বস বয়ফ্রেন্ড Season 2

বস বয়ফ্রেন্ড Season 2 ! পর্ব- ২

তারা : হ্যালো।

মেঘ : কই তুমি? ? ফাইল নিয়ে জলদি আস। ।
তারা : ও আল্লাহ আজ না মিটিং
।।
তারা : অফিস এ গেলাম।

মেঘ : তোমাকে পরে দেখে নিব ফাইল দেও
আগে।

আর চলো।

ততারা : খুব ভয় লাগছে।
আসলে এই প্রজেক্ট টা খুব ইম্পরট্যান্ট ।
আমি ভুলেই গিয়েছিলাম।
তাও শেষ পর্যন্ত ডিল টা সাইন হয়েছে এটাই
শান্তি।
।চলুন স্যার যাওয়া যাক।
মেঘ : তারাকে দেওয়ালের সাথে আটকে
ধরলাম।
হাত ২ টা আমার ১ হাত দিয়ে শক্ত করে
ধরলাম।
আর ১ হাত দিয়ে চুলের মুঠি ধরলাম। ।
তারা: কি করছেন কি? ? ছাড়ুন। ব্যথা
লাগছে আমার।

মেঘ : আজ তোমার জন্য আমাকে অপমান সহ্য
করতে হল।
উনারা আরেক্টু হলে চলেই যাচ্ছিল। কই
ছিলা তুমি ( চিতকার কিরে) ।

তারা : আমি আসলে ভুলে গেছিলাম। ।
মেঘ : আরো শক্ত করে ধরলাম। ভুলে গেছিলে
তুমি???
আজ যদি ডিল সাইন না হত।
??

নিহাত বাবা তোমাকে আমার পি.এ বানিয়ে
গেছিল না হলে তোমার মত মেয়েদের আমি
চাকর ও রাখিনা।
বলেই ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলাম। চলে
আসলাম

তারা : মাথায় হাত দিয়ে দেখলাম কপাল
ফেটে গেছে। পা ও অনেক কেটেছে। ।
মেঘ : বাসায় যাব।প্রতিদিন তারা আমার
সাথে যায়।কিন্তু আজ অকে নিবনা আমি।
যাক বাসায় একা একা।

নিচে নেমে দেখি তারা বসে আছে। একজন
বেন্ডেজ করার চেস্টা করছে তারা দিলনা।
উঠে চলে যাচ্ছে কিন্তু হাটতে পারছে না।
হঠাত পরে যাচ্ছিল একজন ধরল। আমার এক্টু
খারাপ লাগল। এত টা রাগ দেখান উচিত হয়
নি।

মেঘ : তারা আমার হাত ধর।

তারা : কিছু না বলে আবার চলে যাচ্ছে। ।
মেঘ : হাত বারিয়ে দিলাম। হাত ধর। ।
তারা : আপনার হাত আমার জুতাও ধরবেনা। ।
মেঘ : কিহ এত বড় কথা।
কলে তুলে নিলাম অকে।

তারা : নামান। নামান বলছি নামান। ।
মেঘ : কি করবে তুমি দেখি এখন। ।
ইচ্ছা মত অনেক ক্ষন ঘুসাল। তারপর থেমে
গেল।
।গাড়ি তে বসিয়ে দিলাম। বাসায় আসলাম। ।
কলে তুলে অকে ঘরে ঢুকলাম। সবাই তাকিয়ে
আছে।
।কি সবাই কি দেখছ।
যে যার কাজে যাও।

অর রুমে অকে রেখে আসলাম।

রাতে ও খেতে আসেনি।
।রাগ যেমন আমারো আবার অরো। ।
তাই দেখতে গেলাম।
কপালের ক্ষত টা অনেক গভির কিন্ত
বেন্ডেজ করেনি।

পায়ে ওষধ লাগাতে যাচ্ছে আবার ভয়ে
সরিয়ে ফেলছে।
আমি রুমে ঢুকলাম।

তারা : আপনি এসেছেন কেনো। মজা
দেখতে।
বেচে আসি নাকি মরে গেছি দেখতে?? ।
মেঘ : এই নেও এটা লাগাও কপালে। ।
তারা : নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিলাম। ।
মেঘ : তুলে এনে আবার দিলাম।

তারা : আবার ফেলে দিলাম।

মেঘ : অকে জোর করে টেনে নিজের কাছে
এনে ১ হাত দিয়ে অকে ধরলাম। ভালই ভালই
লাগাও না হকে অন্য রাস্তা আমার যানা
আছে।ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম
চুপচাপ আমার কথা শুন। ।
তারা : চুপ করে বসে পরলাম। কপালে আর
পায়ে উনি বেন্ডেজ করে দিলেন।চলে
গেলেন তারপর। কিন্তু এক বারও সরি বললেন
না।
শয়তান, রাক্ষস।
এর বদলা আমি নিবই।
।।।
সকালে উঠে দেখি রুমি উনার নাস্তা রেডি
করে রেখেছে।
আশে পাশে কেও নাই।

ইচ্ছামত মরিচ এর গুরা খাবার এ মিশিয়ে
দিলাম আর পানির মধে্্য দিলাম লবন
মিশিয়ে যাতে পানি খেতেও না পারে।
তারার সাথে পাংগা হুহ।

মেঘ : আল্লাহ এত ঝাল কেন? ? থু থু পানিতে
এত লবন কেন?

তারা! ! তারা! !

তারা : বলুন।

মেঘ : এটা তোমার কাজ তাইনা। তারা : কন
টা?

মেঘ : কনটা দেখাচ্ছি।
আমি এক পা ek পা করে এগুচ্ছি আর ও
পিছাচ্ছে।

তারা : দেখুন আপনি কি ভেবেছেন আনি
আপনাকে দেখে ভয় পাব? ? কখনই না। ।
মেঘ : তুমি ভয় পাওনা।

তারা : না না

মেঘ : তাহলে পিছাচ্ছ কেন??

তারা : আপনি এগুচ্ছেন কেনো?? ।
মেঘ : হাত দিয়ে ইশারা দিলাম সবাইকে চলে
যেতে।

রুমি : সুমি আজ তারা ম্যাম এর খবর আছেরে।
চল চল

তারা : এই এই সবাই কই যাও? ?

মেঘ : এখন তোমার কি হবে তারা। ওর
কোমড়ে হাত দিয়ে শক্ত করে ধরলাম। ।খাবার
এ মরিচ মিশিয়েছ কেনো। ।
তারা : ভাল করেছি।

মেঘ : আমার দিকে তাকিয়ে আরেকবার বল। ।
তারা : ( আল্লাহ বাচাও)
দিলাম উনার হাতে জোরে করে কামোড়
লাগিয়ে।

মেঘ : অকে ছেড়ে দিলাম।

তারা : ভাগ তারা ভাগ।

মেঘ : কি ভেবেছ তোমাকে আমি পাবো
না? ? বাসায় আসো আগে।

তারা : উফফ যাক বেচে গেছি। অন্তত অফিস
এ কিছু করবেনা।

মেঘ : তারা রেড ফাইল টা নিয়ে রুমে আসো।
আজ মিটিং আছে।

তারা : ভয়ে ভয়ে জি।
( আল্লাহ কি হয় কে জানে) ভয়ে ভয়ে রুমে
গেলাম।

শফিক সাহেব: mr.মেঘ তোমার
প্রেজেন্টটেশন আমাদের ভাল লেগেছে।
আমরা ফাইল্টা নিয়ে যাচ্ছি। কালকে
জানাব।

তা মেঘ সাহেব তোমার হাতে ওটা কিসের
দাগ??

মেঘ : না মানে ইয়ে মানে।

শফিক সাহেব : হেহে হয় হয় অল্প বয়সে এইসব
হয়েই থাকে। হেহে।

মেঘ : আপনারা ভুল ভাবছেন। এমন কিছুইনা। ।
: বুঝেছি বুঝেছি আর বলতে হবেনা। লজ্জা র
কিছু নেই।
হেহে।

মেঘ : তারার দিকে তাকালাম । ও হাসছে। ।
তারা : উনার চেয়ে থাকা দেখে আমার হাসি
উরাল দিল।

উনারা বের হয়ে যাচ্ছিল ভাবলাম আমিও ভাগি।
নাহ হলনা।
উনি হাত ধরে এত জোরে টান দিলেন মনে
হচ্ছে হাত ছিড়ে যাবে।

তারা : কিছু বুঝার আগেই।

মেঘ : ওর গা থেকে ওড়না টা ফেলে দিয়ে
গলায় আর ঘাড়ে কামোড় মেরে দিলাম। ।
তারা : আল্লাহ। দিলাম ধাক্কা মেরে
সরিয়ে।

আপনি কি রাক্ষস।

মেঘ : তুমি আমাকে দিয়েছিলে আমি
তোমাকে দিলাম। নেও শোধ।তোমার জন্য ত আমিও অপমানিত
হলাম।
যাও এখন।

তারা : এর বদলা আমিও নিব। খাটাশ
কথাকার।

ইরা : কিরে কে এতো আদর করল
তোকে??

তারা : মানে? ?

ইরা: love bite দেখতে পাচ্ছি তোর গলায়।
স্যার আদর করেছে নাকি? ? তলে তলে এতো
দুর।

তারা : তাড়াতাড়ি ওড়না ঠিক করলাম। না না
তেমন কিছুনা।
পরে যেয়ে বেথা পাইছি।

ইরা : আমি কি আর জানিনা।

তারা : তুই বেশি জানিস। হুহ। ।
( মনে মনে এই খাটাশ এর জন্য আর শান্তি
পেলামনা)

মেঘ : তারা? ?

তারা : আবার কি? ?

মেঘ : বাসায় চল।

তারা : আপনি যান। আমি পরে আসব। ।
মেঘ : হুম

তারা : তোমাকে শায়েস্তা করার জিনিস
নিয়ে তারপর বাসায় যাব।

চলবে——

বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *