বস বয়ফ্রেন্ড Season-4 ! পর্ব-১৬
রোদেলা- আমি জানি তাইত আমি সব প্লান
করে রেখেছি।
তুমি শুধু I lv u টা বলে দিবা।
আদর- মাথা খারাপ নাকি।
।আমি পারব না।
।
রোদেলা- তুমি না বললে আমি ভাই কে
জানিয়ে দিব। তখন বুঝবে মজা।
।
আদর- কি মুশকিল।
।
রাদ- কিরে তুই আজ ও!?
।
রোদেলা- তাতে কি।
রাদ- এটা কাজের জায়গা।আড্ডার না।
।
রোদেলা- উফ এমন করিস কেন।
।রাদ- আচ্ছা আমি বাইরে যাচ্ছি।তুই থাক
।
রোদেলা- ওকে।
।
শুনো আদর কাল কে অফ ডে।
কাল কেই কাজ টা করতে হবে।
আমি সব তোমাকে ফোনে জানিয়ে দিব।
ভাইকেও জায়গা মত পাঠিয়ে দিব।
তারপর বাকি কাজ তোমার।
।
আদর- আমার ভয় লাগছে।
।
রোদেলা- এত ভয় পেলে হবেনা।
যা বলছি শুনো।
ওকে এখন যাই।
।
পরের দিন আদর সেজে গুজে জায়গা মত চলে
গেল।
।
রোদেলা- চল না ভাই।
সারাদিন শুধু কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকিস।
আমার সাথে আজ একটু ঘুরতে চল প্লিজ।
।
রাদ- আচ্ছা বাবা চল।
।
রোদেলা- রেডি হয়ে সন্ধ্যায় বেরিয়ে
পরলাম।
ভাই ত আর জানেনা ওর জন্য কি ওয়েট করছে।
জায়গা মত চলে এলাম।
ভাই তুই ভেতরে যা।
আমি আসছি।
।
রাদ- জলদি আসবি।
।
রোদেলা- ওকে।
আদর কে মেসেজ করে সব জানিয়ে দিয়েছি।
।
আদর- উফফ রোদেলা আমাকে কই ফাসায়
রেখে গেল।
হাত পা ভয়ে ঠান্ডা হয়ে আসছে।
চলে যাব! !?? আবার যদি রোদেলা রাগ হয়।
কিন্ত উনাকে এই কথা আমি কিভাবে বলি।
দুর এত চিন্তা করে আমার মাথা নস্ট হয়ে
যাবে।
।
।
রাদ- ভেতরে কিছুদুর যেতেই দেখি আদর
দাড়িয়ে কি যেন বিড় বিড় করছে।
।
আদর- ও মা স্যার এসে গেছে।
এখন কি করি।
কি করি।
।
রাদ- তুমি এখানে।
।
আদর- ইয়ে মানে রো…. রোদেলা আসতে
বলেছিল।
।
রাদ- ওহ।
।
আদর- তা ও কই? ? দেখছি না ত।
।
রাদ- আসবে এখনি।
বস।
আদর- আপনিও বসুন।
।
রাদ- দু জন বসে আছি কিন্তু কথা বলছিনা।
।
আদর- কি বলি এখন আমি।
।
এই দিকে রোদেলা বার বার মেসেজ দিচ্ছে
বলার জন্য।
।
রাদ- রোদেলা টা এখন ও আসছেনা কেন।
।
আদর- এসে যাবে স্যার
।
রোদেলা র মেসেজ- ” এবার না বললে কিন্তু
আমি এসে বলে দিব।”
আদর- sir
.
raad- hum!?
.
ador- sir i ….. i …….i……lo…….lo….love……
.বলে স্যার এর দিকে তাকালাম উনি ভ্রু
কুঁচকে আমার দিয়ে তাকিয়ে আছে।
I love this restaurant.
এইখানে খুব মজার খাবার পাওয়া যায়।
।
রাদ- খাওয়া ছাড়া আর কোনো কথা আছে।
।
আদর- স্যার আসলে আপনাকে আমি একটা
কথা বলতে চাচ্ছিলাম।
।আপনি কথাটা কিভাবে নিবেন জানিনা।
রাদ- এত ভুমিকা না করে বলে ফেল।
।
আদর- আমি জানি কথাটা আপনার বিশ্বাস
হবেনা।
না হয়ার ই কথা।
শুরুতে আমার ই মানতে কস্ট হচ্ছিল।
আপনার আর আমার ত ঝগড়া সেই অফিস এ
জয়েন করার আগে থেকে।
আপনি ও আমাকে সহ্য করতে পারতেন না আর
আমিও না।
কিন্তু আপনার সাথে কাজ করতে করতে আমি
বুঝেছি উপরে আপনি যতই শক্ত হোন না কেন।
ভেতরে ততই নরম।
আপনি আমার কত সাহায্য করেছেন।
আমার সাহায্য করেছেন বলে কথা গুলা
বলছিনা।
মানুষ এর মন ভাল না হলে মানুষ অন্যের
সাহায্য করে নাকি।
আমি জানিনা আমি আপনার মনের মত নাকি।
কিন্তু সত্যি বলছি আপনি আমার মনের অনেক
টা দখল করে নিয়েছেন।
আমি আপনাকে সত্যি খুব পছন্দ করি।
।
রাদ- ( টেবিল এ বারি মেরে উঠে দাড়ালাম)
কি বলছ আবল তাবল।
হ্যা!!??? তুমি কি ভুলে যাচ্ছ আমি তোমার
বস! !!??? তুই কই আর আমি কই।
।
আদর- (আমিও উঠে দাড়ালাম।)
……….স্যার আমার কথাটা……..
।
রাদ- তোমার সাহস ত কম না আমাকে এই কথা
বল।এত সাহস পাও কই।
এখনি যাও এইখান থেকে।
আর আসবেনা আমার সামনে।
যাও বলছি।তোমার মুখ দেখতে চাইনা আমি।
leave. i said leave.
।
আদর- ( আমি জানতাম উনি আমাকে পছন্দ
করেনা।
কিন্তু এইভাবে কথা শুনাবে ভাবিনি।)
আমি চলে আসলাম।
রোদেলা- আদর!!!! আদর!!!!
এটা কি হল ভাই।
।
রাদ- তুই জানিস ও কি করেছে
।
রোদেলা- হ্যা জানি।
কারন আমিই বলেছিলাম ওকে বলতে।
।
রাদ- মানে।
?
।
আদর- এত মানে বুঝার দরকার নেই।
তুই ওকে পছন্দ নাই করতে পারিস কিন্তু
এইভাবে কথা শুনানোর কোনো মানে নেই।
এইভাবে কেউ কাউকে কথা শুনায়।
আর কি বলছিলি কই তুই আর কই ও।
তা তুই কি চাদের দেশে থাকিস?
কি মনে করিস নিজেকে।
এইভাবে মেয়েটা কে কস্ট দিলি?
ও কি বলেছিল ওকে ভালোবাসতে।
ও শুধু ওর মনের কথাটা তোকে বলতে
চেয়েছে।
বাট সিরিয়াসলি তুই ভালবাসার ই যোগ্য না।
ছি তুই আমার ভাই! !????
।
রাদ- বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।
।
রোদেলা- আমি আদরকে খুঁজতে গেলাম।
পেলাম না।
চলে গেছে মেবি।
।
আদর- বাসায় এসে নিজেকে রুম বন্দি করে
ফেললাম।
সারারাত কেঁদেছি।
।
রাদ- হয়ত আদর কে বেশি বলে ফেলেছি।
কিন্তু আমি ত এক জনকেই ভালবেসেছি
তাকে না দেখেই।
তাই আমার মনে অন্যের জন্য জায়গা নেই।
তাই আদরকে অপমান করলাম।
যাতে ও আমাকে একেবারে ভুলে যায়।
ভালবাসা না পাওয়ার যন্ত্রনা অনেক।
।
দেখতে দেখতে ৩ মাস কেটে গেল।
ওইদিন এর পর আদর আর অফিসে যায় নি।
রাদ ও কখন ও খোজ করেনি।
।
কেয়া- কিরে তুই এইখানে আর আমি সারা
বাড়ি তোকে খুজে বেড়াচ্ছি।
।
আদর- তোকে বলেছিনা আমি এই সময় ছাদে
থাকি।
ছাদে খুজলেই ত পারিস।
কেয়া- আচ্ছা বাবা ভুল হইছে।
কি করছিস।
??
।
আদর- গান টা কম্পলিট করার চেস্টা করছি।
পরশুদিন এর প্রগ্রাম নিয়ে খুব টেনশন হচ্ছে।
।
কেয়া- শুধু তোর না।
আমাদের ও।
কি যে হয়।
।
রাদ- কিরে তুই কি বসে বসে সারাদিন টি.ভি
ই দেখবি।
আর কাজ নেই।
শশুড় বাড়ি যেয়েও কি এই করবি?
।
রোদেলা – সেটা নিয়ে তোকে ভাববতে
হবেনা।
।
রাদ- তা কে ভাববে
অংকুর? ??
।
রোদেলা- হ্যা।
ও ভাবলেই হবে।
।
রাদ- কি দেখছিস??? এই আজাইরা গান?
।
রোদেলা- আজাইরা গান কে বলল।
কত ভাল ভাল ব্যান্ড এসেছে।
কিছু নিউ ব্যান্ড ও আছে।
কি সুন্দর গান গুলা।
।
রাদ- দেখ দেখ তুই ই দেখ।
আমি উপরে গেলাম।
।
রোদেলা- যা।
।
রাদ- উপরে কাজ করছিলাম।
কিছু একটা শুনে আমি থমকে গেলাম।
দৌড়ে নিচে নামলাম
।সোজা টি.ভির সামনে।
।
রোদেলা- দেখ ভাই আদর গান গাইছে।
কত দিন পর ওকে দেখলাম।কত দিন পর ওর গান
শুনলাম।
।
রাদ- তুই ওর গান আগে শুনেছিস??
।
রোদেলা- হ্যা।কেন তুই কখন ও শুনিস নি?
।
রাদ- কোথায় শুনেছিস??
।
রোদেলা- তোর অফিসে।মনে আছে
তুই ওই দিন লাঞ্চ টাইম এ বাইরে গেলি।
ওইদিন আহিল এর জন্মদিন ছিল।
ওওদিন ও এই গান গেয়েছিল।
।
রাদ- ও কিভাবে এই গান “”???? তাহলে আমি
যাকে খুজছি ….. সেই মেয়ে আদর!!!?????
কিভাবে সম্ভব! “”??? কিভাবে??? ও আমার এত
কাছে ছিল আর আমি ওকে কই কই খুঁজেছি? ??
( আসলে আদর আর ওর দল কে একটা লাইভ
ইভেন্ট এ গান গাওয়া র জন্য ডাকা হয়েছিল।
সেখানে আর ও অন্যান্য অনেকেই তাদের
ব্যান্ড নিয়ে এসেছে।
এটা আদরের প্রথম লাইভ ইভেন্ট।এই ইভেন্ট টা
একটা অপেন ফিল্ড এ হচ্ছে।)
রাদ- আমাকে এখন ই যেতে হবে ওর কাছে।
বাইক নিয়ে বের হয়ে গেলাম।
।
রোদেলা- আমার ভাই এসব কি বলে গেল।
কিছুই ত বুঝলাম না।
যাক আমি গান দেখি।
।
রাদ- ২০মিনিট এর রাস্তা আমার কাছে ২০
বছরের রাস্তা মনে হচ্ছে এখন।
বাইক থেকে নেমেই স্টেজ এর কাছে গেলাম।
কিন্তু ততক্ষনে অন্য ব্যান্ড গান গাইছে।
আদর কে কোথাও পেলাম না।।
সারা ফিল্ড খুজে আমি শেষ।
তাও ওকে পেলাম না।
।
আমি দ্রুত ওকে ফোন দিলাম।
ফোন বন্ধ বলছে।
মেবি নাম্বার চেঞ্জ করেছে।
আমি বাইক নিয়ে ওর বাসায় গেলাম। বাসায়
তালা মারা।
বিকাল থেকে রাত হয়ে গেল ওর বাসার
সামনে।
ওরা আসেনি।
আমি বাসায় আসলাম।
।
রোদেলা- ভাই।
কি হল আদর এর সাথে দেখা হয়েছে???
ভাই! ভাই!
কি ব্যপার কিছু না বলে চলে গেল।
কিছুক্ষন পর উপর থেকে ভাংচুর এর শব্দ
পাওয়া গেল।
আমি ভাই এর রুম এ গেলাম।
একি কিরে রুমের কি অবস্থা করেছিস।
।
রাদ-“”””আদররররররররর”””””
।
রোদেলা- কিরে কি হয়েছে
।কি হয়েছে? ?? বল আমাকে।
।
রাদ- রোদেলা কে সব বললাম।
সেই সুর, সেই গান, আর সেই মেয়ের কথা যে
নাকি আদর।
।
রোদেলা- তার মানে আদরের জন্যই তুই
আদরকে ওইদিন অপমান করেছিস।
।
রাদ- হ্যা।
।
রোদেলা- আমি ফোন দিচ্ছি ওকে দাড়া।
।
রাদ- লাভ নেই।
ওর নাম্বার বন্ধ।
বাসায় ও কেউ নেই।
আমি ওইখান থেকেই এলাম।
।
রোদেলা- এখন!?
।
রাদ- আমি যখন চিনেছি ও ই ওই মেয়ে।
তখন আমি ওকে খুজে বের করব ই।
।
আদর-আমি রাস্তা দিয়ে হেটে হেটে
যাচ্ছিলাম।হঠাত করেই অনেক দিন পর বৃষ্টি
নামল।তাই বৃষ্টির মাঝেই হেটে হেটে
যাচ্ছি।
জানি ঠান্ডা লাগবে তাও যাচ্ছি।
খুব ভাল লাগছে।
।
হাটতে হাটতে হঠাত আমার দু পা থমকে গেল।
দুরে এক চেনা মুখ আমার দিকে তাকিয়ে
আছে।
যে মুখ ভেবে ভেবে আমি কত নির্ঘুম রাত
পার করেছে।
হঠাত এইভাবে তাকে এত দিন পর দেখতে
পাবো আমি সপ্নেও ভাবিনি।
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!