বস বয়ফ্রেন্ড Season 2

বস বয়ফ্রেন্ড Season 2 ! পর্ব- ৫

তারা : Happy Birthday to u.
স্যার এর দিকে ফুল এগিয়ে দিলাম।

মেঘ : রুমি তারার থেকে ফুল টা নিয়ে রেখে
দেও। ফোন নিয়ে বাইরে গেলাম।

তারা ( কিহ এতো বড় অপমান) রুমি থাক
তোমাকে নিতে হবেনা।
ছিঁড়ে কুটি কুটি করে ফেলে দিলাম।

রুমে চলে গেলাম।
ইরা কে ফোন দিলাম

ইরা : কিরে তারা।

তারা : রেডি হয়ে বের হো।
শপিং এ যাব।

ইরা : অকে। ভালই হল স্যার এর জন্য উপহার ও
কিনতে পারব।

সুমি : ম্যাম কই যান।
অনেক কাজ বাকি।
কি কি অর্ডার করব। কি কি আনতে হবে
আপনি না বললে তো কিছুই পারবনা।

তারা : যা খুশি কর।
i just don’t care.
যার জন্মদিন তাকে যেয়ে বল।

ইরা : এইটা কেমন রে? ?

তারা : যা খুশি কিনতো।
আমাকে কিছু বলবিনা।

ইরা : রেগে আছিস কেন?

তারা : এমনি।

রুমি : স্যার কি কি করব বলে দিন?

মেঘ : কেনও তারা কই। এত দিন তো ও ই সব
করেছে।

রুমি : ম্যাম বাসায় নেই।
কখন আসবেন কিছু বলে যায়নি।

মেঘ : আমি সবাইকে পার্টিতে ডেকেছি আর
ওর কনো খবর নেই।
এতোবার ফোন দিচ্ছি ধরছে না ব্যপার কি??

ইরা : কিরে ফোন টা ধর।

তারা : আরে বাদ দে তো।

ইরা : তারা ৬ টা বেজে গেছে বাসায় চল।

আমি রেডি হয়ে তো তোদের বাসায় যাব।

তারা : আমার না বল স্যার এর।

ইরা : অকে অকে স্যার এর।

তারা : বাসায় গেলাম ওই রাক্ষস টা কে যেন
দেখতে না হয়।
বলতে না বলতে রাক্ষস হাজির।
।হুহ দেখেও না দেখার ভান করে চলে
যাচ্ছিলাম।

মেঘ : তারা শুন।

তারা : ( ভাগ তারা কথা শুনার দরকার নাই)

মেঘ : ( ধমক দিয়ে) তারাহ।

তারা : থেমে গেলাম। আত্তা কেপে গেল।

বলুন।

মেঘ : হাত টা ধরলাম।
আমার ঘরে নিয়ে গেলাম।

তারা : আরে কি করছেন সবাই দেখছে।
হাতে ব্যথা লাগছে। ছাড়ুন।

মেঘ : কথায় ছিলে এতক্ষন

তারা : আপনাকে কেনো বলব।

মেঘ : জোড়ে রাখলাম হাতটা দেওয়ালে।

তারা : ভয়ে চোখ বন্ধ করলাম।
একটু পর খুললাম।
উনি এইভাবে তাকিয়ে আছেন কেন।

মেঘ : তুমি জাননা আজ বাসায় পার্টি?

তারা : তো।
আপনারটা আপনি বুঝুন। আমার কি??

মেঘ : কি বললে তুমি।

তারা : ঠিকি বলেছি।
আপনি অপমান করে যাবেন আর আমি সহ্য
করব? ?
তা হবেনা।

মেঘ : তাই হবে আমার বাসায় থেকে আমার
টা খেয়ে আবার আমার উপর কথা??

তারা : খুব কান্না পাচ্ছিল। কিন্তু কন্ট্রোল
করলাম।

মেঘ : ওর চোখে পানি দেখে কিছু টা হতভম্ব
হয়ে গেলাম।
কথা ঘুরাতে হবে।
সকালে ফুল ছিরে ফেললে কেন?

তারা : ভাল করেছি।

মেঘ :
যাও আমার জামা রেডি কর। এখন যেটা পরব।

তারা : নিন এটা নিন।

মেঘ : আরে কই যাও।

তারা ; এখন কি জামাও পড়িতে দিব।

মেঘ : ভাল কথা বলেছ। আমি তো এটা ভাবি
নি।

টাই আর কোট নেও পড়িয়ে দেও।

তারা : টাই পড়াতে পারিনা।

মেঘ : পারো কি ঘোড়ার ডিম? ?

তারা : দেখুন ….

মেঘ : আমি বলে দিচ্ছি তুমি পড়িয়ে দেও।

তারা : সামনে যেয়ে দাড়ালাম।
লম্বু একটা।
২ পায়ে ভড় দিয়ে দাড়ালাম।

মেঘ : খাটো হলে যা হয়।

তারা : কি বললেন।

মেঘ : কিছুনা।
আমি বলছি। তুমি পড়াও।

তারা : পড়াতে পড়াতে উনার দিকে চোখ
গেল।
উনি দেখি আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
কি দেখছেন।

মেঘ : কই কিছুনা।
হঠাত চোখ গেল তারার গলায়।
এখন কামোড় এর দাগ রয়ে গেছে।
কাধের থেকে চুল সরালাম

তারা : কি করছেন কি।

মেঘ : কিছুনা।
কোট পরিয়ে তুমিও রেডি হয়ে নেও

তারা ( হুহ গেলেতো)
।।
মেঘ :কিছু বললে?

তারা : না। নিন হয়ে গেছে। যান নিচে।

রনি: স্যার
সবাই আসতে শুরু করেছে। আপনি চলুন।

মেঘ : তারা জলদি আস তুমিও।

তারা : নিজের রুমে গেলাম।
কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে
থাকলাম। উনি আমার ফুল নেয়নি। আমি নাকি
যাব তার পার্টিতে। এতো খায়না। হুহ।

মেঘ : এত্ক্ষন হয়ে গেল তারা কই।?
কথায় গেছে? ?
রুমি ? সুমি?

সুমি : জি স্যার।

মেঘ : তারা কই? ?

রুমি : ম্যাম কে তো অনেক ক্ষন ধরেই
দেখছিনা।
জানিনা কোথায় গেছে।

মেঘ : আচ্ছা যাও।

শফিক সাহেব : কি খবর মেঘ :: ? তা তারা
কোথায়??

মেঘ : আছে আশে পাশে ই।

কই গেছে মেয়টা। খবর নাই কেন।?
।রনি রনি!?

রনি : বলুন স্যার।

মেঘ : তারা কে দেখেছ?
রনি : না স্যার।

মেঘ : ফোন দিয়ে দেখি কই গেছে।
কিন্তু এইখানে এত আওয়াজ কথা শুনা
যাবেনা।
অই দিকে যাই।

বাড়ির পিছনের দিকে তারা ঘরের জানালা।

জানালাটা খোলা ছিল।
।!
দেখিতো ঘরে আছে কিনা।

ঘরের ভেতরে যেয়ে দেখি তারা ঘুমাচ্ছে।

মেজাজ গেল চরম খারাপ হয়ে।
( চিতকার দিয়ে) তারারারারা
বলেই গ্লাসের পানি দিলাম ওর উপর ঢেলে।

তারা : আল্লাহ গো কি হল।
ছাদ ভেংগে পড়ল নাকি।
উঠে দেখি উনি সামনে।

কি হয়েছে? কি হয়েছে?
।বাসায় ডাকাত পড়ছে নাকি।

মেঘ : তুমি ঘুমাচ্ছ??
।তারা: মনে হয় তা আপনি এখানে কিভাবে
আসলেন? ?
দরজা তো বন্ধ।

মেঘ : তুমি জানোনা বাইরে এক্টা অনুষ্ঠান
হচ্ছে।

তারা : তো আমি কি করব।
আপনার টা আপনি বুঝুন।

মেঘ : তোমার সাহস তো কম না। তুমি মুখে
মুখে তর্ক
করছ??

তারা,: দেখুন আমি অইখানে যাবনা।
সো আপনি যান আর আমাকে ঘুমাতে দিন।

মেঘ : যাবা না? ? তাই তো। ঠিক আছে।

তারা : আরে আরে কি করছেন?
জামা কাপড় এইভাবে বের করে ফেলে
দিচ্ছেন কেনো?

মেঘ : এই নেও এটা পরে বাইরে আস।

তারা : যাব না বলেছি না।

মেঘ : কি করে নিতে হয় আমার জানা আছে।
তুমি চেঞ্জ না করলে আমি কিন্তু করিয়ে
দিব।

৫মিনিট সময় দিলাম। এর মধ্যে যদি বাইরে না
আসো তুলে নিয়ে যাব। বলে দিলাম।

বাইরে চলে আসলাম।

তারা : রাক্ষস, খাটাশ, খারাপ একটা।

রেডি হয়ে বাইরে গেলাম।

ইরা : কিরে কই ছিলি এতক্ষন।

তারা : ঘুমায়।

ইরা: seriously?
.
তারা : হুম।

ইরা : তুই ও পারিস বটে।

স্যার যে খুঁজা খুজছিল।

তারা : ( মনে মনে আমার উপর পানি ঢালা এর
শোধ ত আমি নিয়েই ছাড়ব।)
ইরা তুই থাক। আমি একটু আসছি।

ইরা: ওকে।

তারা : এই ওয়েটার এইখানে আসোতো।

: জি ম্যাম কি লাগবে।

তারা : একটা কাজ করে দিতে হবে এই নেও
১000 টাকা।
আর এইটা নেও। আর অই যে দেখছ কালো
কোর্ট পড়া এক জন।

: উনি তো মেঘ স্যার।

তারা : হুম উনার পায়ের সামনে আস্তে করে
এটা ফেলে আসবা।
আর কিছু করতে হবেনা।
আমার কাজ হয়ে যাবে।

: ম্যাম আপনার মাথা কি খারাপ হয়েছে
উনার বডি গার্ড রা যদি টের পায় আমার ১৪
গুস্টি উদ্ধার করে দিবে।

তারা : কিছু হবেনা। যাও। আরো ১০০০ টাকা
নেও।
ট্রে এর নিচে নিয়ে যাও দেখতে পাড়বেনা।

ওয়েটার : কি মুস্কিল এ পরলাম।
ড্রিংক দেওয়ার বাহানায় কাজ সেরে
আসলাম।

মেঘ : অনেক ক্ষন তো কথা হল। চলুন খেতে
যাই।
সামনে পা বাড়াতেই পা পিছলে পড়লাম
পুলের পানিতে।

( সবাই হেসে উঠল)

রনি : স্যার আপনি ঠিক আছেন তো।
এই সবাই মিলে স্যার কে তোলো।

তারা : বাস আমার উপর পানি ফেলার মজা
টের পাবে এখন।
বেশ হইছে। ভাল হইছে।

রনি : স্যার রুমে চলুন।

রনি : সবাইকে স্যার এর পক্ষ থেকে সরি
জানাচ্ছি। এখন সবাই বাসায় ফিরে গেলে
ভাল হয়।

মেঘ : রনি সবাই চলে গেছে।

রনি : হুম

মেঘ : আমি যেখান থেকে পড়েছি সেখানে
কি ছিল একবার দেখে আসো।

রনি : জি।
কিছুক্ষন পর।
স্যার অইখানে হাত দিয়ে দেখলাম তেল পরে
আছে।

মেঘ : বুঝেছি। তারার কাজ।

রনি ; কিভাবে উনিতো অইখানে যান ই নি।

মেঘ : বুঝবানা তুমি।
অই মেয়ের অনেক বুদ্ধি।

ওকে ডাক দেও।

রনি ; জি।

তারা : ঘরে আনন্দে লাফালাফি করছিলাম।

রনি : ম্যাম। স্যার ডেকেছে।
তারা : কিছু টের পান নি তো।
কিন্তু কিভাবে পাবে আমি তো সামনে
যাইনি।
যাই দেখি কি বলে।

তারা : রুমে ঢুকলাম আরে স্যার কই??

দেখলাম উনি ওয়াশ রুম থেকে মাথা মুছতে
মুছতে বের হচ্ছেন।

ছি ছি একটা গেঞ্জি ও পড়ে নাই। ঘুরে
দাড়ালাম।

মেঘ : খুব মজা হচ্ছে তাইনা?

তারা : মজা? ? কিসের? ? আর কেনই বা
হবে? ?

মেঘ : তুমি নিজেকে খুব চালাক ভাব তাইনা।

তুমি চল ডালে ডালে আমি চলি পাতায়
পাতায়।

তুমি কি ভাব তারা আমি কিছুই বুঝিনা। তুমি
কেনো এটা করলে সেটাও আমি জানি।
তোমার উপর পানি দিয়েছি তাই এটা করলে।
কিন্তু এটআ করে তুমি অনেক বড় ভুল করেছ
তারা!

তারা : আপনি ভুল——

মেঘ : আমি ভুল ভাবছি তাইতো।

ওয়েটার টাকে ডাকলে সব ভুল দুর হয়ে যাবে।
দাড়াও ডাকি।

তারা : ok ok I’m sorry.
আমি ভুল করে ফেলেছি। আর হবেনা ( মাথা
নিচু করে)

মেঘ ; তারার মুখ উচু করে আজকের ভুলের
কোনো মাফ নেই।
বলে ওর গা থেকে ওড়না ফেলে দিয়ে ওকে
বিছানায় ফেলে দিলাম।

তারা : কি করছেন। ভাল হচ্ছেনা কিন্তু।
এটা কিন্তু ঠিক না।

দেখুন ঠিক করছেন না কিন্তু।

মেঘ : ওর হাত ২ টা বিছানায় আমার হাত
দিয়ে শক্ত করে ধরলাম।

তারা : ছাড়ুন আমাকে।
আমি বলেছি তো আমার ভুল হয়েছে।sorry.
.
মেঘ : ( আসলে আমার উদ্দেশ শুধু ওকে ভয়
দেখান। আর কিছু নয়।)
যাতে এমন কাজ আর না করে।
তারার চোখে পানি দেখে ওকে ছেড়ে
দিলাম।

তারা : দৌড়ে চলে আসলাম।

রুমের দরজা বন্ধ করে দিলাম।
.
চলবে

বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *