বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ২৫

থ্যাক্স বলে পিছন ঘুড়ে দেখি——-
আপনিইইইই!!!

মেঘ – চুপ চুপ।
কেউ শুনে নিলে।

তারা- হাত সরিয়ে।
আপনি এইখানে?

মেঘ – দিয়াকে ডাকতে এসেছিলাম। দেখলাম
তুমি ফিতা লাগাতে পারছ না তাই লাগিয়ে
দিলাম।আচ্ছা যাই।( আমি ত তোমাকে
দেখতে এসেছিলাম হেহেহে) ।
তারা- ( দিয়া কে ডাকতে এসেছিলাম হুহ)
শয়তান।
ফাযিল।

সবাই ছাদে গেলাম।
উফফ ছেলেটা আবার এসেছে।

নাবিল – আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে তো।
তারা- ফেক হাসি দিয়ে থ্যাক্স। ( যা বলার
কথা ছিল সেত উধাও)
মিনু – আরে তারা কি করিস চল তাড়াতাড়ি
উপরে
তারা- হ্যা আসছি তুই যা। নাবিল – তারার
হাত ধরের একবার কথাটা শুনুন প্লিজ।

তারা- কি হচ্ছে কি হাত ছাড়ুন। ।
নাবিল – হাত ছেড়ে- আসলে!?

তারা- কি আমাকে পছন্দ হইছে তাইত? ।
নাবিল – হ্যা মানে।

তারা- too late. হাত উচু করে see im already
engaged.

নাবিল – ওহ!! im sorry.
.
তারা- it’s ok.
.
মেঘ – দুর থেকে দেখছিলাম। ১মে তো মনে
হচ্ছিল ছেলের হাড্ডি ভেংগে দেই যখন ওর
হাত ধরেছিল। কিন্তু এত খুশি লাগে কেরে।
তারা আমার কথা না বলুক কিন্তু ও যে
engaged সেটাতো বলেছে।

দিয়া- ভাইয়া চলুন।
সবাই আপনার গানের জন্য অপেক্ষা করছে। ও

মেঘ – ওকে let’s go.

তারা- উপরে গেলাম।
মেঘ গান গাওয়া শুরু করবে এখন। ।
মিনু – দে হাত দে।

তারা- কেন?

মিনু – আরে মেহেদি পরবিনা।

তারা – না না।
আমি পরব না।

মিনু – বিয়ে বাড়ি তে সবাই নিচ্ছে আর উনি
নিবেনা ।
দে হাত দে।

তারা- মেঘ গান গাইছে।
আমি শুনে হারিয়ে যাচ্ছি। মাঝে মাঝে
আমার দিকে তাকাচ্ছে। মেঘ – গান শুরু
করলাম।
“””
তুমি আকাশের বুকে বিশালতার উপমা তুমি
আমার চোখতে সরলতার প্রতিমা আমি
তোমাকে গড়ি ভেঙ্গে চুড়ে শতবার রয়েছো
তুমি বহুদুরে আমাকে রেখে ছলনায় এ হৃদয়
ভেঙ্গে গেলে জানো কি তা লাগে না
লাগে না জোড়া
লাগে না লাগে না জোড়া
আমার পথে তোমার ছায়া পড়লে আড়াল করে
থমকে সে যাবে জীবন ও গতি সে কি তোমার
অজানা
রয়েছো তুমি বহুদুরে আমাকে রেখে ছলনায় এ
হৃদয় ভেঙ্গে গেলে জানো কি তা লাগে না
লাগে না জোড়া
লাগে না লাগে না জোড়া শ্রাবন বেলায়
তোমার কথা ভেবে বিষন্ন এ মন আশার পথে
দিয়েছি পাড়ি , যেথা তোমার বিচরন
রয়েছো তুমি বহুদুরে আমাকে রেখে ছলনায় এ
হৃদয় ভেঙ্গে গেলে জানো কি তা লাগে না
লাগে না জোড়া
লাগে না লাগে না জোড়া
তুমি আকাশের বুকে বিশালতার উপমা তুমি
আমার চোখতে সরলতার প্রতিমা আমি
তোমাকে গড়ি ভেঙ্গে চুড়ে শতবার রয়েছো
তুমি বহুদুরে আমাকে রেখে ছলনায় এ হৃদয়
ভেঙ্গে গেলে জানো কি তা লাগে না
লাগে না জোড়া
লাগে না লাগে না জোড়া
গান শেষ । সসবাই হাত তালি দদিল। চেয়ে
দেখি তারাকে যে মেহেদি দিয়ে দিচ্ছে
তার কানে কানে যেন কি বলল তারা। ।
দিয়া- ভাইয়া এখন কিন্ত তোমার আর আমার
ডান্স এর পালা।

মেঘ – এখনি?
আতে গান গাইলাম।
একটু রেস্ট দেও।

দিয়া – আচ্ছা।
তাহলে লিলি তুই কিছু কর।

-মেঘ- তারার পাশে যেতে রেলিং এ হেলান
দিয়ে দাড়ালাম।

বাহ আপনি তো সুন্দর করে মেহেদি দিতে
পারেন।
আমার বউ কেও দিয়ে দিবেন আমার বিয়ের
সময়।

তারা- মুখ বাকালাম।হাত ঢাকার চেস্টা
করলাম।

মেঘ – মনে মনে হাসছি।
মেহেদি ঢাকার কি আছে।
আজব।
তারা- নিচে চলে গেলাম।

মেঘ – একটু পর আমিও গেলাম।

তারা- উফফ গলা শুকিয়ে গেছে পানি
কিভাবে খাব।
এর জন্য এইসব দিতে চাই না। থাক হাত ধুয়ে
ফেলি।
বেসিন এর সামনে নে গেলাম হাত ধুতে। মেঘ
– আরে আরে কি করছ।হাত ধুচ্ছ কেন? ।
তারা- আপনার কি?
আমার হাত আমার ইচ্ছা।

মেঘ – রেগে কি বললা তুমি?

তারা- না মানে আমি পানি খাব। ।
মেঘ – আসো আমার সাথে।
নেও খাও।
তারা- চুপচাপ খেয়ে নিলাম।

মেঘ – চল উপরে।

তারা- উফফ এখন আমি উপরর উঠি কি করে।
লেহেংগা না ধরে? ?
মেঘ – দেখলাম ওর উপরে উঠতে কস্ট হচ্ছে।
তাই কোলে তুলে নিলাম।

তারা- ………

মেঘ – ছাদে যেয়ে নামিয়ে দিলাম। ।
অনেকের অনেক নাচ গান হল।

দিয়া- ভাইয়া এখন তোমার আর আমার পালা।

মেঘ – হ্যা আসছি।

ডান্স এর সময় তারার দিকে বার বার চোখ
যাচ্ছিলল । মনে হচ্ছে এখনি না আমাকে ইট
ছুড়ে মারে।
রেগে লাল হয়ে আছে।

ওমা উঠে চলে গেল নিচে।

তারা- বাহ বাহ ভাল তো।
ভাল না।
আমার কি।
উফফ এই মেহেদি ও শুকায়না কেন। ।
মেঘ – অনেক ক্ষন পর নিচে নেমে এলাম। এসে
দেখি তারা ঘুমিয়ে গেছে।হাল্কা হাল্কা
অন্ধকারে আর
চাদের আলোতে ওর মুখ টা দেখার মত ছিল।
মনে হচ্ছে একটা পরি মাটিতে নেমে
এসেছে।

ওর পাশে যেয়ে খাটের পাশে বসে বসে ওকে
দেখছি।
বাতাসে চুল গুলা মুখে আসছে আর আমার
পরির ঘুমের সমস্যা করছে। আমি চুল গুলা
সরিয়ে দিচ্ছি বার বার। ।
হঠাত ওর হাতের দিকে চোখ গেল যে হাত টা
আমার পাশে।
হাতের ১ কোনায় ছোট করে M লিখা। আমার
ঠোটে একটা হাসির রেখা ফুটে উঠল। এর
জন্যই তখন হাত ঢাকার চেস্টা করছিল।
পাগলি ১ টা।

পকেট থেকে সেই পায়েল টা বের করে ওর ১
পায়ে পড়িয়ে দিলাম।আর পায়ের পাতায় ১
টা আলত করে চুমু দিলাম।বের হয়ে গেলাম রুম
থেকে।

সকালে –
মিনু – কিরে আর কত ঘুমাবি উঠ তারা. ।
তারা- আরেক্টু ঘুমাতে দে না। ।
মিনু – তুই ঘুমা তাইলে আমরা গেলাম। ।
তারা- গেলাম মানে? ?
মিনু – মেঘ ভাইয়া সবাই কে নিয়ে চা
বাগানে যাচ্ছে।

তারা- কিহ? ?
ও তো আমাকে বললনা।

মিনু – এত ঘুমাইলে কি করে বলবে। ।
তারা- দাড়া আমি ফ্রেশ হয়ে আসি। ।
মিনু – এটা পরে নিস।

তারা- ফ্রেশ হয়ার সময় পায়ে খেয়াল
করলাম।
কিরে এটা কার? ?? কই থেকে আসল? ? ।
মিনু – কিরে হল।
সব রেডি।

তারা- থাক এখন এইসব ভাবার টাইম নাই। ।
রেডি হয়ে গাড়িরর কাছে গেলাম। ।
গাড়ি তে উঠতে যেয়ে দেখি মেঘের পাশে
দিয়া।

মেঘ – তুমি পিছে বসো তারা।

তারা- ঠাস করে দরজাটা লাগালাম। ।
মেঘ ( বাপ রে বাপ কি রাগ।আরেক্টু হলে
গাড়ি র দরজা ভেংগে যেত।

তারা- পিছনে বসলাম।

মেঘ – looking glass এ বার বার তারাকে
দেখছি।
ও ও ১টু পর পর আমার দিকে তাকাচ্ছে। আমি
হাসি দিচ্ছি।
ওকে দেখিয়ে দেখিয়ে দিয়ার সাথে
হাসাহাসি করছি।

তারা( ইশ এত কথা কই রাখে এরা।মনে হচ্ছে
গাড়ি তে আর কেউ নাই। তারাই আছে )
মেঘ -( তারার মুখ টা দেখার মত হয়েছে।
হেহে । হাসি আটকে রাখা খুব মুসকিল হচ্ছে।
মেয়ে তুমি তো ফেসে গেছ আমার প্রেমের
জালে)

চা বাগান পৌঁছে গেলাম।

সবাই মিলে বাগান দেখছে। তারার পাশে
আমি হাটছি।
মাঝে মাঝে হাতে হাত বারি খাচ্ছে। মনে
হচ্ছে হাতটা ধরি। কিন্তু….

দিয়া- (হাত ধরে) আরে ভাইয়া ওই দিক টায়
চল।
মেঘ – দিয়া আমাকে টেনে নিয়ে গেল। ।
তারা- বাহ বাহ মেয়েটা টেনে নিয়ে গেল।
আর উনিও চলে গেলেন।
এখন মনে হচ্ছে শক্তি নাই। সব শক্তি আর
জোর খালি আমার বেলায় থাকে।
হুহ।
পিছন ফিরে দেখি তারা অন্য সাইডে
যাচ্ছে।

দিয়া- ভাইয়া আসেন সেলফি তুলি। এই
জায়গার স্মৃতি নিয়ে যান। সেলফি তুলার
পাশাপাশি তারার ছবি ও তুলে নিলাম।
ও জানেনা।

তারা- হ্যা হ্যা সেলফি কুলিফি, মুলফি সব
তোল আমার কি।
বজ্জাত পোলা।
এই তোর ভালবাসা? ?
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *