বস বয়ফ্রেন্ড Season 2

বস বয়ফ্রেন্ড Season 2 ! পর্ব- ৪

রুমে ঢুকতেই আল্লাহ রেএএএ এটা কি হল। পা
পিছলে গেলাম কি করে।
ওমা এখানে তেল কি করে আসল। রনি! রনি!

রনি : স্যার আপনি নিচে কেনও?? উঠুন উঠুন। ।
মেঘ : আমার রুমে কে এসেছিল? ?

রনি : সন্ধায় তারা ম্যাম কে দেখেছিলাম
আপনার রুমে আসতে।

মেঘ : তারাকে ডাকো।

রনি : জি।

ম্যাম ম্যাম।

তারা : হুম বলো।

রনি : স্যার ডেকেছে।

তারা : হাই হাই এবার কি হবে? ? আল্লাহ
আল্লাহ। বাচায় দেও। ।
স্যার এর রুমে গেলাম।
আপনি ডেকেছেন? ?

মেঘ : হুম।
তুমি কি নিজেকে খুব চালাক ভাবো?? তারা
: না না তা কেন হবে।

মেঘ : এই কাজ টা তাহলে করলা কেন?? ।
তারা : কোন কাজ? ?

মেঘ : কিছুই জানোনা? ? ।তারাকে টেনে
নিজের কাছে নিলাম। আমার দিকে
তাকিয়ে বল।
অন্য দিকে মুখ ঘুরাচ্ছ কেন। এই দিকে
তাকাও।

তারা : সরি।

মেঘ : কি বললে। আবার বল।

তারা : সরি।

মেঘ : কানে ধর।

তারা : কি? ?

মেঘ : কানে ধর।
আমি যতক্ষন থামতে না বলব থাম্বেনা । ধর
( ধমক দিয়ে)

তারা: তাড়াতাড়ি কানে ধরলাম ।
মনে মনে হাজার গালি দিলাম

মেঘ : ঠিক আছে যাও এখন।

তারা : দেখে নিব আপনাকে বলেই দৌড়
দিলাম।

মেঘ : এই মেয়ে কে হেন্ডেল করা এত সোজা
না।
আমার থেকেও ৪ গুন ঘাড় তেড়া। ।
তারা: আমাকে কানে ধড়ানো। দেখে নিব।
হুহ।
।।
সকালে:

তারা : রুমি রুমি

উনার কফি কই।

রুমি : ম্যাম এইযে নিন।

তারা : যাও তুমি এইখান থেকে। রুমি চলে
গেলে ইচ্ছামত লবন দিয়ে দিলাম কফিতে।
এবার খান কফি।

স্যার আপনার কফি। আর জামা বের করে
রেখেছি রুমে।

কফি রেখে তাড়াতাড়ি অফিস বলে গেলাম
না হলে খবর আছে।

মেঘ : কফি মুখে দিয়ে থু থু
এই মেয়ে আর বদলাল না।

আর পারলাম না।

তারা : উনি অফিস এ এসে আমাকে কিছু
বলিলেন না ব্যপার কি? নাকি কফি খান
নি। ?
কি জানি।

গাড়িতে :
মেঘ : উফফ কি জ্যাম রে বাবা। এইভাবে
থাকলেতো ৩বছর লাগবে বাসায় যেতে। ।
তারা : আহা কি সুন্দর বাতাস হচ্ছে মনে হয়
বৃষ্টি হবে।

মেঘ : তারার দিকে তাকালাম। ওর চুল
বাতাসে ওর মুখে এসে পড়ছে। ।সুন্দর লাগছে।

তারা : এই যে শুনুন জ্যাম ছেড়ে গেছে গাড়ি
ছাড়ুন।

মেঘ : অহ হ্যা।

বাসায় আসতে আসতে বৃষ্টিও শুরু হয়ে গেছে।

মেঘ : তারা রান্না করো।

তারা : মানে রুমি সুমি রান্না করেনি। ।
মেঘ : আজ ওদের ছুটি দিয়েছি। তুমি
প্রতিদিন এত ভাল ভাল রেসিপি কর আমার
কফির সাথে তাই আজ রান্না তুমি করবে।

তারা : ওহ তাই অফিসে কিছু বলেনি। উফফ
এখন কি করি??

মেঘ : তাড়াতাড়ি আর হ্যা আগে কফি দিয়ে
যাও।

তারা : নিজের ফাদে নিজেই পরেছি। এখন
আর কি করার।
উনি বারান্দা তে বসে আছেন। ।
তারা : নিন।

মেঘ : রাখো টেবিল এ।
তারা কফি রাখতে যেয়ে অর চুল বাতাসে
আমার মুখে এসে পড়ল।

আমি তাকালাম
তারার দিকে। তারাও আমার দিকে তাকিয়ে
আছে।
আমি উঠে দাড়ালাম। এগিয়ে গেলাম তারার
দিকে।

তারা : উনার আগানো দেখে আমি পিছিয়ে
যাচ্ছিলাম আর বললাম কি খাবেন আপনি?
কি রান্না করব।

মেঘ : যা রান্না করতে পারো।

তারা : দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেল। উনি
সামনে এসে দাড়ালেন।
কি হয়েছে ওভাবে কি দেখছেন। ।
মেঘ : তারার মুখটা কি মায়াবি লাগছে। চুল
গুলা মুখ থেকে সরিয়ে দিলাম। তারা চোখ
বন্ধ করে আছে।

মুখটা একটু উচু করে ধরলাম। ।
তারা হাত দিয়ে আমার টি শার্ট চেপে ধরল।

তারা : আমার মুখের কাছে উনার নি:শ্বাস
অনুভব করতে পারছি।
উনি আরো কাছে চলে আসছেন। কিন্তু ভয়ে
নড়তেও পারছিনা।
হঠাত উনার ফোন বেজে উঠল। উনি আমাকে
ছেড়ে দিয়ে ফোনে কথা বলতে লাগলেন।
আমি দ্রুত চলে আসলাম। ।
তারা : এটা কি হল??
রাক্ষস টা কি করতে যাচ্ছিল। ??
।মেঘ :
তারা! তারা! খুব ক্ষুদা পেয়েছে খেতে দেও।

তারা : এই নিন।

মেঘ : তুমি রান্না করেছ?

তারা : জি না আমি রান্না পারিনা। অডার্র
দিয়ে এনেছি।

মেঘ ; আহারে তোমার বিয়ে হলে তোমার
জামাইএর কি হবে।

তারা : সেটা আপনাকে ভাবতে হবেনা হুহ। ।
পরের দিন অফিস এ।

মেঘ : ইরা তারা কই।

ইরা : স্টোর রুমে।
ফাইল আনতে গেছে।

মেঘ : গেলাম স্টোর রুমে।
আরে এই মেয়ে মই এ উঠেছে কেন পরে গেলে
হাত পা গুড়া হয়ে যাবে।
তারা নামো তাড়াতাড়ি।

তারা : ও মা এ কি আরে আরে।

মেঘ :এখনি না ধরলে কি হত তোমার?? অন্য
কাওকে বলা যেত না? ?
।।
তারা : আপনার মনে হয় চিন্তা হচ্ছে। ।
মেঘ : ঠাস করে ছেড়ে দিলাম ওকে। ।
তারা : আল্লাহ গো।
এই এই এটা কি করলেন? ?
ভাল হলনা কিন্তু।

মেঘ : বেশ করেছি।

তারা : দেখে নিব আপনাকে।

মেঘ : কি বললে।

তারা ; না কিছুনা।

মেঘ : নেও হাত ধরে উঠো।

তারা : হাত ধরে উঠলাম।

মেঘ : কি হয়েছে এইভাবে হাটছ কেন? ।
তারা : হাটতে আর পারছি কই। আপনি কাজ
টা ঠিক করলেন না।

মেঘ : কোলে তুলে নিলাম তারাকে। ।
স্টোর রুম থেকে বের হলাম।

সবাই দেখি হা করে তাকিয়ে আছে। ।
আরেক জনের মুখে তো মশা অ ঢুকে যাচ্ছে। ।
মেঘ : মুখ বন্ধ কর। আর সবাই কাজ কর। ।
তারা : কথায় নিয়ে যাচ্ছেন।

মেঘ : বাসায় যাচ্ছি।
আজ আর তোমার কাজ করতে হবেনা। আমি
ড্রাইভার কে বলছি ও তোমাকে বাসায়
দিয়ে আসবে।

তারা : (রাক্ষস এর দেখি দয়া মায়া ও আছে)

বাসায় বসে বসে আর ভাল লাগছেনা। কিন্তু
কোমরের ব্যথায় উঠতে ও পারছিনা। ।
রাতে সামান্য কিছু খেয়ে শুয়ে পরলাম। উনি
এখন আসেনি।

রাত ১ টা।
মেঘ : আজ খুব দেরি হয়ে গেল। রুমি! রুমি! ।
রুমি : জি।

মেঘ : তারা কি ঘুমিয়ে গেছে।? ।
রুমি : জি

মেঘ : অকে তুমি যাও।
।তারাকে কি একবার দেখে আসব? ।ঢুকতে
গেলাম কিন্তু দরজা বন্ধ। ।

রাত ৩ টা:

তারা : হঠাত ঘুম ভেংগে গেল। উফফ ঘুম ও আর
আসছেনা।
একটু এফ.বি তে যাই।
ওমা কালকে স্যার এর জন্মদিন! !!! আমি তো
ভুলেই গেছিলাম। যাক ভাল হল
নোটিফিকেশন চেক করে।কমোড় ব্যথাও কমে
গেছে।

সকাল ৭ টা

রুম থেকে বাইরে বেড়িয়ে দেখি সবাই
কাজে লেগে গেছে।

রুমি : ম্যাম এতো সকালে কথায় যাচ্ছেন। ।
তারা : এই তো এইখানেই। তোমরা তোমাদের
কাজ করো।

বলেই বাইরে গেলাম।
এক টা ফুলের দোকান এ গেলাম। খুব সুন্দর
একটা ফুলের তোড়া কিনলাম।
।।

সবাই আমাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।

মেঘ : রুমি তারা কই?

রুমি : সকাল সকাল কই যেনো গেল। .


চলবে—

বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *