3. রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প গুলোঃবস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ০১ থেকে ২৭&শেষ

নিলান্তিকা
যাহ! আজও ঘুম থেকে উঠতে দেরি করে
ফেললাম।
আবার দেরি হয়ে যাবে অফিসে যেতে।
আবারো অই রাক্ষস টা বকাবকি করবে।
বাবা! বাবা!
তোমাকে বলেছিলাম না ডাক দিতে?
দিলে না কেন।( কথা গুলা চিতকার করে
বলছিল { তারা})

বাবা- কয়শ বার ডেকেছি জানিস?
মরার মত ঘুমালে কি ডাক শুনা যায়?

তারা – গেলাম আমি।
আজ আর নাস্তা করার টাইম নাই।

বাবা- টিফিন বক্সে করে নিয়ে যা।

তারা- আমি বাচ্চা না বাবা।
বায়।

।(তারার সম্পকে বলি- একে বারে বদের
হাড্ডি। শয়তানি বুদ্ধি ভড়া মাথায় ।
পড়ালেখায় যেমন ভাল কাজে তেমন
ফাকিবাজ।৩ মাসের ১দিন ও বাদ যায়নি বকা
খাওয়ার।দেখতে খুব মিস্টি।চুল গুলা কমড়ের
নিচ পর্যন্ত।বাকি আস্তে আস্তে জানানা
যাবে )

বাসে-
আজ ও সিট পেলাম না।
(এই শহরে কি মানুষ এর অভাব আছে?
যেখানেই যাই সেখানেই মানুষ।
চারিদিক এ মানুষ খালি কিলবিল কিলবিল
করছে।)

ওই ছেলে ধাক্কা মারো কেন?
থাপ্রায় দাত ফেলে দিব।
।সঠিক সময় বিয়ে হলে আমার তোমার বয়সি
বাচ্চা থাকত। বুঝলা।হুদাই ঝারলাম।সকালের
রাগ এর উপর।

অজানা- দেখেন আপু আমার দোষ নাই অই
পিছনের ছেলেটা আমাকে ধাক্কা দিচ্ছে
তাই আপনার উপর যেয়ে পড়ছি।
আপনি শুধু শুধু কথা শুনাচ্ছেন।

তারা- হইছে হইছে বুঝলাম।
( এমনি বাসা থেকে লেট।
আবার বাস পেতে লেট।
আবার জ্যাম তো আছে ই।
৩০মিনিট এর রাস্তা ২ঘন্টা লাগে।

অরে ১১ টা বেজে গেছে।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে বল ছিলাম ।
অফিসে ঢুকতেইই খেলাম ধাক্কা।
ওই মিয়া চোখ কই থাকে।
বাসায় রেখে আসছ নাকি? ??

মেঘ – তারাহ! ( চিতকার করে)

তারা- ইয়ে মানে ইয়ে im im im im so so so.
.
মেঘ – কি im im so so করছ।

তারা- im sorry sir.( কাদো কাদো কন্ঠে)

মেঘ -নিজে ফোনে চোখ দিয়ে অন্যের দোষ
দেখো

now follow me.
.
tara- yes sir.
তারা দোয়া দুরুদ সব মনে কর। আল্লাহ ছাড়া
কেউ তোরে আজ বাচাতে পারবেনা।

(megher সম্পকে জানা যাক।হিরো কিন্তু সেই
level er handsome + angry young man.Londonএ
higher degree পরতে গিয়েছিল
।চুল গুলা ছোট আর খাড়া খাড়া।এক কানে
ছোট কাল টপ পড়া!অফিসের সব মেয়ের
ক্রাশ।শুধু তারা ছাড়া।সেটা ককেন সেটা
মনে হয় সবাই বুঝেছে)

কাহিনী তে আসি-

স্যারের রুমে –
মেঘ – এই অফিসের সব চেয়ে লেজি, অপদার্থ
হচ্ছে তুমি।
তুমি যদি আমার স্যারের মেয়ে না হতে
তোমাকে এইখানে জব দেওয়া তো দুরের
কথা অন্য অফিসেও দিতে মানা করতাম।
nonsense.

তারা- দেখুন আপনি আমার বাবাকে দেখে
জব দেন নি।
আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে তাই
দিয়েছেন।

মেঘ – তাই নাকি?
আজ পর্যন্ত কোন কাজ টা ঠিক মত করেছ
তুমি?
সেটা ছাড়ো আজ পর্যন্ত
সঠিক সময়ে অফিসে এসেছ??

তারা- ( ইচ্ছামত ঘুম কে বকা ঝকা করতে
লাগ্লাম।
সাথে বাবাকেও)

মানে স্যার রাস্তা তে যে জ্যাম…

মেঘ – থাক প্রতিদিন ১কথা শুনতে ভাল
লাগেনা।
অন্য সবাইও আসে তোমার মত বাহানা
দেখায়না।

তারা – im sorry sir. আর হবেনা।

মেঘ – আবার সেই এক কথা ।তোমার বাবাকে
আমি খুব শ্রদ্ধা করি।
তাই তোমাকে tolerate করছি।
যাও(ধমক দিয়ে)

তারা- ঠাডা পরুক তোর উপর।গোসল করতে
গেলে পানি শেষ হয়েযাক।হুহ

হিয়া- কিরে বকা খাওয়া শেষ?প্রতিদিন
লেট হয় কি করে বলতো।

তারা- তুই জানিস না রাতে একটা মুভি না
দেখলে আমার ঘুম আসেনা।
তাই তো লেট হয়ে যায়।
কাল কে Harry potter last part টা শেষ করলাম।
কি যে সুন্দর একটা মুভি।
লেখিকা তো এটা লিখেই বড় লোক হয়ে
গেল।

হিয়া – থাক আর শুনতে হবেনা আমার।
অনেক কাজ আছে।
তোর মত তো বসে থাকলে হবেনা আমার।

তারা- কি বললি তুই।

হিয়া – ভুল কি বললাম।

তারা- হুহ।
desk এ যেয়ে বসলাম

মেঘ – হিয়া এটা তারাকে দিয়ে আসো।
আর বলবে কাল কের মধ্যে যেন এটা কম্পলিট
করে রাখে।
এটা খুব ইম্পরট্যান্ট একটা ফাইল।
কাল কে আমাদের যে ডিল টা হবে সেটার।
যাও।

হিয়া – স্যার তারা কি পারবে।
?
আপনি তো অকে চিনেন।

মেঘ – অকে অর রেস্পন্সেবিলিটি বুঝে নিতে
হবে ।
অকে তো কাজের জন্য ই রাখা হয়েছে।
কাজ তো অকে করতেই হবে।
যাও।
দিয়ে আসো।

হিয়া – জি।

তারা নে ধর।

তারা – কি এটা?

হিয়া – স্যার দিল এটা কম্পলিট করে রাখবি।
কাল কের ডিল এর ফাইল।

তারা – অকে ম্যাম।
হেহেহে।

কাজ করছিলাম
মেঘ – দেখলাম মনোযোগ দিয়ে কাজ করছে।

আমি যে কলেজে পরেছিলাম সেখানে
আমার সবচেয়ে প্রিয় স্যার ছিল রফিক স্যার।
তারা উনার মেয়ে।
তারা আমার অনেক ছোট।
মাত্র পড়ালেখা শেষ করেছে।
স্যার এর অনুরোধে ঈ তারাকে চাকরি
দিয়েছি।
এমন না যে অ পড়ালেখা পারেনা
অ অনেক ভাল ছাত্রী ছিল।
কিন্ত একটু বেখেয়ালি মেয়ে।
মাঝে মাঝে অনেক খামখেয়ালি করে।
আসলে অর মা ছোট বেলায় মারা যায়।
তাই স্যার অনেক আদর দিয়ে মানুষ করেছে।

হিয়া – স্যার!

স্যার!

মেঘ – কি! কি হয়েছে।

হিয়া – স্যার r&s company থেকে ফোন
করেছিল।
উনারা কাল কে ১০ টার সময় ই আসবে।
আপনার কি মনে হয় তারা কাজ টা করতে
পারবে।

মেঘ – তারাকে জানায় দেও।

হিয়া – হুম।
তারা! কাল কে কিন্তু তুই যে করেই হোক ৯
টায় ফাইল নিয়ে এইখানে থাকবি।

তারা – অকে অকে থাকব।

হিয়া – আমি তোকে ৭ টায় ফোন দিয়ে
জাগাবো।

তারা – অকে ম্যাম।
হেহেহে।
হিয়া – ম্যাম ম্যাম করিস কেন।
উফফ।

তারা – হিয়া চল।

হিয়া – হুম।
বাসে –
হিয়া – তারা কাল কে কিন্তু অনেক বড় ডিল
সময় মত আসিস।
আজ মুভি না দেখলে কিছু হবেনা।মরবিনা তুই

তারা – আচ্ছা আমার মনে আছে।

রাতে – আরে ১ টা বেজে গেছে।
যাক ফাইল টা কম্পলিট তো হল।

বাবা – কিরে শুনলাম কাল কে মিটিং ঘুমা
তাড়াতাড়ি।

তারা – ঘুমাচ্ছি বাবা।

সকালে হিয়ার কলে ঘুম ভাংল।
তারা – আমি উঠেছি হিয়া তুই ফোন রাখ।

আরেক্টু শুই মাত্র ৭ টা বাজে।

ঘুম ভাংল বাবার ডাকে আরে ৯ টা।
তাড়াতাড়ি
ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
বাবা নাস্তা করার টাইম নেই গেলাম।

বাবা – প্রতিটা দিন এক কাহিনী। ।

তারা – ১০ টার দিকে অফিসে আসলাম।

হিয়া – কিরে কি বলেছিলাম তোকে?

তারা – সরি সরি।

হিয়া – ফাইল দে উনারা বসে আছে ৫ মিনিট
পর মিটিং শুরু হবে।

তারা – দিচ্ছি ব্যাগ এ আছে।
ব্যাগ খুলে চোখ কপালে উঠল।

হিয়া – দে জলদি।

তারা – হিয়া মানে ফাইল্টা।

মেঘ – don’t tell me তুমি ফাইল আনো নি।

তারা – স্যার ফাইল্টা আমি ব্যাগের কাছেই
রেখেছিলাম ভরতে মনে নেই।
( মাথা নিচু করে)

হিয়া – মানে কি?

মেঘ – damn.
.
তারা – স্যার আমি এখনি এনে দিচ্ছি।
বলেই দৌড় দিলাম।

সাড়ে ১১ টার সময় অফিসে ফাইল নিয়ে
পৌঁছালাম।

স্যারের কেবিন এ ঢুকলাম।
হিয়া আমাকে দেখে বেরিয়ে গেল।

স্যার ফাইল টা।

মেঘ – ফাইল! ফাইল এনেছ? ?
এখন ফাইল দিয়ে কি করবো।
?
।টেবিল এর সাথে আটকে ধরলাম।
আসলে তোমাকে দায়িত্ব দেওয়াই ঠিক
হয়নি।
আমি ভেবেছিলাম তুমি এতো টাও
irresponsible না।
আমার ঈ ভুল ছিল।

তারা – sir im really sorry.
sir আসলে আমি।

মেঘ – হাত ধরে তারাকে নিজের সাথে
জরিয়ে
ধরলাম তোমার সরিতে কি আমার ডিল টা
ফেরত আসবে ( চিতকার করে)

u irresponsible girl.
তারা – ভয়ে কেপে উঠলাম।
চোখের কোন দিয়ে পানি বেয়ে পড়ছিল।

মেঘ – just get lost.
i don’t wanna see ur face again.
u r fired.
just go ( চিতকার করে)

তারা – চোখ মুছতে মুছতে দৌড় দিয়ে হিয়ার
কাছে গেলাম।
জরিয়ে ধরলাম হিয়াকে।
হিয়া আমি বুঝতে পারিনি আমার ১ টা ভুলে
এত লোছ হয়ে যাবে।
আমি আমি আসলেই এটা চাই নি।

হিয়া – শান্ত হো।
প্লিজ।

তারা – সব ঠিক করতে হবে।
সব।
হিয়া চল আমার সাথে।
চল।
হিয়া- আরে কই।
আরে আরে।
আস্তে আস্তে।

মেঘ – damn it.
এই মেয়েটার জন্য …..
উফফ অ যদি স্যারের মেয়ে না হত তাহলে
আজ অকে……
damn.
.
ফোন আসল-

হ্যালো!

রাফি সাহেব-mr. মেঘ আমরা আপনার সাথে
ডিল টা করতে রাজি আছি।
কাল কে যদি একবার আপনি আমাদের
অফিসে আসেন।

megh – sure! sure! i will come.
bye.

এই টা আবার কি করে হল।
যাক যাই হয়েছে ভালই হয়েছে।
আল্লাহ তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।

চলবে
.বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *