বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ২১

তারা- আমি যাব না আপনি যান।

মেঘ – আবার কি হল।

তারা – যে বিয়েই করতে চাচ্ছি না তার জন্য
এত কিছু ককরতে পারব না।
মেঘ – তাহলে এসেছিলে কেন?

তারা – মামনি বলল তাই।

মেঘ – তাহলে যেতেই হবে চল। হাত ধরে নিয়ে
গেলাম।

তারা-( গুন্ডা একটা, ফালতু লোক) ।
বাসায়-
তারা- বিয়ে করছে আমাকে আর হাসাহাসি
আরেক জনের সাথে।
তাও নিউ মেয়ে .
হুহ আমার কি?
বিয়ে টা তো জোর করেই করছে। কেন যে
তখন বাবার কথা ভাল মত শুনলাম না। ।
৭ দিনের মধ্যে সব কিছু কম্পলিট হয়ে গেল।

তারা- বিয়ে টা তাহলে আটকানো যাবে না।
কি করব বুঝতে পারছিনা।
অসহ্য লাগছে।
তার অতি মাত্রার ভালবাসার জন্য আমি মনে
হয় পাগল হয়ে যাব।
হেয় আল্লাহ কি করব আমি।

মেঘ – পরের দিন তারার বাসায় গেলাম।
স্যার ভাল আছেন।

বাবা- হুম।
তা তুমি হঠাত।

মেঘ – হ্যা তারার সাথে দরকার ছিল।

বাবা- কিন্তু তারা তো বাসা তে নেই।
১টু বাইরে গেছে।

মেঘ – ওহ। আচ্ছা সমস্যা নেই।
ওর রুমে আমার দরকার ছিল।
আমি কি যাব। ?

বাবা- হুম যাও।

মেঘ – আসলে গতকাল মিটিং থেকে আসার
সময় চোখে ১ জোড়া পায়েল আটকে গেল।
বাস তারার জন্য নিয়ে নিলাম।
ভাব্লাম ওর পায়ে পরিয়ে দিব।
কিন্তু ও তো নেই।
টেবিল এর ড্রয়ারে রেখে দেই। দেখে
সারপ্রাইজ পাবে।
ড্রয়ার খুললাম।
সেখানে ১ টা সিলেট যাওয়ার টিকেট।
মানে কি? এটা কার?
তাও কাল সকালের।
২ দিন পর আমাদের বিয়ে আর ……..
তারা কি তাহলে……
!
হাহাহা তারা।
তু তো গায়া।
তুমি ভেবেছ পালিয়ে বেচে যাবে? ? এটা
তো হবেনা সোনা।
আমি এত সহজে ছাড়ছি না তোমায়।
জানপাখি।সকাল ৬ টার টিকেট। ওকে আমিও
দেখছি তুমি কি করে ভাগো।
স্যার আমি আসি এখন।

তারা- বাসায় আসলাম।
ব্যাগ গুছিয়েনিলাম রাতে।

ভাগার প্লান টা সিয়ামের ছিল।
হিয়াকে কিছু বলিনি কারন ও আমাকে হেল্প
করবেনা এই ব্যপারে।
আর করলেও স্যার ওর থেকে জেনে নিবে।
তাই কিছু বলিনি।

আমার ফ্রেড
মিনুর বিয়ে সিলেট হয়েছে।
ওইখানেই যাব।
কিছু দিন আরামে পার করা যাবে।
ওর হাসবেন্ড এসে ওইখান থেকে ওর বাড়ি
নিয়ে যাবে।
বাবা আর মামনির জন্য কস্ট হচ্ছে।
কিন্তু ওই গুন্ডা থেকে বাচার আর কি
উপায়? ?
উনি আমাকে ছাড়বেন না।
আর আমি ধরা দিব না।

৪ টার সময় ঘুম থেকে উঠে বাবাকে দেখলাম।
বাবার পাশে বসে ছিলাম কিছুক্ষন।
তারপর ১ টা চিঠি লিখে বাবার পাশে রেখে
রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম ট্রেন এর
উদেশ্যে।

চিঠিটা তে লিখা ছিল-

“বাবা,
জানি রাগ হবা,দু:খ পাবা। কিন্তু আমার কিছুই
করার নেই। আমি পারব না মেঘ কে মেনে
নিতে। তাই চলে যাচ্ছি।
নানা একেবারের জন্য না।
ফিরে আসব আমি আবার। বিয়েটা ভেংগে
গেলেই। আমি ভেগেছি শুনলে মামনি বিয়ে
ভেংগে দিবে। তাই এই কাজ টা করা।
কোথায় যাচ্ছি বললাম না। কারন তুমি মেঘ
কে বলে দিবে জানি।
তুমি কিন্ত একদম চিন্তা করবেনা।
কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে নেই আমার। তুমি ত
তোমার মেয়েকে চিনো বলো।
। ভাল থেকো।
আর আমার উপর রাগ হয়ে থেকোনা।ফোন
দিয়ে লাভ নেই।নাম্বার আমি বদলে
ফেলেছি।”

ফোনে চেয়ে চেয়ে বাবার ছবি দেখছি
কতক্ষন আবার মামনির ছবি দেখছি কতক্ষন।
আমি ২ জনকেই খুব ভালবাসি।
ক্ষমা করে দিও মামনি।
তোমার ছেলের বউ আমি হতে পারব না।
তোমার চোখে ছোট হয়ে গেলাম আমি।
কস্ট হচ্ছে। কিন্তু তোমার ছেলের থেকে
বাচার আর উপায় নেই।
সাইকো ১ টা।
ভালবাসি করে করে আমায় জ্বালায় খেলো।

দেখতে দেখতে ট্রেন ছেড়ে দিল।
আমার চোখ হঠাত লেগে এল।
ঘুমের রাজ্যে চলে গেলাম।
ঘুম ভাংল বাইরের আবহাওয়া দেখছি।
মেঘলা আকাশ।
মনে হচ্ছে বৃষ্টি হবে।
কান্না পাচ্ছিল বাবা র কথা ভেবে।
ওই রাক্ষস, ভাল্লুক এর জন্য নিজের বাবাকে
ছেড়ে আসতে হল।
এটা কি সহ্য করা যায়।
ইচ্ছামত বকলাম ম্বঘ কে।
লাভ কি ও কি শুনেছে? ??
ওরে আমি! !!!”!”
ওর উপর ঠাডা পরে না কেন???

উফফ খুদা লাগছে।
তাড়াহুড়া তে কিছু কিনি নি।
পানি ছিল সাথে পানি খাচ্ছিলাম বার বার।
হঠাত ১ টা ছোট মেয়ে আমার কাছে আসল।
মেয়ে – আপু তুমি না খুব sweet.
তারা- অল্লে বাবালে তুমি তার থেকেও
বেশি sweet. কি নাম তোমার বাবু?

: আমার নাম বিথি।আমি তোমার পাশে বসি?

তারা- হ্যা বসো।
তুমি কার সাথে এসেছ?

বিথি – আমি মা আর বাবা সিলেট যাচ্ছি।
তুমি একটু বসো আমি আসছি।
নেও ধর

তারা- এটা কি?

বিথি- নুডলস

তারা- নানা আমি খাব না তুমি খাও।

বিথি – খাও নাহলে আমি রাগ করব?
তারা( আচ্ছা এরা কি আমক কিডনাপ করে
নিয়ে যাবে নাকি? ?হঠাত এসে খাবার
দিচ্ছে?)
আচ্ছা আগে তুমি খাও তারপর।

আরে বাচ্চা টা একটু খেল।
মানে এতে কিছু নাই।
আমিও সাত পাচ না ভেবে গপাগপ খেয়ে
নিলাম।
উফফ যে খুদা লেগেছিল।

তারপর মেয়েটা কিছুক্ষন পর পরইকিছুনা কিছু
এনে দিতে লাগল। সারা রাস্তা মেয়েটার
সাথে বক বক করে কেটে গেল। মাঝে ওর মা
ও এসে বসে গল্প করল।
খুব ভাল ভাবেই পৌছে গেলাম সিলেট।
নেমে বিথি আর ওর পরিবার কে বিদায়
দিয়ে দাড়ালাম সপ্ন ভাইয়ের জন্য।
মিনুর বর এর নাম সপ্ন।
ফোন দিলাম বলল ১ ঘন্টা লাগবে।
ওইখানে বসে ছিলাম।
আস্তে আস্তে রাত বাড়ছে আর মানুষ কমছে।
আর আমার অবস্থা খারাপ হচ্ছে।
বার বার সময় দেখছি সময় যেন কাটেনা।
পাশে খেয়াল করলাম ২ টা ছেলে আমার
দিকে তাকিয়ে কি যেন বলছে।
আশে পাশে মানুষ নেই বললেই চলে।ছেলে ২
টা আমার দিকে এগিয়ে আসছে।
আমি উঠে হাটা শুরু করলাম।
সাথে ছেলে ২ টাও।
আমি জোর বাড়ালাম।
সাথে ছেলে ২ টাও।
এবার আমি ঝেরে দিলাম দৌড় দোয়া দুরুদ
পরতে পরতে।
হায় আল্লাহ আজ কি না কি হয়ে যায়।
কেন যে পালাতে গেলাম।
এর থেকেতো মেঘ কে বিয়ে করাই ভাল ছিল।
মান সম্মান নিয়ে ফিরতে কি পারব বাবার
কাছে।
পিছে ফিরে দেখি ছেলে ২ টার হাতে ছুড়ি।
আর আরও জোরে দৌড় দিচ্ছে।
আল্লাহ আমারে বাচাও।
আমি ভুল করে ফেলেছি। বাচাও আমারে।
দুর সপ্ন ভাই এর ও খবর নাই।
হঠাত মনে হল পাশ থেকে কেউ আমাকে
টেনে নিয়ে গেল এক অন্ধকার গলিতে।
মুখ চেপে ধরল আমার।
আমি কিছুই দেখতে পারছিনা।
তার বুকের সাথে লেগে আছি আমি।
খুব চিনা একটা সুবাস পাচ্ছি।
কেন যেন মনে হচ্ছে এই ছোয়া আমি চিনি।
কে এটা।
দেখলাম ছেলে ২ টা ওইখানে দাড়িয়ে-
আমাকে খুঁজছে।
তারপর কি যেন বলে চলে গেল।
লোক্ টা আমাকে ছেড়ে দিয়ে হাত ধরে বের
হল গলি থেকে। ল্যামপোস্ট এর আলো তে
এবার তার মুখ দেখলাম আমি।
ভুত দেখলেও হয়ত এত ভয় পেতাম না আমি
যতটা উনাকে দেখে ভয় পেয়েছি আমি।
আপ….আপ…..আপনি? ????????

মেঘ – তোমাকে তুলে আছাড় মারতে মন
চাচ্ছে।
আমি না থাকলে আজ তোমার কি হত জানো
তুমি? ??
অনেক সাহস হয়ে গেছে তাইনা? ??
আজ তোমার কিছু হয়ে গেলে ভেবেছ আমার
কি হত।
সেটা বাদ দেও তোমার বাবার কি হত।

তারা- আমি থাকতে না পেরে কেদে
ফেললাম তাকে জরিয়ে ধরে।
“ভুল হয়ে গেছে আমার।আমি বুঝিনি এটা
হবে’!

মেঘ – ওর কাদা দেখে আর কিছু বললাম না।
হইছে আর কাদতে হবেনা।

এত রাতে এখন কই যাব? ??
তুমি না…

তারা- এত ক্ষনে আমার হুশ আসল। সরে
গেলাম।
ফোন বের করে সপ্ন ভাই কে ফোন দিলাম। ।
সপ্ন – কই তুমি?

তারা- আপনি কই?

সপ্ন – আমি তো স্টেশন এ।

তারা- দাড়ান আমি আসছি।
আপনি কই আসেন আমার সাথে?

মেঘ – মানে কি? আমি আমি যাবনা ?? ।
তারা- আপনি এইখানে কি করেন?

মেঘ – আজব মেয়ে তো তুমি।

তারা- দুর।
আমি স্টেশন এর দিকে যাচ্ছিলাম আর উনি
আমার পিছে পিছে। ।
সপ্ন – আরে এই ত তারা।
কই ছিলা এতক্ষন।
আর উনি কে?

তারা- ও আরকি ইয়ে মানে
মেঘ – আমি ওর বন্ধু।
ওর সাথে এসেছি।

সপ্ন – যাক ভালই করেছ।
তুমি ছিলে সাথে।
নাহলে এত রাতে মেয়েটা একা থাকত। ।
তারা- অবাক হয়ে তাকালাম তার দিকে। ।
সপ্ন – চল তারা বাড়ি চল। আপনার নাম টা
যেন কি?

মেঘ – hi, im megh
.
সপ্ন -im sopno.

বাড়িতে পৌছে গেলাম।
বাড়িতে ঢুকেই দেখি এত এত মানুষ হায়
আল্লাহ! ! এত মানুষ? ????


.(
সবাই ভাবতেই পারেনাই তারা এমন কাজ
করবে। হেহেহে। সবাই শক, তারা রক)

যাক কথা হচ্ছে এই কয়দিন ২ পর্ব করে দিছি
এখন আবার কাল কে থেকে ১ পর্ব করে দিব।
তাই সবাই nxt nxt করে গন্ড গল শুরু করে দিও
না। আগেই জানায় দিলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *