বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ২৬

তারা- হ্যা হ্যা সেলফি কুলিফি, মুলফি সব
তোল আমার কি।
বজ্জাত পোলা।
এই তোর ভালবাসা? ?

মেঘ – জানিতো হাজার টা গালাগাল করছে
মনে মনে ।

সবাই সবার মত ব্যস্ত।
হঠাত কে যেন চিতকার দিয়ে উঠল। দৌড়ে
গেলাম সবাই।
যেয়ে দেখি তারা পা ধরে বসে বসে
কাঁদছে।
কাছে যেয়ে দেখি পা অনেক কেটে গেছে।

মেঘ – কি হয়েছে তারা?? কিভাবে হল। ।
তারা – ধরবেন না আমাকে। যান তো। ।
মেঘ – চুপ মেয়ে ফাইযলামি করার সময় না
এখন।

সপ্ন – মেঘ ওকে ধরে তোলো।

মিনু – কিরে কিভাবে পরলি? ?

তারা- কেঁদেই যাচ্ছি।

মেঘ – তাড়াতাড়ি গাড়ি তে তুলে হাসপাতাল
এ নিয়ে গেলাম।

ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করে দিল ।
ডাক্তার- তেমন কিছু হয়নি। ড্রেসিং করে
দিছি।ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছি।
রাতের মধ্যে ব্যথা কমে যাবে। নো টেনশন।
ব্যথা হলে এই পেইনকিলার টা দিলেই হবে। ।
মেঘ – থ্যক্স doc.
doc- its my duty. take care.

সপ্ন- মেঘ তুমি যেয়ে তারাকে আনো। আমরা
গাড়ি তে আছি।

মেঘ – মুখ নিচু করে বসে আছো কেন। এইখানে
আসার পর থেকে এক টার পর একটা কান্ড
ঘটিয়েই যাচ্ছ।
ওরা ভাল বলে কিছু বলছেনা। কাল কে হলুদ
পরশু বিয়ে।
আর তুমি কি করছ? ?
বিয়ে বাড়ির মজাই নস্ট করে দিচ্ছ। তুমি কি
নিজের খেয়াল টাও রাখতে পারোনা।
।এত জেদ কেন তোমার হ্যা।

তারা………চুপ করে কেদেই যাচ্ছি। ।
মেঘ – চুপ একদম চুপ।
আবার কাদে চুপ করতে বললাম না। ।
হাত ধরে নামো।

কিহল কিছু বলছিতো

তারা- ধমক খেয়ে হাত ধরে নামলাম। আহহ!!
(ব্যথায়)

মেঘ – কি খুব ব্যথা? ??দাড়াও। কোলে তুলে
নিলাম।

তারা- আমি মাথা নিচু করেই রেখেছি। তার
চোখে তাকানোর মত সাহস আমার নেই। ।
বাসায়-
মিনু – প্লিজ কিছু খেয়ে নে প্লিজ। এই ওষুধ
ও খেতে হবে।
প্লিজ খা।
কাল তো তোকে সুস্থ থাকতে হবে। ।
মেঘ – কি হয়েছে মিনু? ?

মিনু – ভাইয়া দেখোনা ও খাচ্ছেনা। ।
মেঘ – দেও আমার কাছে।
তারা হা কর।

তারা- আমি খাব না।

মেঘ – আমি কিছু শুনতে চাচ্ছিনা। হা কর।

তারা- আমি খাব না বলছিতো ( চিতকার
দিয়ে)

মেঘ – ঠিক আছে খেতে হবেনা। মিনু চল।
ও আজ একা থাকবে।
ওর খেতে হবেনা।
ও এইভাবেই থাক।
আমাদের কাল কে অনেক কাজ আছে। ওর
জিদ দেখলে আমাদের হবেনা। চল। ওকে একা
থাকতে দেও।

তারা- ……………মন তো চাচ্ছে চিতকার
দিয়ে কাদি।

অনেক ক্ষন পর-

মিনু – তারা ঘুমিয়ে গেছিস?

তারা- না কেন।?

মিনু – তুই এমন কেন রে বল তো? ?? ভাইয়া
তোকে কত আদর করে খাওয়া তে চাইল…. ।
তারা- বাদ দে তো।

মিনু – এর জন্য শুধু মাত্র এর জন্য….. আচ্ছা তুই
কি বুঝিস না ও তোকে কত ভাল বাসে? ? ওই
দিন যে রাস্তা ভুলে গেছিলি ও যে বাসায়
কি টেনশন করছিল সেটা আমরা জানি।
আর তুই? ??
তোর জন্য না খেয়ে আছে।
শুধু তুই খাবিনা বলে।

তারা- ও খায়নি?

মিনু- না।

তারা- কই আছে? ?

মিনু – ছাদে।
।আরে আরে নামছিস কেন?
তারা- ব্যথা এখন কম।
সমস্যা নাই।

খাবার নিয়ে ছাদে গেলাম।
এই প্রথম তাকে দেখলাম সিগারেট খেতে। ।
মেঘ – কিছু বলবে? এই পা নিয়ে ছাদে এসেছ
কেন? ?

তারা- আপনি কি করে জানলেন আমি
এসেছি।

মেঘ – এত কথার উত্তর দিব না আমি
তোমাকে।

তারা- আপনি সিগারেট খান জানতাম নাতো।
মেঘ – সিগারেট ফেলে এত কথা জানতে
হবেনা।
কি জন্য আসছ।

তারা- আপনি নাকি ভাত খান নি? ।
মেঘ – তো?

তারা- নিন খাবার দিতে আসলাম। ।
মেঘ – দরকার নেই।
চলে যাও।

তারা- im sor…..
.
মেঘ – তোমার sorry শুনার মত টাইম নাই। বলে
নিচে চলে আসলাম।

তারা- এইভাবে আমাকে ভুল বুঝল উনি? ।কাল
কে আবার সরি বলব।
উনার রাগ ভাংতে হবে।
নাহলে আমি আমার মনের কথা কিভাবে বলব।

সকালে ——-
সবাই হলুদ বাটা নিয়ে ব্যস্ত। আমি উনাকে
খুঁজছি করছি। পায়ের ব্যথা এখন কম।
দেখলাম কাজে ব্যস্ত।
থাক সন্ধায় কথা বলা যাবে। দিন গড়িয়ে
সন্ধা হল।
সবাই রেডি হতে ব্যস্ত।

মিনু – নে টা ধর পড়ে নে।

তারা – এই শুন না ও কই রে? ?

মিনু – ও টা কে? ?

তারা- মে…..মে….

মিনু – ছাগলের মত কি মে মে করিস? ? মেঘ
রেডি হচ্ছে।

তারা – ও।

মিনু – তুই ও রেডি হয়ে নে।

তারা- আজকের লেহেংগা টার নিচের
পার্রট হলুন উপরের টা গোল্ডেন। ওড়না ও
গোল্ডেন।

পায়ের দিকে তাকিয়ে খেয়াল হল আরে এই
পায়েল টা এল কোথা থেকে। মিনু ক
জিজ্ঞাস করতে হবে। চুল ছাড়া রেখেছি
কারন ছাড়া চুল সে পছন্দ করে।
হাল্কা সাজ দিয়েছি।
চোখ টাতে শুধু গাঢ় করে কাজল দিয়েছি।
হাল্কা গোলাপি লিপ্সটিক। হাতে অনেক
গুলা হলুদ চুড়ি। আজ রিং টা বার বার দেখছি।
এটা সে এখনও নেয় নি।
তার মানে সে এখনও আমার।
তার উপর শুধু আমার অধিকার। আজ তাকে
মনের কথা বলব।

ছাদে গেলাম।
তারা- এই যে একটু শুনুন।

মেঘ -( পিছন ফিরে আমি তো আকাশ থেকে
পরলাম ওকে দেখে।
পরি আমার এত সুন্দর করে সেজেছে। নাহ
প্রশংসা করা যাবেনা)
বল।

তারা- আসলে বলতে চাচ্ছিলাম যে আমি….. ।
মেঘ – তুমি? ??

তারা- আমি আসলে ……
মেঘ – তুমি আসলে? ?

দিয়া- ভাইয়া গিটার রেডি আপনি কিন্তু গান
গাচ্ছেন।

মেঘ – হ্যা সেতো গাবই।
বাহ খুব সুন্দর লাগছেত তোমাকে।( তারাকে
রাগাতে)
তারা- ( আমাকে কি দেখেনি )

দিয়া- চলুন ভাইয়া স্টেজ এর দিকে
মেঘ- গান শুরু করলাম।
“”””
তুমি আমার ঘুম, তবু তোমায় নিয়ে স্বপ্ন
দেখিনা
তুমি আমার সুখ তবু তোমায় নিয়ে ঘর বাধিনা
তুমি আমার খোলা আকাশ, কখনো সুর্য
দেখিনা
তুমি আমার দিন থেকে রাত, আমি যে সময়
জানিনা .ও .ও .ও
আমি বৃষ্টি চায় অবিরত মেঘ ,তবু সমুদ্র চোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা তুমি
আমার খোলা আকাশ কখনো সুর্য দেখিনা
তুমি আমার দিন থেকে রাত আমি যে সময়
জানিনা .o.o.o
তুমি আমার ঘুম ……………………….. ভালবাসা
জলের মত .দুহাত যেন ভরেনা প্রিয় মুখ তারার
মত ,দুচোখে গোনা যায়না তুমি আমার খোলা
আকাশ কখনো সুর্য দেখিনা তুমি আমার দিন
থেকে রাত আমি যে সময় জানিনা .
তুমি আমার ঘুম, তবু তোমায় নিয়ে স্বপ্ন
দেখিনা
তুমি আমার সুখ তবু তোমায় নিয়ে ঘর বাধিনা
তুমি আমার খোলা আকাশ, কখনো সুর্য
দেখিনা
তুমি আমার দিন থেকে রাত, আমি যে সময়
জানিনা
“”””””
মেঘ – গান শেষ করে দিয়ার সাথে পরের
পারফোমেন্স এর লিস্ট চেক করছিলাম। ।
তারা- কি চেক করছ তোমরা দিয়া? ? দিয়া-
আপি এই লিস্ট টা…..

মেঘ – ওকে এইসব বলে কি লাভ।
ও কি কিছু করবে নাকি? ? না ও এইসব বুঝে।
খালি সমস্যা তৈরি করতে পারে।trouble
maker একটা।
এই এইখান থেকে যাও ত বলেই ওর দিকে
তাকালাম।
সাদা সাদা গাল ২ টা লাল হয়ে গেছে। চোখ
দিয়ে পানি ঝরছে।
আমিতো থ মেরে গেলাম।
বেশি বলে ফেললাম নাতো। তারা…… বলতেই
ও দোড় দিয়ে চলে গেল। ।
দিয়া- ভাইয়া বেশি হয়ে গেলনা? ।
মিনু – ভাইয়া বেশি বেশি হয়ে গেল। এতটাও
ঠিক হয়নি।

মেঘ – আমার ও তাই মনে হচ্ছে। তোমরা
থাকো আমি ওর কাছে যাই। বলে দোড়
দিলাম।

নিচে যেয়ে ওর রুনে যেয়ে দেখি রুনে চুড়ি
গুলা খুলে খুলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলেছে।
বাকি গুলাও খুলে খুলে ফেলছে। কাচের চুড়ি
ফেটে হাত কেয়েছে সেই দিকে খেয়াল
নেই।

মেঘ – তারা কি করছ দেখি দেখি। কাছে
যেতেই প্রচন্ড জোরে ধাক্কা দিল। ।
তারা- আসবেন না আমার কাছে। ধরবেন না
আমাকে।
এত কিসের চিন্তা হ্যা??
কি হই আমি? ? কে আমি? ??
এত নাটক ভাল লাগছেনা।

মেঘ – I’m sorry tara.আমি ওইভাবে আসলে ……

তারা- কলার ধরে টানতে টানতে বের হয়ে
যান আমি দেখতে চাই না আপনাকে। ।
মেঘ – তারা আমার কথাটা শুনো প্লিজ। ।
তারা- কিচ্ছু শুনতে চাই না আমি। যান যারা
সব পারে আপনাকে ভালবাসে তাদের কাছে
যান।

আমি চলে যাব এইখান থেকে এখনি। থাকব না
আমি।
ব্যাগ বের করতে লাগলাম।

মেঘ – হাত ধরে টেনে শান’ত হউ সরি। ভুল হয়ে
গেছে।

তারা- ছাড়ুন আমাকে বলে হাত ছাড়াতে
লাগলাম।

মেঘ – ওর সাথে পেরে উঠছিললাম না। ও
পাগলামি শুরু করে দিয়েছে। বুকের মাঝে
জরিয়ে ধরলাম।

তারা- ছাড়ুন ছাড়ুন বলে ধাক্কা দিলাম। ।
আমি চলে যাব এখনি বলে রুম থেকে বের
হচ্ছিললাম।

মেঘ – হাত ধরে টেনে থাপ্পড় মেরে দিলাম।
ও গাল ধরে অবাক হয়ে বসে পরল। ।
আমি ওর সামনে বসলাম।
তারা i love you more then anything in this
world. বলে যে গালে থাপ্পড় দিয়েছিলাম সে
গালে চুমু দিলাম।

তারা- তাকে জরিয়ে ধরে বাচ্চা দের মত
কাদতে লাগলাম।
“আমাকে ছেড়ে যাবেন না প্লিজ।আমার খিব
কস্ট হয় আপনাকে না দেখলে। অন্য মেয়েদের
সাথে আপনাকে দেখলে।
আমার ভেতর টা পুড়ে যায়। আমার দম বন্ধ হয়ে
যায়।
আমি নি:শ্বাস নিতে পারিনা। আপনি প্লিজ
আমার হয়েই থাকুন।সেই আগের মত।
আমার বস+বয়ফ্রেন্ড।
আমি খুব ভালবাসি আপনাকে।”

মেঘ – এখন বুঝলে আমি কি কস্ট পেয়েছি
তোমাকে ছাড়া এত দিন।

তারা – হুম। আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরলাম। ।
মিনু – এবার বিয়েটা সেরে ফেল। ।
তারা- ছেড়ে দিলাম ও কে।

মিনু – মেঘ কিন্তু আমাকে সব বলেছে আগেই।

সপ্ন – আমরা আগেই সব জানতাম। ।
তারা- ওর দিকে তাকালাম।

মেঘ – চোখ মারলাম ওকে।

তারা- শয়তান একটা বলে ওকে মারতে
লাগলাম।

মেঘ – হাত ধরে আমার সাথে পাংগা তাইনা।
বিয়ের থেকে পালানো তাইনা। বলেছিলাম
না তোমাকে আমার বানিয়েই ছাড়বো।

তারা- ইশ! কি লজ্জা। নিচের দিকে
তাকালাম।

মেঘ – থাক আর ললজ্জাবতী ফুল হতে হবেনা।
বাসায় গিয়ে আগে বিয়েটা সারতে হবে। ।
তারা- কিন্তু মামনি আর বাবা? ? ।
মেঘ – ওইটা আমার উপর ছেড়ে দেন। বুঝলেন।
চল এবার উপরে চল হলুদ শুরু হবে। ।
সব চুড়ি গুলা গুছিয়ে ওর ২ হাতে পড়িয়ে
দিলাম।
কাটা জায়গায় ব্যান্ডস করে দিলাম। ।
ভালো ভাবে অনুষ্ঠান শেষ হল। ।
সবাই খুব মজা করে ক্লান্ত। পরের দিন বিয়ে।

পরের দিন-
মেঘ – সকাল থেকে আমার পরি কে
দেখছিনা।
যে কয়বার দেখেছি লজ্জায় হেসে
পালিয়েছে।

তারা- পিছন থেকে পিঠে খুঁচা দিলাম। ।
মেঘ – ও মা!!
পিছন ঘুরে।এত ক্ষন কই ছিলা। ।
তারা- বিয়ে বাড়িতে কি কাজ এর অভাব। ।
মেঘ – ও তাই বুঝি জরিয়ে ধরতে নিলাম। ।
তারা- ওই কি করছ সবাই আছে।

মেঘ – মাথা চুলকাতে চুলকাতে উপ্স তাই ত।
.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *