My Mafia Boss- Season- 2 !! Part- 15
,,,,,,৷দিনটা বেশ ভালোই কেঁটে গেলো বাচ্চাদের সাথে।খাওয়াদাওয়া করিয়ে বাচ্চাদের অনাথআশ্রমে পাঠিয়ে দেয়া হলো।রুহী রুমে চলে এলো।শাড়ী পাল্টে একটা থ্রিপিস পরে নিলো।কলেজে রেজিষ্ট্রেশন এর ডেট শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু একটা টাকা ও হাতে নেই।কি করবো? কি হবে?ভাবতে থাকে রুহী।ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসে রুহী।রোয়েন দুহাত ভাজ করে মাথার নিচে দিয়ে শুয়ে আছে।রুহী পাশে গিয়ে শুয়ে পড়তেই বুকে টেনে নিলো রোয়েন।কি সমস্যা কি?রাগী গলায় প্রশ্ন করে উঠলো রোয়েন।না কোন সমস্যা নেই।আস্তে করে বলে উঠলো রুহী।রোয়েন রুহীকে শক্ত করে বুকে জড়িয়ে নিলো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,পরদিন সকাল নাস্তা সেরে রুহীকে নিয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো রোয়েন।রুহী গেটের সামনে আসতেই সবাই কেমন এক ঘৃনার চোখে ওকে দেখছে,কেউ কেউ আবার কানাঘুষা ও করছিলো।রুহী কলেজের ভিতর ঢুকে গেলো।ক্লাশে রুমু সহ আর ও বাকিরা বসে আছে।রুহী রুমুর পাশে এসে বসে পড়লো।রুমু টাকার কোন ব্যাবস্থা করতে পারলি?রুমুর দিকে তাকিয়ে অসহায় কন্ঠে বলল,,৷ ,,,৷,
রুহী।আসলে আম…………রুমুকে থামিয়ে দিলো নিশাত।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,কেন টাকার কি দরকার? তুমি এতো বড় মাফিয়া রোয়েন আহমেদের সাথে লিভ ইন টুগেদারে আছো সে তোমাকে পে করে না?মুখ ভেংচিয়ে বলে উঠলো নিশাত।আর সাথে সাথে পুরো ক্লাশে হাসির রোল পড়ে গেলো।কি বলছো এসব? আমি কেন ওনার সাথে লিভ ইন টুগেদারে থাকবো?চিৎকার করে উঠলো রুহী।
আরে চিৎকার করো কেন?সত্যি কথা সবারই গায়ে লাগে সেটা সবারই জানা।বলে উঠলো নিশাত।সাথে সাথে সবাই আবার হেসে উঠলো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রুহী দৌড়ে এসে নিশাতের গালে জোরে চড় বসিয়ে দিলো।এসব কিছুই আমি করছিনা ঠিক আছে?তোরা যেয়ে থাক লিভটুগেদারে।চিৎকার করে বলল রুহী।হাউ ডেয়ার ইউ।থাপড় মারার সাহস কি করে হলো তোর?রুহীর চুল টেনে ধরলো নিশাত।রুমু দ্রুত উঠে রুহীকে ছাড়ার চেষ্টা করতে লাগলো।নিশাত ছাড় রুহীকে।এমন করছিস কেন?পাগল হয়ে গেলি?নিশাত কে রুহী থেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বলল রুমু।
,,,,,,,,,,,,,,,,ছাড়বো কেন?সত্যি কথা বলাতে অসভ্য মেয়ে আমার গায়ে হাত তুলছে দেখিস না?কাল ওর ভাই নিজেই তো ওর পর্দা ফাঁস করে গেলো।একনাগাড়ে বলে দিলো নিশাত।রুহী এতক্ষন নিজেকে ছাড়ানোর জন্য ছটফট করছিলো।একথা শুনে আর নড়তে পারলোনা।চোখ জোড়া ভিজে এলো। ভাই কি করে পারলো ওর সাথে এমন করতে?রুমু জোর করে রুহীকে ছাড়িয়ে নিয়ে বেরিয়ে গেলো।রুহীর চুল ঠিক করতে করতে ক্যান্টিনে এসে বসলো রুমু। রুহী কিছু বলছেনা,ওর চোখ জোড়া কষ্টগুলো বলে দিচ্ছে।রুহীর কাঁধে হাত রাখলো রুমু।রুহী প্লিজ কাঁদিস না দোস্ত।আমি জানি তুই এমন না।আনাম ভাই ইচ্ছা করে এমন করছে?অভিমানী কন্ঠে বলতে শুরু করলো রুমু।রুহী মুখে হাত চেপে কাঁদছে।সত্যি রুমু এমন কিছু করছিনা আমি কাঁদতে কাঁদতে বলল রুহী।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,কিন্তু তুই বলেছিলি রোয়েন আহমেদ তোকে ভালোবাসে।তাহলে বিয়ে করছেনা কেন এখনো?বলে উঠলো রুমু।রুহী রুমুর দিকে তাকালো। আসলেই তো এখনো বিয়ে করছেনা কেন আমায়?ওনি যেভাবে কাছে টেনে নেন তারমানে ভালবাসেন আমায়।তাহলে বিয়ে কেন করছেন না?রুহী ভাবতে লাগলো।কি হলো রুহী কি ভাবছিস রুহীকে হালকা ঝাঁকিয়ে বলল রুমু।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,না কিছুনা আমি আসি তাহলে।পিছনে ফিরে যেতে যেতে বলল রুহী।আর তোর ফরম ফিল আপের কি করবি রুহী?চিৎকার করে বলল রুমু।পড়াশুনা ছেড়ে দিলাম পিছনে ফিরে কেঁদে কেঁদে বলল রুহী।তারপর সামনে ফিরে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো।ছন্নছাড়া অবস্থায় হাঁটতে হাঁটতে বাসায় ফিরে এলো এলো রুহী।রুমে এসে খাটের ওপর পড়ে মুখ চেপে কাঁদতে লাগলো রুহী।কলেজের সামনে গাড়ি থামালো রোয়েন।রুহীর বের হওয়ার নাম নেই।কি করছে মেয়েটা কলেজের ভিতরে।বেশ কিছুক্ষন রুহীকে পুরো কলেজে খুঁজে রোয়েন।রুহীকে না পেয়ে দারোয়ানের কাছে এগিয়ে আসে রোয়েন।এই যে শুনুন রুহীর ছবি দেখিয়ে বলল এই মেয়েটা কই?এই কলেজে পড়ে।দারোয়ানের দিকে ভ্রু কুঁচকে বলল রোয়েন।স্যার মাইয়াডা চইলা গেছে অনেক আগেই।দারোয়ান বলে উঠলো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,চলে গেছে? ভ্রু কুঁচকালো রোয়েন।দৌড়ে গাড়িতে এসে বসলো রোয়েন।বাসার দিকে রওনা হলো।বাসার সামনে এসে গাড়ি থামালো রোয়েন।গাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘরে ঢুকলো। কাজের লোকের দিকে এগিয়ে এলো রোয়েন।রুহী এসেছে?রাগী গলায় প্রশ্ন করলো রোয়েন।জি স্যার।কাজের লোকটা বলে উঠলো। রোয়েন সিড়ির দিকে পা বাড়ালো।রুহী কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে গেছে।রোয়েন রুমে এসে রুহীকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পেলো।রুহীর কাছে এগিয়ে এলো রোয়েন।চোখের পাপড়িতে পানির ফোটা জমে আছে।রোয়েন আঙ্গুল দিয়ে পানির ফোটাটাকে হাতে নিয়ে ভ্রু কুঁচকে আঙ্গুলের দিকে তারপর রুহীর দিকে তাকালো।রুহীকে সোজা করে ঠোঁটে ঠোঁট ছুইয়ে দিলো রোয়েন।রুহীর থেকে সরে এসে বালিশে শুইয়ে দিলো রোয়েন।বিকেলে শোয়া থেকে উঠে বসলো রুহী।সামনে রোয়েন ভ্রু কুঁচকে বসে আছে।রুহী উঠতেই রোয়েন এগিয়ে এসে জোরে চড় বসিয়ে দিলো রোয়েন।রুহী নিচে পড়ে গেলো।গালে হাত দিয়ে নিচে তাকিয়ে কাঁদছিলো রুহী।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,কই ছিলি?কতো খুঁজেছিলাম তোকে খবর আছে?না বলে চলে এলি কেন?কতোটা চিন্তা হচ্ছিলো।চিৎকার করে বলতে থাকলো রোয়েন।রুহী কিছুনা বলে বাথরুমে চলে যায়।
এভাবে বেশ কিছুদিন চলে গেলো।রুহী কিছুটা ভেঙ্গে পড়েছে।মনমরা হয়ে বসে থাকে কলেজে ও যেতোনা।রোয়েনের সাথে কথা ও বলতোনা।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,ঘরে ঢুকতেই রোয়েনের ফোন বেজে উঠলো।ফোন কানে দিয়ে সিড়ির দিকে পা বাঁড়ালো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,হ্যালো মিঃ রোয়েন আহমেদ বলছেন?অপর পাশ থেকে রুহীর প্রিন্সিপাল বলে উঠলো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,ইয়েস রোয়েন বলছি।কি হয়েছে?
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,স্যার রুহী কলেজে আসেনা। কাল ওর ফরম ফিল আপের লাস্ট ডেট।ও এখনো ফরম ফিল আপ করেনি।কথাটা শুনে রোয়েনের মেজাজ চরম পর্যায়ে চলে যায়। ওকে আমি দেখছি।রোয়েন বলে উঠে।ফোন কেঁটে রোয়েন রুমে চলে এলো।বাথরুমে পানির শব্দ হচ্ছে।বাথরুমে এর দিকে এগিয়ে যেতেই রুহীর ফোনে মেসেজের শব্দ শুনতে পেলো রোয়েন।ফোন অন করতেই ১০০+ মেসেজ আসতে লাগলো।
Hi beauty live together korba?
Royen tomake joto anondo dei taar beshi anondo ami dibo.
Royen tomake joto tk dei ami taar theke beshi pay korbo.Chole asho baby tomake ador dei.
,,,,,,,,,,,,,,,,,,এমনই অনেক বাজে মেসেজ আসতে থাকে।রোয়েন ফোনটা জোরে শক্ত করে চেপে ধরে।রুহী ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসতেই রুহীকে চেপে ধরলো রোয়েন।
কতো দিন এসব ঝামেলা চলছে? আগে বলোনি কেন?তোমার ফরম ফিল আপের ডেট ও শেষ হয়ে আসছে।কেন বলেনি আগে? চিৎকার করে বলতে লাগলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,রোয়েনকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় রুহী।কেন আপনাকে বলবো কে আপনি?আপনি আমাকে ভালোবাসেন?ভালবাসার কোন ইঙ্গিত দিয়েছেন আমাকে?ওরা বলতেছে আমরা লিভটুগেদারে আছি ঠিকই তো বলেছে ওরা।বিয়ে ছাড়া এক সাথে আছি,সেটা তো লিভ টুগেদারই হয় তাইনা?চিৎকার করে বলতে থাকে রুহী।চোখ জোড়া ভরে এসেছিলো রুহীর কথা গুলো বলার সময়।রোয়েন কে পাস করে বেরিয়ে যায় রুহী।রোয়েন হাত মুঠ করে রাগে ফুঁসতে থাকে।
পরদিন সকাল
রোয়েনের ফোন বেজে উঠে।আনিলা বেগমের নম্বর থেকে কল আসছে।রোয়েন কানে ফোন রাখে। হ্যালোমা বলুন।
বাবা আজ আজমল আর আনাম পুলিশ নিয়ে তোমার বাসায় আসবে।রুহীর সার্টিসার্টিফিকেট নিয়ে যেখানে রুহীর বয়স ১৬ থাকবে।তোমাকে যে সার্টিফিকেট গুলো দিয়েছিলাম সেগুলো রেডি করে রেখো।
জি।আর মা আপনি ও আসবেন।খুব শুভ একটা কাজ কমপ্লিট করতে হবে।বাঁকা হেসে বলল রোয়েন।
আচ্ছা ঠিক আছে বাবা।আসবো।আনিলা বেগম বলে উঠলেন।রোয়েন কান থেকে ফোন সরিয়ে নিলো।
চলবে