বস বয়ফ্রেন্ড Season 2

বস বয়ফ্রেন্ড Season 2 ! পর্ব- ২৫&শেষ

অই দেখ রোদ অ যায়নি।
বাইরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।
ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নে।

তারা – ভাল লাগছেনা।

হিয়া – তারা তুই তোর জিদ এর জন্য ২ টা
জিবন নস্ট করছিস তোর আর স্যারের।
তুই সেই ভুল টা কিরছিস যেটা উনি করেছিল।
একটু ভেবে দেখ তারা।
তুই জানিস তুই তাকে ছাড়া ভাল থাকবিনা।
তারা তুই তাকে আরেক বার চান্স দে।
সব রাগ ঝেড়ে ফেল।
ভালবাসাকে জায়গা দে মনে রাগ কে না।
আমি যাচ্ছি তুই ভাব।
কিছু লাগলে ফোন দিস।
অই রোদ চল।

রোদ – গেলাম।
কিছু হলে ফোন দিস।
হিয়ার কথা গুলা ভেবে দেখ।

তারা – আসলেইতো।
আমি কেন আমার জিদ কে priority দিচ্ছি।
আমি কেন তার মত ভুল করছি।আমাকে মাফ
চাইতে হবে তার কাছে।
রেডি হয়ে অফিস গেলাম।
হিয়া – কিরে তুই অফিসে?

তারা – স্যার কই?

হিয়া – আসেনি।
সন্ধায় –

তারা – কিরে উনি তো আজ এলেন না।

রোদ – Bangladesh ফেরত গেল নাতো।

হিয়া – আরে দুর চুপ কর।

তারা – বাসায় তালা দেওয়া।
বাসায় অ নেই।
রাতে ঘুম হলনা
সকাল-
তারা – কি ব্যপার রাতে আসেন নি?

অফিসে –

তারা – অফিসে যেয়ে দেখি উনি নেই।
অনেক ক্ষন পর আসলেন।
আমাকে একবার দেখলেন অ না।
কয়েক বার কিরহা বলার ট্রাই করিলাম
কিন্তু উনি আমাকে ignore করছেন।
রুমে গেলাম ফাইল দেওয়ার বাহানায় তাও
আমার দিকে তাকাল না পর্যন্ত।
কি করা যায়??
কিছু ত একটা করতে হবে।
নাহলে তাকে আমি হারিয়ে ফেলব।

সন্ধায় –
মেঘ – বাসায় আসলাম।
উফফ ভাল লাগছেনা কিছুনা।
ঘুমিয়ে পরি।
নিজের রুমে গেলাম
একি ঘর এমন সাজানো কেন মোম, ফুল দিয়ে।
কে করল এটা?

পিছন থেকে মনে হল কে যেন জরিয়ে ধরল।

: i love you.
i love you.
i love you so much megh.
.
মেঘ – ( তারা! অবাক হলাম কারন এই ১ম অ
আমাকে নাম ধরে ডাকল তার উপর I love you!
যেটা এতদিন ধরে শুনতে চাচ্ছিলাম।)

তারা এখন আর কিছু হবেনা।
তুমি ফিরে যাও।

তারা ; আমি ফিরে যেতে আসিনি।
আপনার কাছে একেবারের জন্য ধরা দিতে
এসেছি।

আমাকে ক্ষমা করে দিন।

মেঘ – এতদিন আমি ক্ষমা চেয়েছি দিয়েছ? ?
উল্টা। যাক আর কিছু শুনতে চাচ্ছিনা।

তারা – আমি কান ধরছি প্লিজ।
মাফ করে দিন।

মেঘ –
রুম থেকে বের হয়ে গেলাম সোফায় এসে
বসলাম।

তারা – উফফ কি রাগ রে বাবা।
পাশে যেয়ে বসলাম।
ঘাড়ে মাথা রাখলাম।
আমি সরি বলছিতো।
শুনন না।
আপনি আর রাগ হয়ে থাকবেন না।
।কানে ধর লাম
মেঘ – উঠে দাড়ালাম তুমি চলে যাও আমি ……

তারা – উঠে দাড়িয়ে আদর করা শুরু করলাম।
আর তার কথা বন্ধ হয়ে গেল।

মেঘ – অনেক ক্ষন ধরে তারা আদর করে
যাচ্ছে নিজেকে আর control করতে পারলাম
না।
তারাকে জরিয়ে ধরলাম।

তারা – I love you soo much.
.
megh – love you too.
love you too.
.
তারা – একটু উচু হয়ে তার গালে চুমু দিলাম।

মেঘ – এইখানে দিলে হবে?

তারা – তাহলে চোখ বন্ধ করেন।

মেঘ – তুমি এবার আমাকে তুমি করে বলা শুরু
করো।

তারা – হুম।
তাহলে তুমি চোখ বন্ধ করো।

মেঘ – চোখ বন্ধ করলাম.

।তারা – নাকেরর উপর একটা কামোড় লাগায়
দিলাম।

মেঘ – তবে রে তারা দাড়াও দাড়াও বলছি।

তারা – হেহেহে।

মেঘ – পাইছি এখন কই যাবা।

তারা – এই এই ছাড় ভাল হবেনা কিন্তু।

মেঘ – আচ্ছা যাও লাগবেনা।

তারা – রাগ করে আবার। উফফ।

কলার ধরে উচু হয়ে চোখ বন্ধ করে
চুমু দিয়ে বসলাম।

মেঘ – চুমু দিতে দিতেই তারাকে কোলে তুলে
নিয়ে রুমে গেলাম।
দরজা বন্ধ।
( বাকিটা ইতিহাস । সবাই জানে। তাই বলার
দরকার নাই) ।

সকালে –

মেঘ – ঘুমন্ত
তারাকে দেখছি ।
কি অপুর্ব।
অরে তারা জাগছে মনে হচ্ছে।
।ঘুমের ভান করে শুয়ে থাকলাম।

তারা – ভাল হইছে ও এখনো উঠেনি।
আমি ভাগি।

তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে অফিসে চলে আসলাম।
মেঘ – ঘুমের ভান করে শুয়ে থাকতে থাকতে
কখন ঘুমিয়ে গেছিলাম জানিনা।
উঠে দেখি ১১ টা বাজে।
তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে উপর এ গেলাম

অমা তারা চলে গেছে আগেই।
আমি বেরিয়ে পড়লাম।

হিয়া – কিরে তোকে এত খুশি খুশি লাগছে
কেন?
কিছু হইছে।

তারা – না তো কিছুই হয়নি।

হিয়া – তারা তুই কি আমাকে বোকা ভাবিস?
আমি জানি কিছু তো হইছে।

রোদ – পিছন থেকে হিয়ার মাথায় দিলাম
বাড়ি।

হিয়া – কিরে তুই বারি মারলি কেন?

রোদ – মন চাইছে তাই।

হিয়া – ১ টা শয়তান পোলা।

রোদ – হ তাই ই।

তা তোরা কি নিয়ে কথা বলছিলি?

হিয়া – তোর জানতে হবেনা।
চুপ থাক।

মেঘ – অফিসে এসে দেখলাম তারা হিয়ার
সাথে কথা বলছে।
আমি কেবিন এর সামনে দাড়িয়ে- দাড়িয়ে-
দেখছি।

staff – sir why r u standing here.
.
মেঘ – oh no reason.(মাথা চুলকাতে চুলকাতে)
u can go.
দেখলাম তারা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
ইশারা দিয়ে বললাম রুমে আসতে।
রুমে গেলাম।
কিরে কখন আসতে বলেছি এখনও খবর নাই।
উফফ ফোন দিচ্ছি তাও দেখে না নাকি? ?

হিয়া – নে ধর স্যার কে ফাইল টা দিয়ে আয়।

তারা – তুই যা।

হিয়া – যা না প্লিজ।

তারা – বললাম না তুই যা।
হিয়া – ( মনে হয় অইদিনের জন্য যেতে চাচ্ছে
না)
আচ্ছা আমি যাচ্ছি।

মেঘ – ফোন কই রাখছেরে?
মেজাজ খারাপ হয় না এখন?
মেসেজ দেই।
।’অইফোন ধর না কেন ‘
তারা – ‘ অফিসে আছি জানোনা? ‘
মেঘ –
‘ অই তোমাকে না কখন আসতে বলছি কই তুমি ‘
তারা -‘ না আমি আসবনা ‘

মেঘ – প্লিজ জান তোমাকে দেখতে ইচ্ছে
করছে ‘

হিয়া – স্যার আসব।

মেঘ – হুম কি কাজ হিয়া?

হিয়া – স্যার ফাইল টা দেখুন।

মেঘ – রেখে যাও।

হিয়া – জি।

তারা – ‘ বাইরে এসে দেখে যাও’

মেঘ – ‘এটা কিন্তু ঠিক না সোনা’
তারা – ‘ আমি গেলেই দুস্টুমি করবে তুমি আমি
জানি।


মেঘ – ‘ করবনা সত্যি।’

তারা -‘ ঠিক তো’

মেঘ -‘ হুম ‘
হিয়া – কি ব্যপার অইখানে দেখলাম স্যার
ফোন টিপছে এইখানে তারা ‘
দুর আমি কি ভাবছি এরা ঝগড়া ছাড়া আর
কিছু পারে নাকি।
।হিয়া – কই যাইস?
তারা – স্যারের কেবিন এ।

হিয়া – আমি যেতে বললাম গেলিনা এখন কি
কাজ।?

তারা – দরকার আছে।

হিয়া ( ইমু কে জানাতে হচ্ছে ব্যপারটা world
war 3 na hoye zay.)
.
তারা – কিরে আমাকে আসতে বলে ও কই।

মেঘ – পিছন থেকে জরিয়ে ধরে বলিলাম
এইখানে

তারা – তুমি কিন্তু বলেছিলে দুস্টুমি
করবেনা।

মেঘ – আর তুমি মেনে নিলে??
হেহেহে।

তারা – তুমি কি ভুলে যাচ্ছ অফিসে আছি
আমরা।
কেউ দেখে ফেললে।

মেঘ – কে আসবে আমার পারমিশন হাড়া
এইখানে।

তারা – উফফ ছাড়তো।

মেঘ – ছাড়ার জন্য কি আসতে বললাম।

তারা – ভাল হবেনা কিন্তু।
আরে আরে আবার কোলে নিচ্ছ কেন।

মেঘ – তুমি না অনেক কথা বল।
চুপ করে থাকো।
তারাকে টেবিল এর উপর বসালাম।
আমি চেয়ারে বসে তারার কোলে মাথা
রাখলাম।
i love u tara.
আমি এইদিন টার জন্য কত অপেক্ষা করেছি
জানো।

তারা – লাভ ইউ টু।

মেঘ – তাহলে এভাবে কস্ট দিচ্ছিলে কেন?

তারা – আর ১ বছর তুমি কি করেছ?

মেঘ – হেহেহে।

তারা – হাসছ কেন।

মেঘ – এমনি।

তারা – আচ্ছা অনেক হয়েছে সোরো আমি
যাই।

মেঘ – এত সহজ নাকি যাওয়া আগে ট্যাক্স
দেও।

তারা – আবার শুরু করে দিলা।
না দিবনা সরো।

মেঘ – জান ১ টা অন্তত ১ টা দেও।
নাহলে কাজ করতে পারবনা।

তারা – না দিবনা।
সরো তুমি।

মেঘ – আমি কিন্ত জোড় করে নিব।
।তুমি একটুও romantic না
ইমু – বাহ বাহ এইখানে এইসব হচ্ছে।

২জনেই তাকালাম।
মেঘ – তারাকে নিচে নামালাম টেবিল
থেকে।

তারা – না মানে তুমি যা ভাবছ।

মেঘ : সেটা না হেহেহে।

হিয়া – আমরা ভাবলাম world war 3 হচ্ছে
কিন্তু এখানে তো অন্য কিছুই চলছে।
ভুল সময় চলে আসলাম তাহলে।
চালিয়ে যা।

তারা – কুনই দিয়ে মেঘের পেটে দিলাম গুতা
‘ তোমার জন্য হল।
মানা করেছিলাম না ‘
বলে বেরিয়ে আসলাম।

মেঘ – ইমু তুই না সবসময় wrong time e entry নিস।

ইমু হিয়া হাসতে হাসতে চলে গেল।
অরা যখন জেনেই গেছে এখন অন্য একটা কাজ
করতে হবে।
কেবিন থেকে বের হলাম।
তারার কাছে গেলাম।
হাটু গেড়ে বসলাম।
সবাই তাকিয়ে আছে আমার দিকে
কি করছি ভাবছে।

তারা – অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।

মেঘ – tara i want 2 of us to be a family.
will u marry me? ??
.
আশে পাশের থেকে সবাই হইচই শুরু করে দিল
আর বলল tara say yes, say yes.

তারা – what took you so long. to ask me
yes yes.
i will i will.
.
সবাই হাত তালি দিল।
আনন্দে সবাই হইচই করতে লাগল।
তারার হাতে সেই রিং টা পরিয়ে দিলাম।

পরের দিন বিয়ে টা সেরে ফেললাম।
অফিসের সবাই সাক্ষি হিসেবে ছিল।

ছোট খাট একটা পার্টিতে দিলাম।
সবাই চলে যাওয়ার পর রুমে ঢুকলাম।
ভাবলাম বউ আমার ১ হাত ঘোমটা দিয়ে বসে
থাকবে আমি সেটা তুলব আদর করব।
কিন্তু একি বউ আমার
শার্ট
আর প্যান্ট পরে দারিয়ে আছে।
তারা! একি পরে আছ।
বলতে বলতে তারা আমাকে বিছানায় ফেলে
দিয়ে আমার উপর উঠল।
তারা – আমি নাকি রোমান্টিক না।
এখন দেখাচ্ছি রোমান্টিক কাকে বলে কত
প্রকার আর কি কি।
বলেই লাইট অফ ( বাকিটা যার যার মমত বুঝে
নেন। বলতে পারবনা)

# ৪_বছর_পর –

তারা – মেঘা! মেঘা! মামনি দাড়াও।
দারাও বলছি।

এই শুনছ! মেঘ! শুনতে পারছ?
তোমার মেয়েকে তুমি সামলাও আমি
পারবনা।

মেঘ – এই তো আমার সোনামণি।

মেঘা- pappa!
.
মেঘা – mamma কে জালাচ্ছ কেনো।

তারা – নেও অকে রেডি করে দেও।

মেঘ – মেঘা কে রেডি করে দিলাম।

দৌড় দিয়ে চলে গেল।

তারা দেখি মুখ ঘুরিয়ে দারিয়ে আছে।

কি হল সোনা। জরিয়ে ধরলাম।

তারা – ছাড় তো।
যেমন বাপ তেমন মেয়ে
২ টাই জালিয়ে খায়।এখন একটু অ ভালবাসে
না আমাকে।

মেঘ – কে বলেছে জান।
i love you a lot.
তারা – হুহ।
মেঘ – তারার কপালে চুমু দিয়ে জরিয়ে
ধরলাম।

তারা – হইছে আর আদর করতে হবেনা চল
দেরি হিয়ে যাচ্ছে।

মেঘ – আমার মামনিটা কই গেল।
মেঘা সোনা কই গেল।

মেঘা- pappa.
দৌড়ে এসে কোলে উঠল।

গাড়িতে –
মেঘ – মেঘা তুমি pappa ar mammar মধ্যে
কাকে বেশি ভালবাসো?

মেঘা- pappa! আমি পাপ্পাকে বড় হয়ে বিয়ে
করব।

তারা – এহ pappa শুধু আমার।
আমি কাউকে দিবনা।

মেঘা- আমাল ( আমার)

তারা – আমার আমার।

মেঘ – ২জনই আমার বুকে মাথা দিয়ে আমার
জন্য ঝগড়া করছে আর আমি হাসছি।

দোয়া করবেন এইভাবেই যেন সারা জিবন
কাটাতে পারি।

(শেষ)

সবাইকে ধন্যবাদ।

এত দিন এই গল্প আর আমার সাথে থাকার
জন্য। কেমন লাগল গল্পটা জানাবেন।
আপনারা যদি চান আরো গল্প লিখব।
আপনারা আরো গল্প চান নাকি সেটা জানাবেন।
আবার ও ধন্যবাদ।
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

One thought on “বস বয়ফ্রেন্ড Season 2 ! পর্ব- ২৫&শেষ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *