ভালোবাসার প্রতারণা

ভালোবাসার প্রতারণা ! সিজন 2 ! Part- 12

–আরিয়ান ! আরিয়ান ! কোথায় তুই বেরিয়ে আয়।

আরিয়ানের বাড়িতে ঢুকে প্রভাত চিৎকার করে আরিয়ানকে ডাকতে লাগলো। আরিয়ান তখন হসপিটালে ছিল কারো চিৎকার শুনে তারা সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেল। তারা নিচে এসে প্রভাতকে দেখে স্তব্ধ হয়ে গেল। ওর পা যে আর চলছেনা। প্রভাত ডেভিল স্মাইল দিয়ে তারার কাছে গেল।

–জান কি হলো আমাকে দেখে এমন অবাক হলে কেন?(মধুর কন্ঠে)

তারা কিছু বলছেনা ওর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। প্রভাত আবারো বলল

–আমাকে আশা করোনি ! কাকে আশা করেছিলে(শান্ত সুরে) কি হলো বল কাকে আশা করেছিস আরিয়ানকে তাই না!(রেগে চিৎকার করে)

তারা এবার ফুফিয়ে কেঁদে উঠল। প্রভাত তারার গাল শক্ত করে চেপে ধরলো

–আজ তোর এমন হাল করবো তুই কল্পনাও করতে পারবিনা। তোর জন্য চৌধূরী পরিবারের যে অপমান হয়েছে তার জন্য তোকে কঠিন শাস্তি দিব। আর সেই শাস্তিটা হবো আমি। আমার থেকে পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছিস না! এবার 24 ঘন্টা তোকে আমার সাথে থাকতে হবে।

–পারবোনা আমি।

–পারতে তো হবেই।

প্রভাত এক প্রকার টেনে হিঁচড়ে তারাকে নিয়ে গাড়িতে বসালো।তারা অনেক রিকোয়েস্ট করলো কিন্তু প্রভাত শুনলোনা। বাড়িতে এসে তারাকে নিয়ে উপড়ে চলে গেল। আকাশ তার বাবা মা সবাই তো অবাক। তারা কোথা থেকে আসলো পেল কোথায় ওকে! প্রভাতের রাগ আর তারাকে এভাবে টেনে নিয়ে যাওয়া দেখে সবাই ভয় পেয়ে গেল। কিন্তু কিছু বলার মতো সাহস ওদের কারোরই নেই। তাই চুপ করে যে যার রুমে চলে গেল বাকিটা পরে দেখা যাবে।

প্রভাত তারাকে রুমে এনে বিছানায় ছুড়ে মারলো দরজা লক করে তারার দিকে এগিয়ে গেল। আমার ছোঁয়া সবচেয়ে বেশি কষ্ট লাগে তোমার আজ তাই হবে। তারার গায়ের শাড়ি টেনে খুলে ফেলল

আরিয়ান বাড়িতে এসে তারাকে খুঁজতে লাগলো। কোথাও পাচ্ছেনা ওর মনে অজানা এক ভয় কাজ করছে। তারা কোনো বিপদে পড়লো না তো! তারা কি তাহলে এখান থেকে চলে গেল? কোথায় যেতে পারে!

আরিয়ান প্রভাতের সামনে বসে আছে। দুজনেই একটা খোলা মাঠে বসে একজন আরেকজনের দিকে ঘৃণা ভরা দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে। কিছুক্ষণ স্তব্ধ থেকে প্রভাত বলল

–কেন করলি এমনটা ?

—আমি কিছুই করিনি যা করার তুই করেছিস।

—আমার স্ত্রীকে নিজের ঘরে রেখে তাকে নিজের স্ত্রী বলেছিস। আমার থেকে দূরে রেখেছিস তুই জানিস তারা আমার বিয়ে করা বউ। তারপরেও কেন !

–ও এই বিয়ে মানেনা। তোকে ও চায় না ভালোবাসেনা। আমি কি করে তোর হাতে ওকে তুলে দেই?

–তুই তুলে দেওয়ার কে?

–আমি তারাকে ভালোবাসি।

কথাটা বলার সাথে সাথে আরিয়ানকে জোরে একটা ঘুসি দিল প্রভাত। আরিয়ানও উঠে প্রভাতকে দিল এভাবে ধুজনের মধ্যে মারামারি লেগে গেল আকাশ কিছু গার্ডস নিয়ে দৌড়ে এসে দুজনকে আলাদা করে দিল।

—ভাই প্লিজ শান্ত হও। এভাবে মারামারি চরছো কেন ? তোমরা একে অপরকে মারছো আই কান্ট ভিলিব ইট!

—ওর মতো ধোকাবাজ প্রতারক আমার বন্ধু হতেই পারেনা। ওকে তো আমি ছাড়বোনা।

—কি করবি তুই ? জোর করে একটা মেয়েকে বিয়ে করতে তোর লজ্জা লাগেনা!

—তুই আকে শিখাবি আমাকে!

—প্রভাত!

প্রভাত তার বাবার ডাকে হাত নামিয়ে নেয় আরিয়ানের থেকে সরে যায়। আরিয়ান কিছুই বলেনা প্রঢাতকে চোখ রাঙিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।

—এই অসময়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসব পাগলামি করছো তুমি! আমি আর আকাশ যদি আজ তোমাকে বের হওয়ার সময় না দেখতাম তাহলে হয়তো আজ এখানে খুন খারাবি হয়ে যেত। আমার মান সম্মানে আরো বেশি আঘাত আসুক তুণি কি সেটাই চাও!

—সরি ড্যাড।

—এখন সোজা বাড়িতে যাবে। আকাশ তুমি প্রভাতের সাথে এসো।

—ইয়েস ড্যাড।

বাড়ি ফিরে প্রভাত কোনো কথা না বলে নিজের রুমে চলে যায়। তারাকে আশে পাশে কোথাও না দেখে বারান্দায় যায় গিয়ে দেখে একটা সবুজ রঙের সিল্কের শাড়ি সাথে ভেজা খোলা চুলে তারাকে অপ্সরা লাগছে। একটু একটু করে এগোতে লাগে তারার দিকে। তারা অনুভব করছে কেউ তার ঘাড়ে মুখ ডুবালো ব্যক্তিটি কে তা তারা জানে তাই কিছু বলল না নিরবে চোখের জল ফেলে।

–আমার উপর রাগ অভিমান করে লাভ নেই। তোমার স্বামী হয় আমি অধিকার আছে আমার তোমাকে স্পর্শ করার। আর তুমি যা করেছো তার জন্য এই শাস্তিটাই প্রাপ্য। কিভাবে পারলে নিজের বাবার সম্মানকে ধুলোয় মিশিয়ে এভাবে পালাতে! আমার কথা তো না ভাবলে নিজের বাবা ভায়ের কথা মনে রাখা দরকার ছিল। তবে তোমার শাস্তি এখানেই শেষ হয় নি আরো শাস্তি দেব তোমায়।

চলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *