বধুবরন

বধুবরন-সিজন-2 ! Part- 12

এই ভাইয়া! তুই বাইরে যা আমি আমার এই মিষ্টি ভাবিটার সাথে একটু একা গল্প করতে চাই।
“- এরে একা ছাড়া আর শিং ওয়ালা ষাড় একা ছাড়া সমান।ভেবে দ্যাখ রোদি
শুভা মুখ ফুলিয়ে রেগে তাকাতেই রোদি নীলকে জোর করে বিছানা থেকে উঠিয়ে দেয়।
“- যা! না!
“- আচ্ছা যাচ্ছি। অয়ন কি বাসায়?
“- কে জানে? দ্যাখ গিয়ে।সারাদিন তো কেবলাকান্ত হয়ে ঘোরে।প্রেমে টেমে ছ্যাঁকা খাইছে নাকি কে জানে।অয়ন সম্পর্কে রোদির কথা শুনে শুভা নীলের দিকে তাকিয়ে মুখ টিপে হাসে।নীল মুখটা পেঁচার মতো করে ঠোঁট কামড়ে শাসায় শুভাকে।
“- কুত্তাওয়ালা ব্যাডা( ভেংচি দিয়ে নিঃশব্দে ঠোঁট নাড়িয়ে বলে শুভা)
নীল রেগে এগিয়ে আসতেই শুভা বলে
“- আপু দেখ কেমন ছ্যাঁচড়া তোমার ভাই।এখনও দাড়িয়ে আমাকে শাসাচ্ছে।
“- ভাইয়াআআ( রাগ দেখিয়ে) যা না।
“- উফ! যাচ্ছি। তোমাকে তো পরে দেখছি ( দরজা খুলে ইশারায় শাসিয়ে বলে)
“- ঠ্যাঙা ( ভেংচি দিয়ে)
রোদিকে মিষ্টি হেসে তাকিয়ে থাকতে দেখে শুভা লজ্জায় নত মস্তকে রোদির হাতের আঙুল নিয়ে খেলতে থাকে।
“-তুমি জানো মম আর ছোট মা ছাড়া এ বাড়ির কেউ তোমাকে পছন্দ করে না।
“- হুমম( নত মস্তক নাড়িয়ে)
“- তাহলে এসেছ কেন এ বাড়ি?
“- উনি নিয়ে এসেছেন তাই।
“- ভাইয়া যা বলবে তাই করবে তুমি? যদি বলে আমাকে ছেড়ে দাও শুভা ছেড়ে দেবে?
“- আপু( অশ্রু টলমলে নয়নে তাকিয়ে)
“- জবাব শুনতে চাই ভাবি বলো?
“- জানি না আমি।তবে সে যদি সুখী হয় তাতে অবশ্যই তাকে সুখী করবো।চলে যাবো তার জীবন থেকে( কাঁদতে কাঁদতে)
“-এতো ভালোবাসো আমার পঁচা ভাইটাকে?
“- একটু ও না।ওমন ডিম পঁচা কুত্তাওয়ালা ব্যাডাকে একটু ও ভালোবাসি না আমি।
“-সত্যি তো!
“- হ্যাঁ! না! রোদিকে জড়িয়ে ফুঁপিয়ে কাদতে থাকে।রোদি খুশির জল মুছে শুভার চুলে বিলি কেটে বলে।
“- এমন কথা আমার ভাই কোনোদিনই বলবে না ভাবি।যদি ভবিষ্যতে রেগে বলেও একদম ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দিবা।আমি তোমার সাপোর্টার হবো।
“- শুধু কি নাক ফাটাবো মেরে মেরে আলু ভর্তা বানিয়ে লবন মরিচ লাগিয়ে খেয়ে হজম করে ফেলবো।ভালো হবে না?
“-ভালো হবে না মানে? মারাত্মক ভালো হবে।( দুজনে স্বঃশব্দে হেসে ওঠে)
“- আচ্ছা আপু একটা কথা বলি?
“- বলো! একটা কেন একশটা হাজারটাও বলতে পারো।
“- তোমার ভাই নাস্তিক কেন? শুভার কথাটা শুনে রোদি মুখটা বেজার করে চুপচাপ বসে থাকে।শুভা বুঝতে পারে কথাটা জিজ্ঞেস করাটা হয়তো ঠিক হয় নি।টপিক চেঞ্জ করার জন্য অন্য কথা বলতে গেলেই রোদেলী বাঁধা দেয়
“- শুনতে চাও ভাইয়া এমন কেন? শোনো! আমাদের আব্বু রাশেদ ইকবাল খান এ শহরের নামকরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল।পিতা মাতার বড় সন্তান হওয়াতে দাদা দাদীর খুবই আদরের ছিলেন তিনি।বলে না অতি আদরের বাদর। ঠিক তেমন ছিলেন আব্বু।মমের সাথে যখন আব্বুর বিয়ে হয় তখন আব্বু অলরেডি একজনের সাথে রিলেশনে ছিল।দাদার আদেশ উপেক্ষা করতে না পেরে মমকে বিয়ে করে।বিয়ের ৩ বছরের মাথায় মম আব্বুর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে যায়।স্বামী অন্য নারীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে সেটাও বিয়ের আগে থেকে কেমন লাগে তাই না বলো?
“- হুমম( শুভা রোদির ঘাড়ে হাত রাখে)
“-মম ভেঙে পড়েছিল।তখন ভাইয়ার বয়স সবে ২ বছর।মম নানু কে জানালে নানু ডিভোর্স ফাইল করতে চাই কিন্তু দাদী অনেক রিকুয়েষ্ট করে আব্বুকে দিয়ে সরি বলিয়ে মমকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসে।এর পর চলে চরম অত্যাচার।আব্বু রোজ রাতে নেশা করে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতো মারত।মম নানু কে জানাতে চেয়েও দাদীর থ্রেডের কাছে নত স্বীকার করে।দাদু ভাই কে রেখে দেওয়ার হুমকি দিতেই মম দূর্বল হয়ে যায়।মম সেজন্য নানুকে কোনোদিন বলে নি নিজের উপর চলা বিভৎস নির্যাতনের কথা।ভাগ্য বলে মেনে নিয়েছেন।ভাইয়া ছোট থেকেই দেখে এসেছে এসব। সারাদিন বাড়ির সমস্ত কাজ করে রুমে এসে আব্বুর কথায় কথায় মাইর গালাগালি দেখে ভয়ে দরজার আড়ালে লুকিয়ে থাকতো আমার ছোট্ট নীল ভাইটা তখন।মমকে নামাজে বসে পাগলের মতো কাদতে দেখতো।নিজেও দুহাত তুলে মায়ের কষ্টের জন্য নাকি কাঁদতো। আমার ভাইয়ের ছোট বেলা আট দশটা বাচ্চার মতো ছিল না ভাবি( রোদি শব্দ করে কেঁদে ওঠে)
“- আপু আমি আর শুনবো না।তুমি কেদো না প্লিজ!
“- না ভাবি তোমাকে শুনতে হবে।জানতে হবে আমার ভাইটা আসলে কেমন?কেন এমন শক্ত পাথর হয়ে গেছে।আমি যখন মমের গর্ভে তখন একদিন আব্বু হুট করেই তার গার্লফ্রেন্ডকে বাড়িতে নিয়ে আসে।মমকে ঐ রাতে ঘাড় ধরে রুমের বাইরে পাঠিয়ে দেয়।ছোট মা আর ছোট ফুপি ছাড়া বাড়ির কেউ সেরাতে আব্বুর কাজের প্রতিবাদ করে নি।ছোট ফুপি নিজের রুমে মাকে আশ্রয় দেয়।ভাইয়া তখন ক্লাস ৫/৬ সিক্সে পড়ে।মম শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিল আব্বুর এমন কাজে।কোথাও না কোথাও মমের মনে আশা ছিল আব্বু ঠিক একদিন মমকে মেনে নেবে কিন্তু হলো না।উল্টো মমের বিছানা দখল করে নিল ঐ মহিলা।ভাইয়া মমকে নিঃশ্চুপ পাথরের মতো থাকতে দেখে পাগলের মতো কেঁদেছিল।পুরুষ ছেলেতো রাগে শরীরের গরম টগবগ করছিল হয়তো মায়ের অপমান দেখে।এভাবে দুদিন কেটে গেল।ভাই নাকি এ বাড়িতে থাকতেই চাইতো না। মমকে বলতো কোথাও চলে যেতে কিন্তু মম আমাদের ভবিষ্যত ভেবে যেতে চাইতো না। নীল ভাই একদিন দেখে দাদী ঐ মহিলাকে মায়ের বিয়ের শাড়ি গহনা দিয়ে দিচ্ছে। ওহ বলে রাখি! আমার মায়ের যাবতীয় নতুন ও দামি জিনিস সব দাদীর কাছেই থাকে।নীল ভাই সহ্য করতে পারে নি।টেবিলের উপরে থাকা কাচের গ্লাস ছুড়ে মেরেছিল মহিলার মাথায়।মহিলার চিৎকারে আব্বু ছুটে এসে যখন তার গার্লফ্রেন্ডের মাথায় রক্তে ভেজা দেখে। খুব রেগে যায়।ভাইয়াকে বেল্ট খুলে পিটাই। মম সাহায্যের জন্য এগিয়ে গেলে মমের পেটে লাথি মারে। শুধু লাথি মেরেই ক্রান্ত হয় নি বেল্ট দিয়েও পিটাই।এক পর্যায়ে মমের ব্লিডিং শুরু হয়।হসপিটালাইজড করা হয়।মমের অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল।মরমর অবস্থা
আমার অসহায় ভাইটা আব্বুর মারের ক্ষত শরীর নিয়ে বসে ছিল ফুপির সাথে। মায়ের প্রতিটি কষ্টের শ্বাস ও শুনেছে।দেখেছে গর্ভধারিণী মায়ের কষ্ট। ডাক্তার যখন সিজার করে তখনও বোঝে নি কি ক্ষতি হয়েছে কিন্তু পরে বুঝেছে আমি চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়ে হয়ে গিয়েছি।মম এখনও সেদিনের কথা স্মরণ করে কাদে।ভাইয়া নাকি ঐদিনের পর থেকেই কারও সাথে মিশতো না কথাও বলতো না।আব্বুর সাথে তো নাই ই।এসএসসি দিয়ে ছোট ফুপি ও ফুপুর সাথে লন্ডন চলে গেল।ফুপিই নিয়ে গিয়েছিল ভাইয়ের অবস্থা দেখে।এরপর আর এ বাড়ি থাকার জন্য ফিরে আসে নি ভাই।মিরা আপুর সাথে রিলেশন কি করে হলো জানি না বাট মিরার আপুর জেদের কারনেই ভাইয়া এ বাড়ি এসেছিল এনগেজমেন্টটা সারতে।পরদিনই চলে যায়।মম আর আমাকে নেওয়ার জন্য বহু চেষ্টা করেও আব্বু আর দাদীর হুমকিতে মম যেতে রাজি হয় নি।আমার ভাই বেঁচে ছিল না মরে গিয়েছিল ১০ টা বছর ঠিকমতো খবর পাই নি।আমার ভাইটা বড় দুঃখী ভাবি।ওর ব্যবহার ওর আচরণ সব ঐ পরিবেশের মতো নিষ্ঠুর আর পাষান হয়ে গিয়েছিল।ধর্ম আচার সব ভুলে গেল। আজ যে ভাইকে দেখলাম সে টোটালি একটা নতুন নীল ভাই আমার।মানুষ নীল ভাই।যার অনুভূতি আছে।কষ্টে পাথর হওয়া ভাইটার জীবনে তুমিই জাগিয়েছ সেই অনুভূতি ভাবি( শুভাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে রোদি)
আমার ভাই কষ্ট দিলেও কষ্ট নিও না তুমি।বুঝিয়ে তাকে সঠিক পথে নিয়ে এসো ভাবি।আমি রক্তে মাংসে গড়া হাসি খুশি একটা নীল ভাই চাই তোমার কাছে। দেবে না আমায়?
“- হুমম( শুভা কাঁদতে কাদতে হিচকি তুলে বলে) নীলের অতীত এতো কষ্টের হতে পারে শুভা চিন্তাও করে নি।শুভা নিজের জন্ম পরিচয় জানে না কিন্তু জন্মপরিচয় থেকেও নীল এতো কষ্ট করেছে ভাবতেই শুভার গা কাটা দেয়।মানুষটার জন্য এখন ভালোবাসা অনেক বেড়ে গেল শুভার।
রোদি শুভার সাথে আরও অনেক কথা বলে নীল সম্পর্কে।নীল রোদিকে সব বলেছে শুভার ব্যাপারে সব।শুভার জন্ম পরিচয় না থাকার কথা থেকে শুরু করে শুভার সাথে দেখা হওয়ার সব কথা।শুভা এটা জেনে আশ্চর্য হয় নীল ওর জন্ম পরিচয়হীন হওয়ার কথা জানে।রোদির কথায় শুভার এক জায়গায় একটু খটকা লাগলো।শুভাকে না চিনে,না জেনে, ভালো না বেসেও বিয়ে করার জন্য মরিয়া কেন হয়েছিল? কিন্তু শুভা সেটা জাহির করলো না।
নীল অয়নকে না পেয়ে নিজের ঘরের খাটে কপালে হাত রেখে শুয়ে ছিল মুখে মুচকি হাসি নিয়ে।শুভার সাথে থাকলে দিন রাত মনেই থাকে না নীলের।অথচ একদিন দিন রাত পার করার জন্য কতো কিছুর মাঝে ডুবে থাকতে চেষ্টা করতো তবুও দিন কাটতো না।আজ মনে হয় দিনগুলো রাতগুলো আরেকটু বড় কেন হয় না?কথাটা ভাবছিল তখনই কেউ বুকের উপর আছরে পড়লো সমস্ত দেহের ভার দিয়ে।
“- শুভা!হেসে চোখ মেলতেই বুকের উপর থেকে মিরাকে ধাক্কা দিয়ে ফ্লোরে ফেলে উঠে দাড়ায়।
“- নীল বেবি! ব্যথা পাইছি তো? আর কার নাম নিলা তুমি? কে এই শুভা?
“- আমার স্ত্রী।আমার হৃদপিণ্ডের শিরা উপশিরা। তুই এখানে কেন? ( রেগে)
“- বেবি তুমি এসব কি বলছ বলো তো? তোমার হৃদপিণ্ড, কিডনি সব তো আমি তাই না? দুইদিন একটু দূরে কি গেছি তুমি তো অন্য একটা ধরে বসেছ? আচ্ছা সমস্যা নাই ধরেছ এখন ছেড়ে দাও।আমি এসেছি এখন তোমার সবকিছুর মধ্যে শুধু আমি থাকবো।(নীলকে জড়িয়ে ধরে)
“- ছাড়! একদম গা ঘেঁষবি না।যা আমার ঘর থেকে।নেক্সট টাইম যেন আমার আশেপাশে তোকে না দেখি।যা!
“- নীল প্লিজ! সরি তো বলছি তবুও এমন করছ কেন?আচ্ছা চলো তোমাকে আজ খুশি করিয়ে দেই।সব রাগ অভিমান এক নিমেষেই মাটিতে মিশিয়ে দেব আমার ভালোবাসা দিয়ে।চলো( নীলের ঠোঁটের দিকে উঁচু হতে হতে)
“- এই যে শুনছেন! নীলের ঘরের দরজা খুলতেই শুভা থমকে যায় নীল আর মিরাকে এতো কাছাকাছি দেখে।মুখ ফুলিয়ে ফুসতে থাকে দাড়িয়ে। নীল শুভাকে দেখে মিরাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে শুভার কাছে ছুটে যায়।
“- তুমি যা দেখেছ সব ভুল শুভা। প্লিজ আমাকে অবিশ্বাস করো না।
“- এই কাল সাপ তাহলে শুভা।এ মা! গায়ের রং দেখো পুরো পাতিলের কালি।তোমার চয়েস এমন লো ক্লাস হলো কবে থেকে নীল?
“- জাস্ট শাট আপ মিরা! একটা কথাও বলবে না ওকে নিয়ে।শুভাকে একহাতে বুকে জড়িয়ে ঘার ঘুরিয়ে মিরাকে আঙুল তুলে শাসায় নীল।
“- ওহ!কাম অন বেবি।দিস ইজ সো রেডিকিলাস।এমন একটা থার্ড ক্লাস মেয়েকে বুকে জড়িয়ে আমাকে শাসাচ্ছ?এই মেয়ে সর ওর বুক থেকে সর।তোর মতো কালি দিয়ে আমার জুতাও পরিষ্কার করি না আমি।নীল এই শার্ট ছিড়ে ফেলো।এই মেয়ের স্পর্শ করা কিছুই আমি তোমার শরীরের দেখতে চাই না।এই ফকিন্নি সর! নীল কিছু বলতে যাবে তার আগেই শুভা ঠাস করে মিরার গালে চড় বসিয়ে দেয়।মিরার কানে মনে হয় শো শো শুরু হয় শুভার থাপ্পড়ের আওয়াজে।
“- আমাকে ফকিন্নি বলিস? আমাকে? তুই কি ভেবেছিস আমি বাংলা সিনের সাবানা ববিতা? তোর কথা শুনে কেঁদে ভাসিয়ে দেব? না রে ছেরি না! তোর মতো ধলা পেত্নী কতো দেখছি এই ১৮ বছরের জীবনে।নারকেল গাছের মচমচা পাতার ঝাড়ু বানিয়ে পাছার উপরে শাপ শাপ কয়টা দিলেই তোর মতো ধলা পেত্নীর খবর থাকবো না।( মিরার সামনে রেগে রণমূর্তি ধারন করে বলে)
“- শুভা রিলাক্স! মিরা এখান থেকে যা।
“- আরে ওরে যাইতে কন কেন? আমারে কয় জুতার কালিও বানাই বো না।ঐ ছেরি ঐ তোর মতো ধলুনির ধলা আমার পায়ের নিচে থাকে।দেখবি দ্যাখ দ্যাখ! শুভা খাটে বসে মিরার দিকে পা উচিয়ে পায়ের পাতা দেখায়।
আমার জ্বামাইরে বেবি কস?তোর দাঁত ভাইঙ্গা ফোকলি বেবি বানাই দিমু।আয় তোরে থার্ড ক্লাস কারে কয় ফাস্ট ক্লাস করে কয় বুঝাইয়া দেই।আয়!
“- মিরা যা এখান থেকে।শুভাকে শক্ত করে বুকের সাথে জড়িয়ে রেগে বলে নীল।
মিরা কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গেলে শুভা রাগে কটমট করে নীলের দিকে তাকায়।

চলবে,,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *