভেবেছিস আমি কিছু জানতে পারবো নাহ

আদ্রঃ 😤

মেঘঃ তো আদ্র বল কেন এইসব করলি

আদ্রঃ 😤😒

মেঘঃ ওকে তো আরো প্রমাণ লাগবে তাই তো।সেইদিন বৃষ্টি কে কিডনাপ ও তুই তোর লোকদের দিয়ে করিয়েছিলি।।আর তারা পুলিশের লাছে সব স্বীকার করে দিয়েছে যে এইসবের পিছিনে তুই ছিলি।।তো এখন তুই কি বলবি

আদ্রঃ 😒

মেঘঃ তো যদি প্রতিশোধের জন্য এইসব নাহ করিস তাহলে কেন করেছিস এইসব বল(আদ্রর কলার ধরে)কি হলো বল

আদ্র ঝাড়ি দিয়ে মেঘের হাত ছুটিয়ে নিলো।।

আদ্রঃ হ্যা আমিই করেছি সব আর সব প্রতিশোধ নেয়ার জন্যই করেছি

সবাইঃ😱😱😱

আদ্রঃ আর আমি যা করেছি বেশ করেছি

মেঘঃ বাট কেন করলি এইসব।।কি শত্রুতা তোর বৃষ্টির সাথে?

আদ্রঃ বৃষ্টির সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই।।শত্রুতা তো হলো ইশান চৌধুরী আর নীড় আহমেদ আর নেশা খানের সাথে।।এরা ৩ জন আমার জীবন টাকে শেষ করে দিয়েছে।।আমার বাবা মাকে আমার থেকে কেরে নিয়েছে।এদের কারনেই

নেশাঃ বাট যা হয়েছে তাতে আমাদের কি দোষ।।নিহা যা করেছে তার শাস্তি তো ওকেই পেতে হবে

আদ্রঃ হ্যা আমি মানছি আম্মুর দোষ ছিলো।।আর আপনারা তো তাকে তার শাস্তি দিয়েছেন।।তাহলে আমার বাবা কে কেন এইসব জানানোর দরকার ছিলো।।এইসব আব্বু কে জানালে তাদের সংসারে কতোটা সমস্যা হতে পারে তা কি আপনারা ভেবে দেখেছিলেন।।এইসব কথা নিয়ে আব্বু আম্মুর মধ্যে প্রায়ই খুব অশান্তি হতো।।আর শেষ পর্যন্ত তারা আলাদা হয়ে যায়।।আব্বু আমাদের নিয়ে ইন্ডিয়া চলে যায় আম্মুকে রেখে।।তারপর শুনি আম্মুকে নাকি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।তবুও আব্বুকে নিয়ে হেপি থাকার চেষ্টা করি ছিলাম।।বাট সেখানেও চলে আসলো এই নীড় আহমেদ আর নেশা খান।।এদের কারনে মানুষ আব্বুর সাথে ডিল করা ছেড়ে এদের সাথে যুক্ত হয়ে যায়।।কারন খান ইন্ডাস্ট্রির খুব নাম ছিলো।।তাই আব্বুর ব্যাবসার দিন দিন খারাপ দিকে যেতে থাকে।।তার উপর আমাদের দুইজনের টেক কেয়ার করা।।এতো টেনশন নিতে নাহ পেরে আব্বু হার্ট এটাক করে মারা যায়।।আর আমি আর আমার বোন একেবারে এতিম হয়ে যাই।।তখন আমার ফুপি আমাকে আর বর্ষাকে নিয়ে আসে বাংলাদেশে।আবিরা ফুপি আব্বুর বোন।।সেইদিন থেকেই আমার লক্ষ্য ছিলো এই তিনজনকে আমি ধ্বংস করে দিবো।।আচ্ছা আপনারাই বলুন এতে আমার কি দোষ ছিলো।। আমার বোনের কি দোষ কি ছিলো।।আপনাদের এইসবের কারনে আমরা দুইজন কেন এতিম হলাম।।আম্মু কে তো পাইনি আর আপনাদের কারনে আমার আব্বুকে হারাতে হয়।।পরিবার ছাড়া বড় হওয়াটা যে কতোটা কষ্টের ছিলো তা হয়তো আপনাদের পক্ষে বুঝা পসিবল নাহ।।কারন আপনারা তো শুধু আপনাদের স্বার্থটাই বুঝেন আর কারো টা নাহ।হ্যাঁ ফুপি আমাদের ভালোবাসা দিয়েছে ঠিকই বাট নিজের বাবা মাকে ও দরকার ছিলো আমাদের।।আর আমরা তাদের হারিয়েছি একমাত্র আপনাদের কারনে।।যদি আপনারা আমার বাবাকে নাহ জানাতেন তাহলে তাদের মাঝে বিচ্ছেদ হতো নাহ।।সেটা বাদই দিলাম।।যদি নীড় আহমেদ খান আর নেশা খান ইন্ডিয়া তে না যেত তাহলে আমার আব্বুও মারা যেত নাহ।।তাহলে আমার এই প্রতিশোধ নেয়ার ইচ্ছাটা কি খুব বেশি ভুল হয়ে যাবে।।আজ যদি মেঘ এই কাজটা নাহ করতো তাহলে সব কিছু ঠিক চলতো।।তরীর বিয়েটা ও আমার সাথে হয়ে যেত।।আর তরীকে কষ্ট দিলেই নীড় আহমেদ খান আর নেশা খান অর্ধেক মরে যেত।।কারন তরী যে ওদের প্রান ভোমরা।। আর সাথে মেঘের ও আর তরী আর মেঘকে আলাদা করতে পারলে এই দুই পরিবার এমনিতেই ধ্বংস হয়ে যেত।

মেঘঃ দুই পরিবার ধ্বংস করবি সেটা তো পরের কথা তরীকে আমার থেকে আলাদা করবি এটা কিভাবে ভাবলি।।আগেই বলেছিলাম এইসব স্বপ্নে ও ভাবিস নাহ।। আর শোন আরেকটা কথা।।তোর সাথে যা হয়েছে তা শুধু মাত্র ভাগ্যের পরিহাস।।এখানে কারোই হাত ছিলো নাহ।।কেউই ইচ্ছে করে কিছু করেনি এখানে।

আদ্র মুখ ভেঙালো।

মেঘঃ আশা করি তুই শুদরে যাবি।।নিজের ভুল বুঝতে পারবি।।আপাদত তোকে এইবারের মতো ছেড়ে দিলাম।।বাট নেক্সট এইরকম কাজ আর করলে আমি কি করবো তা আমি জানি নাহ

আদ্র কিছু নাহ বলে বেরিয়ে গেল।

আবিরা এসে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে চলে গেল।।কারন সে এইসবের কিছুই জানতো নাহ।

নেশাঃ বাট মেঘ তুই এতো কিছু জানলি কিভাবে?

মেঘঃ কিছুটা মম এর মুখে শুনা আর কিছুটা বর্ষার মুখে।।

তরীঃ বর্ষা!!!

মেঘঃ জি বর্ষা।।যাকে আপনি আমার গার্লফ্রেন্ড ভেবেছিলেন😒

তরী মুখ ভেঙালো।

নীড়ঃ মেঘ তোমাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো নাহ।।বাট আজ তুমি যা করলে তার জন্য সত্যি তোমার উপর আমি অনেক কৃতজ্ঞ।।

মেঘঃ মামা প্লিজ এইভাবে বলো নাহ।।আর ধন্যবাদ নাহ দিয়ে অন্যকিছু দিলে বেশি খুশি হতাম

নীড়ঃ সেটা কি???

মেঘ গিয়ে তরীর হাত ধরে টেনে নীড়ের সামনে দাড়ালো।

মেঘঃ আমি ওকে চাই মামা।।নিজের লাইফ পার্টনার হিসেবে।।আমি বৃষ্টি কে ভালোবাসি।।আর ও নিজেও।।তাই মামা প্লিজ বৃষ্টি কে আমার কাছে দিয়ে দাও

তরীঃ এমন ভাবে চাচ্ছো যেন কোন খেলনা চাচ্ছে।।একটু সুন্দর আর রোমান্টিক করে ও তো বলা যায়।।ঢেড়স একটা(ফিসফিস করে)

মেঘ পাশে দাড়ানো বলে তরীর কথাটা শুনতে পেল।।মুচকি হেসে

মেঘঃ মম, ডেড এন্ড ফুপি আর মামা আশা করি তোমাদের এতে কোন সমস্যা নেই।।আর সমস্যা থাকলেও কিছু করার নেই।।দরকার হলে একে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবো সো রাজি হয়ে যাও

ইশানঃ যেইভাবে হুমকি দিচ্ছে রাজি না হয়ে উপায় আছে নাকি😅😅😅

নীড়ঃ থাক ঠিক বলেছো ইশান

মেঘ তরীর দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দিলো।।যার মানে এই সবাই এই বিয়েতে রাজি আছে।

একমাস পর তাদের বিয়ে ঠিক করা হলো

বর্তমানে

সূর্যের আলো চোখে পড়ায় মেঘের ঘুম ভেঙে গেল। ঘুম ভেঙে নিজেকে নদীর পাড়েই পেল।

উঠে দাড়িয়ে রন নামের ছেলেকে ফোন দিলো।

মেঘঃ পেয়েছো তাকে

রনঃ নাহ স্যার পুরো নিউইয়র্ক সিটিতে খোঁজ নিয়েছি।।কেউ এই নামের কাউকে চিনে নাহ।

মেঘঃ ইডিয়েট।।এক্টা ড্রাগ ডিলার নিশ্চই নিজের নাম দিয়ে সেখানে থাকবে নাহ।।ওর ছবি দেখাও।।আর Bar এড়িয়ে গুলোতে বেশি খোঁজ।।দরকার হলে আরো লোক লাগাও।।যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব।

রন জি বলার আগেই মেঘ ফোন কেটে দিলো।মোবাইল টা পকেটে ঢুকিয়ে সিগারেট এর বক্স থেকে একটা সিগারেট নিয়ে জালিয়ে মুখে ঢুকিয়ে নিলো।।
কিছুক্ষণ নদীর ঢেউ এর দিকে তাকিয়ে গাড়ি নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে পরলো

চলবে🙃