বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ০৬

মেঘ – যে ডোজ দিলাম এরপর আর মাকে কিছু
বলবে না।

তারা- মামনি কে কিছু বলবনা কিন্তু আমি কম
নাকি? ?
বাসায় যাই তারপর দেখাব মজা।

বাসায় –

মামনি – আরে তরা এসে গেছিস??
আমি খাবার দিতে বলি।

তারা – মামনি আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।

মেঘ – মা আমি চেঞ্জ করে আসি।

তারা – খাবার টেবিল এ সবাই বসে বসে
খাচ্ছি।

মামনি – আমি গেলাম আমার হয়ে গেছে।

মেঘ – খাবার এর সময় ও ফোন আসে উফফ
ফোনে কথা বলার জন্য উঠলাম।

তারা- রান্নাঘর থেকে মরিচ এনে ভাতে
দিলাম মিশিয়ে খাও এবার ইচ্ছামত।
উনি এসে বসলেন।

আমি তাড়াতাড়ি করে উঠে চলে গেলাম।

মেঘ – মুখে ভাত দিতেই চোখ মুখ দিয়ে পানি
পড়া শুরু হয়ে গেল।
এটা তারার ছাড়া আর কারো কাজ না।
দাড়াও দেখাব মজা।

তারা- বাইরে ঝড় হচ্ছে আমি বাবার সাথে
কথা বলে ফোন রাখলাম।
আমি আবারো পানি আনতে ভুলে গেছি।
আবার নিচে যেতে হবে?
।বের হলাম।
মেঘ –
মিমি আজ ও পানি দেইনি?

আবার নিচে যাব?

বের হলাম।
হঠাত বিকট শব্দে বাজ পড়ল।

তারা- চোখ বন্ধ করে দিলাম দৌড় কার
সাথে ধাক্কা খেলাম জানিনা জরিয়ে
ধরলাম।

মেঘ – তারা এমন জোরে চেপে ধরেছে যে
আমার পিঠে মনে হচ্ছে অর নখের দাগ পরে
যাচ্ছে।

কি হয়েছে তারা।
ভয় পেয়েছ।

তারা- হ্যা।

মামনি – কিরে কি হচ্ছে এই সব
মেঘ – না আমি কিছু জানিনা।
তারাকে জিজ্ঞেস কর বলে রুমে গেলাম।
তারা- ইয়ে মানে মামনি আমিও গেলাম।

মামনি -কি হল এটা

পরের দিন অফিসে –
মেঘ – তারাকে জব্দ করার কথা ত ভুলেই
গিয়েছিলাম।
পাইছি।
এবার তারা যাবা কই?

বাসায় ফেরার সময় গাড়িতে –

মেঘ – তারা খাওয়া শেষ এ আমার রুমে এসে
টেবিল এর উপর রাখা ফাইল ২ টা নিয়ে
যাবা।

তারা- জি স্যার।

খাওয়া শেষ এ-
তারা- স্যারের রুমে গেলাম।
স্যার কই গেছে?
কে জানে। আমার কাজ আমি করি।
ফাইল ধরে খুলতেই কোথা থেকে
তেলাপোকা আমার গায়ে এসে পড়ল ।

মেঘ – বিকট চিতকার শুন্তে পেলাম।
পিছন থেকে দরজাটা আস্তে করে লাগিয়ে
দিলাম।

তারা- কিরে দরজা খুলেনা কেন? ?
নিশ্চয় স্যারের কাজ এটা।
আল্লাহ! বাচাও।

মামনি – কিরে মেঘ তারা চিতকার দিচ্ছে
কেন।

মেঘ – মা তুমি অসব এ কান দিওনা মুভি দেখে
এমন করছে।
মনে হয় ভুতের মুভি।

মামনি – ওহ আচ্ছা।

মেঘ – যাক মা কে ম্যানেজ করা গেল।
হুহ আমার সাথে পাংগা তাইনা।

কিছুক্ষন পর দরজা খুললাম।
তারা!

তারা- খাট এর নিচ থেকে বের হলাম
জরিয়ে ধরলাম স্যার কে।

মেঘ – কি হিয়েছে তারা

তারা- এটা আপনার কাজ আমি জানি
দেখে নিব আপনাকে হুহ।বলে
দিলাম দৌড়।

মেঘ – হাসতে হাসতে বিছানায় গড়াগড়ি
খাচ্ছি।
আবার লাগতে আসলে আরো ডোজ দিব তারা।
মনে রেখ আমার নাম মেঘ।
হুহ।

তারা- সারারাত ভাবছি কি করা যায়।
কি করে উনাকে সায়েস্তা করা যায়।
মামনি কে কিছু বলবনা।
এটা তার আর আমার লড়াই।

সকালে-
সবাই খাবার খাচ্ছিলাম
উনি আমাকে দেখে হাসছেন মুখ ধরে।
টেবিল এর নিচ দিয়ে দিলাম এক পাড়া।

মেঘ – ও মা!

মামনি – কিরে কি হয়েছে

মেঘ – না না কিছুনা।

মামনি – চিতকার দিলি কেন।

মেঘ – খেতে খেতে কামোড় লেগেছে তাই।

মামনি – ভাল মত খা।

মেঘ ( তারা তোমার ব্যবস্থা অফিসে করব)

তারা( অফিস বাসা যেখানেই হক আমিও
আপনাকে দেখে নিব)

মেঘ ( দেখবনে)

তারা( দেখে নিয়েন)

মামনি – কিরে খাওয়া বাদ দিয়ে ২ জন কি
বিড় বিড় করছিস।

তারা- মামনি আমার হয়ে গেছে।

মেঘ – আমার ও ।
অফিস গেলাম ।

তারা-
গাড়ির সামনে যেতেই গাড়ির সাথে আটকে
ধরল।
কি করছেন?

মেঘ – ওমন করলে কেন?
তারা- কাল কে ওই কাজ টা আপনার ছিল
তাইনা

যা করেছি বেশ করেছি।

মেঘ – তোমাকে আমি দেখে নিব।

তারা- দেখে নিন কে না করেছে বলেই মুখ
চেপে ধরলাম।

মেঘ – তাই নাকি তা দেখব?

মামনি – কিরে তোরা যাস নি?

মেঘ – যাচ্ছি মা।
অফিসে –
তারা- কি ১ টা কথা বলে ফেললাম।
ছি।

হিয়া – কি বক বক করছিস।

তারা- না কিছুনা।

( দেখে নিব উনাকে আমি)

বাবা কে ফোন দিলাম

বাবা তোমার ছাত্র জানো..

বাবা – দেখ অর সম্পর্কএ কিছু শুনতে চাচ্ছি
না আমার কাজ আছে রাখি।

তারা – দুর বাবা ওর পক্ষে।

আমিও মজা বুঝাব আমাকে হেনস্ত করা
তাইনা।

বাসায় –

তারা- মামনি আমি আজ তোমার সাথে ঘুমাব।

মামনি – ঘুমা কি সমস্যা।

মেঘ – মাএর ঘরে ঢুকতেই দেখলাম তারা
মাকে ধরে ঘুমিয়ে আছে।

মা – কিছু বলবি।

মেঘ – নাহ।

সকালে –
তারা- কিরে এত মানুষ কেন।
আর ঘর এমন সাজানো হচ্ছে কেন?

মিমি – ম্যাম আপনি জানেন না আজ স্যারের
জন্মদিন।

তারা – বাহ তাইনাকি।
( যাক আমার কাজের জন্য পারফেক্ট)

মিমি – কিছু বললেন।
তারা- নাহ। যাও
mr. megh আজ দেখবে মজা কাকে বলে

তারার সাথে পাংগা? ?

হিয়াকে ফোন দিলাম।
বুঝেছিসস ত কি করতে হবে তোকে।

হিয়া- হুম।

সন্ধা –
তারা- সবাই এসে গেছে।

মামনি- কিরে রেডি হবিনা? ?

তারা- মামনি দাড়াও একটু পর

মামনি – সবাই ত এসে যাচ্ছে।

হিয়া- কিরে রেডি হস নি

তারা- তোর অপেক্ষায় ছিলাম।
।চল জলদি।

মেঘ – সবাই ইনজয় করছে।এখনি কেক কাটা
হবে।
উপর থেকে তারাকে নামতে দেখলাম নীল
রং এর শাড়ি পরেছে ।হাল্কা কাজল চোখে।
খোলা চুল।
হাতে নীল চুড়ি।
অপুর্ব।
নেমে মার পাশে দাড়াল।

মা- নে কেক টা কাট।

মেঘ – কেক কাটলাম।
মাকে খাইয়ে দিলাম।
আলো ডিম হল সবাই যার যার মত ইনজয়
করছে।

মামনি – কিরে দাড়িয়ে আছিস কেন।
যা ওইখানে সবাই ডান্স করছে।

তারা- আরে ছাড়তো ওইসব ভাল লাগেনা।
( সুযোগ বুঝে কাজ করতে হবে)

হিয়া দে অইটা।

হিয়া- স্যার happy birthday.
.
megh – thank you.
.
hiya- sir ভাল আছেন?

মেঘ – হুম।
হিয়া- অকে স্যার বাই।

তারা-হিয়া দেখ ওগুলা সব স্যার এর বন্ধু।১জন দেখলাম গিটার
নিয়ে এসে স্যার এর হাতে দিল।উনি নাকি এখন গান গাইবেন।
হেহেহে।
স্যার গান গাইছেন আর আমি ভাবছি কাজ টা কি করে করা
যায়।যেহেতু লাইট ডিম করা ছিল তাই সুযোগ মত কাজ করেছি।
হিয়া-
কিরে কাজ হয়েছে?

তারা- হয়েছে মানে এখনি তার ফল দেখবি।
লাইট অন করে দিলাম।

মেঘ – কিরে গা এত চুলকাচ্ছে কেন।

তারা- দেখ কাজ শুরু হয়ে গেছে।
দেখ দেখ কেমন বানরের মত করছে।
সবাই হাসা শুরু করে দিল।

উনি উপরে চলে গেলেন।
সবাই চলে গেল।

মেঘ – এটা তারার কাজ আমি জানি।
কিন্তু করল টা কখন।
আমিও মজা দেখাব কাল কে তারা।
রেডি থেকো।

সকালে –

মেঘ – তারা নিচে গেছে এইতো সুযোগ।

কাজ সেরে ফেললাম।

মামনি – কিরে ঘুম হল।

তারা- মামনি কে জরিয়ে ধরলাম। হুম হইছে।

মামনি – যা শাওয়ার নিয়ে নে অফিস যাবি
তো।

তারা- যাই।
শাওয়ার সেরে রেডি হয়ে খেতে বসলাম।
কিরে হাত পা চুলকাচ্ছে কেন।
ও মা!

মামনি – কিরে কি হল।

তারা- মামনি হাত পা খুব চুলকাচ্ছে।

মেঘ – আমি হাসছিলাম।
এবার মজা বুঝ তারা।

তারা- উনি হাসছেন উনার কাজ এটা।
চুলকানির পাউডার দিয়েছেন তাহলে।
উপরে চলে আসলাম।
বাবাগো মা গো অই রাক্ষস কে দেখে নিব
আমি।

মেঘ – তো দেখ।
কেমন লাগছে এখন।
কাল কে যে তুমি ই অই কাজ করেছ আমার
জানা আছে।

তারা – কথাও বলতে পারছিনা।
যান তো আপনি এখান থেকে যান যান।

মেঘ – হেহেহে
তারা- হাসবেন না

মেঘ – চল। হাত ধরে তারাকে ওয়াশ রুমে
নিয়ে গেলাম।

তারা – এই এই কি করছেন।

মেঘ – তারাকে শাওয়ার এর নিচে দাড়
করিয়ে শাওয়ার অন করে দিলাম।
.
continue
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *